📖 নির্দেশনা:
প্রথম পাঠের হোমওয়ার্কের আগ পর্যন্ত সকল আরবি বাক্যের সাথে বাংলা অর্থ এবং বাংলা বাক্যের সাথে তার আরবি অনুবাদ এখানে দেওয়া হলো।
তুমি আগে নিজে পুরো পাঠটি মনোযোগ দিয়ে পড়বে, তারপর মিলিয়ে দেখবে —
তোমার বাংলা অর্থ করা এবং আরবি অনুবাদ করা শুদ্ধ হয়েছে কিনা।
⚠ সতর্কতা:
ভুলেও আগে এই অংশটি পড়বে না — আগে নিজে চেষ্টা করো, পরে মিলিয়ে দেখো।
বদলের প্রকারভেদ (بدل)
বদলের (بدل) অর্থ হলো এমন একটি শব্দ, যা পূর্ববর্তী শব্দ (مبدل منه) (মুবদাল মিনহু)-কে স্পষ্ট করে তোলে। এটি কোনো জিনিস বা ব্যক্তিকে বোঝায় (يشير إلى شيء أو شخص) এবং একে অপরের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়। এখানে البدل (বাদাল) এবং المبدل منه (মুবদাল মিনহু) উভয়ই একই বস্তু বা ব্যক্তিকে নির্দেশ করে (يدل على نفس الشيء أو الشخص)। এই কাঠামোটি বাক্যকে আরও স্পষ্ট এবং প্রাঞ্জল করে তোলে। যেমন جَاءَ الْأُسْتَاذُ مُحَمَّدٌ (শিক্ষক মুহাম্মদ আসলেন)। এখানে الْأُسْتَاذُ (শিক্ষক) যিনি, তিনিই হচ্ছেন مُحَمَّدٌ (মুহাম্মদ), অর্থাৎ একই ব্যক্তি।
বদলে কুল্ল মিনাল কুল্ল (بدل الكل من الكل)-এর বৈশিষ্ট্য:
-
البدل (বাদাল) এবং المبدل منه (মুবদাল মিনহু) উভয়ই একই জিনিস বা ব্যক্তিকে বোঝায় (يشير إلى نفس الشيء أو الشخص)।
-
البدل (বাদাল) সর্বদা المبدل منه (মুবদাল মিনহু)-এর পরে আসে।
-
البدل (বাদাল) এবং المبدل منه (মুবদাল মিনহু) উভয়ই একই ইরাব (حركة) (হারাকাহ) অনুসরণ করে।
উদাহরণ এবং তার অর্থ
-
قَابَلْتُ الطَّالِبَ أَحْمَدَ (আমি ছাত্র আহমদের সাথে দেখা করেছি)।
-
قَرَأْتُ الْكِتَابَ الْقُرْآنَ (আমি কুরআন নামক বইটি পড়েছি)।
-
زُرْتُ الْمَدِينَةَ مَكَّةَ (আমি মক্কা নামক শহরটি ভ্রমণ করেছি)।
-
رَأَيْتُ الشَّجَرَةَ النَّخْلَةَ (আমি খেজুর গাছ দেখেছি)।
-
قَابَلْتُ الْمُعَلِّمَ يُوسُفَ (আমি শিক্ষক ইউসুফের সাথে দেখা করেছি)।
-
زَارَ الرَّئِيسُ الشَّيْخَ مُحَمَّدٌ (রাষ্ট্রপতি শেখ মুহাম্মদ পরিদর্শন করেছেন)।
-
رَأَيْتُ الطَّائِرَ الْعُصْفُورَ (আমি চড়ুই পাখি দেখেছি)।
-
قَابَلْتُ الطَّبِيبَةَ الدُّكْتُورَةَ فَاطِمَةَ (আমি ডাক্তার ফাতেমার সাথে দেখা করেছি)।
-
سَافَرَ الصَّدِيقُ خَالِدٌ (বন্ধু খালিদ ভ্রমণ করেছে)।
মূল পাঠের অর্থ
كَانَ أَمْسِ يَوْمُ الْعِيدِ، اجْتَمَعَ النَّاسُ وَالْأَطْفَالُ عِنْدَ الْغُرُوبِ يَرَونَ الْهِلَالَ وَصَعِدُوا عَلَى سُقُوفِ الْبُيُوتِ. ظَهَرَ الْهِلَالُ وَنَامَ الْأَطْفَالُ لَيْلَةَ الْعِيدِ قَلِيلًا، وَاسْتَيْقَظُوا وَقَدْ نَظَرُوا إِلَى مَلَابِسِهِمْ وَأَحْذِيَتِهِمْ وَلَمَّا كَانَ صَبَاحُ الْعِيدِ قَامُوا مِنْ فُرُشِهِمْ وَصَلَّوا الصُّبْحَ وَاغْتَسَلُوا وَغَيَّرُوا مَلَابِسَهُمْ، وَلَبِسَ كَثِيرٌ مِنْهُمْ مَلَابِسَ جَدِيدَةً وَأَحْذِيَةً جَدِيدَةً، وَرَأَتْهُمْ أُمَّهَاتُهُمْ فَفَرِحْنَ بِهِمْ، وَقَدَّمَ لَهُمْ آبَاؤُهُمْ وَأَقَارِبُهُمْ جَائِزَةَ الْعِيدِ. وَكَانَ وَلَدٌ يَتِيمٌ تَخْدِمُ أُمُّهُ فِي بَيْتٍ سَعِيدٍ وَلَيْسَ عِنْدَهُ لِبَاسٌ جَدِيدٌ وَلَا حِذَاءٌ جَدِيدٌ وَلَا فَلَنَسُوَةٌ نَظِيفَةٌ، فَاغْتَسَلَ وَلَبِسَ لِبَاسَهُ الْقَدِيمَ، وَلَبِسَ فَلَنْسُوَتَهُ الْقَدِيمَةَ. حَزِنَ سَعِيدٌ بِهَذَا الْمَنْظَرِ فَأَسْرَعَ إِلَى صُنْدُوقِهِ وَأَهْدَى إِلَيْهِ لِبَاسًا نَظِيفًا وَفَلَنْسُوَةً نَظِيفَةً، فَذَهَبَ الْيَتِيمُ وَغَيَّرَ اللِّبَاسَ وَفَرِحَ كَثِيرًا وَفَرِحَتْ أُمُّهُ।
(গতকাল ঈদের দিন ছিল। সূর্যাস্তের সময় মানুষ ও শিশুরা চাঁদ দেখতে জমা হলো এবং তারা বাড়ির ছাদে উঠল। চাঁদ দেখা গেল এবং শিশুরা ঈদের রাতে সামান্য ঘুমাল। তারা ঘুম থেকে জেগে তাদের পোশাক এবং জুতার দিকে তাকাল। যখন ঈদের সকাল হলো, তারা বিছানা থেকে উঠল, ফজরের সালাত আদায় করল, গোসল করল এবং তাদের পোশাক পরিবর্তন করল। তাদের মধ্যে অনেকেই নতুন পোশাক এবং নতুন জুতা পরল। তাদের মায়েরা তাদের দেখে খুশি হলেন এবং তাদের বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনরা তাদের ঈদের পুরস্কার দিলেন। একজন এতিম ছেলে ছিল যার মা সাঈদের বাড়িতে কাজ করত। তার নতুন পোশাক, নতুন জুতা বা পরিষ্কার টুপি ছিল না। তাই সে গোসল করে তার পুরনো পোশাক পরল এবং তার পুরনো টুপি পরল। সাঈদ এই দৃশ্য দেখে দুঃখিত হলো এবং দ্রুত তার বাক্সের কাছে গিয়ে তাকে একটি পরিষ্কার পোশাক এবং একটি পরিষ্কার টুপি উপহার দিল। তখন এতিম ছেলেটি চলে গেল এবং পোশাক পরিবর্তন করল, আর সে খুব খুশি হলো এবং তার মাও খুশি হলেন)।
মূল পাঠের অর্থ (২)
ذَهَبَ أَحْمَدُ إِلَى ٱلْمَدْرَسَةِ، وَهُوَ سَعِيدٌ، وَلَبِسَ ثَوْبًا نَظِيفًا، وَحَمَلَ حَقِيبَتَهُ عَلَى ظَهْرِهِ، وَفِي ٱلْحَقِيبَةِ كُتُبٌ وَدَفَاتِرُ، وَأَحَبَّ أَحْمَدُ ٱلْمَدْرَسَةَ كَثِيرًا، وَوَصَلَ إِلَى ٱلْمَدْرَسَةِ فِي ٱلصَّبَاحِ، وَسَلَّمَ عَلَى ٱلْحَارِسِ، وَدَخَلَ إِلَى ٱلسَّاحَةِ، وَرَأَى أَصْدِقَاءَهُ، وَلَعِبَ مَعَهُمْ، وَسَمِعَ صَوْتَ ٱلْجَرَسِ، وَذَهَبَ إِلَى ٱلصَّفِّ، وَجَلَسَ فِي ٱلْمَكَانِ، وَجَاءَ ٱلْمُعَلِّمُ، وَسَلَّمَ ٱلطُّلَّابُ عَلَيْهِ، وَبَدَأَ ٱلدَّرْسَ، وَقَرَأَ ٱلْمُعَلِّمُ دَرْسًا سَهْلًا، وَكَتَبَ عَلَى ٱلسَّبُّورَةِ، وَنَظَرَ ٱلطُّلَّابُ إِلَى ٱلسَّبُّورَةِ، وَكَتَبُوا فِي دَفَاتِرِهِمْ، وَرَفَعَ أَحْمَدُ يَدَهُ، وَأَجَابَ عَنِ ٱلسُّؤَالِ، وَقَالَ ٱلْمُعَلِّمُ: أَحْسَنْتَ، وَفَرِحَ أَحْمَدُ، وَجَاءَ وَقْتُ ٱلٱسْتِرَاحَةِ، وَخَرَجَ ٱلطُّلَّابُ، وَأَكَلُوا طَعَامَهُمْ، وَشَرِبُوا ٱلْمَاءَ، وَلَعِبُوا مَعًا، وَرَجَعُوا إِلَى ٱلصَّفِّ، وَدَرَسُوا ٱلرِّيَاضِيَّاتِ، وَحَلُّوا مَسَائِلَ سَهْلَةً ، وَسَمِعُوا دُعَاءً جَمِيلًا، وَكَتَبُوا حُرُوفًا جَدِيدَةً، وَٱنْتَهَى ٱلدَّرْسُ، وَقَرَعَ ٱلْجَرَسُ، وَخَرَجَ ٱلطُّلَّابُ، وَوَدَّعَ أَحْمَدُ أَصْدِقَاءَهُ، وَرَجَعَ إِلَى ٱلْبَيْتِ، وَقَالَ لِأُمِّهِ: ٱلْيَوْمُ جَمِيلٌ!
(আহমদ খুশি মনে স্কুলে গেল। সে একটি পরিষ্কার পোশাক পরল এবং তার পিঠে তার ব্যাগ বহন করল। ব্যাগে ছিল বই এবং খাতা। আহমদ স্কুলকে খুব ভালোবাসত। সে সকালে স্কুলে পৌঁছাল, দারোয়ানকে সালাম দিল এবং মাঠে প্রবেশ করল। সে তার বন্ধুদের দেখল এবং তাদের সাথে খেলা করল। সে ঘণ্টার শব্দ শুনল এবং ক্লাসে গেল। সে তার জায়গায় বসল। শিক্ষক আসলেন এবং ছাত্ররা তাকে সালাম দিল। পাঠ শুরু হলো। শিক্ষক একটি সহজ পাঠ পড়লেন এবং বোর্ডে লিখলেন। ছাত্ররা বোর্ডের দিকে তাকাল এবং তাদের খাতায় লিখল। আহমদ তার হাত তুলল এবং প্রশ্নের উত্তর দিল। শিক্ষক বললেন: ‘সাবাস’। আহমদ খুশি হলো। বিরতির সময় হলো। ছাত্ররা বাইরে গেল। তারা তাদের খাবার খেল, পানি পান করল এবং একসাথে খেলা করল। তারা ক্লাসে ফিরে গেল এবং গণিত পড়ল। তারা সহজ সমস্যার সমাধান করল। তারা একটি সুন্দর দু’আ শুনল এবং নতুন অক্ষর লিখল। পাঠ শেষ হলো এবং ঘণ্টা বেজে উঠল। ছাত্ররা বেরিয়ে গেল। আহমদ তার বন্ধুদের বিদায় জানাল এবং বাড়িতে ফিরে গেল। সে তার মাকে বলল: ‘আজকের দিনটা সুন্দর’!)
প্রশ্ন-উত্তর
-
خَالِدٌ: مَنْ ذَهَبَ إِلَى ٱلْمَدْرَسَةِ؟ (খালিদ: কে স্কুলে গিয়েছিল?)
-
رَاشِدٌ: ذَهَبَ أَحْمَدُ إِلَى ٱلْمَدْرَسَةِ (রাশিদ: আহমদ স্কুলে গিয়েছিল)।
-
خَالِدٌ: كَيْفَ كَانَ أَحْمَدُ؟ (খালিদ: আহমদ কেমন ছিল?)
-
رَاشِدٌ: كَانَ سَعِيدًا (রাশিদ: সে খুশি ছিল)।
-
خَالِدٌ: مَاذَا لَبِسَ أَحْمَدُ؟ (খালিদ: আহমদ কী পরেছিল?)
-
رَاشِدٌ: لَبِسَ ثَوْبًا نَظِيفًا (রাশিদ: সে একটি পরিষ্কার পোশাক পরেছিল)।
-
خَالِدٌ: أَيْنَ حَمَلَ ٱلْحَقِيبَةَ؟ (খালিদ: সে ব্যাগটি কোথায় নিয়েছিল?)
-
رَاشِدٌ: حَمَلَهَا عَلَى ظَهْرِهِ (রাশিদ: সে তার পিঠে নিয়েছিল)।
-
خَالِدٌ: مَاذَا فِي ٱلْحَقِيبَةِ؟ (খালিদ: ব্যাগে কী ছিল?)
-
رَاشِدٌ: فِيهَا كُتُبٌ وَدَفَاتِرُ (রাশিদ: তাতে বই এবং খাতা ছিল)।
-
خَالِدٌ: هَلْ أَحَبَّ أَحْمَدُ ٱلْمَدْرَسَةَ؟ (খালিদ: আহমদ কি স্কুলকে ভালোবাসত?)
-
رَاشِدٌ: نَعَمْ، أَحَبَّهَا كَثِيرًا (রাশিদ: হ্যাঁ, সে এটিকে খুব ভালোবাসত)।
-
خَالِدٌ: مَتَى وَصَلَ إِلَى ٱلْمَدْرَسَةِ؟ (খালিদ: সে কখন স্কুলে পৌঁছেছিল?)
-
رَاشِدٌ: وَصَلَ فِي ٱلصَّبَاحِ (রাশিদ: সে সকালে পৌঁছেছিল)।
-
خَالِدٌ: عَلَى مَنْ سَلَّمَ أَحْمَدُ؟ (খালিদ: আহমদ কাকে সালাম দিয়েছিল?)
-
رَاشِدٌ: سَلَّمَ عَلَى ٱلْحَارِسِ (রাশিদ: সে দারোয়ানকে সালাম দিয়েছিল)।
-
خَالِدٌ: مَاذَا فَعَلَ مَعَ أَصْدِقَائِهِ؟ (খালিদ: সে তার বন্ধুদের সাথে কী করেছিল?)
-
رَاشِدٌ: لَعِبَ مَعَهُمْ (রাশিদ: সে তাদের সাথে খেলা করেছিল)।
-
خَالِدٌ: مَاذَا فَعَلَ ٱلْمُعَلِّمُ؟ (খালিদ: শিক্ষক কী করেছিলেন?)
-
رَاشِدٌ: قَرَأَ دَرْسًا وَكَتَبَ عَلَى ٱلسَّبُّورَةِ (রাশিদ: তিনি একটি পাঠ পড়লেন এবং বোর্ডে লিখলেন)।
-
خَالِدٌ: مَاذَا فَعَلَ ٱلطُّلَّابُ؟ (খালিদ: ছাত্ররা কী করেছিল?)
-
رَاشِدٌ: كَتَبُوا فِي دَفَاتِرِهِمْ (রাশিদ: তারা তাদের খাতায় লিখেছিল)।
-
خَالِدٌ: هَلْ رَفَعَ أَحْمَدُ يَدَهُ؟ (খালিদ: আহমদ কি তার হাত তুলেছিল?)
-
رَاشِدٌ: نَعَمْ، رَفَعَ يَدَهُ (রাশিদ: হ্যাঁ, সে তার হাত তুলেছিল)।
-
خَالِدٌ: مَاذَا قَالَ ٱلْمُعَلِّمُ؟ (খালিদ: শিক্ষক কী বলেছিলেন?)
-
رَاشِدٌ: قَالَ: أَحْسَنْتَ (রাশিদ: তিনি বললেন: সাবাস)।
-
خَالِدٌ: مَاذَا فَعَلَ ٱلطُّلَّابُ فِي ٱلٱسْتِرَاحَةِ؟ (খালিদ: ছাত্ররা বিরতির সময় কী করেছিল?)
-
رَاشِدٌ: أَكَلُوا وَشَرِبُوا وَلَعِبُوا (রাশিদ: তারা খেল, পান করল এবং খেলা করল)।
-
خَالِدٌ: مَاذَا دَرَسُوا بَعْدَ ٱلٱسْتِرَاحَةِ؟ (খালিদ: বিরতির পর তারা কী পড়ল?)
-
رَاشِدٌ: دَرَسُوا ٱلرِّيَاضِيَّاتِ (রাশিদ: তারা গণিত পড়ল)।
-
خَالِدٌ: مَاذَا قَالَ أَحْمَدُ فِي ٱلْبَيْتِ؟ (খালিদ: আহমদ বাড়িতে কী বলল?)
-
رَاشِدٌ: قَالَ: ٱلْيَوْمُ جَمِيلٌ (রাশিদ: সে বলল: আজকের দিনটা সুন্দর)।
-
خَالِدٌ: مَاذَا سَمِعَ أَحْمَدُ؟ (খালিদ: আহমদ কী শুনেছিল?)
-
رَاشِدٌ: سَمِعَ صَوْتَ ٱلْجَرَسِ (রাশিদ: সে ঘণ্টার শব্দ শুনেছিল)।
-
خَالِدٌ: مَنْ جَاءَ بَعْدَ ذَلِكَ؟ (খালিদ: এরপর কে এসেছিল?)
-
رَاشِدٌ: جَاءَ ٱلْمُعَلِّمُ (রাশিদ: শিক্ষক এসেছিলেন)।
প্রশ্নের উত্তর দাও
-
مَاذَا كَانَ فِي يَوْمِ الْعِيدِ؟ (ঈদের দিনে কী ছিল?)
-
كَانَ الْفَرَحُ وَالسَّعَادَةُ (আনন্দ এবং সুখ ছিল)।
-
-
أَيْنَ اجْتَمَعَ النَّاسُ وَالْأَطْفَالُ فِي يَوْمِ الْعِيدِ؟ (ঈদের দিনে মানুষ ও শিশুরা কোথায় একত্রিত হয়েছিল?)
-
اجْتَمَعُوا عِنْدَ الْغُرُوبِ لِرُؤْيَةِ الْهِلَالِ (তারা সূর্যাস্তের সময় চাঁদ দেখতে একত্রিত হয়েছিল)।
-
-
مَاذَا فَعَلَ الْأَطْفَالُ عِنْدَ رُؤْيَةِ الْهِلَالِ؟ (চাঁদ দেখার সময় শিশুরা কী করেছিল?)
-
فَرِحُوا وَكَبَّرُوا (তারা খুশি হয়েছিল এবং তাকবীর বলেছিল)।
-
-
مَاذَا فَعَلَ الْأَطْفَالُ بَعْدَ رُؤْيَةِ الْهِلَالِ فِي لَيْلَةِ الْعِيدِ؟ (ঈদের রাতে চাঁদ দেখার পর শিশুরা কী করেছিল?)
-
نَامُوا قَلِيلًا وَاسْتَعَدُّوا لِلْغَدِ (তারা সামান্য ঘুমিয়েছিল এবং পরের দিনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল)।
-
-
مَاذَا فَعَلَ الْأَطْفَالُ عِنْدَمَا اسْتَيْقَظُوا فِي صَبَاحِ الْعِيدِ؟ (ঈদের সকালে যখন শিশুরা ঘুম থেকে উঠল, তখন তারা কী করেছিল?)
-
قَامُوا وَاغْتَسَلُوا وَلَبِسُوا مَلَابِسَ جَدِيدَةً (তারা উঠল, গোসল করল এবং নতুন পোশাক পরল)।
-
-
مَاذَا قَدَّمَ الْآبَاءُ وَالْأَقَارِبُ لِلْأَطْفَالِ فِي الْعِيدِ؟ (ঈদের দিনে বাবা-মা এবং আত্মীয়-স্বজনরা শিশুদের কী দিয়েছিলেন?)
-
قَدَّمُوا لَهُمْ جَائِزَةَ الْعِيدِ (তারা তাদের ঈদের পুরস্কার দিয়েছিলেন)।
-
-
كَيْفَ كَانَتْ حَالَةُ الْوَلَدِ الْيَتِيمِ فِي يَوْمِ الْعِيدِ؟ (ঈদের দিনে এতিম ছেলেটির অবস্থা কেমন ছিল?)
-
كَانَ حَزِينًا لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ لِبَاسٌ جَدِيدٌ (সে দুঃখিত ছিল কারণ তার নতুন পোশাক ছিল না)।
-
-
مَاذَا فَعَلَ الْوَلَدُ الْيَتِيمُ فِي صَبَاحِ الْعِيدِ؟ (ঈদের সকালে এতিম ছেলেটি কী করেছিল?)
-
اغْتَسَلَ وَلَبِسَ لِبَاسَهُ الْقَدِيمَ (সে গোসল করল এবং তার পুরনো পোশাক পরল)।
-
-
مَاذَا فَعَلَ سَعِيدٌ عِنْدَمَا رَأَى حَالَ الْوَلَدِ الْيَتِيمِ؟ (এতিম ছেলেটির অবস্থা দেখে সাঈদ কী করল?)
-
حَزِنَ وَأَهْدَى إِلَيْهِ لِبَاسًا جَدِيدًا (সে দুঃখিত হলো এবং তাকে একটি নতুন পোশাক উপহার দিল)।
-
-
مَاذَا قَدَّمَ سَعِيدٌ لِلْوَلَدِ الْيَتِيمِ؟ (সাঈদ এতিম ছেলেটিকে কী দিয়েছিল?)
-
لِبَاسًا نَظِيفًا وَفَلَنْسُوَةً نَظِيفَةً (একটি পরিষ্কার পোশাক এবং একটি পরিষ্কার টুপি)।
-
البَحْثُ عَنِ الْعَمَلِ (চাকরি খোঁজা)
عَابِدٌ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا خَالِدُ (আবিদ: আসসালামু আলাইকুম, হে খালিদ)।
خَالِدٌ: وَعَلَيْكُمُ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، كَيْفَ حَالُكَ يَا عَابِدُ؟ (খালিদ: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু, হে আবিদ তুমি কেমন আছো?)
عَابِدٌ: أَنَا بِخَيْرٍ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَكِنِّي أَبْحَثُ عَنْ عَمَلٍ (আবিদ: আমি ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ, কিন্তু আমি একটি চাকরি খুঁজছি)।
خَالِدٌ: لِمَاذَا تَبْحَثُ عَنْ الْعَمَلِ؟ هَلْ تَرَكْتَ عَمَلَكَ السَّابِقَ؟ (খালিদ: কেন তুমি চাকরি খুঁজছ? তুমি কি তোমার আগের চাকরি ছেড়ে দিয়েছ?)
عَابِدٌ: نَعَمْ، تَرَكْتُهُ لِأَنَّهُ كَانَ مُتْعِبًا جِدًّا، وَالرَّاتِبُ كَانَ قَلِيلًا (আবিদ: হ্যাঁ, আমি এটি ছেড়ে দিয়েছি কারণ এটি খুব কষ্টকর ছিল, এবং বেতন কম ছিল)।
خَالِدٌ: أَفْهَمُ، هَلْ عِنْدَكَ خِبْرَةٌ فِي أَيِّ مَجَالٍ؟ (খালিদ: আমি বুঝতে পেরেছি, তোমার কি কোনো ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা আছে?)
عَابِدٌ: نَعَمْ، لِي خِبْرَةٌ فِي الْحِسَابَاتِ وَالْحَاسُوبِ (আবিদ: হ্যাঁ, হিসাব এবং কম্পিউটারে আমার অভিজ্ঞতা আছে)।
خَالِدٌ: هَذَا جَيِّدٌ! يُمْكِنُكَ أَنْ تَعْمَلَ فِي شَرِكَةٍ لِلْحِسَابَاتِ أَوْ فِي مَكْتَبٍ (খালিদ: এটা ভালো! তুমি কোনো হিসাব কোম্পানি বা অফিসে কাজ করতে পারো)।
عَابِدٌ: نَعَمْ، أُحَاوِلُ أَنْ أَجِدَ وَظِيفَةً فِي مَكْتَبٍ قَرِيبٍ مِنْ بَيْتِي (আবিদ: হ্যাঁ, আমি আমার বাড়ির কাছে একটি অফিসে চাকরি খোঁজার চেষ্টা করছি)।
خَالِدٌ: وَاللَّهِ سَوْفَ أُسَاعِدُكَ، سَأَسْأَلُ أَصْدِقَائِي عَنْ وَظِيفَةٍ (খালিদ: আল্লাহর কসম, আমি তোমাকে সাহায্য করব। আমি আমার বন্ধুদের কাছে একটি চাকরির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করব)।
عَابِدٌ: جَزَاكَ اللَّهُ خَيْرًا يَا خَالِدُ، أَنْتَ صَدِيقٌ وَفِيٌّ (আবিদ: আল্লাহ তোমাকে উত্তম প্রতিদান দিন, হে খালিদ। তুমি একজন বিশ্বস্ত বন্ধু)।
خَالِدٌ: لَا شُكْرَ عَلَى وَاجِبٍ، أَتَمَنَّى لَكَ التَّوْفِيقَ فِي الْبَحْثِ عَنِ الْعَمَلِ (খালিদ: ধন্যবাদ দেওয়ার দরকার নেই, এটা আমার কর্তব্য। আমি তোমার চাকরি খোঁজার বিষয়ে সফলতা কামনা করি)।
عَابِدٌ: إِلَى اللِّقَاءِ يَا خَالِدُ (আবিদ: বিদায়, হে খালিদ)।
خَالِدٌ: مَعَ السَّلَامَةِ يَا عَابِدُ، فِي أَمَانِ اللَّهِ (খালিদ: বিদায়, হে আবিদ, আল্লাহর হেফাজতে)।
المحاورة بين خالد وعبيد عن يوم العيد (খালিদ ও উবাইদের মধ্যে ঈদের দিন সম্পর্কে কথোপকথন)
خَالِدٌ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، كَيْفَ حَالُكَ يَا عُبَيْدُ؟ (খালিদ: আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু, হে উবাইদ তুমি কেমন আছো?)
عُبَيْدٌ: وَعَلَيْكُمُ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، أَنَا بِخَيْرٍ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَكَيْفَ حَالُكَ؟ (উবাইদ: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু, আমি ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ, আর তুমি কেমন আছো?)
خَالِدٌ: أَنَا بِخَيْرٍ أَيْضًا، الْحَمْدُ لِلَّهِ. أُرِيدُ أَنْ أَسْأَلَكَ عَنْ يَوْمِ الْعِيدِ؟ (খালিদ: আমিও ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আমি তোমাকে ঈদের দিন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে চাই)।
عُبَيْدٌ: كَانَ يَوْمُ الْعِيدِ مَلِيئًا بِالْفَرَحِ وَالسَّعَادَةِ، اجْتَمَعَ النَّاسُ وَالْأَطْفَالُ لِأَدَاءِ صَلَاةِ الْعِيدِ (উবাইদ: ঈদের দিন আনন্দ ও সুখে পূর্ণ ছিল, মানুষ ও শিশুরা ঈদের সালাত আদায় করার জন্য একত্রিত হয়েছিল)।
خَالِدٌ: وَمَاذَا فَعَلَ الْأَطْفَالُ عِنْدَ رُؤْيَةِ الْهِلَالِ؟ (খালিদ: আর চাঁদ দেখার সময় শিশুরা কী করেছিল?)
عُبَيْدٌ: عِنْدَمَا رَأَى الْأَطْفَالُ الْهِلَالَ، فَرِحُوا كَثِيرًا وَبَدَأُوا يُكَبِّرُونَ قَائِلِينَ: “اللَّهُ أَكْبَرُ! الْعِيدُ غَدًا” (উবাইদ: যখন শিশুরা চাঁদ দেখল, তারা খুব খুশি হলো এবং তাকবীর বলতে শুরু করল: “আল্লাহু আকবার! কাল ঈদ”)।
خَالِدٌ: وَمَاذَا فَعَلَ الْأَطْفَالُ بَعْدَ رُؤْيَةِ الْهِلَالِ فِي لَيْلَةِ الْعِيدِ؟ (খালিদ: আর ঈদের রাতে চাঁদ দেখার পর শিশুরা কী করেছিল?)
عُبَيْدٌ: بَعْدَ رُؤْيَةِ الْهِلَالِ، بَدَأَ الْأَطْفَالُ يَسْتَعِدُّونَ لِلْعِيدِ، فَلَبِسُوا مَلَابِسَهُمْ الْجَدِيدَةَ (উবাইদ: চাঁদ দেখার পর, শিশুরা ঈদের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করল, তাই তারা তাদের নতুন পোশাক পরল)।
خَالِدٌ: وَمَاذَا فَعَلَ الْأَطْفَالُ عِنْدَمَا اسْتَيْقَظُوا فِي صَبَاحِ الْعِيدِ؟ (খালিদ: ঈদের সকালে যখন শিশুরা ঘুম থেকে উঠল, তখন তারা কী করেছিল?)
عُبَيْدٌ: اسْتَيْقَظَ الْأَطْفَالُ مُبَكِّرًا فِي صَبَاحِ الْعِيدِ، وَاغْتَسَلُوا، وَلَبِسُوا أَجْمَلَ ثِيَابِهِمْ، وَذَهَبُوا مَعَ آبَائِهِمْ لِأَدَاءِ الصَّلَاةِ (উবাইদ: শিশুরা ঈদের সকালে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠল, গোসল করল, তাদের সবচেয়ে সুন্দর পোশাক পরল এবং তাদের বাবাদের সাথে সালাত আদায় করতে গেল)।
خَالِدٌ: وَمَاذَا فَعَلَ الْوَلَدُ الْيَتِيمُ فِي صَبَاحِ الْعِيدِ؟ (খালিদ: আর ঈদের সকালে এতিম ছেলেটি কী করেছিল?)
عُبَيْدٌ: خَرَجَ مِنْ بَيْتِهِ حَزِينًا، وَنَظَرَ إِلَى الْأَطْفَالِ وَهُمْ يَفْرَحُونَ وَيَلْعَبُونَ (উবাইদ: সে দুঃখিত হয়ে তার বাড়ি থেকে বের হলো এবং শিশুদের দিকে তাকাল, যারা আনন্দ করছিল এবং খেলা করছিল)।
خَالِدٌ: جَزَاكَ اللَّهُ خَيْرًا يَا عُبَيْدُ (খালিদ: আল্লাহ তোমাকে উত্তম প্রতিদান দিন, হে উবাইদ)।
عُبَيْدٌ: وَأَنَا أَيْضًا يَا خَالِدُ، بَارَكَ اللَّهُ فِيكَ. وَالْآنَ أَسْتَأْذِنُكَ، إِلَى اللِّقَاءِ (উবাইদ: আর তোমাকেও, হে খালিদ, আল্লাহ তোমাকে বরকত দিন। এখন আমি তোমার অনুমতি চাই, বিদায়)।
خَالِدٌ: إِلَى اللِّقَاءِ، فِي أَمَانِ اللَّهِ (খালিদ: বিদায়, আল্লাহর হেফাজতে)।
উপরের ছবির আলোকে কথোপকথন
خَلِيلٌ: مَاذَا تَفْعَلُ فِي هَذِهِ الْمَكْتَبَةِ؟ (খলীল: তুমি এই লাইব্রেরিতে কী করছ?)
مَحْمُودٌ: أَنَا أَقْرَأُ كِتَابًا عَنْ تَارِيخِ الْإِسْلَامِ (মাহমুদ: আমি ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে একটি বই পড়ছি)।
خَلِيلٌ: هَلْ هُوَ مُفِيدٌ؟ (খলীল: এটা কি উপকারী?)
مَحْمُودٌ: نَعَمْ، إِنَّهُ مُفِيدٌ جِدًّا (মাহমুদ: হ্যাঁ, এটি খুবই উপকারী)।
خَلِيلٌ: أَتَمَنَّى لَكَ الْفَائِدَةَ مِنْ هَذَا الْكِتَابِ (খলীল: আমি আশা করি এই বইটি থেকে তুমি উপকৃত হবে)।
হাদিসের অর্থ করো
(৩৮) عَنْ أَبِي أُمَامَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: ذَكَرَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا عِنْدَهُ الدُّنْيَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَلَا تَسْمَعُونَ؟ أَلَا تَسْمَعُونَ؟ إِنَّ الْبَذَاذَةَ مِنَ الْإِيمَانِ، إِنَّ الْبَذَاذَةَ مِنَ الْإِيمَانِ (আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাহাবীগণ তাঁর কাছে দুনিয়ার কথা আলোচনা করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন: তোমরা কি শুনছো না? তোমরা কি শুনছো না? নিশ্চয়ই সাদাসিধে পোশাক ঈমানের অংশ, নিশ্চয়ই সাদাসিধে পোশাক ঈমানের অংশ)।
(৩৯) عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَيُّ الْإِسْلَامِ خَيْرٌ؟ قَالَ: تُطْعِمُ الطَّعَامَ وَتَقْرَأُ السَّلَامَ عَلَى مَنْ عَرَفْتَ وَمَنْ لَمْ تَعْرِفْ (আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, একজন লোক রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করল: ইসলামের কোন কাজটি উত্তম? তিনি বললেন: খাদ্য খাওয়ানো এবং পরিচিত-অপরিচিত সকলকে সালাম দেওয়া)।
(৪০) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَا نَقَصَتْ صَدَقَةٌ مِنْ مَالٍ (আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: কোনো দান-সদকাহ সম্পদ কমিয়ে দেয় না)।
(৪১) عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجَدَ تَمْرَةً فِي الطَّرِيقِ، فَقَالَ: لَوْلَا أَنِّي أَخَافُ أَنْ تَكُونَ مِنَ الصَّدَقَةِ لَأَكَلْتُهَا (আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) পথে একটি খেজুর পেলেন, তখন তিনি বললেন: যদি আমার এই ভয় না থাকত যে, এটি সদকার হতে পারে, তাহলে আমি এটি খেতাম)।
(৪২) عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ مِنْ كِبْرٍ فَقَالَ رَجُلٌ: إِنَّ الرَّجُلَ يُحِبُّ أَنْ يَكُونَ ثَوْبُهُ حَسَنًا وَنَعْلُهُ حَسَنَةً؟ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ جَمِيلٌ يُحِبُّ الْجَمَالَ (আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন: যার অন্তরে অণু পরিমাণ অহংকার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। এক ব্যক্তি বলল: একজন মানুষ পছন্দ করে যে, তার পোশাক সুন্দর হোক এবং তার জুতাও সুন্দর হোক? তিনি বললেন: আল্লাহ সুন্দর, তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন)।
(৪৩) عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: إِنَّ الْمُؤْمِنَ لَيُدْرِكُ بِحُسْنِ خُلُقِهِ دَرَجَةَ الصَّائِمِ الْقَائِمِ (আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি: নিশ্চয়ই মুমিন ব্যক্তি তার উত্তম চরিত্রের কারণে রোযাদার ও সালাত আদায়কারীর মর্যাদা লাভ করে)।
(৪৪) عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ اللَّهَ رَفِيقٌ يُحِبُّ الرِّفْقَ فِي الْأَمْرِ كُلِّهِ (আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: নিশ্চয়ই আল্লাহ নম্র, তিনি সব বিষয়ে নম্রতা পছন্দ করেন)।
(৪৫) عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: كُلُّكُمْ رَاعٍ وَكُلُّكُمْ مَسْؤُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ، الْإِمَامُ رَاعٍ وَمَسْؤُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ. وَالرَّجُلُ رَاعٍ فِي أَهْلِهِ وَمَسْؤُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ. وَالْمَرْأَةُ رَاعِيَةٌ فِي بَيْتِ زَوْجِهَا وَمَسْؤُولَةٌ عَنْ رَعِيَّتِهَا، وَالْخَادِمُ رَاعٍ فِي مَالِ وَمَسْؤُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ، وَكُلُّكُمْ رَاعٍ وَمَسْؤُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ (ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি: তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং তোমাদের প্রত্যেককে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। ইমাম (শাসক) একজন দায়িত্বশীল এবং তাকে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। পুরুষ তার পরিবারের দায়িত্বশীল এবং তাকে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। নারী তার স্বামীর বাড়ির দায়িত্বশীল এবং তাকে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। খাদেম তার মালিকের সম্পদের দায়িত্বশীল এবং তাকে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং তোমাদের প্রত্যেককে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে)।
(৪৬) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ أَطَاعَنِي فَقَدْ أَطَاعَ اللَّهَ وَمَنْ عَصَانِي فَقَدْ عَصَى اللَّهَ وَمَنْ يُطِعِ الْأَمِيرَ فَقَدْ أَطَاعَنِي وَمَنْ يَعْصِ الْأَمِيرَ فَقَدْ عَصَانِي (আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যে আমার আনুগত্য করল, সে আল্লাহর আনুগত্য করল। আর যে আমার অবাধ্য হলো, সে আল্লাহর অবাধ্য হলো। যে আমীরের আনুগত্য করল, সে আমার আনুগত্য করল। আর যে আমীরের অবাধ্য হলো, সে আমার অবাধ্য হলো)।
(৪৭) عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا تَلْبَسُوا الْحَرِيرَ، فَإِنَّ مَنْ لَبِسَهُ فِي الدُّنْيَا لَمْ يَلْبَسْهُ فِي الْآخِرَةِ (উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: তোমরা রেশমের পোশাক পরো না। কেননা, যে ব্যক্তি দুনিয়াতে তা পরবে, সে আখিরাতে তা পরবে না)।
(৪৮) عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: هَذَا جِبْرِيلُ يَقْرَأُ عَلَيْكِ السَّلَامَ، قَالَتْ: قُلْتُ: وَعَلَيْهِ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ (আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাকে বললেন: এই যে জিবরীল, তিনি তোমাকে সালাম দিচ্ছেন। আমি বললাম: ওয়ালাইহিস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু)।
(৪৯) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: يُسَلِّمُ الرَّاكِبُ عَلَى الْمَاشِي، وَالْمَاشِي عَلَى الْقَاعِدِ، وَالْقَلِيلُ عَلَى الْكَثِيرِ (আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আরোহী হেঁটে যাওয়া ব্যক্তিকে সালাম দেবে, হেঁটে যাওয়া ব্যক্তি বসা ব্যক্তিকে সালাম দেবে, এবং কম সংখ্যক লোক বেশি সংখ্যক লোককে সালাম দেবে)।
(৫০) عَنْ كَلْدَةَ بْنِ الْحَنْبَلِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَخَلْتُ عَلَيْهِ وَلَمْ أُسَلِّمْ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ارْجِعْ فَقُلْ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ أَأَدْخُلُ؟ (কালদাহ ইবনে আল-হানবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি নবী (সা.)-এর কাছে আসলাম এবং তার কাছে প্রবেশ করলাম, কিন্তু সালাম দিলাম না। তখন নবী (সা.) বললেন: ফিরে যাও এবং বলো: আসসালামু আলাইকুম, আমি কি প্রবেশ করব?)
(৫১) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَقُولُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ: يَا ابْنَ آدَمَ! مَرِضْتُ فَلَمْ تَعُدْنِي! قَالَ: يَا رَبِّ! كَيْفَ أَعُودُكَ وَأَنْتَ رَبُّ الْعَالَمِينَ؟ قَالَ: أَمَا عَلِمْتَ أَنَّ عَبْدِي فُلَانًا مَرِضَ فَلَمْ تَعُدْهُ؟ أَمَا عَلِمْتَ أَنَّكَ لَوْ عُدْتَهُ لَوَجَدْتَنِي عِنْدَهُ؟ يَا ابْنَ آدَمَ! اسْتَطْعَمْتُكَ فَلَمْ تُطْعِمْنِي! قَالَ: يَا رَبِّ! كَيْفَ أُطْعِمُكَ وَأَنْتَ رَبُّ الْعَالَمِينَ؟ قَالَ: أَمَا عَلِمْتَ أَنَّهُ اسْتَطْعَمَكَ عَبْدِي فُلَانٌ فَلَمْ تُطْعِمْهُ؟ أَمَا عَلِمْتَ أَنَّكَ لَوْ أَطْعَمْتَهُ لَوَجَدْتَ ذَلِكَ عِنْدِي؟ يَا ابْنَ آدَمَ! اسْتَسْقَيْتُكَ فَلَمْ تَسْقِنِي! قَالَ: يَا رَبِّ! كَيْفَ أَسْقِيكَ وَأَنْتَ رَبُّ الْعَالَمِينَ؟ قَالَ: اسْتَسْقَاكَ عَبْدِي فُلَانٌ فَلَمْ تَسْقِهِ! أَمَا عَلِمْتَ أَنَّكَ لَوْ سَقَيْتَهُ لَوَجَدْتَ ذَلِكَ عِنْدِي؟ (আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আল্লাহ তা’আলা কিয়ামতের দিন বলবেন: হে আদম সন্তান! আমি অসুস্থ ছিলাম, তুমি আমাকে দেখতে আসোনি। সে বলবে: হে আমার রব! আমি কীভাবে আপনাকে দেখতে যাব, যখন আপনি সারা জাহানের রব? আল্লাহ বলবেন: তুমি কি জানতে না যে, আমার অমুক বান্দা অসুস্থ হয়েছিল আর তুমি তাকে দেখতে যাওনি? তুমি কি জানতে না যে, যদি তুমি তাকে দেখতে যেতে, তাহলে আমাকে তার কাছে পেতে? হে আদম সন্তান! আমি তোমার কাছে খাবার চেয়েছিলাম, কিন্তু তুমি আমাকে খাওয়াওনি। সে বলবে: হে আমার রব! আমি কীভাবে আপনাকে খাওয়াব, যখন আপনি সারা জাহানের রব? আল্লাহ বলবেন: তুমি কি জানতে না যে, আমার অমুক বান্দা তোমার কাছে খাবার চেয়েছিল, কিন্তু তুমি তাকে খাওয়াওনি? তুমি কি জানতে না যে, যদি তুমি তাকে খাওয়াতে, তাহলে তা আমার কাছে পেতে? হে আদম সন্তান! আমি তোমার কাছে পানি চেয়েছিলাম, কিন্তু তুমি আমাকে পানি দাওনি। সে বলবে: হে আমার রব! আমি কীভাবে আপনাকে পানি পান করাব, যখন আপনি সারা জাহানের রব? আল্লাহ বলবেন: আমার অমুক বান্দা তোমার কাছে পানি চেয়েছিল, কিন্তু তুমি তাকে পানি দাওনি। তুমি কি জানতে না যে, যদি তুমি তাকে পানি পান করাতে, তাহলে তা আমার কাছে পেতে?)
(৫২) عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: كَانَ غُلَامٌ يَهُودِيٌّ يَخْدُمُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَمَرِضَ، فَأَتَاهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُهُ فَقَعَدَ عِنْدَ رَأْسِهِ فَقَالَ لَهُ: أَسْلِمْ. فَنَظَرَ إِلَى أَبِيهِ وَهُوَ عِنْدَهُ، فَقَالَ: أَطِعْ أَبَا الْقَاسِمِ، فَأَسْلَمَ، فَخَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَقُولُ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَنْقَذَهُ مِنَ النَّارِ (আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: একজন ইহুদি বালক নবী (সা.)-এর খেদমত করত। সে অসুস্থ হলো, তখন নবী (সা.) তাকে দেখতে আসলেন। তিনি তার মাথার কাছে বসলেন এবং তাকে বললেন: তুমি ইসলাম গ্রহণ করো। সে তার বাবার দিকে তাকাল, যে তার কাছেই ছিল। তার বাবা বলল: আবুল কাসিমের কথা মানো। তখন সে ইসলাম গ্রহণ করল। নবী (সা.) বের হলেন এবং বলতে লাগলেন: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি তাকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করেছেন)।
(৫৩) عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَادَ سَعْدَ بْنَ عُبَادَةَ، وَمَعَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ وَسَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ – فَبَكَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا رَأَى الْقَوْمُ بُكَاءَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَكَوْا، فَقَالَ: أَلَا تَسْمَعُونَ؟ إِنَّ اللَّهَ لَا يُعَذِّبُ بِدَمْعِ الْعَيْنِ، وَلَا بِحُزْنِ الْقَلْبِ وَلَكِنْ يُعَذِّبُ بِهَذَا وَأَشَارَ إِلَى لِسَانِهِ (ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) সা’দ ইবনে উবাদা (রা.)-কে দেখতে গিয়েছিলেন, এবং তার সাথে ছিলেন আবদুর রহমান ইবনে আওফ, সা’দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস এবং আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রা.)। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) কাঁদলেন। যখন লোকেরা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কান্না দেখল, তখন তারাও কাঁদতে লাগল। তখন তিনি বললেন: তোমরা কি শুনছো না? আল্লাহ চোখের পানির জন্য বা অন্তরের দুঃখের জন্য আযাব দেন না, বরং তিনি এর জন্য আযাব দেন এবং তিনি তার জিহ্বার দিকে ইশারা করলেন)।
(৫৪) عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَكَى عَلَى ابْنِ ابْنَتِهِ وَهُوَ فِي الْمَوْتِ، فَقَالَ لَهُ سَعْدٌ: مَا هَذَا يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: هَذِهِ رَحْمَةٌ جَعَلَهَا اللَّهُ فِي قُلُوبِ عِبَادِهِ، وَإِنَّمَا يَرْحَمُ اللَّهُ مِنْ عِبَادِهِ الرُّحَمَاءَ (উসামা ইবনে যায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর মেয়ের ছেলের মৃত্যুর সময় কাঁদছিলেন। তখন সা’দ (রা.) তাকে বললেন: এটা কী, হে আল্লাহর রাসূল? তিনি বললেন: এটা রহমত, যা আল্লাহ তার বান্দাদের অন্তরে রেখেছেন। আর আল্লাহ তার সেই বান্দাদের প্রতি দয়া করেন, যারা দয়ালু)।
(৫৫) عَنْ أَبِي أُمَامَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: اقْرَؤُوا الْقُرْآنَ فَإِنَّهُ يَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ شَفِيعًا لِأَصْحَابِهِ (আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি: তোমরা কুরআন পড়ো। কেননা, এটি কিয়ামতের দিন তার পাঠকারীদের জন্য সুপারিশকারী হয়ে আসবে)।
হোমওয়ার্ক করো
📝 ০1. হাদিসের অর্থ লেখো
(৫৬) عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ (উসমান ইবনে আফফান (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি শ্রেষ্ঠ, যে নিজে কুরআন শিখে এবং অন্যকে শেখায়)।
(৫৭) عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ خَرَجَتْ خَطَايَاهُ مِنْ جَسَدِهِ حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ تَحْتِ أَظْفَارِهِ (উসমান ইবনে আফফান (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যে ব্যক্তি উত্তমরূপে ওজু করবে, তার গুনাহ তার শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে, এমনকি তার নখের নিচ থেকেও)।
(৫৮) عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِذَا سَمِعْتُمُ النِّدَاءَ فَقُولُوا كَمَا يَقُولُ الْمُؤَذِّنُ (আবু সাঈদ আল-খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যখন তোমরা আযান শুনতে পাবে, তখন মুয়াজ্জিন যা বলে তোমরাও তাই বলবে)।
(৫৯) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: أَرَأَيْتُمْ لَوْ أَنَّ نَهْرًا بِبَابِ أَحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ مِنْهُ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ هَلْ يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَيْءٌ؟ قَالُوا: لَا يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَيْءٌ، قَالَ: فَذَلِكَ مَثَلُ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ يَمْحُو اللَّهُ بِهِنَّ الْخَطَايَا (আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি: তোমাদের কারো বাড়ির দরজার কাছে যদি একটি নদী থাকে, আর সে প্রতিদিন পাঁচবার তাতে গোসল করে, তাহলে কি তার শরীরে কোনো ময়লা থাকবে? তারা বলল: না, কোনো ময়লা থাকবে না। তিনি বললেন: এটি পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের উদাহরণ, এর মাধ্যমে আল্লাহ গুনাহসমূহ মুছে দেন)।
(৬০) عَنْ عُمَارَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: لَنْ يَلِجَ النَّارَ أَحَدٌ صَلَّى قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوبِهَا (উমারা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি: যে ব্যক্তি সূর্য ওঠার আগে এবং সূর্য ডোবার আগে সালাত আদায় করবে, সে কখনো জাহান্নামে প্রবেশ করবে না)।
(৬১) عَنْ بُرَيْدَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ تَرَكَ صَلَاةَ الْعَصْرِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ (বুরাইদা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যে ব্যক্তি আসরের সালাত ছেড়ে দেবে, তার আমল নষ্ট হয়ে যাবে)।
📝 ০2. আরবি করো ও লেখো
ذَهَبَ رِيَاضٌ وَعَائِلَتُهُ فِي نُزْهَةٍ إِلَى الْجَبَلِ. (রিয়াদ আর তার পরিবার পাহাড়ে বেড়াতে গেল।) انْطَلَقُوا فِي الصَّبَاحِ. (তারা সকালে রওনা দিল।) تَوَقَّفُوا فِي مَكَانٍ وَاحِدٍ. (তারা এক জায়গায় এসে থামল।) كَانَ هُنَاكَ شَلَّالٌ جَمِيلٌ. (সেখানে একটা সুন্দর ঝরনা ছিল।) كَانَ مَاؤُهُ صَافِيًا وَبَارِدًا جِدًّا. (তার পানি ছিল একদম স্বচ্ছ আর ঠাণ্ডা।) قَالَ وَالِدُهُ: “هَذَا هُوَ جَمَالُ الطَّبِيعَةِ”. (তার বাবা বললেন, “এটাই প্রকৃতির সৌন্দর্য।”) أَرَادَ رِيَاضٌ أَنْ يَصْعَدَ فَوْقَ الْجَبَلِ. (রিয়াদ পাহাড়ের উপর উঠতে চাইল।) تَعَجَّبَ رِيَاضٌ مِنْ هَذَا الْمَنْظَرِ الْجَمِيلِ. (রিয়াদ এত সুন্দর দৃশ্য দেখে অবাক হলো।) قَالَ: “لَا أُرِيدُ أَنْ أَنْزِلَ مِنْ هُنَا!” (সে বলল, “এখান থেকে নামতে ইচ্ছে করছে না!”) ضَحِكَتْ أُمُّهُ وَقَالَتْ: “سَنَذْهَبُ إِلَى جَبَلٍ أَجْمَلَ مِنْ هَذَا”. (তার মা হাসলেন এবং বললেন, “আমরা এর থেকে বেশি সুন্দর পাহাড়ে যাব।”)