• প্রথম স্তর – আরবি ভাষা শেখার হাতেখড়ি (الجزء الأول)
আরবি ভাষা কোর্সের ৬টি স্তর থাকবে, প্রথম স্তর কুরআন শিক্ষার জন্য, দ্বিতীয় স্তর প্রাথমিক আরবি ভাষা শিক্ষার জন্য, তৃতীয় স্তর মাধ্যমিক আরবি ভাষা শিখার জন্য, ৪র্থ স্তর উচ্চ মাধ্যমিক আরবি ভাষা শিখার জন্য, ৫ম স্তর আরবি ব্যাকারণ বা নাহু-সরফ শিখার জন্য, আর ৬ষ্ঠ স্তর এডভান্স আরবি ভাষা শিখার জন্য, প্রথম স্তর এখন শুরু হবে ইনশাআল্লাহ প্রথম স্তর – আরবি ভাষা শেখার হাতেখড়ি (الجزء الأول): শিক্ষার্থীরা আরবি হরফের সঠিক উচ্চারণ, মৌলিক হরকত, গুন্নাহ, কলকলা, মাদ্দ ও ওয়াকফের নিয়ম শিখবে। এটি কুরআন শুদ্ধ উচ্চারণে তিলাওয়াতের আত্মবিশ্বাস তৈরি করবে এবং সুন্দর আরবি হাতের লেখা আয়ত্ত করতে সাহায্য করবে। এই স্তর শেষে শিক্ষার্থীরা আরবি হরফের শুদ্ধ উচ্চারণে পারদর্শী হবে এবং তাজবীদের মৌলিক নিয়মে কুরআন পড়ার আত্মবিশ্বাস অর্জন করবে।

আরবি হাতের লেখা শিক্ষা
আরবি হস্তলিপির শৈলী আরবি হস্তলিপির বিভিন্ন সুন্দর শৈলী বা 'খত' রয়েছে, যেমন: খত্তে নাসখ (خط النسخ), খত্তে রুকাআ (خط الرقعة), খত্তে সুলস (خط الثلث), খত্তে দিওয়ানি (خط الديواني), খত্তে ফার্সি (خط فارسي) ইত্যাদি। প্রতিটি খতের নিজস্ব নিয়ম ও সৌন্দর্য বিদ্যমান। কিভাবে শিখবেন এই অনুশীলন বইটি আপনাকে ধাপে ধাপে আরবি হাতের লেখা শিখতে সাহায্য করবে: 1. হরফ পরিচিতি: প্রতিটি আরবি হরফের রূপ ও লেখার নিয়ম মনোযোগ দিয়ে দেখুন। 2. অনুশীলন: প্রতিটি হরফ আলাদাভাবে এবং শব্দে যুক্ত অবস্থায় লেখার অনুশীলন করুন। বইটিতে সঠিক আকার ও লেখার দিকনির্দেশনা দেওয়া আছে। 3. শব্দ ও বাক্য: ধীরে ধীরে ছোট শব্দ ও বাক্য লেখার অনুশীলন শুরু করুন। আমাদের মূল বইয়ের শব্দ ও বাক্যগুলো এখানে সহায়ক হবে। 4. নিয়মিত চর্চা: প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় অনুশীলন করে হাতের লেখা সুন্দর করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। 5. ধৈর্য ধরুন: তাড়াহুড়ো না করে ধীরে ধীরে ও মনোযোগের সাথে অনুশীলন করুন। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে আপনার হাতের লেখায় অবশ্যই উন্নতি আসবে।

দ্বিতীয় স্তর – আরবি ভাষা শিক্ষার প্রাথমিক ধাপ (الجزء الثاني)
এই অংশে শিক্ষার্থীরা আরবি ব্যাকরণের মৌলিক বিষয়াবলী যেমন—ইশারা, পুংলিঙ্গ-স্ত্রীলিঙ্গ, নির্দিষ্ট-অনির্দিষ্ট শব্দ, সর্বনাম, ইযাফা, ক্রিয়াবিশেষণ, অব্যয়, সম্বোধন এবং সংখ্যা শিখবে। এটি শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি করবে এবং আরবি-বাংলায় বাক্য নির্মাণ ও কথোপকথনের প্রাথমিক দক্ষতা তৈরি করবে। এই স্তর শেষে শিক্ষার্থীরা আরবি ভাষার মূল কাঠামো এবং ব্যবহারিক দক্ষতায় পারদর্শী হয়ে প্রাথমিক পর্যায়ের আরবিতে কথা বলতে পারবে।

তৃতীয় স্তর – আরবি ভাষা শেখার মাধ্যমিক ধাপ (الجزء الثالث)
এই স্তরে ক্রিয়ার বিভিন্ন প্রকার, ক্রিয়ার রূপান্তর এবং জটিল ক্রিয়ার গঠন শেখানো হবে। নফি, ইস্তেসনা, তা'লিল, জজম, নাসব ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকরণিক উপাদান এবং বাক্য বিশ্লেষণের কৌশল আয়ত্ত করা যাবে। এই স্তর শেষে শিক্ষার্থীরা আরবি ক্রিয়ার গঠন ও পরিবর্তন বুঝে বাক্যে প্রয়োগ করতে এবং হাদীস ও আয়াত বোঝার ক্ষেত্রে ব্যাকরণ প্রয়োগে পারদর্শী হতে সক্ষম হবে এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের আরবিতে কথা বলতে পারবে।

চতুর্থ স্তর – আরবি ভাষা শিক্ষার উচ্চ মাধ্যমিক ধাপ (الجزء الرابع)
এই অংশে ভাষার সৌন্দর্য ও সাহিত্যিক রীতি শেখানো হবে। শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ব্যবহার শিখবে। কুরআনের ২০০+ আয়াত এবং ১০০+ এর বেশি হাদীসের অর্থ ও বিশ্লেষণ, প্রচলিত বাক্যরীতি (التعبيرات), প্রবাদ-প্রবচন, এবং প্রশংসা ও নিন্দার বাক্যগঠনশৈলী আয়ত্ত করবে। এর মাধ্যমে তারা আরবিতে নিজস্ব ভাব প্রকাশে প্রাঞ্জলতা অর্জন করবে এবং সাহিত্যিক রচনারীতি বুঝতে সক্ষম হবে।

পঞ্চম স্তর – পূর্ণাঙ্গ ব্যাকরণ বিশ্লেষণ (নাহু ও সরফ) (الجزء الخامس)
এটি আরবি ব্যাকরণের মূল ভিত্তি। এখানে নাহু (বাক্য বিশ্লেষণ ও গঠন) এবং সরফ (শব্দরূপ ও ধাতু বিশ্লেষণ) এর বিস্তারিত আলোচনা ও অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই অংশ ভালোভাবে অনুশীলন করলে শিক্ষার্থীরা ইনশাআল্লাহ নাহু ও সরফের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারবে এবং যেকোনো আরবি বাক্য নির্ভুলভাবে বিশ্লেষণ ও গঠন করা, কুরআন, হাদীস ও আরবি সাহিত্য বুঝতে পারা, এবং শুদ্ধ ও প্রাঞ্জল আরবি লিখতে পারার সক্ষমতা অর্জন করবে।

ষষ্ঠ স্তর – ব্যবহারিক ভাষাদক্ষতা (الجزء السادس)
এটি বইয়ের সবচেয়ে বাস্তবমুখী অংশ। এখানে ভাষার চারটি মৌলিক দক্ষতা — কথোপকথন (محادثة), লিখন (كتابة), পঠন (قراءة) এবং শ্রবণ (استماع) — এর উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এই অংশে অ্যাডভান্স আরবিতে কথা বলার জন্য প্রয়োজনীয় সকল শব্দ, বিষয়ভিত্তিক কথোপকথন, প্রশ্ন করা, উত্তর দেওয়া, দৈনন্দিন জীবনে কথা বলা, বক্তৃতা দেওয়া, উপস্থাপনা করা, জুমার খুতবা দেওয়া ইত্যাদি শেখানো হয়েছে। লেখালেখির বিষয়ে দরখাস্ত, প্রবন্ধ, চিঠি, সিভি, সংবাদ লেখার বিস্তারিত নিয়ম ও উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। পঠন ও শ্রবণ দক্ষতার জন্য কুরআন, হাদীস, আধুনিক আরবি প্রবন্ধ, খবর ও গল্প এবং দৈনন্দিন ব্যবহৃত আরবি পত্রিকা ও সংবাদপত্রের চর্চা অন্তর্ভুক্ত।

উচ্চ মাধ্যমিক আরবি ভাষা কোর্সের ১০নং ক্লাস
About Lesson

📖 নির্দেশনা:
প্রথম পাঠের হোমওয়ার্কের আগ পর্যন্ত সকল আরবি বাক্যের সাথে বাংলা অর্থ এবং বাংলা বাক্যের সাথে তার আরবি অনুবাদ এখানে দেওয়া হলো।
তুমি আগে নিজে পুরো পাঠটি মনোযোগ দিয়ে পড়বে, তারপর মিলিয়ে দেখবে —
তোমার বাংলা অর্থ করা এবং আরবি অনুবাদ করা শুদ্ধ হয়েছে কিনা।
⚠ সতর্কতা:
ভুলেও আগে এই অংশটি পড়বে না — আগে নিজে চেষ্টা করো, পরে মিলিয়ে দেখো।

‘আম্মা’ (أَمَّا) শব্দের ব্যবহার

 

أَمَّا (আরবি ভাষায় সাধারণত “আর”, “যেখানে” বা “যতদূর সম্পর্কিত” এর অর্থে ব্যবহৃত হয়)। এটি কোনো বাক্যের শুরুতে আসে এবং পরবর্তী অংশে فَ (ফা) ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত وَ (এবং) এর মতোই কাজ করে, তবে কিছু বিশেষ প্রেক্ষাপটে এটি আরও জোরালো অর্থ প্রদান করে।

  • أَمَّا-এর উদাহরণসমূহ:

    • ব্যক্তি নির্দেশ করতে:

      1. أَمَّا أَنَا فَتِلْمِيذٌ (আর আমি একজন ছাত্র)।

      2. أَمَّا مَحْمُودٌ فَطَبِيبٌ (আর মাহমুদ একজন ডাক্তার)।

      3. أَمَّا خَالِدٌ فَمُهَنْدِسٌ (আর খালেদ একজন প্রকৌশলী)।

    • أَمَّا أَحْمَدُ فَفِي الْمَدْرَسَةِ وَأَمَّا مُحَمَّدٌ فَفِي الْجَامِعَةِ (আর আহমেদ স্কুলে এবং মোহাম্মদ বিশ্ববিদ্যালয়ে)।

    • أَمَّا الطِّفْلُ فَيَلْعَبُ وَأَمَّا الْأَبُ فَيَعْمَلُ (আর শিশুটি খেলছে এবং বাবা কাজ করছেন)।

    • أَمَّا الصَّبْرُ فَمِفْتَاحُ الْفَرَجِ (আর ধৈর্য হলো মুক্তির চাবি)।

    • أَمَّا الْقُرْآنُ فَهُوَ هُدًى لِلْمُتَّقِينَ (আর কুরআন হলো মুত্তাকীদের জন্য হেদায়েত)।

    • أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ الْحَمْدَ لِلَّهِ (যাই হোক, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর)।

    • أَمَّا فِي الْمَسَاءِ فَسَنَذْهَبُ إِلَى الْمَنْزِلِ (আর সন্ধ্যায় আমরা বাড়ি যাব)।


 

‘মা’ (مَا) ও ‘লা’ (لَا) ‘লাইসা’র (لَيْسَ) মতো

 

আরবি ভাষায় مَا (মা) এবং لَا (লা) দুটি শব্দ রয়েছে, যা لَيْسَ (লাইসা)-এর মতো কাজ করে। অর্থাৎ, مُبْتَدَا (শুরু)-কে পেশ আর خَبَر (খবর)-কে জবর দেয়, এবং তার মত কোনো কিছু অস্বীকার করে বা নাবাচক অর্থ দেয়।

  1. مَا الْمُشَبَّهَةُ بِلَيْسَ (লাইসার মতো মা):

    • مَا الطَّالِبُ حَاضِرًا (ছাত্রটি উপস্থিত নয়)।

    • مَا السَّمَاءُ صَافِيَةً (আকাশ পরিষ্কার নয়)।

    • مَا الزُّهُورُ فِي الْحَدِيقَةِ (বাগানে ফুল নেই)।

  2. لَا الْمُشَبَّهَةُ بِلَيْسَ (লাইসার মতো লা):

    • لَا একটি শক্তিশালী নেগেটিভ শব্দ, যা لَيْسَ-এর মতো কোনো কিছু অস্বীকার করে।

    • উদাহরণ:

      • لَا الطَّالِبُ غَائِبًا (ছাত্রটি অনুপস্থিত নয়)।

      • لَا السَّمَاءُ مَطِرَةً (আকাশে বৃষ্টি নেই)।

      • لَا الزُّهُورُ فِي الْحَدِيقَةِ (বাগানে ফুল নেই)।

  • অতিরিক্ত উদাহরণ:

    • مَا الطَّائِرُ فِي السَّمَاءِ (পাখি আকাশে নেই)।

    • مَا الطِّفْلُ فِي الْمَدْرَسَةِ (শিশু স্কুলে নেই)।

    • مَا الْكِتَابُ عَلَى الطَّاوِلَةِ (বই টেবিলে নেই)।

    • مَا الْوَلَدُ فِي الْحَدِيقَةِ (ছেলেটি বাগানে নেই)।

    • مَا السَّيَّارَةُ فِي الشَّارِعِ (গাড়ি রাস্তায় নেই)।

    • لَا الطَّالِبُ فِي الصَّفِّ (ছাত্রটি ক্লাসে নেই)।

    • لَا الْبَيْتُ نَظِيفًا (বাড়িটি পরিষ্কার নয়)।

    • لَا الزُّهُورُ فِي الْحَدِيقَةِ (বাগানে ফুল নেই)।

    • لَا الرَّجُلُ فِي السُّوقِ (লোকটি বাজারে নেই)।

    • لَا الْكَلْبُ فِي الْمَنْزِلِ (কুকুরটি বাড়িতে নেই)।

    • مَا الْقَمَرُ فِي السَّمَاءِ (চাঁদ আকাশে নেই)।

    • لَا الْجَمَلُ سَرِيعًا (উটটি দ্রুতগামী নয়)।

    • مَا الشَّجَرَةُ كَبِيرَةً (গাছটি বড় নয়)।

    • لَا الْكِتَابُ مَفْتُوحًا (বইটি খোলা নয়)।

    • مَا الْمَاءُ بَارِدًا (পানি ঠান্ডা নয়)।

    • لَا الطُّيُورُ فِي الْقَفَصِ (পাখিরা খাঁচায় নেই)।

    • لَا الطِّفْلُ سَعِيدًا (শিশু খুশি নয়)।

    • مَا الْجَمَلُ طَوِيلًا (উটটি লম্বা নয়)।

    • لَا الْغَيْمُ مَوْجُودًا (মেঘ উপস্থিত নেই)।


 

জন্ম ও শৈশবের স্মৃতি

 

وُلِدْتُ صَغِيرًا ضَعِيفًا، لَا آكُلُ بِنَفْسِي وَلَا أَشْرَبُ بِنَفْسِي، وَلَا أَتَكَلَّمُ، فَكَمْ سَهِرَتْ أُمِّي اللَّيَالِيَ، وَكَمْ تَعِبَتْ فِي النَّهَارِ، وَكُنْتُ لَهَا شُغْلًا، وَفِي اللَّيْلِ تَتَكَلَّمُ مَعِي. وَلَمَّا دَخَلْتُ فِي السَّنَةِ الْخَامِسَةِ كَانَتْ تَتَحَدَّثُ مَعِي فِي اللَّيْلِ، وَقَدْ عَرَفْتُ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فِي حَدِيثِهَا، وَسَمِعْتُ قِصَصًا كَثِيرَةً، سَمِعْتُ مِنْهَا وَأَنَا عَلَى فِرَاشِي قِصَّةَ إِبْرَاهِيمَ، وَكَيْفَ نَشَأَ مُوسَى فِي قَصْرِ فِرْعَوْنَ، وَسَمِعْتُ قِصَّةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقِصَّةَ حَلِيمَةَ السَّعْدِيَّةِ وَقِصَصًا جَمِيلَةً، وَحَفِظْتُ آيَةَ الْكُرْسِيِّ، وَكَانَ أَبِي يُحِبُّنِي كَثِيرًا، إِذَا جَاءَ مِنْ سَفَرٍ اشْتَرَى لِي هَدِيَّةً جَمِيلَةً، وَكَانَ النَّاسُ يُحِبُّونَنِي

(আমি ছোট এবং দুর্বল হয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলাম, নিজে খেতে পারতাম না, নিজে পান করতে পারতাম না এবং কথা বলতে পারতাম না। আমার মা কত রাত জেগে কাটিয়েছেন এবং দিনের বেলায় কত কষ্ট করেছেন, আমি তাঁর জন্য একটি ব্যস্ততা ছিলাম। রাতে তিনি আমার সাথে কথা বলতেন। যখন আমি পঞ্চম বছরে প্রবেশ করলাম, তিনি রাতে আমার সাথে কথা বলতেন এবং তাঁর কথা থেকে আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে চিনতে পেরেছিলাম। আমি তাঁর কাছ থেকে অনেক গল্প শুনেছিলাম। বিছানায় শুয়ে আমি তাঁর কাছ থেকে ইব্রাহিমের গল্প শুনেছিলাম, মূসা কীভাবে ফির‘আউনের প্রাসাদে বেড়ে উঠেছিলেন, আল্লাহর রাসূল (সা.)-এর গল্প, হালিমা আস-সাদিয়ার গল্প এবং আরও অনেক সুন্দর গল্প শুনেছিলাম। আমি আয়াতুল কুরসি মুখস্থ করেছিলাম। আমার বাবা আমাকে খুব ভালোবাসতেন। যখন তিনি সফর থেকে ফিরে আসতেন, তখন আমার জন্য একটি সুন্দর উপহার কিনে আনতেন। আর মানুষ আমাকে ভালোবাসত।)


 

প্রশ্নের উত্তর দাও

 

  • مَاذَا كَانَتْ تَفْعَلُ أُمُّكَ عِنْدَمَا كُنْتَ صَغِيرًا؟ (যখন তুমি ছোট ছিলে তখন তোমার মা কী করতেন?)

    • كَانَتْ أُمِّي تَسْهَرُ اللَّيَالِيَ وَتَتْعَبُ فِي النَّهَارِ (আমার মা রাত জেগে থাকতেন এবং দিনে কষ্ট করতেন)।

  • كَمْ كَانَتْ تَعِبَتْ أُمُّكَ مِنْ أَجْلِكَ؟ (তোমার মা তোমার জন্য কতটুকু কষ্ট করতেন?)

    • كَانَتْ أُمِّي تَتْعَبُ كَثِيرًا فِي النَّهَارِ (আমার মা দিনে অনেক কষ্ট করতেন)।

  • مَاذَا كَانَتْ تَفْعَلُ أُمُّكَ فِي اللَّيْلِ؟ (তোমার মা রাতে কী করতেন?)

    • فِي اللَّيْلِ كَانَتْ تَتَكَلَّمُ مَعِي (রাতে তিনি আমার সাথে কথা বলতেন)।

  • مَاذَا كَانَتْ تَقُولُ أُمُّكَ لَكَ فِي اللَّيْلِ؟ (তোমার মা রাতে তোমাকে কী বলতেন?)

    • كَانَتْ تَقُولُ لِي قِصَصًا عَنِ الْأَنْبِيَاءِ وَتُعَلِّمُنِي عَنِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ (তিনি আমাকে নবীদের গল্প বলতেন এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সম্পর্কে শেখাতেন)।

  • فِي أَيَّةِ سَنَةٍ بَدَأَتْ أُمُّكَ تَتَحَدَّثُ مَعَكَ؟ (কোন বছরে তোমার মা তোমার সাথে কথা বলা শুরু করেছিলেন?)

    • بَدَأَتْ أُمِّي تَتَحَدَّثُ مَعِي فِي السَّنَةِ الْخَامِسَةِ (আমার মা পঞ্চম বছরে আমার সাথে কথা বলা শুরু করেছিলেন)।

  • مَاذَا كُنْتَ تَعْرِفُ عَنِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ عِنْدَمَا كُنْتَ فِي السَّنَةِ الْخَامِسَةِ؟ (যখন তুমি পঞ্চম বছরে ছিলে তখন তুমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সম্পর্কে কী জানতে?)

    • عَرَفْتُ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فِي حَدِيثِهَا (আমি তাঁর কথা থেকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে চিনতে পেরেছিলাম)।

  • مَا هِيَ الْقِصَّةُ الَّتِي سَمِعْتَهَا عَنْ إِبْرَاهِيمَ؟ (ইব্রাহিম সম্পর্কে তুমি কী গল্প শুনেছিলে?)

    • سَمِعْتُ مِنْهَا قِصَّةَ إِبْرَاهِيمَ (আমি তাঁর কাছ থেকে ইব্রাহিমের গল্প শুনেছিলাম)।

  • مَاذَا تَعْرِفُ عَنْ نَشْأَةِ مُوسَى فِي قَصْرِ فِرْعَوْنَ؟ (ফির‘আউনের প্রাসাদে মূসার বেড়ে ওঠা সম্পর্কে তুমি কী জানো?)

    • سَمِعْتُ قِصَّةَ كَيْفَ نَشَأَ مُوسَى فِي قَصْرِ فِرْعَوْنَ (আমি মূসা কীভাবে ফির‘আউনের প্রাসাদে বেড়ে উঠেছিলেন সেই গল্প শুনেছিলাম)।

  • هَلْ حَفِظْتَ آيَةَ الْكُرْسِيِّ؟ (তুমি কি আয়াতুল কুরসি মুখস্থ করেছিলে?)

    • نَعَمْ، حَفِظْتُ آيَةَ الْكُرْسِيِّ (হ্যাঁ, আমি আয়াতুল কুরসি মুখস্থ করেছিলাম)।

  • مَاذَا كَانَ يَفْعَلُ وَالِدُكَ عِنْدَمَا كَانَ يَعُودُ مِنْ سَفَرِهِ؟ (তোমার বাবা যখন সফর থেকে ফিরতেন তখন কী করতেন?)

    • كَانَ يَشْتَرِي لِي هَدِيَّةً جَمِيلَةً (তিনি আমার জন্য একটি সুন্দর উপহার কিনে আনতেন)।

  • كَيْفَ كَانَ النَّاسُ يُعَامِلُونَكَ؟ (লোকেরা তোমার সাথে কেমন ব্যবহার করত?)

    • كَانَ النَّاسُ يُحِبُّونَنِي (মানুষ আমাকে ভালোবাসত)।

  • هَلْ كَانَ وَالِدُكَ يُحِبُّكَ؟ (তোমার বাবা কি তোমাকে ভালোবাসতেন?)

    • نَعَمْ، كَانَ وَالِدِي يُحِبُّنِي كَثِيرًا (হ্যাঁ, আমার বাবা আমাকে খুব ভালোবাসতেন)।


 

الحوار بين المعلم الزائر والطلاب (অতিথি শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে কথোপকথন)

 

الْمُعَلِّمُ الزَّائِرُ: السَّلامُ عَلَيْكُمْ (অতিথি শিক্ষক: আসসালামু আলাইকুম)।

الطُّلَّابُ: وَعَلَيْكُمُ السَّلامُ (ছাত্ররা: ওয়ালাইকুমুস সালাম)।

الْمُعَلِّمُ الزَّائِرُ: كَيْفَ حَالُكُمْ أَيُّهَا الْإِخْوَةُ؟ (অতিথি শিক্ষক: তোমরা কেমন আছো, হে ভাইয়েরা?)

الطُّلَّابُ: نَحْنُ بِخَيْرٍ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ (ছাত্ররা: আমরা ভালো আছি, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর)।

الْمُعَلِّمُ الزَّائِرُ: مِنْ أَيْنَ أَنْتَ يَا أَخِي؟ (অতিথি শিক্ষক: তুমি কোথা থেকে এসেছ, হে ভাই?)

أَحْمَدُ: أَنَا مِنْ نَوَاخَالِي (আহমেদ: আমি নোয়াখালী থেকে)।

الْمُعَلِّمُ الزَّائِرُ: وَأَنْتَ مِنْ أَيْنَ يَا أَخِي؟ (অতিথি শিক্ষক: আর তুমি কোথা থেকে এসেছ, হে ভাই?)

حَامِدُ: أَنَا مِنْ بَرِيسَال (হামিদ: আমি বরিশাল থেকে)।

الْمُعَلِّمُ الزَّائِرُ: وَأَنْتَ مِنْ أَيْنَ يَا أَخِي؟ (অতিথি শিক্ষক: আর তুমি কোথা থেকে এসেছ, হে ভাই?)

مُحَمَّدُ: أَنَا مِنْ مُؤْمِن شَاهِي (মুহাম্মদ: আমি ময়মনসিংহ থেকে)।

الطُّلَّابُ: لَوْ سَمَحْتَ، مِنْ أَيْنَ أَنْتَ يَا أُسْتَاذُ؟ (ছাত্ররা: যদি অনুমতি দেন, আপনি কোথা থেকে এসেছেন, হে শিক্ষক?)

الْمُعَلِّمُ الزَّائِرُ: أَنَا مِنْ جَسُّور، مِنَ الْمَدْرَسَةِ الْإِسْلامِيَّةِ (অতিথি শিক্ষক: আমি যশোর থেকে, ইসলামিক স্কুল থেকে)।

الْمُعَلِّمُ الزَّائِرُ: كَيْفَ قَضَيْتَ أَوْقَاتَكَ فِي الدَّوْرَةِ يَا أَخِي أَحْمَدُ؟ (অতিথি শিক্ষক: হে ভাই আহমেদ, তুমি কোর্সে তোমার সময় কীভাবে কাটিয়েছ?)

أَحْمَدُ: الْحَمْدُ لِلَّهِ، الْأَوْقَاتُ الَّتِي قَضَيْتُهَا فِي الدَّوْرَةِ كَانَتْ رَائِعَةً (আহমেদ: আলহামদুলিল্লাহ, কোর্সে কাটানো সময়গুলো চমৎকার ছিল)।

الْمُعَلِّمُ الزَّائِرُ: أَشْكُرُكُمْ عَلَى إِجَابَتِكُمْ (অতিথি শিক্ষক: তোমাদের উত্তরের জন্য তোমাদের ধন্যবাদ)।

الطُّلَّابُ: جَزَاكُمُ اللَّهُ خَيْرًا، وَنَشْكُرُكُمْ مِنْ صَمِيمِ قُلُوبِنَا (ছাত্ররা: আল্লাহ আপনাদের উত্তম প্রতিদান দিন, আর আমরা আমাদের অন্তরের গভীর থেকে আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাই)।


 

جواز السفر والتأشيرة والتذكرة (পাসপোর্ট, ভিসা ও টিকেট)

 

رَاشِدٌ: أَيْنَ مَكْتَبُ الْجَوَازَاتِ؟ (রাশেদ: পাসপোর্ট অফিস কোথায়?)

عُمَرُ: مَكْتَبُ الْجَوَازَاتِ فِي أَغَرغَاوْ (ওমর: পাসপোর্ট অফিস আগারগাঁও-এ)।

رَاشِدٌ: أَيْنَ مَكْتَبُ الْمُدِيرِ؟ (রাশেদ: ম্যানেজারের অফিস কোথায়?)

عُمَرُ: فِي الدَّوْرِ الثَّانِي، غُرْفَةٌ رَقْمُ 3 (ওমর: দ্বিতীয় তলায়, রুম নম্বর ৩-এ)।

رَاشِدٌ: لَوْ سَمَحْتَ أَأَدْخُلُ؟ (রাশেদ: যদি অনুমতি দেন, আমি কি ঢুকতে পারি?)

خَالِدٌ: تَفَضَّلْ، أَيَّةُ خِدْمَةٍ؟ (খালিদ: আসুন, কোনো সেবা?)

رَاشِدٌ: أَنَا أَبْغِي جَوَازَ السَّفَرِ (রাশেদ: আমি পাসপোর্ট চাই)।

خَالِدٌ: خُذْ اسْتِمَارَةً مِنَ الشُّبَّاكِ، وَامْلَأْهَا ثُمَّ قَدِّمْهَا فِي الشُّبَّاكِ (খালিদ: জানালা থেকে ফর্ম নিন, সেটা পূরণ করুন তারপর জানালায় জমা দিন)।

رَاشِدٌ: أَيْنَ مَكْتَبُ الْمُوَظَّفِ؟ (রাশেদ: অফিসারের অফিস কোথায়?)

خَالِدٌ: فِي الْغُرْفَةِ الْمُجَاوِرَةِ (খালিদ: পাশের ঘরে)।

رَاشِدٌ: يَا أَخِي أَنَا أُرِيدُ تَأْشِيرَةَ الْعُمْرَةِ، فَكَمْ تُكَلِّفُ التَّذْكِرَةُ مِنْ دَاكَا إِلَى جِدَّةٍ؟ (রাশেদ: হে ভাই, আমি উমরার ভিসা চাই। ঢাকা থেকে জেদ্দার টিকেটের দাম কত?)

مَاجِدٌ: خَمْسُونَ أَلْفَ تَاكَا (মাজিদ: পঞ্চাশ হাজার টাকা)।

رَاشِدٌ: مِنْ فَضْلِكَ اقْطَعْ لِي تَذْكِرَةً وَاحْجُزْهَا فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ (রাশেদ: দয়া করে আমার জন্য একটি টিকেট কাটুন এবং শুক্রবারের জন্য বুক করুন)।

مَاجِدٌ: طَيِّبٌ (মাজিদ: ঠিক আছে)।


 

حوار بين عابد وخالد (আবিদ ও খালিদের মধ্যে কথোপকথন)

 

عَابِدٌ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا خَالِدُ (আবিদ: আসসালামু আলাইকুম, হে খালিদ)।

خَالِدٌ: وَعَلَيْكُمُ السَّلَامُ يَا عَابِدُ. كَيْفَ حَالُكَ الْيَوْمَ؟ (খালিদ: ওয়ালাইকুমুস সালাম, হে আবিদ। আজ তুমি কেমন আছো?)

عَابِدٌ: أَنَا بِخَيْرٍ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ. لَدَيَّ بَعْضُ الْأَسْئِلَةِ (আবিদ: আমি ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আমার কিছু প্রশ্ন আছে)।

خَالِدٌ: تَفَضَّلْ. أَنَا مُسْتَعِدٌّ لِلْإِجَابَةِ (খালিদ: বলুন। আমি উত্তর দিতে প্রস্তুত)।

عَابِدٌ: مَاذَا كَانَتْ تَفْعَلُ أُمُّكَ عِنْدَمَا كُنْتَ صَغِيرًا جِدًّا؟ (আবিদ: যখন তুমি খুব ছোট ছিলে তখন তোমার মা কী করতেন?)

خَالِدٌ: كَانَتْ أُمِّي تَسْهَرُ اللَّيَالِيَ وَتَتْعَبُ فِي النَّهَارِ مِنْ أَجْلِي (খালিদ: আমার মা আমার জন্য রাত জেগে থাকতেন এবং দিনে কষ্ট করতেন)।

عَابِدٌ: هَلْ كُنْتَ تَأْكُلُ بِنَفْسِكَ وَتَشْرَبُ بِنَفْسِكَ وَتَتَكَلَّمُ فِي الصِّغَرِ؟ (আবিদ: ছোটবেলায় কি তুমি নিজে খেতে, নিজে পান করতে এবং কথা বলতে পারতে?)

خَالِدٌ: لَا، لَمْ أَكُنْ آكُلُ بِنَفْسِي وَلَا أَشْرَبُ بِنَفْسِي وَلَا أَتَكَلَّمُ (খালিদ: না, আমি নিজে খেতে পারতাম না, নিজে পান করতে পারতাম না এবং কথা বলতেও পারতাম না)।

عَابِدٌ: فِي أَيَّةِ سَنَةٍ بَدَأَتْ أُمُّكَ تَتَحَدَّثُ مَعَكَ؟ (আবিদ: কোন বছরে তোমার মা তোমার সাথে কথা বলা শুরু করেছিলেন?)

خَالِدٌ: بَدَأَتْ تَتَحَدَّثُ مَعِي فِي السَّنَةِ الْخَامِسَةِ (খালিদ: তিনি আমার সাথে পঞ্চম বছরে কথা বলা শুরু করেছিলেন)।

عَابِدٌ: مَاذَا كُنْتَ تَعْرِفُ عَنِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ فِي تِلْكَ السَّنَةِ؟ (আবিদ: সেই বছরে তুমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সম্পর্কে কী জানতে?)

خَالِدٌ: عَرَفْتُ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فِي حَدِيثِهَا (খালিদ: আমি তাঁর কথা থেকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে চিনতে পেরেছিলাম)।

عَابِدٌ: هَلْ سَمِعْتَ مِنْهَا قِصَصًا كَثِيرَةً؟ (আবিদ: তুমি কি তাঁর কাছ থেকে অনেক গল্প শুনেছ?)

خَالِدٌ: نَعَمْ، سَمِعْتُ مِنْهَا قِصَصًا كَثِيرَةً (খালিদ: হ্যাঁ, আমি তাঁর কাছ থেকে অনেক গল্প শুনেছি)।

عَابِدٌ: هَلْ حَفِظْتَ آيَةَ الْكُرْسِيِّ فِي تِلْكَ الْفَتْرَةِ؟ (আবিদ: সেই সময়ে কি তুমি আয়াতুল কুরসি মুখস্থ করেছিলে?)

خَالِدٌ: نَعَمْ، حَفِظْتُ آيَةَ الْكُرْسِيِّ (খালিদ: হ্যাঁ, আমি আয়াতুল কুরসি মুখস্থ করেছিলাম)।

عَابِدٌ: مَاذَا كَانَ يَفْعَلُ وَالِدُكَ عِنْدَمَا كَانَ يَعُودُ مِنَ السَّفَرِ؟ (আবিদ: তোমার বাবা যখন সফর থেকে ফিরতেন তখন কী করতেন?)

خَالِدٌ: كَانَ يَشْتَرِي لِي هَدِيَّةً جَمِيلَةً إِذَا جَاءَ مِنَ السَّفَرِ (খালিদ: যখন তিনি সফর থেকে আসতেন, তখন আমার জন্য একটি সুন্দর উপহার কিনে আনতেন)।

عَابِدٌ: هَلْ كَانَ النَّاسُ يُحِبُّونَكَ؟ (আবিদ: লোকেরা কি তোমাকে ভালোবাসত?)

خَالِدٌ: نَعَمْ، كَانَ النَّاسُ يُحِبُّونَنِي (খালিদ: হ্যাঁ, মানুষ আমাকে ভালোবাসত)।

عَابِدٌ: هَلِ الطِّفْلُ فِي الْمَدْرَسَةِ الْآنَ؟ (আবিদ: শিশুটি কি এখন স্কুলে?)

خَالِدٌ: مَا الطِّفْلُ فِي الْمَدْرَسَةِ (খালিদ: শিশুটি স্কুলে নেই)।

عَابِدٌ: هَلْ هَذِهِ الشَّجَرَةُ كَبِيرَةٌ؟ (আবিদ: এই গাছটি কি বড়?)

خَالِدٌ: نَعَمْ، هَذِهِ الشَّجَرَةُ كَبِيرَةٌ (খালিদ: হ্যাঁ, এই গাছটি বড়)।

عَابِدٌ: شُكْرًا جَزِيلًا لَكَ يَا خَالِدُ عَلَى هَذِهِ الْإِجَابَاتِ الْوَاضِحَةِ (আবিদ: হে খালিদ, এই স্পষ্ট উত্তরের জন্য তোমাকে অনেক ধন্যবাদ)।

خَالِدٌ: عَفْوًا يَا عَابِدُ. إِلَى اللِّقَاءِ! (খালিদ: স্বাগতম, হে আবিদ। দেখা হবে!)

عَابِدٌ: إِلَى اللِّقَاءِ! (আবিদ: দেখা হবে!)


 

উপরের ছবির আলোকে কথোপকথন

 

مُحَمَّدٌ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ (মুহাম্মদ: আসসালামু আলাইকুম)।

عَلِيٌّ: وَعَلَيْكُمُ السَّلَامُ. أَهْلًا بِكَ يَا أَخِي (আলী: ওয়ালাইকুমুস সালাম। স্বাগতম, হে আমার ভাই)।

مُحَمَّدٌ: هَلْ أَنْتَ فِي الْمَكْتَبَةِ؟ (মুহাম্মদ: তুমি কি লাইব্রেরিতে আছো?)

عَلِيٌّ: نَعَمْ، أَنَا أَقْرَأُ كِتَابًا (আলী: হ্যাঁ, আমি একটি বই পড়ছি)।

مُحَمَّدٌ: مَاذَا تَقْرَأُ؟ (মুহাম্মদ: তুমি কী পড়ছ?)

عَلِيٌّ: أَقْرَأُ كِتَابًا عَنِ الْجَامِعَةِ (আলী: আমি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে একটি বই পড়ছি)।

مُحَمَّدٌ: مَا شَاءَ اللَّهُ، هَلْ تَجِدُ الْكُتُبَ الَّتِي تُرِيدُهَا؟ (মুহাম্মদ: মাশাআল্লাহ, তুমি কি তোমার প্রয়োজনীয় বইগুলো পাচ্ছ?)

عَلِيٌّ: نَعَمْ، الْمَكْتَبَةُ مَلِيئَةٌ بِالْكُتُبِ الْمُفِيدَةِ (আলী: হ্যাঁ, লাইব্রেরি উপকারী বইয়ে পূর্ণ)।


 

শব্দার্থ

 

  • فُجُورٌ (পাপাচার)

  • التُّقَى (তাকওয়া)

  • لَا تَتَمَنَّوْا (আকাঙ্খা করো না)

  • الْغِنَى (স্বচ্ছলতা)

  • الْعَفَافَ (চরিত্রের পবিত্রতা)

  • الْإِدْمَاءُ (রক্তাক্ত করা)


 

হাদীসসমূহের অর্থ করো

 

(১) قَالَ سَيِّدُنَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ (আমাদের নেতা উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) বলেছেন: আমি আল্লাহর রাসূল (সা.)-কে বলতে শুনেছি: নিশ্চয় সকল আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল)।

(২) قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ اللَّهَ لَا يَنْظُرُ إِلَى أَجْسَامِكُمْ وَلَا إِلَى صُوَرِكُمْ وَلَكِنْ يَنْظُرُ إِلَى قُلُوبِكُمْ وَأَعْمَالِكُمْ (আবু হুরায়রা (রা.) বলেছেন: আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন: নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের শরীর এবং তোমাদের চেহারার দিকে তাকান না, বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও আমলের দিকে তাকান)।

(৩) قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: وَاللَّهِ إِنِّي لَأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ فِي الْيَوْمِ أَكْثَرَ مِنْ سَبْعِينَ مَرَّةً (আবু হুরায়রা (রা.) বলেছেন: আমি আল্লাহর রাসূল (সা.)-কে বলতে শুনেছি: আল্লাহর কসম, আমি দিনে সত্তর বারেরও বেশি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই এবং তাঁর কাছে তওবা করি)।

(৪) قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ! تُوبُوا إِلَى اللَّهِ وَاسْتَغْفِرُوهُ، فَإِنِّي أَتُوبُ فِي الْيَوْمِ مِائَةَ مَرَّةٍ (আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন: হে মানুষ! তোমরা আল্লাহর কাছে তওবা করো এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, কারণ আমি দিনে একশ বার তওবা করি)।

(৭) قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى إِذَا أَحَبَّ قَوْمًا ابْتَلَاهُمْ، فَمَنْ رَضِيَ فَلَهُ الرِّضَى، وَمَنْ سَخِطَ فَلَهُ السُّخْطُ (নবী (সা.) বলেছেন: নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা যখন কোনো সম্প্রদায়কে ভালোবাসেন, তখন তাদের পরীক্ষা করেন। অতএব যে সন্তুষ্ট থাকে তার জন্য সন্তুষ্টি আর যে অসন্তুষ্ট হয় তার জন্য অসন্তুষ্টি)।

(৮) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَّ رَجُلًا قَالَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَوْصِنِي، قَالَ: لَا تَغْضَبْ (আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত: এক ব্যক্তি নবী (সা.)-কে বললেন: আমাকে উপদেশ দিন। তিনি বললেন: রাগ করো না)।

(১০) قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، لَا تَتَمَنَّوْا لِقَاءَ الْعَدُوِّ، وَاسْأَلُوا اللَّهَ الْعَافِيَةَ، فَإِذَا لَقِيتُمُوهُمْ فَاصْبِرُوا، وَاعْلَمُوا أَنَّ الْجَنَّةَ تَحْتَ ظِلَالِ السُّيُوفِ (আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন: হে মানুষ! তোমরা শত্রুর সাথে সাক্ষাতের আকাঙ্খা করো না, আর আল্লাহর কাছে নিরাপত্তা চাও। তবে যখন তাদের মুখোমুখি হবে, তখন ধৈর্য ধারণ করো এবং জেনে রাখো, নিশ্চয় জান্নাত তরবারির ছায়াতলে)।

(১১) قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ الصِّدْقَ يَهْدِي إِلَى الْبِرِّ، وَإِنَّ الْبِرَّ يَهْدِي إِلَى الْجَنَّةِ… وَإِنَّ الْكَذِبَ يَهْدِي إِلَى الْفُجُورِ، وَإِنَّ الْفُجُورَ يَهْدِي إِلَى النَّارِ (নবী (সা.) বলেছেন: নিশ্চয় সত্যবাদিতা পুণ্যের দিকে পথ দেখায়, আর পুণ্য জান্নাতের দিকে পথ দেখায়… এবং নিশ্চয় মিথ্যাচার পাপের দিকে পথ দেখায়, আর পাপ জাহান্নামের দিকে পথ দেখায়)।


 

হোমওয়ার্ক করো

 

📝 ০1. হাদীসের অর্থ লেখো

(১২) عَنْ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، وَهُوَ بَدْرِيٌّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ سَأَلَ اللَّهَ تَعَالَى الشَّهَادَةَ بِصِدْقٍ، بَلَّغَهُ اللَّهُ مَنَازِلَ الشُّهَدَاءِ وَإِنْ مَاتَ عَلَى فِرَاشِهِ (বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবী সাহল ইবনে হুনাইফ (রা.) থেকে বর্ণিত: নবী (সা.) বলেছেন: যে ব্যক্তি সত্য অন্তরে আল্লাহর কাছে শাহাদাত কামনা করে, আল্লাহ তাকে শহীদদের মর্যাদায় পৌঁছিয়ে দেন, যদিও সে তার বিছানায় মারা যায়)।

(১৩) عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ! قُلْ لِي فِي الْإِسْلَامِ قَوْلًا لَا أَسْأَلُ عَنْهُ أَحَدًا غَيْرَكَ ۝ قَالَ: قُلْ آمَنْتُ بِاللَّهِ، ثُمَّ اسْتَقِمْ (সুফিয়ান ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: আমি বললাম: হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে ইসলাম সম্পর্কে এমন একটি কথা বলুন, যা সম্পর্কে আমি আপনার ছাড়া অন্য কাউকে জিজ্ঞাসা করব না। তিনি বললেন: বলো, আমি আল্লাহর উপর ঈমান এনেছি, অতঃপর তার উপর অবিচল থাকো)।

(১৫) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الْمُؤْمِنُ الْقَوِيُّ خَيْرٌ وَأَحَبُّ إِلَى اللَّهِ مِنَ الْمُؤْمِنِ الضَّعِيفِ ۚ وَفِي كُلٍّ خَيْرٌ ۚ احْرِصْ عَلَى مَا يَنْفَعُكَ وَاسْتَعِنْ بِاللَّهِ وَلَا تَعْجَزْ وَإِنْ أَصَابَكَ شَيْءٌ فَلَا تَقُلْ: لَوْ أَنِّي فَعَلْتُ لَكَانَ كَذَا وَكَذَا وَلَكِنْ قُلْ: قَدَّرَ اللَّهُ وَمَا شَاءَ فَعَلَ فَإِنَّ “لَوْ” تَفْتَحُ عَمَلَ الشَّيْطَانِ (আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন: শক্তিশালী মু’মিন আল্লাহর কাছে দুর্বল মু’মিনের চেয়ে উত্তম ও অধিক প্রিয়। তবে উভয়ের মধ্যেই কল্যাণ আছে। তুমি এমন বিষয়ের প্রতি আগ্রহী হও যা তোমার জন্য উপকারী। আর আল্লাহর কাছে সাহায্য চাও এবং অক্ষম হয়ো না। যদি তোমার কোনো ক্ষতি হয়, তখন বলো না যে, “যদি আমি এটা করতাম, তাহলে এমন এমন হতো”, বরং বলো: আল্লাহ যা নির্ধারণ করেছেন, তাই হয়েছে এবং তিনি যা চেয়েছেন তাই করেছেন। কারণ, “যদি” শব্দটি শয়তানের কাজকে খুলে দেয়)।

(১৬) قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَتْبَعُ الْمَيِّتَ ثَلَاثَةٌ : أَهْلُهُ وَمَالُهُ وَعَمَلُهُ فَيَرْجِعُ اثْنَانِ وَيَبْقَى وَاحِدٌ : يَرْجِعُ أَهْلُهُ وَمَالُهُ وَيَبْقَى عَمَلُهُ (আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন: মৃত ব্যক্তিকে তিনটি জিনিস অনুসরণ করে: তার পরিবার, তার সম্পদ এবং তার আমল। দুটি ফিরে আসে এবং একটি থেকে যায়: তার পরিবার ও সম্পদ ফিরে আসে এবং তার আমল থেকে যায়)।


📝 ০2. আরবি করো ও লেখো

كَانَ طِفْلٌ صَغِيرٌ يَلْعَبُ بِجَانِبِ السَّيَّارَةِ مَعَ أُمِّهِ. نَظَرَتْ إِلَيْهِ أُمُّهُ وَابْتَسَمَتْ وَقَالَتْ: “هَلْ تَعْلَمُ أَنَّ ضَحِكَتَكَ قَوِيَّةٌ جِدًّا؟” (একটি ছোট শিশু তার মাকে নিয়ে গাড়ির পাশে বসে খেলছিল। মা তার দিকে তাকিয়ে হেসে বলল, “তুমি জানো, তোমার হাসি অনেক শক্তিশালী?”) تَعَجَّبَ الطِّفْلُ وَقَالَ: “كَيْفَ يَا أُمِّي؟” (শিশু অবাক হয়ে বলল, “কীভাবে, মা?”) أَجَابَتِ الْأُمُّ بِابْتِسَامَةٍ لَطِيفَةٍ: “عِنْدَمَا تَضْحَكُ، تَصْبَحُ قُلُوبُ النَّاسِ جَمِيعًا سَعِيدَةً” (মা মৃদু হেসে উত্তর দিল, “যখন তুমি হাসো, তখন সবার মন ভালো হয়ে যায়।”) فِي الْبِدَايَةِ، لَمْ يَفْهَمِ الطِّفْلُ، وَلَكِنَّ الْأُمَّ قَالَتْ: “كُلَّمَا ضَحِكْتَ أَكْثَرَ، كُنْتَ أَسْعَدَ وَاسْتَطَعْتَ أَنْ تَجْعَلَ الْآخَرِينَ سُعَدَاءَ” (শিশু প্রথমে বুঝতে পারল না, তবে মা বললেন, “তুমি যখন বেশি হাসবে, তত বেশি সুখী থাকবে এবং অন্যদেরও সুখী করতে পারবে)। قَرَّرَ الطِّفْلُ أَنْ يَضْحَكَ كُلَّ يَوْمٍ، لِأَنَّ الضَّحِكَ سَيَجْعَلُ حَيَاتَهُ جَمِيلَةً وَسَيُسْعِدُ الْآخَرِينَ أَيْضًا، وَالضَّحِكُ هُوَ فِي الْحَقِيقَةِ سِلَاحٌ قَوِيٌّ (শিশুটির ঠিক করল, সে প্রতিদিন হাসবে, কারণ হাসি তার জীবনকে সুন্দর করবে এবং অন্যদেরও খুশি করবে, আর হাসি সত্যিই একটি শক্তিশালী অস্ত্র)।