• প্রথম স্তর – আরবি ভাষা শেখার হাতেখড়ি (الجزء الأول)
আরবি ভাষা কোর্সের ৬টি স্তর থাকবে, প্রথম স্তর কুরআন শিক্ষার জন্য, দ্বিতীয় স্তর প্রাথমিক আরবি ভাষা শিক্ষার জন্য, তৃতীয় স্তর মাধ্যমিক আরবি ভাষা শিখার জন্য, ৪র্থ স্তর উচ্চ মাধ্যমিক আরবি ভাষা শিখার জন্য, ৫ম স্তর আরবি ব্যাকারণ বা নাহু-সরফ শিখার জন্য, আর ৬ষ্ঠ স্তর এডভান্স আরবি ভাষা শিখার জন্য, প্রথম স্তর এখন শুরু হবে ইনশাআল্লাহ প্রথম স্তর – আরবি ভাষা শেখার হাতেখড়ি (الجزء الأول): শিক্ষার্থীরা আরবি হরফের সঠিক উচ্চারণ, মৌলিক হরকত, গুন্নাহ, কলকলা, মাদ্দ ও ওয়াকফের নিয়ম শিখবে। এটি কুরআন শুদ্ধ উচ্চারণে তিলাওয়াতের আত্মবিশ্বাস তৈরি করবে এবং সুন্দর আরবি হাতের লেখা আয়ত্ত করতে সাহায্য করবে। এই স্তর শেষে শিক্ষার্থীরা আরবি হরফের শুদ্ধ উচ্চারণে পারদর্শী হবে এবং তাজবীদের মৌলিক নিয়মে কুরআন পড়ার আত্মবিশ্বাস অর্জন করবে।

আরবি হাতের লেখা শিক্ষা
আরবি হস্তলিপির শৈলী আরবি হস্তলিপির বিভিন্ন সুন্দর শৈলী বা 'খত' রয়েছে, যেমন: খত্তে নাসখ (خط النسخ), খত্তে রুকাআ (خط الرقعة), খত্তে সুলস (خط الثلث), খত্তে দিওয়ানি (خط الديواني), খত্তে ফার্সি (خط فارسي) ইত্যাদি। প্রতিটি খতের নিজস্ব নিয়ম ও সৌন্দর্য বিদ্যমান। কিভাবে শিখবেন এই অনুশীলন বইটি আপনাকে ধাপে ধাপে আরবি হাতের লেখা শিখতে সাহায্য করবে: 1. হরফ পরিচিতি: প্রতিটি আরবি হরফের রূপ ও লেখার নিয়ম মনোযোগ দিয়ে দেখুন। 2. অনুশীলন: প্রতিটি হরফ আলাদাভাবে এবং শব্দে যুক্ত অবস্থায় লেখার অনুশীলন করুন। বইটিতে সঠিক আকার ও লেখার দিকনির্দেশনা দেওয়া আছে। 3. শব্দ ও বাক্য: ধীরে ধীরে ছোট শব্দ ও বাক্য লেখার অনুশীলন শুরু করুন। আমাদের মূল বইয়ের শব্দ ও বাক্যগুলো এখানে সহায়ক হবে। 4. নিয়মিত চর্চা: প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় অনুশীলন করে হাতের লেখা সুন্দর করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। 5. ধৈর্য ধরুন: তাড়াহুড়ো না করে ধীরে ধীরে ও মনোযোগের সাথে অনুশীলন করুন। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে আপনার হাতের লেখায় অবশ্যই উন্নতি আসবে।

দ্বিতীয় স্তর – আরবি ভাষা শিক্ষার প্রাথমিক ধাপ (الجزء الثاني)
এই অংশে শিক্ষার্থীরা আরবি ব্যাকরণের মৌলিক বিষয়াবলী যেমন—ইশারা, পুংলিঙ্গ-স্ত্রীলিঙ্গ, নির্দিষ্ট-অনির্দিষ্ট শব্দ, সর্বনাম, ইযাফা, ক্রিয়াবিশেষণ, অব্যয়, সম্বোধন এবং সংখ্যা শিখবে। এটি শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি করবে এবং আরবি-বাংলায় বাক্য নির্মাণ ও কথোপকথনের প্রাথমিক দক্ষতা তৈরি করবে। এই স্তর শেষে শিক্ষার্থীরা আরবি ভাষার মূল কাঠামো এবং ব্যবহারিক দক্ষতায় পারদর্শী হয়ে প্রাথমিক পর্যায়ের আরবিতে কথা বলতে পারবে।

তৃতীয় স্তর – আরবি ভাষা শেখার মাধ্যমিক ধাপ (الجزء الثالث)
এই স্তরে ক্রিয়ার বিভিন্ন প্রকার, ক্রিয়ার রূপান্তর এবং জটিল ক্রিয়ার গঠন শেখানো হবে। নফি, ইস্তেসনা, তা'লিল, জজম, নাসব ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকরণিক উপাদান এবং বাক্য বিশ্লেষণের কৌশল আয়ত্ত করা যাবে। এই স্তর শেষে শিক্ষার্থীরা আরবি ক্রিয়ার গঠন ও পরিবর্তন বুঝে বাক্যে প্রয়োগ করতে এবং হাদীস ও আয়াত বোঝার ক্ষেত্রে ব্যাকরণ প্রয়োগে পারদর্শী হতে সক্ষম হবে এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের আরবিতে কথা বলতে পারবে।

চতুর্থ স্তর – আরবি ভাষা শিক্ষার উচ্চ মাধ্যমিক ধাপ (الجزء الرابع)
এই অংশে ভাষার সৌন্দর্য ও সাহিত্যিক রীতি শেখানো হবে। শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ব্যবহার শিখবে। কুরআনের ২০০+ আয়াত এবং ১০০+ এর বেশি হাদীসের অর্থ ও বিশ্লেষণ, প্রচলিত বাক্যরীতি (التعبيرات), প্রবাদ-প্রবচন, এবং প্রশংসা ও নিন্দার বাক্যগঠনশৈলী আয়ত্ত করবে। এর মাধ্যমে তারা আরবিতে নিজস্ব ভাব প্রকাশে প্রাঞ্জলতা অর্জন করবে এবং সাহিত্যিক রচনারীতি বুঝতে সক্ষম হবে।

পঞ্চম স্তর – পূর্ণাঙ্গ ব্যাকরণ বিশ্লেষণ (নাহু ও সরফ) (الجزء الخامس)
এটি আরবি ব্যাকরণের মূল ভিত্তি। এখানে নাহু (বাক্য বিশ্লেষণ ও গঠন) এবং সরফ (শব্দরূপ ও ধাতু বিশ্লেষণ) এর বিস্তারিত আলোচনা ও অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই অংশ ভালোভাবে অনুশীলন করলে শিক্ষার্থীরা ইনশাআল্লাহ নাহু ও সরফের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারবে এবং যেকোনো আরবি বাক্য নির্ভুলভাবে বিশ্লেষণ ও গঠন করা, কুরআন, হাদীস ও আরবি সাহিত্য বুঝতে পারা, এবং শুদ্ধ ও প্রাঞ্জল আরবি লিখতে পারার সক্ষমতা অর্জন করবে।

ষষ্ঠ স্তর – ব্যবহারিক ভাষাদক্ষতা (الجزء السادس)
এটি বইয়ের সবচেয়ে বাস্তবমুখী অংশ। এখানে ভাষার চারটি মৌলিক দক্ষতা — কথোপকথন (محادثة), লিখন (كتابة), পঠন (قراءة) এবং শ্রবণ (استماع) — এর উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এই অংশে অ্যাডভান্স আরবিতে কথা বলার জন্য প্রয়োজনীয় সকল শব্দ, বিষয়ভিত্তিক কথোপকথন, প্রশ্ন করা, উত্তর দেওয়া, দৈনন্দিন জীবনে কথা বলা, বক্তৃতা দেওয়া, উপস্থাপনা করা, জুমার খুতবা দেওয়া ইত্যাদি শেখানো হয়েছে। লেখালেখির বিষয়ে দরখাস্ত, প্রবন্ধ, চিঠি, সিভি, সংবাদ লেখার বিস্তারিত নিয়ম ও উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। পঠন ও শ্রবণ দক্ষতার জন্য কুরআন, হাদীস, আধুনিক আরবি প্রবন্ধ, খবর ও গল্প এবং দৈনন্দিন ব্যবহৃত আরবি পত্রিকা ও সংবাদপত্রের চর্চা অন্তর্ভুক্ত।

উচ্চ মাধ্যমিক আরবি ভাষা কোর্সের ১১নং ক্লাস
About Lesson

📖 নির্দেশনা:
প্রথম পাঠের হোমওয়ার্কের আগ পর্যন্ত সকল আরবি বাক্যের সাথে বাংলা অর্থ এবং বাংলা বাক্যের সাথে তার আরবি অনুবাদ এখানে দেওয়া হলো।
তুমি আগে নিজে পুরো পাঠটি মনোযোগ দিয়ে পড়বে, তারপর মিলিয়ে দেখবে —
তোমার বাংলা অর্থ করা এবং আরবি অনুবাদ করা শুদ্ধ হয়েছে কিনা।
⚠ সতর্কতা:
ভুলেও আগে এই অংশটি পড়বে না — আগে নিজে চেষ্টা করো, পরে মিলিয়ে দেখো।

মাবনী মাজহুল ক্রিয়া (فِعْلٌ مَبْنِيٌّ لِلْمَجْهُولِ)

 

فِعْلٌ مَبْنِيٌّ لِلْمَجْهُولِ (মাবনী মাজহুল ক্রিয়া) হলো এমন একটি ক্রিয়া, যা বাক্যে ব্যবহৃত হয় যখন কাজটি কে করেছে তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় না বা অজানা থাকে। এই ক্ষেত্রে, ক্রিয়ার প্রভাব যে অংশের ওপর পড়ে, সেই অংশটিই বাক্যে প্রধান ভূমিকা পালন করে। এই অংশটিকে نَائِبُ الْفَاعِلِ (নাইব ফায়েল) বলা হয়।

  • উদাহরণ:

    • كَتَبَ الطِّفْلُ الدَّرْسَ (শিশু পাঠটি লিখল)। (এটি فِعْلٌ مَبْنِيٌّ لِلْمَعْلُومِ বা Active Verb)। এখানে আমরা জানি যে الطِّفْلُ (শিশু) লেখার কাজটি করেছে।

    • كُتِبَ الدَّرْسُ (পাঠটি লেখা হয়েছে)। (এটি فِعْلٌ مَبْنِيٌّ لِلْمَجْهُولِ বা Passive Verb)। এখানে আমরা জানি যে الدَّرْسُ (পাঠ) লেখা হয়েছে, কিন্তু লেখক কে তা জানা নেই। এই বাক্যে الدَّرْسُ হলো نَائِبُ الْفَاعِلِ


 

মাবনী মাজহুল (فِعْلٌ مَبْنِيٌّ لِلْمَجْهُولِ) তৈরির পদ্ধতি

 

  1. ফেল-এ-মাযি (فِعْلٌ مَاضٍ) (অতীতকাল):

    • সাধারণ ফেল-এ-মাযি: প্রথম অক্ষরে ضَمَّة (পেশ) যোগ করতে হয় এবং শেষের আগের অক্ষরে كَسْرَة (জের) দিতে হয়।

      • উদাহরণ:

        • قَتَلَ (সে হত্যা করল) → قُتِلَ (তাকে হত্যা করা হলো)।

        • رَسَمَ (সে আঁকল) → رُسِمَ (তা আঁকা হলো)।

    • আযওয়াফ (أَجْوَفْ) (মাঝখানে আলিফ, ওয়াও বা ইয়া আছে এমন ক্রিয়া): প্রথম অক্ষরে كَسْرَة (জের) দিতে হয় এবং শেষের আগের হরফকে يَاء দ্বারা পরিবর্তন করতে হয়।

      • উদাহরণ:

        • نَالَ (সে অর্জন করল) → نِيلَ (তা অর্জিত হলো)।

        • قَامَ (সে দাঁড়াল) → قِيمَ (তাকে দাঁড় করানো হলো)।

  2. ফেল-এ-মুযারি (فِعْلٌ مُضَارِعٌ) (বর্তমানকাল):

    • সাধারণ ফেল-এ-মুযারি: শুরুতে ضَمَّة (পেশ) যোগ করতে হয় এবং শেষের আগের অক্ষরে فَتْحَة (জবর) দিতে হয়।

      • উদাহরণ:

        • يَشْرَبُ (সে পান করে) → يُشْرَبُ (তা পান করা হয়)।

        • يَكْتُبُ (সে লেখে) → يُكْتَبُ (তা লেখা হয়)।

    • আযওয়াফ (أَجْوَفْ) (মাঝখানে আলিফ, ওয়াও বা ইয়া আছে এমন ক্রিয়া): প্রথম অক্ষরে ضَمَّة (পেশ) দিতে হয় এবং শেষের আগের হরফকে أَلِف দ্বারা পরিবর্তন করতে হয়।

      • উদাহরণ:

        • يَقُولُ (সে বলে) → يُقَالُ (তা বলা হয়)।

        • يَعُولُ (সে রক্ষণাবেক্ষণ করে) → يُعَالُ (তাকে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়)।


 

নাইব ফায়েল (نَائِبُ الْفَاعِلِ)

 

নিয়ম: نَائِبُ الْفَاعِلِ হলো সেই শব্দ, যা فِعْلٌ مَبْنِيٌّ لِلْمَجْهُولِ-এর পরে আসে এবং فَاعِلٌ (কর্তা)-এর জায়গা দখল করে। এটি فَاعِلٌ-এর মতোই ضَمَّة (পেশ) যুক্ত হয়।

  • উদাহরণ:

    • كُتِبَ الدَّرْسُ فِي الْفَصْلِ (পাঠটি শ্রেণীকক্ষে লেখা হয়েছে)।

    • এখানে الدَّرْسُ হলো نَائِبُ الْفَاعِلِ


 

অতিরিক্ত উদাহরণের অর্থ

 

  • شُرِبَ الْمَاءُ مِنَ الْكَأْسِ (পানি গ্লাস থেকে পান করা হয়েছে)।

  • فُتِحَ الْبَابُ بِسُرْعَةٍ (দরজাটি দ্রুত খোলা হয়েছে)।

  • جُمِعَ الْأَوْرَاقُ عَلَى الطَّاوِلَةِ (কাগজগুলো টেবিলের ওপর জমা করা হয়েছে)।

  • قُتِلَ الْعَدُوُّ فِي الْمَعْرَكَةِ (শত্রুকে যুদ্ধে হত্যা করা হয়েছে)।

  • غُسِلَ الثَّوْبُ بِالْمَاءِ (কাপড়টি পানি দিয়ে ধোয়া হয়েছে)।

  • طُبِخَ الطَّعَامُ فِي الْمَطْبَخِ (খাবার রান্নাঘরে রান্না করা হয়েছে)।

  • رُتِّبَ الْفَصْلُ بِعِنَايَةٍ (শ্রেণীকক্ষটি যত্নসহকারে গোছানো হয়েছে)।

  • عُمِلَ الْوَاجِبُ فِي الْوَقْتِ (সময়মতো বাড়ির কাজ করা হয়েছে)।

  • شُهِرَ الْكِتَابُ بَيْنَ الطُّلَّابِ (বইটি ছাত্রদের মাঝে বিখ্যাত হয়েছে)।

  • وُزِّعَ الطَّعَامُ عَلَى الْفُقَرَاءِ (খাবার দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে)।

  • قُرِئَ الْكِتَابُ فِي الْمَكْتَبَةِ (বইটি লাইব্রেরিতে পড়া হয়েছে)।

  • سُمِعَ النَّشِيدُ فِي الْمَدْرَسَةِ (গানটি স্কুলে শোনা হয়েছে)।

  • كُسِرَ الزُّجَاجُ أَثْنَاءَ اللَّعِبِ (খেলার সময় কাঁচ ভেঙে গেছে)।

  • نُقِلَ الْمَرِيضُ إِلَى الْمُسْتَشْفَى (রোগীকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে)।


 

মূল পাঠের অর্থ

 

كَانَ عُمَرُ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ غُلَامًا صَغِيرًا وَكَانَ مَعَ أُمِّهِ أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، وَكَانَتْ أُمُّ سَلَمَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم. وَكَانَ عُمَرُ يَأْكُلُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم كَمَا يَأْكُلُ الْوَلَدُ الصَّغِيرُ مَعَ أَبِيهِ، وَكَمَا تَأْكُلُ أَنْتَ مَعَ أَبِيكَ وَأُمِّكَ وَكَانَ عُمَرُ غُلَامًا يَتِيمًا مَاتَ أَبُوهُ وَهُوَ صَغِيرٌ فَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُحِبُّهُ وَيُعَلِّمُهُ الْأَدَبَ. فَكَانَ يَأْكُلُ مَرَّةً مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ يَأْكُلُ مِنْ هُنَا وَهُنَا كَمَا يَأْكُلُ كَثِيرٌ مِنَ الْأَوْلَادِ فَعَلَّمَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم. وَهَكَذَا يَنْبَغِي أَنْ يَأْكُلَ الْمُسْلِمُ، فَيُسَمِّي اللَّهَ وَيَأْكُلُ بِيَمِينِهِ وَيَأْكُلُ مِمَّا يَلِيْهِ. وَهَكَذَا عَلَّمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أُمَّتَهُ أَدَبَ الْأَكْلِ وَالشُّرْبِ وَأَدَبَ كُلِّ شَيْءٍ، وَعَنْ حُذَيْفَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَانَا عَنِ الْحَرِيرِ … وَالشَّرْبِ فِي آنِيَةِ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ، وَقَالَ: هِيَ لَهُمْ فِي الدُّنْيَا وَهِيَ لَكُمْ فِي الْآخِرَةِ

(ওমর ইবনে আবি সালামা (রা.) একজন ছোট বালক ছিলেন এবং তিনি তাঁর মা উম্মে সালামা (রা.)-এর সাথে ছিলেন। উম্মে সালামা (রা.) ছিলেন নবী (সা.)-এর স্ত্রী। ওমর নবী (সা.)-এর সাথে খাবার খেতেন, যেমন একটি ছোট ছেলে তার বাবার সাথে খায়, আর যেমন তুমি তোমার বাবা-মায়ের সাথে খাও। ওমর একজন ইয়াতিম বালক ছিলেন, তাঁর বাবা ছোটবেলায়ই মারা গিয়েছিলেন। তাই নবী (সা.) তাকে ভালোবাসতেন এবং তাকে আদব-কায়দা শেখাতেন। একবার তিনি নবী (সা.)-এর সাথে খাবার খাচ্ছিলেন, আর তিনি এখান থেকে এবং ওখান থেকে খাচ্ছিলেন, যেমন অনেক ছেলে করে থাকে। তখন নবী (সা.) তাকে শিক্ষা দিলেন। এভাবেই একজন মুসলিমের খাবার খাওয়া উচিত: আল্লাহর নাম নিয়ে, ডান হাত দিয়ে এবং নিজের সামনে থেকে। এভাবেই নবী (সা.) তাঁর উম্মতকে খাওয়া-পরা ও সবকিছুর আদব শিক্ষা দিয়েছেন। হুযাইফা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন: নবী (সা.) আমাদেরকে রেশম…এবং সোনা ও রুপার পাত্রে পান করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন: সেগুলো তাদের (কাফেরদের) জন্য দুনিয়াতে, আর তোমাদের জন্য আখিরাতে।)


 

প্রশ্নের উত্তর দাও

 

  • كَيْفَ كَانَ عُمَرُ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ عِنْدَمَا كَانَ صَغِيرًا؟ (ওমর ইবনে আবি সালামা ছোটবেলায় কেমন ছিলেন?)

    • كَانَ غُلَامًا صَغِيرًا يَتِيمًا (তিনি একজন ছোট ইয়াতিম বালক ছিলেন)।

  • مَعَ مَنْ كَانَ عُمَرُ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ؟ (ওমর ইবনে আবি সালামা কার সাথে ছিলেন?)

    • كَانَ مَعَ أُمِّهِ أُمِّ سَلَمَةَ (তিনি তাঁর মা উম্মে সালামা (রা.)-এর সাথে ছিলেন)।

  • مَنْ كَانَتْ أُمُّ سَلَمَةَ؟ (উম্মে সালামা কে ছিলেন?)

    • كَانَتْ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم (তিনি নবী (সা.)-এর স্ত্রী ছিলেন)।

  • كَيْفَ كَانَ عُمَرُ يَأْكُلُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم؟ (ওমর (রা.) কীভাবে নবী (সা.)-এর সাথে খেতেন?)

    • كَانَ يَأْكُلُ كَمَا يَأْكُلُ الْوَلَدُ الصَّغِيرُ مَعَ أَبِيهِ (তিনি এমনভাবে খেতেন যেমন একজন ছোট ছেলে তার বাবার সাথে খায়)।

  • كَيْفَ كَانَ يَأْكُلُ عُمَرُ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ؟ (ওমর ইবনে আবি সালামা কীভাবে খেতেন?)

    • كَانَ يَأْكُلُ بِيَدِهِ مِنَ هُنَا وَهُنَا (তিনি এখান থেকে এবং ওখান থেকে হাত দিয়ে খেতেন)।

  • مَنْ كَانَ يُحِبُّ عُمَرَ بْنَ أَبِي سَلَمَةَ؟ (ওমর ইবনে আবি সালামাকে কে ভালোবাসতেন?)

    • كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُحِبُّهُ (নবী (সা.) তাকে ভালোবাসতেন)।

  • مَاذَا كَانَ يُعَلِّمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عُمَرَ بْنَ أَبِي سَلَمَةَ؟ (নবী (সা.) ওমর ইবনে আবি সালামাকে কী শিক্ষা দিতেন?)

    • كَانَ يُعَلِّمُهُ الْأَدَبَ، خَاصَّةً أَدَبَ الْأَكْلِ (তিনি তাকে আদব-কায়দা শেখাতেন, বিশেষ করে খাওয়ার আদব)।

  • مَا الَّذِي عَلَّمَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِعُمَرَ فِي الْأَكْلِ؟ (নবী (সা.) খাওয়ার ব্যাপারে ওমরকে কী শিক্ষা দিয়েছিলেন?)

    • قَالَ لَهُ: “يَا غُلَامُ، سَمِّ اللَّهَ، وَكُلْ بِيَمِينِكَ، وَكُلْ مِمَّا يَلِيْكَ” (তাকে বলেছিলেন: “হে বালক! আল্লাহর নাম নাও, ডান হাত দিয়ে খাও এবং নিজের সামনে থেকে খাও।”)

  • كَيْفَ يَجِبُ عَلَى الْمُسْلِمِ أَنْ يَأْكُلَ؟ (একজন মুসলিমের কীভাবে খাওয়া উচিত?)

    • يَجِبُ أَنْ يُسَمِّيَ اللَّهَ وَيَأْكُلَ بِيَمِينِهِ وَيَأْكُلَ مِمَّا يَلِيْهِ (আল্লাহর নাম নিয়ে, ডান হাত দিয়ে এবং নিজের সামনে থেকে খাওয়া উচিত)।

  • مَاذَا كَانَ يَفْعَلُ الْمُسْلِمُ قَبْلَ الْأَكْلِ؟ (খাওয়ার আগে মুসলিম কী করত?)

    • كَانَ يُسَمِّي اللَّهَ قَبْلَ الْأَكْلِ (খাওয়ার আগে আল্লাহর নাম নিত)।


 

المحاورة بين خالد وعبيد عن عمر بن أبي سلمة (খালিদ ও উবাইদের মধ্যে ওমর ইবনে আবি সালামা সম্পর্কে কথোপকথন)

 

خَالِدٌ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، كَيْفَ حَالُكَ يَا عُبَيْدُ؟ (খালিদ: আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু, হে উবাইদ তুমি কেমন আছো?)

عُبَيْدٌ: وَعَلَيْكُمُ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، أَنَا بِخَيْرٍ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَكَيْفَ حَالُكَ أَنْتَ؟ (উবাইদ: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু, আমি ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ, আর তুমি কেমন আছো?)

خَالِدٌ: أَنَا بِخَيْرٍ أَيْضًا، الْحَمْدُ لِلَّهِ. سَمِعْتُ عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، فَكَيْفَ كَانَ عِنْدَمَا كَانَ صَغِيرًا؟ (খালিদ: আমিও ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আমি ওমর ইবনে আবি সালামা সম্পর্কে শুনেছি, ছোটবেলায় তিনি কেমন ছিলেন?)

عُبَيْدٌ: كَانَ عُمَرُ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ غُلَامًا صَغِيرًا يَعِيشُ فِي بَيْتِ النَّبِيِّ ﷺ (উবাইদ: ওমর ইবনে আবি সালামা একজন ছোট বালক ছিলেন, যিনি নবী (সা.)-এর বাড়িতে থাকতেন)।

خَالِدٌ: وَمَعَ مَنْ كَانَ عُمَرُ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ؟ (খালিদ: আর ওমর ইবনে আবি সালামা কার সাথে ছিলেন?)

عُبَيْدٌ: كَانَ مَعَ أُمِّهِ أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، الَّتِي كَانَتْ زَوْجَةَ النَّبِيِّ ﷺ (উবাইদ: তিনি তাঁর মা উম্মে সালামা (রা.)-এর সাথে ছিলেন, যিনি নবী (সা.)-এর স্ত্রী ছিলেন)।

خَالِدٌ: وَكَيْفَ كَانَ يَأْكُلُ عُمَرُ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ؟ (খালিদ: আর ওমর ইবনে আবি সালামা কীভাবে খেতেন?)

عُبَيْدٌ: كَانَ يَأْكُلُ بِيَدِهِ مِنْ كُلِّ مَكَانٍ مِنَ الطَّبَقِ، دُونَ أَدَبٍ (উবাইদ: তিনি পাত্রের সব জায়গা থেকে হাত দিয়ে খেতেন, আদব ছাড়া)।

خَالِدٌ: وَمَنْ كَانَ يُحِبُّ عُمَرَ بْنَ أَبِي سَلَمَةَ؟ (খালিদ: আর ওমর ইবনে আবি সালামাকে কে ভালোবাসতেন?)

عُبَيْدٌ: كَانَ النَّبِيُّ ﷺ يُحِبُّهُ كَثِيرًا، لِأَنَّهُ كَانَ يَعِيشُ مَعَهُ وَكَانَ ابْنَ زَوْجَتِهِ (উবাইদ: নবী (সা.) তাকে খুব ভালোবাসতেন, কারণ তিনি তাঁর সাথে থাকতেন এবং তাঁর স্ত্রীর ছেলে ছিলেন)।

خَالِدٌ: وَمَاذَا كَانَ يُعَلِّمُ النَّبِيُّ ﷺ عُمَرَ بْنَ أَبِي سَلَمَةَ؟ (খালিদ: আর নবী (সা.) ওমর ইবনে আবি সালামাকে কী শিক্ষা দিতেন?)

عُبَيْدٌ: كَانَ النَّبِيُّ ﷺ يُعَلِّمُهُ الْآدَابَ الْإِسْلَامِيَّةَ، وَخَاصَّةً آدَابَ الطَّعَامِ (উবাইদ: নবী (সা.) তাকে ইসলামী আদব-কায়দা শেখাতেন, বিশেষ করে খাওয়ার আদব)।

خَالِدٌ: وَمَا الَّذِي عَلَّمَهُ النَّبِيُّ ﷺ عُمَرَ فِي الْأَكْلِ؟ (খালিদ: আর খাওয়ার ব্যাপারে নবী (সা.) ওমরকে কী শিক্ষা দিয়েছিলেন?)

عُبَيْدٌ: قَالَ لَهُ النَّبِيُّ ﷺ: “يَا غُلَامُ، سَمِّ اللَّهَ، وَكُلْ بِيَمِينِكَ، وَكُلْ مِمَّا يَلِيكَ” (উবাইদ: নবী (সা.) তাকে বলেছিলেন: “হে বালক! আল্লাহর নাম নাও, ডান হাত দিয়ে খাও এবং নিজের সামনে থেকে খাও”)।

خَالِدٌ: وَكَيْفَ يَجِبُ عَلَى الْمُسْلِمِ أَنْ يَأْكُلَ؟ (খালিদ: আর একজন মুসলিমের কীভাবে খাওয়া উচিত?)

عُبَيْدٌ: يَجِبُ عَلَى الْمُسْلِمِ أَنْ يُسَمِّيَ اللَّهَ قَبْلَ الْأَكْلِ، وَأَنْ يَأْكُلَ بِيَدِهِ الْيُمْنَى، وَأَنْ يَأْكُلَ مِمَّا يَلِيهِ (উবাইদ: মুসলিমের উচিত খাওয়ার আগে আল্লাহর নাম নেওয়া, ডান হাত দিয়ে খাওয়া এবং নিজের সামনে থেকে খাওয়া)।

خَالِدٌ: جَزَاكَ اللَّهُ خَيْرًا يَا عُبَيْدُ (খালিদ: আল্লাহ তোমাকে উত্তম প্রতিদান দিন, হে উবাইদ)।

عُبَيْدٌ: وَأَنَا أَيْضًا يَا خَالِدُ، بَارَكَ اللَّهُ فِيكَ. إِلَى اللِّقَاءِ (উবাইদ: আর তোমাকেও, হে খালিদ, আল্লাহ তোমাকে বরকত দিন। বিদায়)।

خَالِدٌ: إِلَى اللِّقَاءِ، فِي أَمَانِ اللَّهِ (খালিদ: বিদায়, আল্লাহর হেফাজতে)।


 

السَّهَرُ خَارِجَ الْبَيْتِ (বাড়ির বাইরে রাত কাটানো)

 

نَاصِرٌ: أُرِيدُ أَنْ أَتْرُكَ زَوْجَتِي (নাসের: আমি আমার স্ত্রীকে তালাক দিতে চাই)।

فَيْصَلٌ: لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ. مَاذَا هُنَاكَ؟ (ফয়সাল: আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কোনো উপায় ও শক্তি নেই। কী হয়েছে?)

نَاصِرٌ: لَا أُحِبُّهَا (নাসের: আমি তাকে ভালোবাসি না)।

فَيْصَلٌ: لَا تُحِبُّهَا! كَيْفَ عِشْتَ مَعَهَا كُلَّ هَذِهِ السَّنَوَاتِ! (ফয়সাল: তুমি তাকে ভালোবাসো না! এতগুলো বছর তুমি তার সাথে কীভাবে কাটিয়েছ!)

نَاصِرٌ: لَا أَدْرِي … لَا أَدْرِي … لَا أُحِبُّهَا (নাসের: আমি জানি না…আমি জানি না…আমি তাকে ভালোবাসি না)।

فَيْصَلٌ: كُنْتَ تَقُولُ دَائِمًا: إِنَّهَا زَوْجَةٌ طَيِّبَةٌ، وَمُؤَدَّبَةٌ. مَاذَا حَدَثَ؟ (ফয়সাল: তুমি তো সবসময় বলতে: সে একজন ভালো ও ভদ্র স্ত্রী। কী হয়েছে?)

نَاصِرٌ: كُنْتُ أُحِبُّهَا فِعْلًا، وَلَكِنَّهَا تَغَيَّرَتْ كَثِيرًا (নাসের: আমি তাকে সত্যিই ভালোবাসতাম, কিন্তু সে অনেক বদলে গেছে)।

فَيْصَلٌ: هَلْ تَكَلَّمْتَ مَعَهَا فِي هَذَا الْأَمْرِ؟ (ফয়সাল: তুমি কি এই বিষয়ে তার সাথে কথা বলেছ?)

نَاصِرٌ: تَكَلَّمْتُ مَعَهَا كَثِيرًا، وَلَكِنَّهَا عَنِيدَةٌ (নাসের: আমি তার সাথে অনেক কথা বলেছি, কিন্তু সে জেদি)।

فَيْصَلٌ: هَلْ تَغَيَّرْتَ أَنْتَ؟ (ফয়সাল: তুমি কি বদলে গেছো?)

نَاصِرٌ: نَعَمْ، أَسْهَرُ كَثِيرًا خَارِجَ الْبَيْتِ (নাসের: হ্যাঁ, আমি বাড়ির বাইরে অনেক রাত কাটাই)।

فَيْصَلٌ: قَدْ يَكُونُ هَذَا هُوَ السَّبَبُ. لَا تَسْهَرْ خَارِجَ الْبَيْتِ (ফয়সাল: সম্ভবত এটাই কারণ। তুমি বাড়ির বাইরে রাত কাটিও না)।

نَاصِرٌ: سَأَفْعَلُ ذَلِكَ (নাসের: আমি তাই করব)।

فَيْصَلٌ: إِذَنْ سَتَهْتَمُّ زَوْجَتُكَ بِكَ وَبِبَيْتِهَا، بِإِذْنِ اللَّهِ (ফয়সাল: তাহলে তোমার স্ত্রী তোমার এবং তার বাড়ির প্রতি যত্নশীল হবে, ইনশাআল্লাহ)।


 

উপরের ছবির আলোকে কথোপকথন

 

سَلِيمٌ: مَاذَا تَفْعَلُ يَا أَحْمَدُ؟ (সলীম: তুমি কী করছ, হে আহমেদ?)

أَحْمَدُ: أَنَا أَقْرَأُ كِتَابًا فِي الْمَكْتَبَةِ (আহমেদ: আমি লাইব্রেরিতে একটি বই পড়ছি)।

سَلِيمٌ: هَلْ تَجِدُ الْكِتَابَ الَّذِي تُرِيدُهُ؟ (সলীম: তুমি কি তোমার প্রয়োজনীয় বইটি পেয়েছ?)

أَحْمَدُ: نَعَمْ، هَذَا الْكِتَابُ مُفِيدٌ جِدًّا (আহমেদ: হ্যাঁ, এই বইটি খুব উপকারী)।

سَلِيمٌ: مَا شَاءَ اللَّهُ، الْقِرَاءَةُ هِوَايَةٌ رَائِعَةٌ (সলীম: মাশাআল্লাহ, পড়া একটি চমৎকার শখ)।

أَحْمَدُ: نَعَمْ، الْقِرَاءَةُ تَزِيدُ الْمَعْرِفَةَ وَتُوَسِّعُ الْأُفُقَ (আহমেদ: হ্যাঁ, পড়া জ্ঞান বৃদ্ধি করে এবং দিগন্ত প্রসারিত করে)।


 

হাদীসের অর্থ করো

 

(১৭) عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ كَعْبٍ خَادِمِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: كُنْتُ أَبِيتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ   فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: سَلْنِي فَقُلْتُ: أَسْأَلُكَ مُرَافَقَتَكَ فِي الْجَنَّةِ فَقَالَ: أَوَ غَيْرُ ذَلِكَ؟ قُلْتُ هُوَ ذَاكَ، قَالَ: فَأَعِنِّي عَلَى نَفْسِكَ بِكَثْرَةِ السُّجُودِ (রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর খাদেম রাবীআ ইবনে কা’ব (রা.) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাথে রাত কাটাতাম। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন: আমার কাছে কিছু চাও। আমি বললাম: আমি জান্নাতে আপনার সাথীত্ব চাই। তিনি বললেন: এর বাইরে অন্য কিছু? আমি বললাম: এটাই। তিনি বললেন: তাহলে তুমি বেশি বেশি সিজদা করে আমাকে তোমার নিজের ব্যাপারে সাহায্য করো)।

(১৮) عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ صَلَّى الْبَرْدَيْنِ دَخَلَ الْجَنَّةَ. (الْبَرْدَانِ: الصُّبْحُ وَالْعَصْرُ) (আবু মূসা আশ‘আরি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যে ব্যক্তি দুই শীতল সময়ে সালাত আদায় করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। দুই শীতল সময় হলো: ফজরের সালাত ও আসরের সালাত)।

(১৯) عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا عَبْدَ اللَّهِ: لَا تَكُنْ مِثْلَ فُلَانٍ كَانَ يَقُومُ اللَّيْلَ فَتَرَكَ قِيَامَ اللَّيْلِ (আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাকে বলেছেন: হে আবদুল্লাহ! তুমি অমুকের মতো হয়ো না, যে রাতে সালাত আদায় করত, কিন্তু পরে রাতের সালাত ছেড়ে দিয়েছে)।

(২০) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: كُلُّ أُمَّتِي يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ إِلَّا مَنْ أَبَى. قَالُوا: وَمَنْ يَأْبَى يَا رَسُولَ اللَّهِ؛ قَالَ: مَنْ أَطَاعَنِي دَخَلَ الْجَنَّةَ وَمَنْ عَصَانِي فَقَدْ أَبَى. (رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ) (আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আমার সমস্ত উম্মত জান্নাতে প্রবেশ করবে, তবে যে অস্বীকার করবে সে নয়। তারা বললেন: হে আল্লাহর রাসূল! কে অস্বীকার করবে? তিনি বললেন: যে আমার আনুগত্য করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে আমার অবাধ্য হবে, সে-ই অস্বীকার করবে)।

(২১) عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى يُحِبَّ لِأَخِيهِ مَا يُحِبُّ لِنَفْسِهِ (আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন: তোমাদের কেউ মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য তাই ভালোবাসে, যা সে নিজের জন্য ভালোবাসে)।

(২৩) سُئِلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَيُّ الْجِهَادِ أَفْضَلُ؟ قَالَ: كَلِمَةُ حَقٍّ عِنْدَ سُلْطَانٍ جَائِرٍ (ظَالِمٍ) (নবী (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল: কোন জিহাদ সর্বোত্তম? তিনি বললেন: জালিম শাসকের সামনে সত্য কথা বলা)।

(২৪) عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ لَا يَرْحَمُ النَّاسَ لَا يَرْحَمْهُ اللَّهُ (জারীর ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যে মানুষকে দয়া করে না, আল্লাহ তাকে দয়া করেন না)।

(২৫) عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: انْصُرْ أَخَاكَ ظَالِمًا أَوْ مَظْلُومًا، فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ: أَنْصُرُهُ إِذَا كَانَ مَظْلُومًا، أَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ ظَالِمًا، كَيْفَ أَنْصُرُهُ؟ قَالَ: تَمْنَعُهُ مِنَ الظُّلْمِ، فَإِنَّ ذَلِكَ نَصْرُهُ (আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: তোমার ভাইকে সাহায্য করো, সে জালিম হোক বা মাজলুম হোক। এক ব্যক্তি বলল: হে আল্লাহর রাসূল! মাজলুম হলে আমি তাকে সাহায্য করব। কিন্তু জালিম হলে আমি তাকে কীভাবে সাহায্য করব? তিনি বললেন: তুমি তাকে জুলুম করা থেকে বিরত রাখবে। এটাই তাকে সাহায্য করা)।

(২৬) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا يَسْتُرُ عَبْدٌ عَبْدًا فِي الدُّنْيَا إِلَّا سَتَرَهُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ (رَوَاهُ مُسْلِمٌ) (আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন: কোনো বান্দা যদি দুনিয়াতে অন্য কোনো বান্দার দোষ ঢেকে রাখে, তাহলে আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ ঢেকে রাখবেন)।

(২৭) عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: سَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَيُّ الْعَمَلِ أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى؟ قَالَ: الصَّلَاةُ عَلَى وَقْتِهَا، قُلْتُ: ثُمَّ أَيُّ؟ قَالَ: بِرُّ الْوَالِدَيْنِ. قُلْتُ: ثُمَّ أَيُّ؟ قَالَ: الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ (আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি নবী (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করলাম: আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল কোনটি? তিনি বললেন: সময়মতো সালাত আদায় করা। আমি বললাম: তারপর কোনটি? তিনি বললেন: বাবা-মায়ের সাথে সদ্ব্যবহার করা। আমি বললাম: তারপর কোনটি? তিনি বললেন: আল্লাহর পথে জিহাদ করা)।

(২৮) قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَيْسَ مِنَّا مَنْ لَمْ يَرْحَمْ صَغِيرَنَا وَلَمْ يَعْرِفْ شَرَفَ كَبِيرِنَا (রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যে আমাদের ছোটদের প্রতি দয়া করে না এবং আমাদের বড়দের সম্মান জানে না, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়)।


 

হোমওয়ার্ক করো

 

📝 ০1. হাদীসের অর্থ লেখো

(২৯) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: أَلَا إِنَّ سِلْعَةَ اللَّهِ غَالِيَةٌ أَلَا إِنَّ سِلْعَةَ اللَّهِ الْجَنَّةُ. (رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ) (আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: জেনে রাখো, আল্লাহর পণ্য মূল্যবান। জেনে রাখো, আল্লাহর পণ্য হলো জান্নাত)।

(৩০) عَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ لِلَّهِ تَعَالَى مِائَةَ رَحْمَةٍ، فَمِنْهَا رَحْمَةٌ يَتَرَاحَمُ بِهَا الْخَلْقُ بَيْنَهُمْ، وَتِسْعٌ وَتِسْعُونَ لِيَوْمِ الْقِيَامَةِ (সালমান আল-ফারসি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আল্লাহর একশটি রহমত রয়েছে। তার মধ্যে একটি রহমত দিয়ে সৃষ্টিকুল একে অপরের প্রতি দয়া করে, আর নিরানব্বইটি কিয়ামতের দিনের জন্য)।

(৩১) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ لَمْ تُذْنِبُوا لَذَهَبَ اللَّهُ بِكُمْ وَلَجَاءَ بِقَوْمٍ يُذْنِبُونَ فَيَسْتَغْفِرُونَ اللَّهَ تَعَالَى فَيَغْفِرُ لَهُمْ (আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যার হাতে আমার প্রাণ, তার কসম, যদি তোমরা গুনাহ না করতে, তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে সরিয়ে দিতেন এবং এমন এক সম্প্রদায়কে নিয়ে আসতেন যারা গুনাহ করবে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে, আর তিনি তাদের ক্ষমা করে দেবেন)।

(৩২) عَنْ أَبِي أَيُّوبَ خَالِدِ بْنِ زَيْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: لَوْلَا أَنَّكُمْ تُذْنِبُونَ، لَخَلَقَ اللَّهُ خَلْقًا يُذْنِبُونَ فَيَسْتَغْفِرُونَ فَيَغْفِرُ لَهُمْ (আবু আইয়ুব খালিদ ইবনে যায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি: যদি তোমরা গুনাহ না করতে, তাহলে আল্লাহ এমন এক সৃষ্টিকে তৈরি করতেন যারা গুনাহ করবে, অতঃপর ক্ষমা চাইবে, আর তিনি তাদের ক্ষমা করে দেবেন)।

(৩৩) عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ أَمَرَنِي أَنْ أَقْرَأَ عَلَيْكَ لَمْ يَكُنِ الَّذِينَ كَفَرُوا. قَالَ: أَوَ سَمَّانِي (رَبِّي)؟ قَالَ: نَعَمْ فَبَكَى أُبَيٌّ (আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা.) উবাই ইবনে কা’ব (রা.)-কে বললেন: আল্লাহ আমাকে আদেশ করেছেন যে, আমি তোমাকে ‘লাম ইয়াকুনিল্লাযীনা কাফারু’ (সূরা বাইয়্যিনাহ) তেলাওয়াত করে শোনাই। তিনি বললেন: আমার রব কি আমার নাম উল্লেখ করেছেন? তিনি বললেন: হ্যাঁ। তখন উবাই (রা.) কেঁদে ফেললেন)।

(৩৪) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الدُّنْيَا سِجْنُ الْمُؤْمِنِ وَجَنَّةُ الْكَافِرِ (আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: দুনিয়া মু’মিনের জন্য কারাগার এবং কাফিরের জন্য জান্নাত)।

(৩৫) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: الدُّنْيَا مَلْعُونَةٌ. مَلْعُونٌ مَا فِيهَا إِلَّا ذِكْرَ اللَّهِ …. وَعَالِمًا وَمُتَعَلِّمًا. (رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ) (আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি: দুনিয়া অভিশপ্ত। দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে তার সবই অভিশপ্ত, তবে আল্লাহর স্মরণ… এবং আলেম ও শিক্ষার্থী ছাড়া)।

(৩৬) عَنْ كَعْبِ بْنِ عِيَاضٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: إِنَّ لِكُلِّ أُمَّةٍ فِتْنَةً وَفِتْنَةُ أُمَّتِي الْمَالُ. (رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ) (কা’ব ইবনে ইয়ায (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি: নিশ্চয় প্রত্যেক উম্মতের জন্য একটি ফিতনা (পরীক্ষা) রয়েছে, আর আমার উম্মতের ফিতনা হলো সম্পদ)।

(৩৭) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَدْخُلُ الْفُقَرَاءُ الْجَنَّةَ قَبْلَ الْأَغْنِيَاءِ بِخَمْسِمِائَةِ عَامٍ (আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: দরিদ্ররা ধনীদের পাঁচশ বছর আগে জান্নাতে প্রবেশ করবে)।


📝 ০2. আরবি করো ও লেখো

كَانَ عُصْفُورٌ صَغِيرٌ يَجْلِسُ عَلَى غُصْنِ شَجَرَةٍ. كَانَتِ السَّمَاءُ تَبْدُو لَهُ كَبِيرَةً جِدًّا. كَانَ يَعْلَمُ أَنَّهُ فِي يَوْمٍ مِنَ الْأَيَّامِ سَيَطِيرُ. وَلَكِنَّهُ كَانَ خَائِفًا. قَالَتْ لَهُ أُمُّهُ لِتُشَجِّعَهُ: “إِذَا كَانَتْ لَدَيْكَ شَجَاعَةٌ، فَكُلُّ شَيْءٍ مُمكنٌ”. (একটি ছোট পাখি গাছের ডালে বসে ছিল। তার কাছে আকাশ অনেক বড় মনে হচ্ছিল। সে জানত, একদিন তাকে উড়তে হবে। কিন্তু সে ভয় পাচ্ছিল। পাখির মা তাকে সাহস দিয়ে বলল, “তুমি যদি সাহস করো, তাহলে সব কিছুই সম্ভব।”) بَعْدَ سَمَاعِ كَلَامِ أُمِّهِ، بَدَأَ الْعُصْفُورُ فِي الطَّيَرَانِ. فَرِحَ الْعُصْفُورُ وَهُوَ يَطِيرُ فِي السَّمَاءِ. فَهِمَ أَنَّهُ إِذَا كَانَتْ لَدَيْهِ شَجَاعَةٌ، فَبِإِمْكَانِهِ التَّغَلُّبُ عَلَى الْخَوْفِ. (মা-র কথা শুনে পাখি উড়তে শুরু করল। আকাশে উড়ে পাখি আনন্দিত হলো। সে বুঝল, সাহস থাকলে ভয়কে জয় করা সম্ভব।) فِي يَوْمٍ مِنَ الْأَيَّامِ جَاءَ صَيَّادٌ إِلَى الْغَابَةِ، فَرَأَى مِنْ بَعِيدٍ نَمِرًا ضَخْمًا. فَفَكَّرَ أَنَّهُ الْيَوْمَ سَيَصْطَادُ نَمِرًا، وَلَكِنْ عِنْدَمَا اقْتَرَبَ، قَتَلَهُ النَّمِرُ. (একদিন এক শিকারি বনে আসলো, তখন দূর থেকে দেখতে পেল এক বিশাল বাঘ। সে ভাবল যে, আজ আমি বাঘ শিকার করব কিন্তু যখন সে কাছে গেল তখন বাঘ তাকে মেরে ফেলল।)।