• প্রথম স্তর – আরবি ভাষা শেখার হাতেখড়ি (الجزء الأول)
আরবি ভাষা কোর্সের ৬টি স্তর থাকবে, প্রথম স্তর কুরআন শিক্ষার জন্য, দ্বিতীয় স্তর প্রাথমিক আরবি ভাষা শিক্ষার জন্য, তৃতীয় স্তর মাধ্যমিক আরবি ভাষা শিখার জন্য, ৪র্থ স্তর উচ্চ মাধ্যমিক আরবি ভাষা শিখার জন্য, ৫ম স্তর আরবি ব্যাকারণ বা নাহু-সরফ শিখার জন্য, আর ৬ষ্ঠ স্তর এডভান্স আরবি ভাষা শিখার জন্য, প্রথম স্তর এখন শুরু হবে ইনশাআল্লাহ প্রথম স্তর – আরবি ভাষা শেখার হাতেখড়ি (الجزء الأول): শিক্ষার্থীরা আরবি হরফের সঠিক উচ্চারণ, মৌলিক হরকত, গুন্নাহ, কলকলা, মাদ্দ ও ওয়াকফের নিয়ম শিখবে। এটি কুরআন শুদ্ধ উচ্চারণে তিলাওয়াতের আত্মবিশ্বাস তৈরি করবে এবং সুন্দর আরবি হাতের লেখা আয়ত্ত করতে সাহায্য করবে। এই স্তর শেষে শিক্ষার্থীরা আরবি হরফের শুদ্ধ উচ্চারণে পারদর্শী হবে এবং তাজবীদের মৌলিক নিয়মে কুরআন পড়ার আত্মবিশ্বাস অর্জন করবে।

আরবি হাতের লেখা শিক্ষা
আরবি হস্তলিপির শৈলী আরবি হস্তলিপির বিভিন্ন সুন্দর শৈলী বা 'খত' রয়েছে, যেমন: খত্তে নাসখ (خط النسخ), খত্তে রুকাআ (خط الرقعة), খত্তে সুলস (خط الثلث), খত্তে দিওয়ানি (خط الديواني), খত্তে ফার্সি (خط فارسي) ইত্যাদি। প্রতিটি খতের নিজস্ব নিয়ম ও সৌন্দর্য বিদ্যমান। কিভাবে শিখবেন এই অনুশীলন বইটি আপনাকে ধাপে ধাপে আরবি হাতের লেখা শিখতে সাহায্য করবে: 1. হরফ পরিচিতি: প্রতিটি আরবি হরফের রূপ ও লেখার নিয়ম মনোযোগ দিয়ে দেখুন। 2. অনুশীলন: প্রতিটি হরফ আলাদাভাবে এবং শব্দে যুক্ত অবস্থায় লেখার অনুশীলন করুন। বইটিতে সঠিক আকার ও লেখার দিকনির্দেশনা দেওয়া আছে। 3. শব্দ ও বাক্য: ধীরে ধীরে ছোট শব্দ ও বাক্য লেখার অনুশীলন শুরু করুন। আমাদের মূল বইয়ের শব্দ ও বাক্যগুলো এখানে সহায়ক হবে। 4. নিয়মিত চর্চা: প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় অনুশীলন করে হাতের লেখা সুন্দর করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। 5. ধৈর্য ধরুন: তাড়াহুড়ো না করে ধীরে ধীরে ও মনোযোগের সাথে অনুশীলন করুন। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে আপনার হাতের লেখায় অবশ্যই উন্নতি আসবে।

দ্বিতীয় স্তর – আরবি ভাষা শিক্ষার প্রাথমিক ধাপ (الجزء الثاني)
এই অংশে শিক্ষার্থীরা আরবি ব্যাকরণের মৌলিক বিষয়াবলী যেমন—ইশারা, পুংলিঙ্গ-স্ত্রীলিঙ্গ, নির্দিষ্ট-অনির্দিষ্ট শব্দ, সর্বনাম, ইযাফা, ক্রিয়াবিশেষণ, অব্যয়, সম্বোধন এবং সংখ্যা শিখবে। এটি শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি করবে এবং আরবি-বাংলায় বাক্য নির্মাণ ও কথোপকথনের প্রাথমিক দক্ষতা তৈরি করবে। এই স্তর শেষে শিক্ষার্থীরা আরবি ভাষার মূল কাঠামো এবং ব্যবহারিক দক্ষতায় পারদর্শী হয়ে প্রাথমিক পর্যায়ের আরবিতে কথা বলতে পারবে।

তৃতীয় স্তর – আরবি ভাষা শেখার মাধ্যমিক ধাপ (الجزء الثالث)
এই স্তরে ক্রিয়ার বিভিন্ন প্রকার, ক্রিয়ার রূপান্তর এবং জটিল ক্রিয়ার গঠন শেখানো হবে। নফি, ইস্তেসনা, তা'লিল, জজম, নাসব ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকরণিক উপাদান এবং বাক্য বিশ্লেষণের কৌশল আয়ত্ত করা যাবে। এই স্তর শেষে শিক্ষার্থীরা আরবি ক্রিয়ার গঠন ও পরিবর্তন বুঝে বাক্যে প্রয়োগ করতে এবং হাদীস ও আয়াত বোঝার ক্ষেত্রে ব্যাকরণ প্রয়োগে পারদর্শী হতে সক্ষম হবে এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের আরবিতে কথা বলতে পারবে।

চতুর্থ স্তর – আরবি ভাষা শিক্ষার উচ্চ মাধ্যমিক ধাপ (الجزء الرابع)
এই অংশে ভাষার সৌন্দর্য ও সাহিত্যিক রীতি শেখানো হবে। শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ব্যবহার শিখবে। কুরআনের ২০০+ আয়াত এবং ১০০+ এর বেশি হাদীসের অর্থ ও বিশ্লেষণ, প্রচলিত বাক্যরীতি (التعبيرات), প্রবাদ-প্রবচন, এবং প্রশংসা ও নিন্দার বাক্যগঠনশৈলী আয়ত্ত করবে। এর মাধ্যমে তারা আরবিতে নিজস্ব ভাব প্রকাশে প্রাঞ্জলতা অর্জন করবে এবং সাহিত্যিক রচনারীতি বুঝতে সক্ষম হবে।

পঞ্চম স্তর – পূর্ণাঙ্গ ব্যাকরণ বিশ্লেষণ (নাহু ও সরফ) (الجزء الخامس)
এটি আরবি ব্যাকরণের মূল ভিত্তি। এখানে নাহু (বাক্য বিশ্লেষণ ও গঠন) এবং সরফ (শব্দরূপ ও ধাতু বিশ্লেষণ) এর বিস্তারিত আলোচনা ও অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই অংশ ভালোভাবে অনুশীলন করলে শিক্ষার্থীরা ইনশাআল্লাহ নাহু ও সরফের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারবে এবং যেকোনো আরবি বাক্য নির্ভুলভাবে বিশ্লেষণ ও গঠন করা, কুরআন, হাদীস ও আরবি সাহিত্য বুঝতে পারা, এবং শুদ্ধ ও প্রাঞ্জল আরবি লিখতে পারার সক্ষমতা অর্জন করবে।

ষষ্ঠ স্তর – ব্যবহারিক ভাষাদক্ষতা (الجزء السادس)
এটি বইয়ের সবচেয়ে বাস্তবমুখী অংশ। এখানে ভাষার চারটি মৌলিক দক্ষতা — কথোপকথন (محادثة), লিখন (كتابة), পঠন (قراءة) এবং শ্রবণ (استماع) — এর উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এই অংশে অ্যাডভান্স আরবিতে কথা বলার জন্য প্রয়োজনীয় সকল শব্দ, বিষয়ভিত্তিক কথোপকথন, প্রশ্ন করা, উত্তর দেওয়া, দৈনন্দিন জীবনে কথা বলা, বক্তৃতা দেওয়া, উপস্থাপনা করা, জুমার খুতবা দেওয়া ইত্যাদি শেখানো হয়েছে। লেখালেখির বিষয়ে দরখাস্ত, প্রবন্ধ, চিঠি, সিভি, সংবাদ লেখার বিস্তারিত নিয়ম ও উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। পঠন ও শ্রবণ দক্ষতার জন্য কুরআন, হাদীস, আধুনিক আরবি প্রবন্ধ, খবর ও গল্প এবং দৈনন্দিন ব্যবহৃত আরবি পত্রিকা ও সংবাদপত্রের চর্চা অন্তর্ভুক্ত।

উচ্চ মাধ্যমিক আরবি ভাষা কোর্সের ৮ নং ক্লাস
About Lesson

📖 নির্দেশনা:
প্রথম পাঠের হোমওয়ার্কের আগ পর্যন্ত সকল আরবি বাক্যের সাথে বাংলা অর্থ এবং বাংলা বাক্যের সাথে তার আরবি অনুবাদ এখানে দেওয়া হলো।
তুমি আগে নিজে পুরো পাঠটি মনোযোগ দিয়ে পড়বে, তারপর মিলিয়ে দেখবে —
তোমার বাংলা অর্থ করা এবং আরবি অনুবাদ করা শুদ্ধ হয়েছে কিনা।
⚠ সতর্কতা:
ভুলেও আগে এই অংশটি পড়বে না — আগে নিজে চেষ্টা করো, পরে মিলিয়ে দেখো।

 

التعجب (বিস্ময়) হলো এমন একটি ভাষাগত কাঠামো যার মাধ্যমে বিস্ময়, আশ্চর্য, প্রশংসা, অবাক হওয়া বা কোনো বিশেষ অনুভূতি প্রকাশ করা হয়।


 

التعجب (বিস্ময়) গঠনের নিয়ম

 

আরবি ভাষায় বিস্ময়সূচক বাক্য তৈরির দুটি প্রধান কাঠামো রয়েছে:

  1. ما أفعلَ + (اسم منصوب)

  2. أفعلْ بــ + (اسم مجرور بالباء)

১. ما أفعلَ + (اسم منصوب) এর ব্যবহার

এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত বিস্ময়সূচক কাঠামো। এখানে ما দিয়ে বাক্য শুরু হয়, এরপর أفعلَ এর ওজনে ক্রিয়া ব্যবহৃত হয় এবং তারপর বিস্ময়ের বস্তু منصوب (জবর বিশিষ্ট) অবস্থায় থাকে।

  • গঠন: ما + أفعلَ + اسمًا

  • উদাহরণ:

    • مَا أَجْمَلَ السَّمَاءَ! (আকাশ কত সুন্দর!)

    • مَا أَسْرَعَ الْقِطَارَ! (ট্রেন কত দ্রুত!)

    • مَا أَلَذَّ الطَّعَامَ! (খাবার কত সুস্বাদু!)

    • مَا أَطْوَلَ النَّهْرَ! (নদী কত লম্বা!)

২. أفعلْ بــ + (اسم مجرور بالباء) এর ব্যবহার

এটি বিস্ময় প্রকাশের দ্বিতীয় কাঠামো, যেখানে ক্রিয়া أفعلْ এর ওজনে, এর পরে باء যুক্ত হয়ে বিস্ময়ের বস্তু উল্লেখ করা হয়।

  • গঠন: أفعلْ + بــ + اسمٍ

  • উদাহরণ:

    • أَكْرِمْ بِالْعِلْمِ! (জ্ঞান কত সম্মানিত!)

    • أَحْسِنْ بِالصَّدِيقِ! (বন্ধু কত ভালো!)

    • أَجْمِلْ بِالْقَمَرِ! (চাঁদ কত সুন্দর!)

    • أَعْظِمْ بِالصَّبْرِ! (ধৈর্য কত মহান!)

৩. يا + اسم أو صفة

يا সাধারণত সম্বোধনের জন্য ব্যবহৃত হলেও বিস্ময় প্রকাশের ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়। আর منادى (যাকে আহ্বান করা হয়) এর পূর্বে لَ আনতে হয়।

  • গঠন: يَا + اسْمٌ অথবা يَا + صِفَةٌ

  • উদাহরণ:

    • يَا لِجَمَالِ الْبَحْرِ! (সমুদ্রের কী অপরূপ সৌন্দর্য!)

    • يَا لِعَظَمَةِ الْإِسْلَامِ! (ইসলামের কী মহত্ব!)

    • يَا لِرَوْعَةِ الْمَنْظَرِ! (দৃশ্যটি কত চমৎকার!)

    • يَا لِسُرْعَةِ الرِّيَاحِ! (বাতাস কত দ্রুত!)

৪. كم বিস্ময়ের জন্য ব্যবহৃত হয়।

  • গঠন: كَمْ + اسْمٌ অথবা كَمْ + صِفَةٌ (ব্যবহারের ক্ষেত্রে)

  • উদাহরণ:

    • كَمْ هُوَ رَائِعٌ! (এটি কত চমৎকার!)

    • كَمْ أَنْتَ ذَكِيٌّ! (তুমি কত বুদ্ধিমান!)


 

অতিরিক্ত উদাহরণের অর্থ

 

  • مَا أَجْمَلَ الزُّهُورَ! (ফুলগুলো কত সুন্দর!)

  • مَا أَسْرَعَ السَّيَّارَةَ! (গাড়ি কত দ্রুত!)

  • مَا أَلَذَّ الْفَاكِهَةَ! (ফল কত সুস্বাদু!)

  • مَا أَطْوَلَ الْجَبَلَ! (পাহাড় কত লম্বা!)

  • مَا أَنْقَى الْمَاءَ! (পানি কত স্বচ্ছ!)

  • مَا أَطْيَبَ الْعِطْرَ! (সুগন্ধি কত ভালো!)

  • مَا أَقْوَى الْأَسَدَ! (সিংহ কত শক্তিশালী!)

  • مَا أَضْعَفَ الطِّفْلَ! (শিশু কত দুর্বল!)

  • مَا أَكْبَرَ الْقَمَرَ! (চাঁদ কত বড়!)

  • مَا أَشَدَّ الْحَرَارَةَ! (উত্তাপ কত তীব্র!)

  • أَكْرِمْ بِالْعِلْمِ! (জ্ঞান কত সম্মানিত!)

  • أَحْسِنْ بِالصَّدِيقِ! (বন্ধু কত ভালো!)

  • أَجْمِلْ بِالشَّمْسِ! (সূর্য কত সুন্দর!)

  • أَعْظِمْ بِالشَّجَاعَةِ! (সাহস কত মহান!)

  • أَسْرِعْ بِالْقِطَارِ! (ট্রেন কত দ্রুত!)

  • يَا لِرَوْعَةِ الْكِتَابِ! (বইটি কত চমৎকার!)

  • يَا لِعَظَمَةِ الْقُرْآنِ! (কুরআনের কী মহত্ব!)

  • يَا لِحُسْنِ الْأَخْلَاقِ! (আখলাক কত ভালো!)

  • يَا لِقُوَّةِ الْجُنْدِيِّ! (সৈনিকের কী শক্তি!)

  • كَمْ هُوَ جَمِيلٌ! (এটি কত সুন্দর!)

  • كَمْ أَنْتَ ذَكِيٌّ! (তুমি কত বুদ্ধিমান!)

  • كَمِ الْبَحْرُ وَاسِعٌ! (সমুদ্র কত বিশাল!)

  • كَمِ السَّمَاءُ عَالِيَةٌ! (আকাশ কত উঁচু!)


 

মূল পাঠের অর্থ

 

لِي أَرْبَعَةُ أَصْدِقَاءَ: حَسَنٌ، وَقَاسِمٌ، وَعُمَرُ، وَمُحَمَّدٌ. وَحَسَنٌ وَلَدٌ مُؤَدَّبٌ، لَا يَكْذِبُ وَلَا يَغْضَبُ، وَهُوَ رَفِيقِي فِي الْمَدْرَسَةِ، وَجَارِي فِي الْحَيِّ، وَبَيْتُهُ قَرِيبٌ مِنْ بَيْتِي، وَنَقْرَأُ فِي صَفٍّ وَاحِدٍ، وَنَذْهَبُ إِلَى الْمَدْرَسَةِ وَنَرْجِعُ، وَيُحِبُّنِي أَبُو حَسَنٍ وَيَرَانِي كَوَلَدِهِ. وَقَاسِمٌ وَلَدٌ ذَكِيٌّ نَشِيطٌ تَرَاهُ دَائِمًا مَسْرُورًا، وَيُحِبُّهُ أَصْدِقَاؤُهُ، وَهُوَ مُجْتَهِدٌ فِي الدُّرُوسِ. وَعُمَرُ وَلَدٌ يَتِيمٌ يَسْكُنُ فِي حَيِّنَا أَيْضًا، أُمُّهُ تَكْتَسِبُ بِالْخِيَاطَةِ وَتُنْفِقُ عَلَى وَلَدِهَا، وَلَكِنَّ عُمَرَ وَلَدٌ لَا يَقْبَلُ مِنْهَا شَيْئًا، ثِيَابُهُ رَخِيصَةٌ وَلَكِنَّهَا دَائِمًا نَظِيفَةٌ، يُحِبُّهُ جَمِيعُ الْمُعَلِّمِينَ لِصَلَاحِهِ وَأَدَبِهِ وَاجْتِهَادِهِ. وَأَرَادَ عُمَرُ أَنْ يَتْرُكَ الْمَدْرَسَةَ، وَلَكِنْ شَجَّعَتْهُ أُمُّهُ وَقَالَتْ: أَنَا أَكْتَسِبُ بِالْخِيَاطَةِ وَأُنْفِقُ عَلَيْكَ، وَرَجَعَ عُمَرُ إِلَى الْمَدْرَسَةِ وَاجْتَهَدَ كَثِيرًا، وَنَجَحَ فِي الِامْتِحَانِ فِي السَّنَةِ الثَّانِيَةِ. وَمُحَمَّدٌ تِلْمِيذٌ مُجْتَهِدٌ جِدًّا يَفُوزُ فِي الِامْتِحَانِ كُلَّ سَنَةٍ।

(আমার চারজন বন্ধু আছে: হাসান, কাসিম, উমর এবং মুহাম্মদ। হাসান একজন ভদ্র ছেলে, সে মিথ্যা বলে না এবং রাগ করে না। সে আমার মাদ্রাসার সাথী এবং আমাদের পাড়ার প্রতিবেশী। তার বাড়ি আমার বাড়ির কাছে। আমরা একই ক্লাসে পড়ি, একসাথে মাদ্রাসায় যাই এবং ফিরে আসি। হাসানের বাবা আমাকে ভালোবাসেন এবং আমাকে তার নিজের ছেলের মতো দেখেন। কাসিম একজন বুদ্ধিমান ও কর্মঠ ছেলে, তুমি তাকে সবসময় আনন্দিত দেখতে পাবে। তার বন্ধুরা তাকে ভালোবাসে এবং সে পড়াশোনায় খুব পরিশ্রমী। উমর একজন এতিম ছেলে, সেও আমাদের পাড়ায় থাকে। তার মা সেলাই করে উপার্জন করেন এবং তার ছেলের পিছনে খরচ করেন। কিন্তু উমর এমন একটি ছেলে যে তার মায়ের কাছ থেকে কিছুই গ্রহণ করে না। তার কাপড়-চোপড় সস্তা, কিন্তু সবসময় পরিষ্কার থাকে। তার সততা, ভদ্রতা ও পরিশ্রমের জন্য সকল শিক্ষক তাকে ভালোবাসেন। একবার উমর মাদ্রাসা ছেড়ে দিতে চেয়েছিল, কিন্তু তার মা তাকে উৎসাহিত করে বললেন: ‘আমি সেলাই করে উপার্জন করি এবং তোমার জন্য খরচ করি।’ অতঃপর উমর মাদ্রাসায় ফিরে গেল এবং খুব পরিশ্রম করল, আর দ্বিতীয় বছরে পরীক্ষায় পাস করল। আর মুহাম্মদ খুবই পরিশ্রমী ছাত্র, সে প্রতি বছর পরীক্ষায় জয়লাভ করে।)


 

প্রশ্ন উত্তর পড়

 

  • খালিদ: উমর কি তার মায়ের কাছ থেকে কিছু গ্রহণ করত?

    রাশেদ: না, সে তার কাছ থেকে কিছুই গ্রহণ করত না। (لَا، لَا يَقْبَلُ مِنْهَا شَيْئًا)।

  • খালিদ: উমরের পোশাক কেমন ছিল?

    রাশেদ: তার পোশাক সস্তা ছিল, কিন্তু তা পরিষ্কার ছিল। (ثِيَابُهُ رَخِيصَةٌ، وَلَكِنَّهَا نَظِيفَةٌ)।

  • খালিদ: উমর কী চেয়েছিল?

    রাশেদ: সে মাদ্রাসা ছেড়ে দিতে চেয়েছিল। (أَرَادَ أَنْ يَتْرُكَ الْمَدْرَسَةَ)।

  • খালিদ: তার মা তাকে কী বলেছিলেন?

    রাশেদ: তিনি বললেন: ‘আমি উপার্জন করি এবং তোমার জন্য খরচ করি।’ (قَالَتْ: أَنَا أَكْتَسِبُ وَأُنْفِقُ عَلَيْكَ)।

  • খালিদ: উমর কি মাদ্রাসায় ফিরে এসেছিল?

    রাশেদ: হ্যাঁ, সে ফিরে এসেছিল এবং অনেক পরিশ্রম করেছিল। (نَعَمْ، رَجَعَ وَاجْتَهَدَ كَثِيرًا)।

  • খালিদ: মুহাম্মদ কেমন ছিল?

    রাশেদ: মুহাম্মদ একজন খুবই পরিশ্রমী ছাত্র ছিল। (مُحَمَّدٌ تِلْمِيذٌ مُجْتَهِدٌ جِدًّا)।

  • খালিদ: মুহাম্মদ কি পরীক্ষায় জয়লাভ করত?

    রাশেদ: হ্যাঁ, সে প্রতি বছর জয়লাভ করত। (نَعَمْ، يَفُوزُ كُلَّ سَنَةٍ)।

  • খালিদ: তুমি কি তোমার সব বন্ধুদের ভালোবাসো?

    রাশেদ: হ্যাঁ, আমি তাদের সবাইকে ভালোবাসি। (نَعَمْ، أُحِبُّهُمْ جَمِيعًا)।

  • খালিদ: উমর কোথায় থাকত?

    রাশেদ: সেও আমাদের পাড়ায় থাকত। (يَسْكُنُ فِي حَيِّنَا أَيْضًا)।

  • খালিদ: উমরের মা কী কাজ করতেন?

    রাশেদ: তিনি সেলাই করে উপার্জন করতেন। (تَكْتَسِبُ بِالْخِيَاطَةِ)।


 

প্রশ্নের উত্তর দাও

 

  • كم عدد أصدقاء الكاتب؟ (লেখকের কতজন বন্ধু ছিল?)

    • للْكَاتِبِ أَرْبَعَةُ أَصْدِقَاءَ (লেখকের চারজন বন্ধু ছিল)।

  • ما اسم أول صديق للكاتب؟ (লেখকের প্রথম বন্ধুর নাম কী?)

    • اِسْمُ أَوَّلِ صَدِيقٍ لَهُ هُوَ حَسَنٌ (তার প্রথম বন্ধুর নাম হলো হাসান)।

  • أين يدرس حسن مع الكاتب؟ (হাসান লেখকের সাথে কোথায় পড়ত?)

    • يَدْرُسَانِ فِي صَفٍّ وَاحِدٍ (তারা একই ক্লাসে পড়ত)।

  • أين يذهب الكاتب وحسن كل يوم؟ (লেখক এবং হাসান প্রতিদিন কোথায় যেত?)

    • يَذْهَبَانِ إِلَى الْمَدْرَسَةِ (তারা মাদ্রাসায় যেত)।

  • هل كان عمر طفلًا يتيمًا؟ (উমর কি একজন এতিম শিশু ছিল?)

    • نَعَمْ، كَانَ عُمَرُ طِفْلًا يَتِيمًا (হ্যাঁ, উমর একজন এতিম শিশু ছিল)।

  • كيف كانت حياة عمر مع والدته؟ (তার মায়ের সাথে উমরের জীবন কেমন ছিল?)

    • كَانَتْ وَالِدَتُهُ تَكْتَسِبُ بِالْخِيَاطَةِ وَتُنْفِقُ عَلَيْهِ (তার মা সেলাই করে উপার্জন করতেন এবং তার জন্য খরচ করতেন)।

  • ماذا كانت حالة ملابس عمر؟ (উমরের কাপড়ের অবস্থা কেমন ছিল?)

    • ثِيَابُهُ كَانَتْ رَخِيصَةً وَلَكِنَّهَا نَظِيفَةٌ دَائِمًا (তার কাপড় সস্তা ছিল কিন্তু তা সবসময় পরিষ্কার ছিল)।

  • كيف كان حال عمر في المدرسة؟ (মাদ্রাসায় উমরের অবস্থা কেমন ছিল?)

    • كَانَ مُجْتَهِدًا، وَكَانَ الْمُعَلِّمُونَ يُحِبُّونَهُ (সে পরিশ্রমী ছিল এবং শিক্ষকরা তাকে ভালোবাসতেন)।

  • ماذا حدث عندما أراد عمر ترك المدرسة؟ (যখন উমর মাদ্রাসা ছেড়ে দিতে চেয়েছিল তখন কী ঘটেছিল?)

    • شَجَّعَتْهُ أُمُّهُ عَلَي أَنْ لَا يَتْرُكَ الدِّرَاسَةَ (তার মা তাকে পড়াশোনা ছেড়ে না দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করেছিলেন)।

  • ماذا قالت والدة عمر له عندما أراد ترك المدرسة؟ (যখন উমর মাদ্রাসা ছেড়ে দিতে চেয়েছিল তখন তার মা তাকে কী বলেছিলেন?)

    • قَالَتْ: أَنَا أَكْتَسِبُ بِالْخِيَاطَةِ وَأُنْفِقُ عَلَيْكَ (তিনি বললেন: ‘আমি সেলাই করে উপার্জন করি এবং তোমার জন্য খরচ করি’)।

  • ماذا فعل عمر بعد أن شجعته والدته؟ (তার মা উৎসাহিত করার পর উমর কী করল?)

    • رَجَعَ إِلَى الْمَدْرَسَةِ وَاجْتَهَدَ كَثِيرًا وَنَجَحَ (সে মাদ্রাসায় ফিরে গেল এবং খুব পরিশ্রম করল ও সফল হলো)।


 

হাওয়ার (কথোপকথন) দুই ছাত্রের মধ্যে

 

أُسَامَةُ: السَّلامُ عَلَيْكُم وَرَحْمَةُ اللَّهِ (ওসামা: আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ)।

أَحْمَدُ: وَعَلَيْكُم السَّلامُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ (আহমাদ: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু)।

أُسَامَةُ: مَتَى تَسْتَيْقِظُ مِنْ نَوْمِكَ؟ (ওসামা: তুমি ঘুম থেকে কখন ওঠো?)

أَحْمَدُ: أَسْتَيْقِظُ مِنْ نَوْمِي قَبْلَ الْفَجْرِ (আহমাদ: আমি ফজরের আগে ঘুম থেকে উঠি)।

أُسَامَةُ: مَاذَا تَقْرَأُ بَعْدَ الِاسْتِيقَاظِ مِنَ النَّوْمِ؟ (ওসামা: ঘুম থেকে ওঠার পর তুমি কী পড়ো?)

أَحْمَدُ: أَقْرَأُ دُعَاءَ الِاسْتِيقَاظِ مِنَ النَّوْمِ، وَهُوَ “الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ” (আহমাদ: আমি ঘুম থেকে ওঠার দু’আ পড়ি, আর তা হলো: “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদেরকে মৃত্যুর পর জীবন দান করেছেন এবং তাঁরই কাছে আমাদের ফিরে যেতে হবে”)।

أُسَامَةُ: ثُمَّ مَاذَا تَفْعَلُ؟ (ওসামা: এরপর তুমি কী করো?)

أَحْمَدُ: أَقُومُ بِصَلَاةِ التَّهَجُّدِ، ثُمَّ أَتْلُو الْقُرْآنَ الْكَرِيمَ (আহমাদ: আমি তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করি, তারপর পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করি)।

أُسَامَةُ: أَيْنَ تُصَلِّي الْفَجْرَ، وَأَيْنَ تَتَنَاوَلُ فُطُورَكَ؟ (ওসামা: তুমি ফজরের সালাত কোথায় আদায় করো এবং তোমার সকালের নাস্তা কোথায় করো?)

أَحْمَدُ: أُصَلِّي فِي مَسْجِدِ الْجَامِعَةِ، وَأَتَنَاوَلُ فُطُورِي فِي الْمَطْعَمِ (আহমাদ: আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে সালাত আদায় করি এবং রেস্তোরাঁয় আমার নাস্তা করি)।

أُسَامَةُ: وَمَاذَا تَفْعَلُ بَعْدَ ذَلِكَ؟ (ওসামা: এরপর তুমি কী করো?)

أَحْمَدُ: أَعُودُ إِلَى الْمَهْجَعِ، ثُمَّ أَلْبَسُ مَلَابِسِي، وَأَحْمِلُ كُتُبِي وَأَذْهَبُ إِلَى الدَّوْرَةِ (আহমাদ: আমি হলে ফিরে যাই, তারপর আমার পোশাক পরি, আমার বইপত্র নিয়ে কোর্সে চলে যাই)।

أُسَامَةُ: مَتَى تَنَامُ؟ (ওসামা: তুমি কখন ঘুমাও?)

أَحْمَدُ: أَنَامُ فِي السَّاعَةِ الْحَادِيَةِ عَشْرَةَ لَيْلًا (আহমাদ: আমি রাত এগারোটায় ঘুমাই)।


 

হাওয়ার (কথোপকথন) শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে

 

الْمُعَلِّمُ: مَا هِوَايَتُكَ يَا مُعَاذُ؟ (শিক্ষক: তোমার শখ কী, হে মু’আয?)

مُعَاذٌ: هِوَايَاتِي كَثِيرَةٌ: الْقِرَاءَةُ وَجَمْعُ الْكُتُبِ (মু’আয: আমার অনেক শখ আছে: পড়া এবং বই সংগ্রহ করা)।

الْمُعَلِّمُ: مَا شَاءَ اللَّهُ، مُمْتَازٌ. وَمَا هِوَايَتُكَ يَا فَهِيْمُ؟ (শিক্ষক: মাশাআল্লাহ, চমৎকার। আর তোমার শখ কী, হে ফাহিম?)

فَهِيمٌ: أُرِيدُ أَنْ أَكُونَ مُهَنْدِسًا (ফাহিম: আমি একজন প্রকৌশলী হতে চাই)।

الْمُعَلِّمُ: وَمَا هِيَ رَغْبَتُكَ يَا نَسِيمُ؟ (শিক্ষক: আর তোমার ইচ্ছা কী, হে নাসিম?)

نَسِيمٌ: أُرِيدُ أَنْ أَكُونَ عَالِمًا كَبِيرًا فِي الْمُسْتَقْبَلِ (নাসিম: আমি ভবিষ্যতে একজন বড় আলিম হতে চাই)।

الْمُعَلِّمُ: سَهَّلَ اللَّهُ أُمُورَكَ. وَمَا هِوَايَتُكَ يَا سَعِيدُ؟ (শিক্ষক: আল্লাহ তোমার কাজ সহজ করুন। আর তোমার শখ কী, হে সাঈদ?)

سَعِيدٌ: هِوَايَتِي أَنْ أَكُونَ كَاتِبًا مَشْهُورًا (সাঈদ: আমার শখ হলো একজন বিখ্যাত লেখক হওয়া)।

الْمُعَلِّمُ: مَا شَاءَ اللَّهُ، جَمِيلٌ. وَمَاذَا تُرِيدُ يَا نَعِيمُ؟ وَمَاذَا تُرِيدُ يَا عَفِيفُ؟ (শিক্ষক: মাশাআল্লাহ, সুন্দর। আর তুমি কী চাও, হে নাঈম? আর তুমি কী চাও, হে আফিফ?)

نَعِيمٌ: أُرِيدُ أَنْ أَتَعَلَّمَ اللُّغَاتِ الْعَالَمِيَّةَ الْمَشْهُورَةَ، وَخَاصَّةً اللُّغَةَ الْعَرَبِيَّةَ وَالْإِنْجِلِيزِيَّةَ (নাঈম: আমি বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ভাষাগুলো শিখতে চাই, বিশেষ করে আরবি ও ইংরেজি)।

عَفِيفٌ: أُرِيدُ أَنْ أَتَعَلَّمَ اللُّغَةَ الْعَرَبِيَّةَ لِكَيْ أَفْهَمَ الْقُرْآنَ وَالسُّنَّةَ (আফিফ: আমি আরবি ভাষা শিখতে চাই যেন আমি কুরআন ও সুন্নাহ বুঝতে পারি)।

الْمُعَلِّمُ: وَفَّقَكُمُ اللَّهُ جَمِيعًا وَسَهَّلَ أُمُورَكُمْ يَا طُلَّابِيَ الْأَعِزَّاءَ (শিক্ষক: হে আমার প্রিয় ছাত্ররা, আল্লাহ তোমাদের সবাইকে সফলতা দান করুন এবং তোমাদের কাজ সহজ করুন)।


 

হাওয়ার (কথোপকথন) দুই ছাত্রের মধ্যে

 

حَامِدٌ: السَّلَامُ عَلَيْكُم وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ (হামিদ: আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু)।

سَاجِدٌ: وَعَلَيْكُم السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ (সাজিদ: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু)।

حَامِدٌ: كَيْفَ حَالُكَ أَخِي الْكَرِيمُ؟ (হামিদ: কেমন আছেন আমার সম্মানিত ভাই?)

سَاجِدٌ: الْحَمْدُ لِلَّهِ بِخَيْرٍ وَعَافِيَةٍ (সাজিদ: আলহামদুলিল্লাহ, ভালো এবং সুস্থ আছি)।

حَامِدٌ: مَتَى تَبْدَأُ إِجَازَتُكُمْ؟ (হামিদ: তোমাদের ছুটি কখন শুরু হবে?)

سَاجِدٌ: تَبْدَأُ مِنْ يَوْمِ الْخَمِيسِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ (সাজিদ: ইনশাআল্লাহ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে)।

حَامِدٌ: كَمْ يَوْمًا سَتَكُونُ الْإِجَازَةُ؟ (হামিদ: ছুটি কতদিনের হবে?)

سَاجِدٌ: أُسْبُوعًا كَامِلًا (সাজিদ: পুরো এক সপ্তাহ)।

حَامِدٌ: مَاذَا تَفْعَلُ فِي الْإِجَازَةِ؟ (হামিদ: ছুটিতে তুমি কী করবে?)

سَاجِدٌ: أُسَافِرُ إِلَى مَكَّةَ الْمُكَرَّمَةِ بِإِذْنِ اللَّهِ تَعَالَى (সাজিদ: আল্লাহ তা’আলার অনুমতিতে আমি মক্কা মুকাররামায় সফর করব)।

حَامِدٌ: مَا شَاءَ اللَّهُ (হামিদ: মাশাআল্লাহ)।

سَاجِدٌ: آمِينَ. وَمَاذَا تَفْعَلُ فِي الْإِجَازَةِ؟ (সাজিদ: আমিন। আর তুমি ছুটিতে কী করবে?)

حَامِدٌ: أَذْهَبُ إِلَى بَيْتِ خَالِي وَعَمَّتِي (হামিদ: আমি আমার মামা এবং ফুফুর বাড়িতে যাব)।

سَاجِدٌ: هَذَا عَمَلٌ جَيِّدٌ (সাজিদ: এটি একটি ভালো কাজ)।

حَامِدٌ: أَسْتَأْذِنُكُمْ الْيَوْمَ (হামিদ: আজ আমি তোমাদের কাছে বিদায় নিচ্ছি)।

سَاجِدٌ: طَيِّبٌ. إِلَى اللِّقَاءِ (সাজিদ: ঠিক আছে। বিদায়)।


 

হাওয়ার (কথোপকথন) আবিদ ও খালিদের মধ্যে

 

عَابِدٌ: السَّلامُ عَلَيْكُمْ (আবিদ: আসসালামু আলাইকুম)।

خَالِدٌ: وَعَلَيْكُمُ السَّلَامُ (খালিদ: ওয়ালাইকুমুস সালাম)।

عَابِدٌ: كَمْ عَدَدُ أَصْدِقَاءِ الْكَاتِبِ فِي الْقِصَّةِ؟ (আবিদ: গল্পে লেখকের কতজন বন্ধু ছিল?)

خَالِدٌ: لِلْكَاتِبِ أَرْبَعَةُ أَصْدِقَاءَ (খালিদ: লেখকের চারজন বন্ধু ছিল)।

عَابِدٌ: وَمَا اسْمُ أَوَّلِ صَدِيقٍ لَهُ؟ (আবিদ: আর তার প্রথম বন্ধুর নাম কী?)

خَالِدٌ: اِسْمُ أَوَّلِ صَدِيقٍ لَهُ هُوَ حَسَنٌ (খালিদ: তার প্রথম বন্ধুর নাম হলো হাসান)।

عَابِدٌ: أَيْنَ يَدْرُسُ حَسَنٌ مَعَ الْكَاتِبِ؟ (আবিদ: হাসান লেখকের সাথে কোথায় পড়ত?)

خَالِدٌ: يَدْرُسَانِ فِي صَفٍّ وَاحِدٍ بِالْمَدْرَسَةِ (খালিদ: তারা মাদ্রাসায় একই ক্লাসে পড়ত)।

عَابِدٌ: وَإِلَى أَيْنَ يَذْهَبَانِ كُلَّ يَوْمٍ؟ (আবিদ: আর তারা প্রতিদিন কোথায় যেত?)

خَالِدٌ: يَذْهَبَانِ إِلَى الْمَدْرَسَةِ وَيَرْجِعَانِ (খালিদ: তারা মাদ্রাসায় যেত এবং ফিরে আসত)।

عَابِدٌ: هَلْ كَانَ عُمَرُ طِفْلًا يَتِيمًا؟ (আবিদ: উমর কি একজন এতিম শিশু ছিল?)

خَالِدٌ: نَعَمْ، كَانَ عُمَرُ طِفْلًا يَتِيمًا (খালিদ: হ্যাঁ, উমর একজন এতিম শিশু ছিল)।

عَابِدٌ: كَيْفَ كَانَتْ حَيَاةُ عُمَرَ مَعَ وَالِدَتِهِ؟ (আবিদ: তার মায়ের সাথে উমরের জীবন কেমন ছিল?)

خَالِدٌ: كَانَتْ وَالِدَتُهُ تَكْتَسِبُ بِالْخِيَاطَةِ وَتُنْفِقُ عَلَيْهِ (খালিদ: তার মা সেলাই করে উপার্জন করতেন এবং তার জন্য খরচ করতেন)।

عَابِدٌ: وَمَاذَا كَانَتْ حَالَةُ مَلَابِسِ عُمَرَ؟ (আবিদ: আর উমরের কাপড়ের অবস্থা কেমন ছিল?)

خَالِدٌ: ثِيَابُهُ كَانَتْ رَخِيصَةً وَلَكِنَّهَا نَظِيفَةٌ دَائِمًا (খালিদ: তার কাপড় সস্তা ছিল কিন্তু তা সবসময় পরিষ্কার ছিল)।

عَابِدٌ: كَيْفَ كَانَ حَالُ عُمَرَ فِي الْمَدْرَسَةِ؟ (আবিদ: মাদ্রাসায় উমরের অবস্থা কেমন ছিল?)

خَالِدٌ: كَانَ مُجْتَهِدًا، وَكَانَ الْمُعَلِّمُونَ يُحِبُّونَهُ (খালিদ: সে পরিশ্রমী ছিল, আর শিক্ষকরা তাকে ভালোবাসতেন)।

عَابِدٌ: مَاذَا حَدَثَ عِنْدَمَا أَرَادَ عُمَرُ تَرْكَ الْمَدْرَسَةِ؟ (আবিদ: যখন উমর মাদ্রাসা ছেড়ে দিতে চেয়েছিল তখন কী ঘটেছিল?)

خَالِدٌ: شَجَّعَتْهُ أُمُّهُ عَلَى أَنْ لَا يَتْرُكَ الدِّرَاسَةَ (খালিদ: তার মা তাকে পড়াশোনা ছেড়ে না দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করেছিলেন)।

عَابِدٌ: وَمَاذَا فَعَلَ عُمَرُ بَعْدَ أَنْ شَجَّعَتْهُ وَالِدَتُهُ؟ (আবিদ: তার মা উৎসাহিত করার পর উমর কী করল?)

خَالِدٌ: رَجَعَ إِلَى الْمَدْرَسَةِ وَاجْتَهَدَ كَثِيرًا وَنَجَحَ (খালিদ: সে মাদ্রাসায় ফিরে গেল এবং খুব পরিশ্রম করল ও সফল হলো)।

عَابِدٌ: شُكْرًا جَزِيلًا لَكَ (আবিদ: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ)।

خَالِدٌ: عَفْوًا، إِلَى اللِّقَاءِ (খালিদ: স্বাগতম, বিদায়)।

عَابِدٌ: فِي أَمَانِ اللَّهِ (আবিদ: আল্লাহর হেফাজতে)।


 

উপরের ছবির আলোকে কথোপকথন

 

فَاطِمَةُ: انْظُرْ يَا أَحْمَدُ! (ফাতেমা: দেখো, হে আহমাদ!)

أَحْمَدُ: مَا هَذَا؟ (আহমাদ: এটা কী?)

فَاطِمَةُ: هَذِهِ سَيَّارَةُ لُعْبَةٍ جَمِيلَةٌ. (ফাতেমা: এটি একটি সুন্দর খেলনা গাড়ি)।

أَحْمَدُ: إِنَّهَا سَرِيعَةٌ جِدًّا! (আহমাদ: এটি খুব দ্রুত চলছে!)

فَاطِمَةُ: نَعَمْ. مَا أَسْرَعَ السَّيَّارَةَ! (ফাতেমা: হ্যাঁ। গাড়িটি কত দ্রুত!)

أَحْمَدُ: هَلْ أَنْتِ تَلْعَبِينَ بِهَا؟ (আহমাদ: তুমি কি এটি নিয়ে খেলছ?)

فَاطِمَةُ: لَا، هَذَا أَخِي الصَّغِيرُ. (ফাতেমা: না, এটি আমার ছোট ভাই)।


 

আয়াতের অর্থ করো

 

(১৫১) وَاللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنْتُمْ لَا تَعْلَمُونَ (আর আল্লাহ জানেন, কিন্তু তোমরা জানো না)।

(১৫২) وَتَوَكَّلْ عَلَى الْحَيِّ الَّذِي لَا يَمُوتُ وَسَبِّحْ بِحَمْدِهِ (আর আপনি নির্ভর করুন সেই চিরঞ্জীবের উপর, যিনি মারা যাবেন না, এবং তাঁর প্রশংসা সহকারে তাসবীহ পাঠ করুন)।

(১৫৪) قَالَتْ إِنَّ الْمُلُوكَ إِذَا دَخَلُوا قَرْيَةً أَفْسَدُوهَا وَكَذَلِكَ يَفْعَلُونَ (তিনি বললেন: যখন কোনো রাজা কোনো জনপদে প্রবেশ করে, তখন তা নষ্ট করে দেয়। আর এভাবেই তারা করে থাকে)।

(১৫৫) قَالَ رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي فَغَفَرَ لَهُ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ (সে বলল: হে আমার রব! নিশ্চয় আমি আমার নিজের উপর জুলুম করেছি, সুতরাং আমাকে ক্ষমা করুন। অতঃপর আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিলেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু)।

(১৫৬) إِنَّكَ لَا تَهْدِي مَنْ أَحْبَبْتَ وَلَكِنَّ اللَّهَ يَهْدِي مَن يَشَاءُ ۚ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِينَ (নিশ্চয় আপনি যাকে ভালোবাসেন, তাকে হেদায়াত করতে পারবেন না, বরং আল্লাহ যাকে ইচ্ছা হেদায়াত করেন। আর তিনিই হেদায়াতপ্রাপ্তদের সম্পর্কে অধিক অবগত)।

(১৫৮) وَلَا تَدْعُ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ ۘ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ ۚ كُلُّ شَيْءٍ هَالِكٌ إِلَّا وَجْهَهُ (আর আল্লাহর সাথে অন্য কোনো উপাস্যকে ডেকো না। তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তাঁর সত্তা ছাড়া সবকিছুই ধ্বংসশীল)।

(১৬০) نِعْمَ أَجْرُ الْعَامِلِينَ ٱلَّذِينَ صَبَرُوا۟ وَعَلَىٰ رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ (কতই না উত্তম প্রতিদান কর্মশীলদের, যারা ধৈর্যধারণ করেছে এবং তাদের রবের উপর তাওয়াক্কুল করে)।

(১৬১) يُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَيُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنَ الْحَيِّ وَيُحْيِي الْأَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا (তিনিই জীবিতকে মৃত থেকে বের করেন এবং মৃতকে জীবিত থেকে বের করেন, আর তিনি মৃত ভূমিকে জীবিত করেন)।

(১৬২) وَيُنَزِّلُ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَيُحْيِي بِهِ الْأَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا ۚ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَعْقِلُونَ (আর তিনি আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন, অতঃপর তার দ্বারা মৃত ভূমিকে জীবিত করেন। নিশ্চয় এতে নিদর্শন রয়েছে এমন জাতির জন্য যারা বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করে)।

(১৬৩) فَانْظُرْ إِلَىٰ آثَارِ رَحْمَةِ اللَّهِ كَيْفَ يُحْيِي الْأَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا ۖ إِنَّ ذَلِكَ لَمُحْيِي الْمَوْتَىٰ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ (সুতরাং আল্লাহর রহমতের নিদর্শনসমূহের দিকে তাকাও, কিভাবে তিনি মৃত ভূমিকে জীবিত করেন। নিশ্চয় তিনিই মৃতদের জীবিতকারী এবং তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান)।


 

হোমওয়ার্ক

 

📝 ০1. আয়াতের অর্থ লেখো

(১৬৪) الَّذِينَ كَفَرُوا لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيدٌ ۖ وَالَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَهُم مَّغْفِرَةٌ وَأَجْرٌ كَبِيرٌ (যারা কুফরি করেছে, তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি। আর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও বিরাট প্রতিদান)।

(১৬৫) يَا أَيُّهَا النَّاسُ أَنْتُمُ الْفُقَرَاءُ إِلَى اللَّهِ ۖ وَاللَّهُ هُوَ الْغَنِيُّ الْحَمِيدُ ۝ إِن يَشَأْ يُذْهِبْكُمْ وَيَأْتِ بِخَلْقٍ جَدِيدٍ (হে মানবজাতি! তোমরা আল্লাহর মুখাপেক্ষী। আর আল্লাহই স্বনির্ভর, সকল প্রশংসার যোগ্য। তিনি যদি চান, তোমাদেরকে সরিয়ে দেবেন এবং এক নতুন সৃষ্টি নিয়ে আসবেন)।

(১৬৬) قُلْ إِنِّي أَخَافُ إِنْ عَصَيْتُ رَبِّي عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيمٍ (বলো: আমি যদি আমার রবের অবাধ্য হই, তাহলে আমি এক মহান দিনের শাস্তির ভয় করি)।

(১৬৭) قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَىٰ أَنْفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا ۚ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ (বলো: হে আমার বান্দারা, যারা নিজেদের উপর জুলুম করেছ! তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু)।

(১৭০) قُلِ اللَّهُ يُحْيِيكُمْ ثُمَّ يُمِيتُكُمْ ثُمَّ يَجْمَعُكُمْ إِلَىٰ يَوْمِ الْقِيَامَةِ لَا رَيْبَ فِيهِ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ (বলো: আল্লাহই তোমাদেরকে জীবিত করেন, অতঃপর তোমাদেরকে মৃত্যু দেন, অতঃপর তোমাদেরকে কিয়ামত দিবসে একত্রিত করবেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না)।

(১৭১) فَأَمَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ فَيُدْخِلُهُمْ رَبُّهُمْ فِي رَحْمَتِهِ (আর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে, তাদের রব তাদের নিজ রহমতের মধ্যে প্রবেশ করাবেন)।


📝 ০2. আরবি করো ও লেখো

ذَهَبَ خَالِدٌ وَأَصْدِقَاؤُهُ يَوْمًا مَا إِلَى الْغَابَةِ. رَأَوْا فِي الْغَابَةِ بَيْتًا قَدِيمًا جِدًّا. وَجَدُوا فِيهِ صُنْدُوقًا قَدِيمًا. عِنْدَمَا فَتَحُوا الصُّنْدُوقَ، وَجَدُوا فِيهِ مَالًا كَثِيرًا! قَرَّرُوا أَنْ يَتَصَدَّقُوا بِهَذَا الْمَالِ عَلَى الْفُقَرَاءِ. فَرِحُوا كَثِيرًا بَعْدَ أَنْ تَصَدَّقُوا وَشَكَرُوا اللَّهَ. لَمْ يَكُونُوا طَمَّاعِينَ لِأَنَّ الطَّمَعَ يُهْلِكُ الْإِنْسَانَ. فَرِحَ النَّاسُ بِهِمْ كَثِيرًا عِنْدَمَا سَمِعُوا ذَلِكَ.