📖 নির্দেশনা:
প্রথম পাঠের হোমওয়ার্কের আগ পর্যন্ত সকল আরবি বাক্যের সাথে বাংলা অর্থ এবং বাংলা বাক্যের সাথে তার আরবি অনুবাদ এখানে দেওয়া হলো।
তুমি আগে নিজে পুরো পাঠটি মনোযোগ দিয়ে পড়বে, তারপর মিলিয়ে দেখবে —
তোমার বাংলা অর্থ করা এবং আরবি অনুবাদ করা শুদ্ধ হয়েছে কিনা।
⚠ সতর্কতা:
ভুলেও আগে এই অংশটি পড়বে না — আগে নিজে চেষ্টা করো, পরে মিলিয়ে দেখো।
আরবি ভাষায় وَلَوْ
, وَإِنْ
এবং حَتَّى وَلَوْ
এর আলোচনা
১. وَلَوْ
এবং وَإِنْ
এর ব্যবহার
যখন لَوْ
(যদি) ও إِنْ
(যদি) এর আগে وَاو
(ওয়াও) আসে, তখন এগুলো শর্তের পরিবর্তে “যদিও” বা “তবুও” অর্থ প্রকাশ করে।
وَلَوْ
(যদিও) এর ব্যবহার:
-
وَلَوْ
বাক্যের মাঝখানে এসে শর্তের পরিবর্তে “যদিও” বা “তবুও” অর্থ প্রকাশ করে। -
এটি এমন পরিস্থিতি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যেখানে শর্ত পূরণ হলেও ফলাফল পরিবর্তন হয় না।
উদাহরণ:
-
أذهب ولو منعتني (আমি যাব, যদিও তুমি আমাকে বাধা দাও)।
-
سأساعدك ولو كنت عدوي (আমি তোমাকে সাহায্য করব, যদিও তুমি আমার শত্রু হও)।
-
سأقول الحق ولو عاقبوني (আমি সত্য বলব, যদিও তারা আমাকে শাস্তি দেয়)।
وَإِنْ
(যদিও) এর ব্যবহার:
-
وَإِنْ
ওوَلَوْ
একইরকম অর্থ প্রকাশ করলেওوَإِنْ
কিছুটা বেশি আনুষ্ঠানিক এবং লেখায় বেশি ব্যবহৃত হয়। -
এটি বাক্যের শুরু বা মাঝখানে এসে শর্তের পরিবর্তে “যদিও” বা “তবুও” বোঝাতে পারে।
উদাহরণ:
-
تفشل وإن قرأت مرارا (তুমি ব্যর্থ হবে, যদিও তুমি বারবার পড়ো)।
-
يجب أن تفعل الخير وإن لم يشكرك أحد (তোমার ভালো কাজ করা উচিত, যদিও কেউ তোমাকে ধন্যবাদ না দেয়)।
-
أحترمك وإن كنت مخالفا لرأيي (আমি তোমাকে সম্মান করি, যদিও তুমি আমার মতের বিরোধিতা করো)।
২. حَتَّى وَلَوْ
এর ব্যবহার
حَتَّى وَلَوْ
একত্রে ব্যবহৃত হলে এটি “এমনকি যদি” বা “এমনকি যদিও” অর্থ প্রকাশ করে। এটি সাধারণত অত্যন্ত কঠিন বা অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যেখানে ফলাফল বা সিদ্ধান্ত অপরিবর্তিত থাকে।
উদাহরণ:
-
أحسن إلى الجميع حتى ولو كان صغيرا منك (তুমি সবার সাথে ভালো আচরণ করো, এমনকি যদিও সে তোমার চেয়ে ছোট হয়)।
-
سأساعد الفقراء حتى ولو كنت فقيرا (আমি গরিবদের সাহায্য করব, এমনকি যদিও আমি নিজেই গরিব হই)।
-
سأبقى مع الحق حتى ولو تخلى عني الجميع (আমি সত্যের সাথে থাকব, এমনকি যদিও সবাই আমাকে ত্যাগ করে)।
-
يجب أن نصبر حتى ولو كانت الظروف صعبة (আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে, এমনকি যদিও পরিস্থিতি কঠিন হয়)।
অতিরিক্ত উদাহরণগুলোর অনুবাদ:
-
سأذهب وَلَوْ كنت مريضًا، (আমি যাব, যদিও আমি অসুস্থ হই)।
-
سأساعدك وَلَوْ كنت غاضبًا، (আমি তোমাকে সাহায্য করব, যদিও আমি রাগান্বিত হই)।
-
سأكمل اللعب وَلَوْ كان الوقت متأخرًا، (আমি খেলা শেষ করব, যদিও সময় দেরি হয়)।
-
سأدرس وَلَوْ كنت متعبًا، (আমি পড়ব, যদিও আমি ক্লান্ত হই)।
-
سأضحك وَلَوْ كان اليوم صعبًا، (আমি হাসব, যদিও দিনটি কঠিন হয়)।
-
سأكون صادقًا وَإِنْ لم يصدقني أحد، (আমি সত্যবাদী হব, যদিও কেউ আমাকে বিশ্বাস না করে)।
-
سأبقى في المنزل وَإِنْ كانت السماء تمطر، (আমি বাড়িতে থাকব, যদিও আকাশ থেকে বৃষ্টি হয়)।
-
سأزورك وَإِنْ كنت بعيدًا، (আমি তোমার সাথে দেখা করব, যদিও তুমি দূরে থাকো)।
-
سأساعدك وَإِنْ كنت مشغولًا، (আমি তোমাকে সাহায্য করব, যদিও আমি ব্যস্ত থাকি)।
-
سأحبك وَإِنْ كنت بعيدًا، (আমি তোমাকে ভালোবাসব, যদিও তুমি দূরে থাকো)।
-
سأقرأ وَإِنْ كانت الصفحة صعبة، (আমি পড়ব, যদিও পৃষ্ঠাটি কঠিন হয়)।
-
سأكون طيبًا وَإِنْ لم يكن الجميع لطيفًا، (আমি দয়ালু হব, যদিও সবাই দয়ালু না হয়)।
-
سأفعل الخير وَإِنْ لم يشكرني أحد، (আমি ভালো কাজ করব, যদিও কেউ আমাকে ধন্যবাদ না দেয়)।
-
سأحبك حَتَّى وَلَوْ كنت غاضبًا، (আমি তোমাকে ভালোবাসব, এমনকি যদি তুমি রাগান্বিত হও)।
-
سأساعد الفقراء حَتَّى وَلَوْ كنت فقيرًا، (আমি গরিবদের সাহায্য করব, এমনকি যদি আমি নিজেই গরিব হই)।
-
سأكون صادقًا حَتَّى وَلَوْ كان الجميع يكذب، (আমি সত্যবাদী হব, এমনকি যদি সবাই মিথ্যা বলে)।
-
سأدرس حَتَّى وَلَوْ كانت المادة صعبة، (আমি পড়ব, এমনকি যদি বিষয়টি কঠিন হয়)।
-
سأساعدك حَتَّى وَلَوْ كنت بعيدًا، (আমি তোমাকে সাহায্য করব, এমনকি যদি তুমি দূরে থাকো)।
-
سأكون هناك حَتَّى وَلَوْ كنت وحيدًا، (আমি সেখানে থাকব, এমনকি যদি আমি একা হই)।
-
سأفرح حَتَّى وَلَوْ كانت الدنيا حزينة (আমি খুশি হব, এমনকি যদি পৃথিবী দুঃখের হয়)।
শব্দের অর্থ
বাংলা | আরবি |
খাবার | وَجْبَةٌ (ج) وَجَبَاتٌ |
টমেটো | طَمَاطِمُ |
হোটেল/ক্যান্টিন | مَطْعَمٌ |
প্রস্তুত করা | التَّجْهِيْزُ |
শাক-সবজি | خضْرَوَاتٌ |
ফাস্টফুড | الوَجبَاتُ السَّرِيْعَةُ |
প্রাধান্য দেওয়া | التَّفْضِيْلُ |
সেমাই | شَعِيْرِيَّةٌ |
কেক | كَعْكٌ |
মূল পাঠের অর্থ
-
لَمَّا بَلَغْتُ السَّابِعَةَ مِنْ عُمُرِي أَمَرَنِي أَبِي بِالصَّلَاةِ (যখন আমার সাত বছর বয়স হলো, তখন আমার বাবা আমাকে সালাতের আদেশ দিলেন)।
-
وَكُنْتُ تَعَلَّمْتُ كَثِيراً وَحَفِظَتُ سُوَرًا مِنَ الْقُرْآنِ الْكَرِيمِ مِنْ أُمِّي (আর আমি আমার মায়ের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছিলাম এবং কুরআনুল কারিমের অনেক সূরা মুখস্থ করেছিলাম)।
-
وَبَدَأْتُ أَذْهَبُ مَعَ أَبي إِلَى الْمَسْجِدِ (আর আমি আমার বাবার সাথে মসজিদে যেতে শুরু করলাম)।
-
وَأَقُومُ فِي صَف الأَطْفَالِ خَلْفَ صَف الرَّجَالِ (আর আমি পুরুষদের কাতারের পেছনে শিশুদের কাতারে দাঁড়াতাম)।
-
وَلَمَّا بَلَغَتُ الْعَاشِرَةَ مِنْ عُمُرِي قَالَ لِي مَرَّةً : قَدْ أَكْمَلْتَ الآنَ مِنْ عُمُركَ تِسْعَ سِنِينَ ، وَالآنَ أَنتَ ابْنُ عَشْرِ سِنِيْنَ (যখন আমার দশ বছর বয়স হলো, তখন তিনি আমাকে একবার বললেন: এখন তোমার নয় বছর পূর্ণ হয়েছে এবং এখন তোমার দশ বছর চলছে)।
-
فَإِذَا تَرَكْتَ صَلَاة ضَرَبْتُكَ لأَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ : مُرُوا أَوْلَادَكُمْ بِالصَّلَاةِ وَهُمْ أَبْنَاءُ سَبْعَ سِنِيْنَ وَاضْرِبُوْهُمْ عَلَيْهَا وَهُمْ أَبْنَاءُ عَشْرٍ (সুতরাং তুমি যদি সালাত ছেড়ে দাও, আমি তোমাকে প্রহার করব, কারণ নবী ﷺ বলেছেন: তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে সালাতের আদেশ করো যখন তাদের বয়স সাত বছর হয়, এবং সালাতের জন্য তাদের প্রহার করো যখন তাদের বয়স দশ বছর হয়)।
-
قُلْتُ: يَا أَبِيْ! إِنَّكَ لَا تَحْتَاجُ إِلَى أَنْ تَضْرِبَنِيْ وَسَأُحَافِظُ عَلَى الصَّلَوَاتِ، وَكَذَلِكَ فَعَلْتُ، (আমি বললাম: হে আমার বাবা! আপনাকে আমাকে প্রহার করার প্রয়োজন হবে না, আর আমি সালাতসমূহ রক্ষা করব। আর আমি সেটাই করেছি)।
-
كُنتُ إِذَا ذَهَبْتُ إِلَى السُّوْقِ أَوْ كُنْتُ فِي شُغْل وَأَدْرَكَتْنِي الصَّلَاةُ فِي مَكَانٍ صَلَّيْتُ (আমি যখন বাজারে যেতাম বা কোনো কাজে থাকতাম এবং আমাকে কোনো স্থানে সালাত পেয়ে যেত, আমি সেখানে সালাত আদায় করতাম)।
-
وَلَا أَتْرُكُ الصَّلَاةَ إِذَا كُنتُ مُسَافِراً (আর আমি সালাত ছাড়তাম না যখন আমি মুসাফির (ভ্রমণকারী) হতাম)।
প্রশ্নের উত্তর দাও
-
مَتَى أَمَرَك أَبُوك بِالصَّلَاةِ؟ (কখন তোমার বাবা তোমাকে সালাতের আদেশ দিলেন?)
-
জ: أَمَرَنِي أَبِي بِالصَّلَاةِ لَمَّا بَلَغْتُ السَّابِعَةَ مِنْ عُمُرِي। (যখন আমার সাত বছর বয়স হলো, তখন আমার বাবা আমাকে সালাতের আদেশ দিলেন)।
-
-
مَنْ عَلَّمَكَ الْكثيرَ مِنْ سُوَرِ الْقُرْآنِ؟ (কে তোমাকে কুরআনের অনেক সূরা শিখিয়েছেন?)
-
জ: عَلَّمَتْنِي أُمِّي الْكَثِيرَ مِنْ سُوَرِ الْقُرْآنِ الْكَرِيمِ। (আমার মা আমাকে কুরআনের অনেক সূরা শিখিয়েছেন)।
-
-
مَاذَا كُنْتَ تَفْعَلُ عِنْدَمَا تَذْهَبُ مَعَ وَالِدِكَ إِلَى الْمَسْجِدِ؟ (তুমি যখন তোমার বাবার সাথে মসজিদে যেতে, তখন কী করতে?)
-
জ: كُنْتُ أَقُومُ فِي صَف الأَطْفَالِ خَلْفَ صَف الرَّجَالِ। (আমি পুরুষদের কাতারের পেছনে শিশুদের কাতারে দাঁড়াতাম)।
-
-
مَاذَا قَالَ لَكَ وَالِدُكَ عِنْدَمَا بَلَغْتَ الْعَاشِرَةَ؟ (যখন তোমার দশ বছর বয়স হলো, তখন তোমার বাবা তোমাকে কী বললেন?)
-
জ: قَالَ لِي وَالِدِي عِنْدَمَا بَلَغْتُ الْعَاشِرَةَ: إِذَا تَرَكْتَ الصَّلَاةَ ضَرَبْتُكَ. (যখন আমার দশ বছর বয়স হলো, তখন আমার বাবা আমাকে বললেন: তুমি যদি সালাত ছেড়ে দাও, আমি তোমাকে প্রহার করব)।
-
-
مَاذَا يَفْعَلُ وَالِدُكَ إِذَا تَرَكْتَ الصَّلَاةَ؟ (যদি তুমি সালাত ছেড়ে দাও, তাহলে তোমার বাবা কী করবেন?)
-
জ: قَالَ وَالِدِي: سَأَضْرِبُكَ إِذَا تَرَكْتَ الصَّلَاةَ. (আমার বাবা বললেন: আমি তোমাকে প্রহার করব যদি তুমি সালাত ছেড়ে দাও)।
-
-
مَاذَا قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الصَّلَاةِ لِلْأَطْفَالِ؟ (ছোটদের সালাত সম্পর্কে নবী ﷺ কী বলেছেন?)
-
জ: قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم: مُرُوا أَوْلَادَكُمْ بِالصَّلَاةِ وَهُمْ أَبْنَاءُ سَبْعَ سِنِيْنَ وَاضْرِبُوْهُمْ عَلَيْهَا وَهُمْ أَبْنَاءُ عَشْرٍ। (নবী ﷺ বলেছেন: তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে সালাতের আদেশ করো যখন তাদের বয়স সাত বছর হয়, এবং সালাতের জন্য তাদের প্রহার করো যখন তাদের বয়স দশ বছর হয়)।
-
-
مَاذَا قُلْتَ لِوَالِدِكَ عِنْدَمَا قَالَ لَكَ أَنَّهُ سَيَضْرِبُكَ إِذَا تَرَكْتَ الصَّلَاةَ؟ (যখন তোমার বাবা তোমাকে বললেন যে সালাত ছেড়ে দিলে তিনি তোমাকে প্রহার করবেন, তখন তুমি তাকে কী বললে?)
-
জ: قُلْتُ لِوَالِدِي: إِنَّكَ لَا تَحْتَاجُ إِلَى أَنْ تَضْرِبَنِيْ وَسَأُحَافِظُ عَلَى الصَّلَوَاتِ. (আমি আমার বাবাকে বললাম: আপনাকে আমাকে প্রহার করার প্রয়োজন হবে না, আর আমি সালাতসমূহ রক্ষা করব)।
-
-
مَاذَا كُنْتَ تَفْعَلُ إِذَا أَدْرَكَتْكَ الصَّلَاةُ فِي السُّوقِ أَوْ فِي شُغْلٍ؟ (তুমি যখন বাজারে বা কাজে থাকতে আর সালাতের সময় হতো, তখন কী করতে?)
-
জ: كُنْتُ إِذَا أَدْرَكَتْنِي الصَّلَاةُ فِي مَكَانٍ صَلَّيْتُ. (যখন আমাকে কোনো স্থানে সালাত পেয়ে যেত, আমি সেখানে সালাত আদায় করতাম)।
-
-
هَلْ تَتْرُكُ الصَّلَاةَ عِنْدَمَا تَكُونُ مُسَافِرًا؟ (তুমি কি যখন ভ্রমণ করো, তখন সালাত ছেড়ে দাও?)
-
জ: لَا أَتْرُكُ الصَّلَاةَ إِذَا كُنْتُ مُسَافِراً. (আমি সালাত ছাড়ি না যখন আমি মুসাফির (ভ্রমণকারী) হই)।
-
-
كَيْفَ حَافَظْتَ عَلَى الصَّلَاةِ طَوَالَ هَذِهِ السَّنَوَاتِ؟ (এই দীর্ঘ বছরগুলোতে তুমি কীভাবে সালাত রক্ষা করেছো?)
-
জ: كُنْتُ أُحَافِظُ عَلَى الصَّلَاةِ بِالتَّمَامِ وَالْإِكْمَالِ فِي كُلِّ مَكَانٍ. (আমি সব জায়গায় পূর্ণরূপে সালাত রক্ষা করে চলেছি)।
-
কথোপকথন: রাশেদ ও হামিদ
-
راشد: السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ (রাশেদ: আপনাদের উপর শান্তি, আল্লাহর রহমত এবং তাঁর বরকত বর্ষিত হোক)।
-
حامد: وَعَلَيْكُمُ السَّلاَمُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ (হামিদ: আপনার উপরও শান্তি, আল্লাহর রহমত এবং তাঁর বরকত বর্ষিত হোক)।
-
راشد: أَيْنَ تَتَنَاوَلُ الْوجَبَاتِ؟ (রাশেদ: তুমি কোথায় খাবার খাও?)
-
حامد: أَتَنَاوَلُ الْوجَبَاتِ الثَّلَاثِ فِي الْمَدْرَسَةِ (হামিদ: আমি তিনটি খাবার মাদরাসায় খাই)।
-
راشد: مَتَى تَأْكُلُ الفطُورَ؟ (রাশেদ: কখন তুমি নাস্তা করো?)
-
حامد: آكُلُ الفطُورَ فِي السَّاعَةِ الثَّامِنَةِ صَبَاحًا (হামিদ: আমি সকাল আটটায় নাস্তা করি)।
-
راشد: مَتَى تَأْكُلُ الغَدَاءَ وَالْعَشَاءَ؟ (রাশেদ: কখন তুমি দুপুরের খাবার ও রাতের খাবার খাও?)
-
حامد: آكُلُ الْغَدَاءَ فِي السَّاعَةِ الْوَاحِدَةِ ظُهْرًا وَالْعَشَاءَ بَعْدَ الْعِشَاءِ (হামিদ: আমি দুপুরে একটার সময় দুপুরের খাবার এবং ইশার পর রাতের খাবার খাই)।
-
راشد: وَمَاذَا تَأْكُلُ فِي الْغَدَاءِ؟ (রাশেদ: আর তুমি দুপুরের খাবারে কী খাও?)
-
حامد: آكُلُ السَّمَكَ وَالْعَدَسَ، أَوْ اللَّحْمَ وَالْعَدَسَ (হামিদ: আমি মাছ আর ডাল অথবা মাংস আর ডাল খাই)।
-
راشد: مَاذَا تَأْكُلُ فِي الْعَشَاءِ؟ (রাশেদ: রাতের খাবারে কী খাও?)
-
حامد: آكُلُ الْبَيْضَةَ أَوِ الْخُضْرَوَاتِ (হামিদ: আমি ডিম অথবা শাক-সবজি খাই)।
-
راشد: بَارَكَ اللَّهُ فِيكَ أَخِي (রাশেদ: আল্লাহ তোমাকে বরকত দান করুন, হে আমার ভাই)।
-
حامد: وَفِيكَ بَارَكَ اللَّهُ، وَفَّقَكَ اللَّهُ تَعَالَى (হামিদ: আর তোমাকেও আল্লাহ বরকত দান করুন, আল্লাহ তাআলা তোমাকে সাহায্য করুন)।
কথোপকথন: মেজবান ও মেহমান
-
المضيف: السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ (মেজবান: আপনাদের উপর শান্তি, আল্লাহর রহমত এবং তাঁর বরকত বর্ষিত হোক)।
-
الضيف: وَعَلَيْكُمُ السَّلاَمُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ (মেহমান: আপনার উপরও শান্তি, আল্লাহর রহমত এবং তাঁর বরকত বর্ষিত হোক)।
-
المضيف: كَيْفَ حَالُكُمْ وَكَيْفَ حَالُ الْأُسْرَةِ؟ (মেজবান: আপনারা কেমন আছেন এবং আপনাদের পরিবার কেমন আছে?)
-
الضيف: الْحَمْدُ لِلَّهِ نَحْنُ كُلُّنَا بِخَيْرٍ وَعَافِيَةٍ (মেহমান: আলহামদুলিল্লাহ আমরা সবাই ভালো এবং সুস্থ আছি)।
-
المضيف: مَاذَا تُفَضِّلُ، الشَّايَ أَمِ الْقَهْوَةَ؟ (মেজবান: আপনি কী পছন্দ করেন, চা না কফি?)
-
الضيف: أُفَضِّلُ الْقَهْوَةَ بِالْحَلِيبِ (মেহমান: আমি দুধের কফি পছন্দ করি)।
-
المضيف: وَمَاذَا تُفَضِّلُ مِنَ الْفَاكِهَةِ؟ (মেজবান: আর ফলমূলের মধ্যে কী পছন্দ করেন?)
-
الضيف: التَّمْرَ وَالتُّفَّاحَ (মেহমান: খেজুর ও আপেল)।
-
المضيف: مَتَى أُقَدِّمُ لَكَ الْغَدَاءَ وَمَاذَا تُفَضِّلُ فِيهِ؟ (মেজবান: আমি কখন আপনার জন্য দুপুরের খাবার পরিবেশন করব এবং এতে আপনি কী পছন্দ করেন?)
-
الضيف: أَحْسَنُ أَنْ يَكُونَ بَعْدَ الظُّهْرِ وَأُفَضِّلُ فِي الْغَدَاءِ اللَّحْمَ وَالسَّمَكَ وَالْعَدَسَ (মেহমান: দুপুরের পর হলে ভালো হয় এবং দুপুরের খাবারে আমি মাংস, মাছ ও ডাল পছন্দ করি)।
-
المضيف: طَيِّبٌ، أُجَهِّزُ الْآنَ الْغَدَاءَ وَأُقَدِّمُهُ لَكُمْ بِإِذْنِ اللَّهِ (মেজবান: ঠিক আছে, এখন আমি দুপুরের খাবার প্রস্তুত করছি এবং ইনশাআল্লাহ আপনাদের জন্য পরিবেশন করব)।
-
الضيف: شُكْرًا لَكَ (মেহমান: আপনাকে ধন্যবাদ)।
-
المضيف: وَلَكَ الشُّكْرُ أَيْضًا (মেজবান: আপনাকেও ধন্যবাদ)।
কথোপকথন: আবিদ ও খালিদ
-
عَابِدٌ: اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا خَالِدُ! (আবিদ: আসসালামু আলাইকুম, হে খালিদ!)
-
خَالِدٌ: وَعَلَيْكُمُ السَّلَامُ يَا عَابِدُ! كَيْفَ حَالُكَ؟ (খালিদ: ওয়ালাইকুমুস সালাম, হে আবিদ! কেমন আছো?)
-
عَابِدٌ: اَلْحَمْدُ لِلَّهِ. مَتَى أَمَرَكَ وَالِدُكَ بِالصَّلَاةِ لِأَوَّلِ مَرَّةٍ؟ (আবিদ: আলহামদুলিল্লাহ। তোমার বাবা তোমাকে প্রথম কখন সালাতের আদেশ দিলেন?)
-
خَالِدٌ: أَمَرَنِي أَبِي بِالصَّلَاةِ لَمَّا بَلَغْتُ السَّابِعَةَ مِنْ عُمْرِي. (খালিদ: যখন আমার সাত বছর বয়স হলো, তখন আমার বাবা আমাকে সালাতের আদেশ দিলেন)।
-
عَابِدٌ: وَمَنْ عَلَّمَكَ سُوَرَ الْقُرْآنِ الْكَرِيمِ؟ (আবিদ: আর কে তোমাকে কুরআনুল কারিমের সূরাসমূহ শিখিয়েছেন?)
-
خَالِدٌ: تَعَلَّمْتُ سُوَرًا مِنَ الْقُرْآنِ الْكَرِيمِ مِنْ أُمِّي. (খালিদ: আমি আমার মায়ের কাছ থেকে কুরআনুল কারিমের অনেক সূরা শিখেছিলাম)।
-
عَابِدٌ: وَأَيْنَ كُنْتَ تُصَلِّي فِي الْمَسْجِدِ حِينَ تَذْهَبُ مَعَ أَبِيكَ؟ (আবিদ: আর যখন তুমি তোমার বাবার সাথে মসজিদে যেতে, তখন কোথায় সালাত আদায় করতে?)
-
خَالِدٌ: كُنْتُ أَقُومُ فِي صَفِّ الْأَطْفَالِ خَلْفَ صَفِّ الرِّجَالِ. (খালিদ: আমি পুরুষদের কাতারের পেছনে শিশুদের কাতারে দাঁড়াতাম)।
-
عَابِدٌ: وَمَاذَا قَالَ لَكَ وَالِدُكَ لَمَّا بَلَغْتَ الْعَاشِرَةَ؟ (আবিদ: আর যখন তোমার দশ বছর বয়স হলো, তখন তোমার বাবা তোমাকে কী বললেন?)
-
خَالِدٌ: قَالَ لِي: “إِذَا تَرَكْتَ الصَّلَاةَ سَأَضْرِبُكَ.” (খালিদ: তিনি আমাকে বললেন: “তুমি যদি সালাত ছেড়ে দাও, আমি তোমাকে প্রহার করব”)।
-
عَابِدٌ: وَهَلْ ضَرَبَكَ وَالِدُكَ؟ (আবিদ: আর তোমার বাবা কি তোমাকে প্রহার করলেন?)
-
خَالِدٌ: لَا، قُلْتُ لَهُ إِنِّي سَأُحَافِظُ عَلَى الصَّلَوَاتِ، وَكَذَلِكَ فَعَلْتُ. (খালিদ: না, আমি তাকে বললাম যে আমি সালাতসমূহ রক্ষা করব, আর আমি সেটাই করেছি)।
-
عَابِدٌ: هَلْ تَتْرُكُ الصَّلَاةَ إِذَا كُنْتَ مُسَافِرًا؟ (আবিদ: তুমি কি সালাত ছেড়ে দাও যখন তুমি ভ্রমণ করো?)
-
خَالِدٌ: لَا أَتْرُكُ الصَّلَاةَ إِذَا كُنْتُ مُسَافِرًا. (খালিদ: আমি সালাত ছাড়ি না যখন আমি ভ্রমণকারী হই)।
-
عَابِدٌ: هَلْ تَذْهَبُ وَلَوْ كُنْتَ مَرِيضًا؟ (আবিদ: তুমি কি যাও যদিও তুমি অসুস্থ হও?)
-
خَالِدٌ: نَعَمْ، أَذْهَبُ وَلَوْ كُنْتُ مَرِيضًا. (খালিদ: হ্যাঁ, আমি যাই যদিও আমি অসুস্থ হই)।
-
عَابِدٌ: هَلْ تُسَاعِدُ أَصْدِقَاءَكَ وَلَوْ كُنْتَ غَاضِبًا؟ (আবিদ: তুমি কি তোমার বন্ধুদের সাহায্য করো যদিও তুমি রাগান্বিত হও?)
-
خَالِدٌ: نَعَمْ، أُسَاعِدُهُمْ وَلَوْ كُنْتُ غَاضِبًا. (খালিদ: হ্যাঁ, আমি তাদের সাহায্য করি যদিও আমি রাগান্বিত হই)।
-
عَابِدٌ: وَهَلْ تَفْعَلُ الْخَيْرَ وَلَوْ لَمْ يَشْكُرْكَ أَحَدٌ؟ (আবিদ: আর তুমি কি ভালো কাজ করো যদিও কেউ তোমাকে ধন্যবাদ না দেয়?)
-
خَالِدٌ: نَعَمْ، أَفْعَلُ الْخَيْرَ وَلَوْ لَمْ يَشْكُرْنِي أَحَدٌ. (খালিদ: হ্যাঁ, আমি ভালো কাজ করি যদিও কেউ আমাকে ধন্যবাদ না দেয়)।
-
عَابِدٌ: شُكْرًا لَكَ عَلَى هَذَا الْحِوَارِ الْمُفِيدِ يَا خَالِدُ! (আবিদ: এই উপকারী কথোপকথনের জন্য তোমাকে ধন্যবাদ, হে খালিদ!)
-
خَالِدٌ: اَلْعَفْوُ يَا عَابِدُ! إِلَى اللِّقَاءِ! (খালিদ: স্বাগতম, হে আবিদ! বিদায়!)
-
عَابِدٌ: إِلَى اللِّقَاءِ! (আবিদ: বিদায়!)
উপরের ছবির আলোকে কথোপকথন:
সালেহ: আসসালামু আলাইকুম, তুমি এখানে কী করছো? (السَّلَامُ عَلَيْكُمْ، مَاذَا تَفْعَلُ هُنَا؟)
হাসান: ওয়ালাইকুমুস সালাম, আমি একটি বই পড়ছি। (وَعَلَيْكُمُ السَّلَامُ، أَنَا أَقْرَأُ كِتَابًا।)
সালেহ: বইটি কি সম্পর্কে? (عَنِ الْكِتَابِ؟)
হাসান: এটি একটি বিজ্ঞানের বই, খুবই মজার। (إِنَّهُ كِتَابُ عُلُومٍ، مُثِيرٌ لِلْاِهْتِمَامِ جِدًّا।)
সালেহ: আমি দেখি তুমি প্রায়ই একা বসে থাকো, কেন? (أَرَاكَ تَجْلِسُ وَحِيْدًا غَالِبًا، لِمَاذَا؟)
হাসান: আমি যখন একা থাকি, তখন পড়ি। (عِنْدَمَا أَكُونُ وَحِيْدًا، أَقْرَأُ।)
সালেহ: এটি ভালো, তবে বন্ধুদের সাথে খেলাধুলাও উপকারী। (هَذَا جَيِّدٌ، وَلَكِنَّ اللَّعِبَ مَعَ الْأَصْدِقَاءِ مُفِيْدٌ أَيْضًا।)
হাসান: তুমি কি প্রতিদিন বাইরে যাও? (هَلْ تَخْرُجُ كُلَّ يَوْمٍ؟)
সালেহ: হ্যাঁ, আমি আমার বন্ধুদের সাথে প্রায়ই মাঠে ফুটবল খেলি। (نَعَمْ، أَلْعَبُ كُرَةَ الْقَدَمِ مَعَ أَصْدِقَائِي فِي الْمَلْعَبِ غَالِبًا।)
হাসান: আমিও তাদের সাথে যোগ দেবো। (سَأَنْضَمُ إِلَيْهِمْ أَيْضًا।)
সালেহ: চলো তাহলে, আজই শুরু করি। (هَيَّا إِذَنْ، نَبْدَأُ الْيَوْمَ।)
হাসান: চলো। (هَيَّا।)
শব্দের অর্থ
বাংলা | আরবি |
টুর্নামেন্ট, ম্যাচ | مُبَارَاة |
লজ্জা পাওয়া | الخَجَل (স) |
ভিড় | زِحَامٌ |
যেখানেই আমি থাকি | أَيْنـمَا كُنْتُ |
দয়াশীল | ذُوْ رَحْمَةٍ |
নৌকা, কিশতি | فُلْكٌ |
নেভানো | الإِطْفَاءُ |
ওহী পাঠানো | الإِيْحَاءُ |
প্রশান্তি | سَكِيْنَةٌ |
শাস্তি দেওয়া | التَّعْذِيْبُ |
জেনে রাখো, সাবধান | أَلَا |
নির্যাতনের পাত্র | فِتْنَةٌ |
শুধু | إنَّمَا |
মুখ | فَمٌ ج أَفْوَاهٌ |
إنما
, فقط
, ألا
এর ব্যবহার
إنما
, فقط
, ألا
– এই তিনটি শব্দের প্রতিটির ব্যবহার আলাদা, তবে তাদের সাধারণত কিছু সীমাবদ্ধতা বা নির্দিষ্ট কিছু বোঝানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।
إنما
إنما শব্দটি “শুধু” বা “মাত্র” এর অর্থে ব্যবহৃত হয় এবং এটি বাক্যে কিছু নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশ করতে সাহায্য করে। এটি সাধারণত একটি শর্ত বা সীমাবদ্ধতা বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
ব্যবহার:
-
إنما সাধারণত বাক্যের শুরুতে আসে এবং বাক্যের অর্থে কোনো কিছু সীমিত বা নির্দিষ্ট করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ:
-
إنما أنت منذر (তুমি তো শুধু একজন সতর্ককারী)।
-
إنما أنت تاجر وأنا رئيس (তুমি তো শুধু একজন ব্যবসায়ী আর আমি একজন নেতা)।
-
إنما أنت طبيب وأنا طبيب ومعلم (তুমি তো শুধু একজন ডাক্তার আর আমি একজন ডাক্তার এবং শিক্ষক)।
-
إنما نحن مع الحق (আমরা তো শুধু সত্যের পক্ষেই আছি)।
فقط
فقط শব্দটি “শুধু” বা “মাত্র” এর অর্থে ব্যবহৃত হয় এবং এটি সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট বা সীমিত বিষয়ে জোর দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ:
-
أنا أريد أن أتعلم فقط (আমি শুধু শিখতে চাই)।
-
هذا الكتاب فقط للقراءة (এই বইটি শুধু পড়ার জন্য)।
ألا
ألا একটি বিশেষ শব্দ যা সাধারণত النداء (আবেগ বা সতর্কতা প্রকাশ) বা “সাবধান” অথবা “জেনে রাখো” অর্থে ব্যবহৃত হয়।
ব্যবহার:
-
ألا
সাধারণতمستقبل
(ভবিষ্যৎ) বাالتحذير
(সতর্কতা) অর্থে ব্যবহৃত হয়। -
এটি বাক্যের শুরুতে বা মাঝখানে আসতে পারে।
উদাহরণ:
-
ألا إن الامتحان قريب (জেনে রাখো, পরীক্ষা কিন্তু নিকটবর্তী)।
-
ألا إن الأستاذ يأتي (সাবধান, ওস্তাদ আসছে)।
অতিরিক্ত উদাহরণগুলোর অনুবাদ:
-
إنما أنت طالب مجتهد! (তুমি তো শুধু একজন পরিশ্রমী ছাত্র!)
-
إنما الكتاب مفيد جدًا! (বই তো শুধু খুব উপকারী!)
-
إنما الشمس تشرق صباحًا! (সূর্য তো শুধু সকালে উদিত হয়!)
-
إنما القمر يضيء ليلًا! (চাঁদ তো শুধু রাতে আলো দেয়!)
-
إنما الماء ضروري للحياة! (পানি তো শুধু জীবনের জন্য অপরিহার্য!)
-
إنما الصدق ينجي صاحبه! (সত্য তো শুধু তার মালিককে বাঁচায়!)
-
إنما النجاح يحتاج إلى جهد! (সফলতা তো শুধু পরিশ্রমের মুখাপেক্ষী!)
-
إنما الأصدقاء كنز ثمين! (বন্ধুরা তো শুধু একটি মূল্যবান সম্পদ!)
-
إنما الوقت كالسيف! (সময় তো শুধু তরবারির মতো!)
-
إنما الصبر مفتاح الفرج! (ধৈর্য তো শুধু মুক্তির চাবি!)
-
أريد الماء فقط! (আমি শুধু পানি চাই!)
-
أحب الفواكه فقط! (আমি শুধু ফল পছন্দ করি!)
-
أريد الراحة فقط! (আমি শুধু বিশ্রাম চাই!)
-
أشتري الكتب فقط! (আমি শুধু বই কিনি!)
-
أستمع إلى القرآن فقط! (আমি শুধু কুরআন শুনি!)
-
أدرس في الليل فقط ! (আমি শুধু রাতে পড়ি!)
-
أكتب بالقلم فقط! (আমি শুধু কলম দিয়ে লিখি!)
-
ألعب في الحديقة فقط (আমি শুধু বাগানে খেলি!)
-
ألا إن الصبر جميل! (জেনে রাখো, ধৈর্য সুন্দর!)
-
ألا إن الأمانة خلق عظيم! (জেনে রাখো, আমানতদারি একটি মহান চরিত্র!)
-
ألا إن العمل عبادة! (জেনে রাখো, কাজ একটি ইবাদত!)
-
ألا إن الخير باقٍ! (জেনে রাখো, ভালো চিরস্থায়ী!)
-
ألا إن الأم مدرسة! (জেনে রাখো, মা একটি বিদ্যাপীঠ!)
-
ألا إن السعادة في الرضا! (জেনে রাখো, সন্তুষ্টির মধ্যেই সুখ!)
-
ألا إن القراءة نور العقل! (জেনে রাখো, পড়া মস্তিষ্কের নূর!)
-
ألا إن احترام الكبير واجب! (জেনে রাখো, বড়দের সম্মান করা আবশ্যক!)
আয়াতের অর্থ করো
(৪৪) فَإِنْ كَذَّبُوكَ فَقُلْ رَبُّكُمْ ذُو رَحْمَةٍ وَاسِعَةٍ (যদি তারা তোমাকে মিথ্যাবাদী বলে, তবে বলো: তোমাদের রব ব্যাপক দয়ার অধিকারী।)
(৪৫) قُلْ إِنَّنِي هَدَانِي رَبِّي إلى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ (বলো: নিশ্চয় আমার রব আমাকে সরল পথ দেখিয়েছেন।)
(৪৬) وَلَقَدْ خَلَقْنَاكُمْ ثُمَّ صَوَّرْنَاكُمْ ثُمَّ قُلْنَا لِلْمَلَائِكَةِ اسْجُدُوا لِآدَمَ فَسَجَدُوا إِلَّا إِبْلِيسَ لَمْ يَكُن مِّنَ السَّاجِدِينَ (আর আমি তোমাদের সৃষ্টি করেছি, এরপর তোমাদের আকৃতি দিয়েছি, এরপর ফেরেশতাদেরকে বলেছি: তোমরা আদমকে সিজদা করো। তখন তারা সবাই সিজদা করল, ইবলিস ছাড়া; সে সিজদাকারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না।)
(৪৭) قَالَ أَنَا خَيْرٌ مِّنْهُ خَلَقْتَنِي مِن نَّارٍ وَخَلَقْتَهُ مِن طِينٍ (সে বলল: আমি তার চেয়ে উত্তম; আপনি আমাকে আগুন থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন।)
(৪৮) كُلُوا وَاشْرَبُوا وَلَا تُسْرِفُوا ۚ إِنَّ اللّٰهَ لَا يُحِبُّ الْمُسْرِفِينَ (খাও ও পান করো এবং অপচয় করো না। নিশ্চয় আল্লাহ অপচয়কারীদের ভালোবাসেন না।)
(৪৯) إِنَّ رَبَّكُمُ اللّٰهُ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ (নিশ্চয় তোমাদের রব আল্লাহ, যিনি আসমান ও জমিন ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন।)
(৫০) وَلَا تُفْسِدُوا فِي الْأَرْضِ بَعْدَ إِصْلَاحِهَا (আর জমিনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করো না, তা সংশোধনের পর।)
(৫১) وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا نُوحًا إِلَىٰ قَوْمِهِ فَقَالَ يَا قَوْمِ اعْبُدُوا اللّٰهَ ۖ فَكَذَّبُوهُ فَأَنجَيْنَاهُ وَالَّذِينَ مَعَهُ فِي الْفُلْكِ وَأَغْرَقْنَا الَّذِينَ كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا (আর আমি নিশ্চয় নূহকে তার জাতির নিকট প্রেরণ করেছিলাম, অতঃপর সে বলল: হে আমার জাতি! তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো। কিন্তু তারা তাকে মিথ্যাবাদী বলেছিল। ফলে আমি তাকে এবং যারা তার সাথে নৌকায় ছিল, তাদের রক্ষা করেছিলাম এবং আমার আয়াতসমূহে যারা মিথ্যা বলেছিল, তাদের ডুবিয়ে দিয়েছিলাম।)
(৫২) وَأَوْحَيْنَا إلى موسى أَنْ أَلْقِ عَصَاكَ (আর আমি মুসার নিকট ওহী পাঠিয়েছিলাম যে, তুমি তোমার লাঠি নিক্ষেপ করো।)
(৫৩) قَالُوا آمَنَّا بِرَبِّ الْعَالَمِينَ رَبِّ مُوسَىٰ وَهَارُونَ (তারা বলল: আমরা বিশ্বজগতের রবের উপর ঈমান আনলাম, যিনি মুসা ও হারুনের রব।)
(৫৪) قَالَ فِرْعَوْنُ آمَنتُمْ بِهِ قَبْلَ أَنْ آذَنَ لَكُمْ (ফিরআউন বলল: আমার অনুমতি দেওয়ার আগেই তোমরা তার উপর ঈমান আনলে?)
(৫৫) قَالَ مُوسَىٰ لِقَوْمِهِ اسْتَعِينُوا بِاللّٰهِ وَاصْبِرُوا ۖ إِنَّ الْأَرْضَ لِلّٰهِ (মুসা তার জাতিকে বললেন: তোমরা আল্লাহর কাছে সাহায্য চাও এবং ধৈর্য ধারণ করো। নিশ্চয় জমিন আল্লাহর।)
(৫৬) وَالَّذِينَ كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا وَلِقَاءِ الْآخِرَةِ حَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ (আর যারা আমার আয়াতসমূহ এবং আখিরাতের সাক্ষাতের ব্যাপারে মিথ্যাবাদী, তাদের আমলসমূহ নিষ্ফল হয়ে গিয়েছে।)
(৫৭) تُضِلُّ بِهَا مَن تَشَاءُ وَتَهْدِي مَن تَشَاءُ ۖ أَنتَ وَلِيُّنَا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا ۖ وَأَنتَ خَيْرُ الْغَافِرِينَ (আপনি এর দ্বারা যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা হেদায়েত দেন। আপনিই আমাদের অভিভাবক, সুতরাং আমাদেরকে ক্ষমা করুন এবং আমাদের প্রতি দয়া করুন। আর আপনিই শ্রেষ্ঠ ক্ষমাকারী।)
(৫৮) لَا نُضِيعُ أَجْرَ الْمُصْلِحِينَ (আমরা সৎকর্মশীলদের প্রতিদান নষ্ট করি না।)
(৫৯) يَسْأَلُونَكَ عَنِ السَّاعَةِ قُلْ إِنَّمَا عِلْمُهَا عِندَ اللّٰهِ ولكن أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ (তারা তোমাকে কিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলো: এর জ্ঞান কেবল আল্লাহর কাছেই আছে, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না।)
হোমওয়ার্ক
📝 ০১. আয়াতের অর্থ লেখো
(৬১) وَبَشِّرِ الَّذِينَ كَفَرُوا بِعَذَابٍ أَلِيمٍ (আর যারা কুফরি করে তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দাও।)
(৬২) الَّذِينَ آمَنُوا وَهَاجَرُوا وَجَاهَدُوا فِي سَبِيلِ اللّٰهِ بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ أَعْظَمُ دَرَجَةً عِندَ اللّٰهِ (যারা ঈমান এনেছে এবং হিজরত করেছে ও আল্লাহর পথে তাদের সম্পদ ও জীবন দিয়ে জিহাদ করেছে, আল্লাহর কাছে তাদের মর্যাদা অনেক বড়।)
(৬৭) وَقُلِ اعْمَلُوا فَسَيَرَى اللّٰهُ عَمَلَكُمْ وَرَسُولُهُ وَالْمُؤْمِنُونَ (এবং বলো: তোমরা আমল করো। অতঃপর আল্লাহ, তাঁর রাসূল এবং মুমিনগণ তোমাদের আমল দেখবেন।)
(৬৮) عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ (আমি তাঁর উপরই ভরসা করলাম, আর তিনি মহান আরশের রব।)
(৬৯) وَاللّٰهُ يَدْعُو إِلَىٰ دَارِ السَّلَامِ وَيَهْدِي مَن يَشَاءُ إِلَىٰ صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ (আর আল্লাহ শান্তির ঘরের দিকে ডাকেন এবং যাকে ইচ্ছা সরল পথ দেখান।)
(৭০) وَإِن كَذَّبُوكَ فَقُل لِّي عَمَلِي وَلَكُمْ عَمَلُكُمْ (আর যদি তারা তোমাকে মিথ্যাবাদী বলে, তবে বলো: আমার আমল আমার জন্য এবং তোমাদের আমল তোমাদের জন্য।)
(৭১) إِنَّ اللّٰهَ لَا يَظْلِمُ النَّاسَ شَيْئًا وَلَٰكِنَّ النَّاسَ أَنفُسَهُمْ يَظْلِمُونَ (নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি সামান্যও জুলুম করেন না, কিন্তু মানুষ নিজেই নিজের প্রতি জুলুম করে।)
(৭২) إِنَّ اللّٰهَ لَذُو فَضْلٍ عَلَى النَّاسِ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَهُمْ لَا يَشْكُرُونَ (নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি অনুগ্রহশীল, কিন্তু তাদের অধিকাংশই শুকরিয়া আদায় করে না।)
(৭৩) أَلَا إِنَّ أَوْلِيَاءَ اللّٰهِ لَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ (জেনে রাখো, নিশ্চয় আল্লাহর বন্ধুদের কোনো ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না।)
(৭৪) فَقَالُوا عَلَى اللّٰهِ تَوَكَّلْنَا ۚ رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلْقَوْمِ الظَّالِمِينَ (অতঃপর তারা বলল: আমরা আল্লাহর উপর ভরসা করলাম। হে আমাদের রব! আমাদেরকে জালিম সম্প্রদায়ের জন্য ফিতনা (নির্যাতনের পাত্র) বানিও না)।
(৭৫) وَنَجِّنَا بِرَحْمَتِكَ مِنَ الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ (এবং তোমার রহমত দ্বারা আমাদেরকে কাফির সম্প্রদায় থেকে রক্ষা করো)।
📝 ০২. আরবি কর ও লেখো
تَمَيَّزَ رَاشِدٌ بِحُبِّهِ لِلْقَرْيَةِ عَلَى الرَّغْمِ مِنْ نَشْأَتِهِ فِي الْمَدِينَةِ. فِي يَوْمٍ مِنَ الْأَيَّامِ، ذَهَبَ إِلَى قَرْيَةِ جَدِّهِ فِي الْعُطْلَةِ. فِي الصَّبَاحِ، ذَهَبَ مَعَ جَدِّهِ إِلَى الْحَقْلِ. كَانَ الْأَطْفَالُ يَسْتَحِمُّونَ وَيَلْعَبُونَ هُنَاكَ. وَبَعْدَ قَلِيلٍ، جَلَسَ الْجَمِيعُ تَحْتَ شَجَرَةٍ يَتَحَادَثُونَ. رَأَوْا كُوخًا صَغِيرًا. فَقَالَ الْجَدُّ: “هَذَا كَانَ بَيْتَ شَيْخٍ عَجُوزٍ. كَانَ يَتَحَدَّثُ مَعَ الْأَشْجَارِ وَالنَّبَاتَاتِ. كَانَ أَهْلُ الْقَرْيَةِ يُعَظِّمُونَهُ جِدًّا. وَلَكِنَّهُ مَاتَ مُنْذُ أَيَّامٍ بِسَبَبِ الْمَرَضِ. وَكَانَ لَهُ ثَلَاثَةُ أَبْنَاءٍ، وَالِابْنُ الْأَصْغَرُ كَانَ عَالِمًا، فَصَلَّى صَلَاةَ الْجَنَازَةِ”.