📖 নির্দেশনা:
প্রথম পাঠের হোমওয়ার্কের আগ পর্যন্ত সকল আরবি বাক্যের সাথে বাংলা অর্থ এবং বাংলা বাক্যের সাথে তার আরবি অনুবাদ এখানে দেওয়া হলো।
তুমি আগে নিজে পুরো পাঠটি মনোযোগ দিয়ে পড়বে, তারপর মিলিয়ে দেখবে —
তোমার বাংলা অর্থ করা এবং আরবি অনুবাদ করা শুদ্ধ হয়েছে কিনা।
⚠ সতর্কতা:
ভুলেও আগে এই অংশটি পড়বে না — আগে নিজে চেষ্টা করো, পরে মিলিয়ে দেখো।
প্রশংসা ও নিন্দা প্রকাশের রীতি (أسلوب المدح والذم)
أسلوب المدح والذم (প্রশংসা ও নিন্দা প্রকাশের রীতি) আরবি ভাষায় এমন একটি বিশেষ ধরনের বাক্য গঠন, যার মাধ্যমে আমরা কোনো ব্যক্তি, কাজ বা গুণের প্রশংসা বা নিন্দা করি।
১. أسلوب المدح (প্রশংসা প্রকাশের রীতি)
نِعْمَ (নি’মা) শব্দটি সাধারণত কোনো ব্যক্তির গুণাবলী বা কাজের প্রশংসা করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
গঠনরীতি: نِعْمَ + فاعل (যে কাজটি করছে) (ফায়িল) + المخصوص بالمدح (যে প্রশংসিত হচ্ছে) (আল-মাখসুসু বিল-মাদহ)
উদাহরণ:
-
نِعْمَ الرَّجُلُ الصَّادِقُ (সত্যবাদী ব্যক্তি উত্তম।) — এখানে الرَّجُلُ الصَّادِقُ (সত্যবাদী ব্যক্তি)-কে প্রশংসা করা হচ্ছে।
-
نِعْمَ الْعَمَلُ التَّعَلُّمُ (শিক্ষা গ্রহণ একটি উত্তম কাজ।) — এখানে التَّعَلُّمُ (শিক্ষা গ্রহণ) কাজের প্রশংসা করা হচ্ছে।
-
نِعْمَ الْخُلُقُ الْأَمَانَةُ (সততা একটি উত্তম গুণ।) — এখানে الْأَمَانَةُ (সততা) গুণের প্রশংসা করা হচ্ছে।
২. أسلوب الذم (নিন্দা প্রকাশের রীতি)
بِئْسَ (বি’সা) শব্দটি ব্যবহার করা হয় যখন কোনো কিছু বা কোনো ব্যক্তির নিন্দা করা হয়।
গঠনরীতি: بِئْسَ + فاعل (যে কাজটি করছে) (ফায়িল) + المخصوص بالذم (যা বা কে নিন্দিত হচ্ছে) (আল-মাখসুসু বিয-যাম)
উদাহরণ:
-
بِئْسَ الرَّجُلُ الْكَذَّابُ (মিথ্যাবাদী ব্যক্তি নিকৃষ্ট।) — এখানে الرَّجُلُ الْكَذَّابُ (মিথ্যাবাদী ব্যক্তি)-এর নিন্দা করা হচ্ছে।
-
بِئْسَ الْعَمَلُ الْكَسَلُ (অলসতা একটি নিকৃষ্ট কাজ।) — এখানে الْكَسَلُ (অলসতা) কাজের নিন্দা করা হচ্ছে।
উদাহরণ ও তার অর্থ
-
نِعْمَ الرَّجُلُ الْأَمِينُ (বিশ্বস্ত ব্যক্তি উত্তম)।
-
نِعْمَ الْوَظِيفَةُ التَّعَلُّمُ (শিক্ষা একটি উত্তম পেশা)।
-
نِعْمَ الرَّسُولُ النَّبِيُّ (নবী উত্তম রাসূল)।
-
نِعْمَ الطَّبِيبُ (চিকিৎসক উত্তম)।
-
نِعْمَ الشَّجَرُ (গাছ উত্তম)।
-
نِعْمَ السَّيَّارَةُ (গাড়ি উত্তম)।
-
نِعْمَ الْوَقْتُ (সময় উত্তম)।
-
نِعْمَ النَّهْرُ (নদী উত্তম)।
-
بِئْسَ الصَّدِيقُ الْخَائِنُ (বিশ্বাসঘাতক বন্ধু নিকৃষ্ট)।
-
بِئْسَ الرَّجُلُ الْكَذَّابُ (মিথ্যাবাদী ব্যক্তি নিকৃষ্ট)।
-
بِئْسَ الْعَمَلُ الْكَسَلُ (অলসতা নিকৃষ্ট কাজ)।
-
بِئْسَ اللَّيْلُ الْمُظْلِمُ (অন্ধকার রাত নিকৃষ্ট)।
-
بِئْسَ الطَّبِيبُ (চিকিৎসক নিকৃষ্ট)।
-
بِئْسَ الشَّجَرُ (গাছ নিকৃষ্ট)।
মূল পাঠের অর্থ
فِي قَرْيَةٍ صَغِيرَةٍ كَانَ بُسْتَانٌ جَمِيلٌ مَلِيءٌ بِالْأَشْجَارِ وَالزُّهُورِ. كَانَ صَاحِبُ الْبُسْتَانِ سَعِيدًا. كَانَ سَعِيدٌ يُحِبُّ زِرَاعَةَ الْأَشْجَارِ وَالْوُرُودِ. كُلَّ صَبَاحٍ، كَانَ سَعِيدٌ يَسْتَيْقِظُ مُبَكِّرًا وَيَسْقِي النَّبَاتَاتِ. كَانَتِ الْأَشْجَارُ تُعْطِيهِ الْفَوَاكِهَ اللَّذِيذَةَ، وَكَانَتِ الزُّهُورُ تَنْشُرُ رَائِحَةً جَمِيلَةً فِي كُلِّ مَكَانٍ. كَانَ الْأَطْفَالُ يَأْتُونَ إِلَى الْبُسْتَانِ وَيَلْعَبُونَ تَحْتَ الْأَشْجَارِ، وَيَسْتَمْتِعُونَ بِأَكْلِ الْفَوَاكِه الطَّازَجَةِ. وَبَدَأَ يَسْقِي الْأَشْجَارَ أَكْثَرَ، فَرِحَ سَعِيدٌ كَثِيرًا، وَمُنْذُ ذَلِكَ الْيَوْمِ، أَصْبَحَ بُسْتَانُهُ أَجْمَلَ مَكَانٍ فِي الْقَرْيَةِ وَكَانَ الْجَمِيعُ يَأْتُونَ إِلَيْهِ لِلِاسْتِمْتَاعِ بِجَمَالِهِ
(একটি ছোট গ্রামে একটি সুন্দর বাগান ছিল, যা গাছ ও ফুলে ভরা ছিল। বাগানের মালিক সাঈদ খুশি ছিলেন। সাঈদ গাছ এবং ফুল রোপণ করতে ভালোবাসতেন। প্রতিদিন সকালে সাঈদ খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতেন এবং গাছপালায় পানি দিতেন। গাছগুলো তাকে সুস্বাদু ফল দিত, এবং ফুলগুলো চারপাশে সুন্দর সুবাস ছড়াত। শিশুরা বাগানে আসত এবং গাছের নিচে খেলা করত, এবং তারা তাজা ফল খেয়ে আনন্দ পেত। যখন তিনি গাছে আরও বেশি করে পানি দিতে শুরু করলেন, তখন সাঈদ খুব খুশি হলেন, এবং সেই দিন থেকে তার বাগান গ্রামের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা হয়ে উঠল। সবাই তার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হওয়ার জন্য সেখানে আসত)।
كَانَ خَالِدٌ يَسْكُنُ فِي بَيْتٍ جَمِيلٍ، بَيْتُهُ كَبِيرٌ وَمُرِيحٌ، فِيهِ حَدِيقَةٌ صَغِيرَةٌ، كَانَ يُحِبُّ زَرْعَ الزُّهُورِ فِيهَا، فِي الْبَيْتِ مِصْعَدٌ، وَكَانَ لَهُ جِيرَانٌ طَيِّبُونَ وَمُحْتَرَمُونَ، يَعِيشُ خَالِدٌ فِي شَقَّةٍ فِي عِمَارَةٍ سَكَنِيَّةٍ، وَالسَّقْفُ عَالٍ، فِي غُرْفَةِ الْجُلُوسِ كَانَ يَجْلِسُ عَلَى أَرِيكَةٍ مُرِيحَةٍ وَيَقْرَأُ كُتُبًا، فِي غُرْفَةِ النَّوْمِ كَانَ سَرِيرٌ مُرِيحٌ وَوِسَادَةٌ كَبِيرَةٌ، فِي الْمَطْبَخِ كَانَتْ ثَلَّاجَةٌ وَغَسَّالَةٌ وَمَوْقِدٌ لِلطَّبْخِ، كَانَ يُحِبُّ طَبْخَ الْوَجَبَاتِ اللَّذِيذَةِ، خَالِدٌ كَانَ يَدْفَعُ فَاتُورَةَ الْمِيَاهِ وَفَاتُورَةَ الْكَهْرَبَاءِ وَفَاتُورَةَ الْهَاتِفِ بِلَا تَأْخِيرٍ، فِي الْبَيْتِ مِكْنَسَةٌ لِلتَّنْظِيفِ وَمِكْنَسَةٌ كَهْرَبَائِيَّةٌ لِلتَّنْظِيفِ السَّرِيعِ، فِي فَصْلِ الشِّتَاءِ، وَفِي فَصْلِ الصَّيْفِ، كَانَ يَسْتَخْدِمُ مُكَيِّفَ الْهَوَاءِ لِيَشْعُرَ بِالرَّاحَةِ، خَالِدٌ يُحِبُّ بَيْتَهُ وَيَشْعُرُ بِالرَّاحَةِ فِيهِ، كَانَ يَتَحَدَّثُ مَعَ جِيرَانِهِ، بَيْتُهُ كَانَ جَنَّةً صَغِيرَةً لَهُ، يَشْعُرُ فِيهِ بِالسَّلَامِ وَالطُّمَأْنِينَةِ
(খালিদ একটি সুন্দর বাড়িতে থাকত, তার বাড়িটি বড় এবং আরামদায়ক ছিল। তাতে একটি ছোট বাগান ছিল, যেখানে সে ফুল লাগাতে ভালোবাসত। বাড়িতে একটি লিফট ছিল, এবং তার ভালো ও শ্রদ্ধেয় প্রতিবেশী ছিল। খালিদ একটি আবাসিক ভবনের একটি ফ্ল্যাটে থাকত, এবং ছাদ উঁচু ছিল। বসার ঘরে সে একটি আরামদায়ক সোফায় বসে বই পড়ত। শোবার ঘরে একটি আরামদায়ক বিছানা এবং একটি বড় বালিশ ছিল। রান্নাঘরে একটি ফ্রিজ, একটি ওয়াশিং মেশিন এবং একটি চুলা ছিল। সে সুস্বাদু খাবার রান্না করতে ভালোবাসত। খালিদ পানির বিল, বিদ্যুতের বিল এবং ফোনের বিল সময়মতো পরিশোধ করত। বাড়িতে পরিষ্কার করার জন্য একটি ঝাড়ু এবং দ্রুত পরিষ্কার করার জন্য একটি বৈদ্যুতিক ঝাড়ু ছিল। শীতকালে এবং গ্রীষ্মকালে সে আরাম বোধ করার জন্য এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করত। খালিদ তার বাড়ি ভালোবাসত এবং সেখানে স্বস্তি অনুভব করত। সে তার প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলত। তার বাড়ি তার জন্য একটি ছোট জান্নাত ছিল, যেখানে সে শান্তি ও স্বস্তি অনুভব করত)।
প্রশ্নের উত্তর দাও
-
أَيْنَ كَانَ الْبُسْتَانُ؟ (বাগানটি কোথায় ছিল?)
-
كَانَ فِي قَرْيَةٍ صَغِيرَةٍ (একটি ছোট গ্রামে ছিল)।
-
-
كَيْفَ كَانَ صَاحِبُ الْبُسْتَانِ؟ (বাগানের মালিক কেমন ছিলেন?)
-
كَانَ سَعِيدًا جِدًّا (তিনি খুব খুশি ছিলেন)।
-
-
مَاذَا كَانَ يُحِبُّ صَاحِبُ الْبُسْتَانِ؟ (বাগানের মালিক কী ভালোবাসতেন?)
-
كَانَ يُحِبُّ زِرَاعَةَ الْأَشْجَارِ وَالْوُرُودِ (তিনি গাছ এবং ফুল রোপণ করতে ভালোবাসতেন)।
-
-
مَاذَا كَانَ يَفْعَلُ سَعِيدٌ كُلَّ صَبَاحٍ؟ (প্রতিদিন সকালে সাঈদ কী করতেন?)
-
كَانَ يَسْتَيْقِظُ مُبَكِّرًا وَيَسْقِي النَّبَاتَاتِ (তিনি খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতেন এবং গাছপালায় পানি দিতেন)।
-
-
مَاذَا كَانَ سَعِيدٌ يَسْقِيهِ كُلَّ يَوْمٍ؟ (সাঈদ প্রতিদিন কীসে পানি দিতেন?)
-
كَانَ يَسْقِي النَّبَاتَاتِ وَالْأَشْجَارَ (তিনি গাছপালা এবং গাছে পানি দিতেন)।
-
-
كَيْفَ كَانَ الْأَطْفَالُ يَسْتَمْتِعُونَ فِي الْبُسْتَانِ؟ (শিশুরা কিভাবে বাগানে আনন্দ পেত?)
-
كَانُوا يَلْعَبُونَ تَحْتَ الْأَشْجَارِ وَيَأْكُلُونَ الْفَوَاكِهَ (তারা গাছের নিচে খেলা করত এবং ফল খেত)।
-
-
مَاذَا كَانَ الْأَطْفَالُ يَأْكُلُونَ فِي الْبُسْتَانِ؟ (শিশুরা বাগানে কী খেত?)
-
كَانُوا يَأْكُلُونَ الْفَوَاكِهَ الطَّازَجَةَ (তারা তাজা ফল খেত)।
-
-
مَاذَا قَرَّرَ سَعِيدٌ أَنْ يَفْعَلَ بَعْدَ ذَلِكَ؟ (এরপর সাঈদ কী করার সিদ্ধান্ত নিলেন?)
-
قَرَّرَ أَنْ يَسْقِيَ الْأَشْجَارَ أَكْثَرَ (তিনি গাছে আরও বেশি করে পানি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন)।
-
-
مَاذَا حَدَثَ عِنْدَمَا بَدَأَ سَعِيدٌ يَسْقِي الْأَشْجَارَ أَكْثَرَ؟ (যখন সাঈদ গাছে আরও বেশি করে পানি দিতে শুরু করলেন, তখন কী ঘটল?)
-
أَصْبَحَ بُسْتَانُهُ أَجْمَلَ مَكَانٍ فِي الْقَرْيَةِ (তার বাগান গ্রামের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা হয়ে উঠল)।
-
-
مَنْ كَانَ يَزُورُ الْبُسْتَانَ بَعْدَ أَنْ أَصْبَحَ أَجْمَلَ؟ (বাগানটি সুন্দর হওয়ার পর কারা সেখানে আসত?)
-
كَانَ الْجَمِيعُ يَزُورُونَهُ (সবাই সেখানে আসত)।
-
-
لِمَاذَا كَانَ الْجَمِيعُ يَأْتُونَ إِلَى الْبُسْتَانِ؟ (কেন সবাই বাগানে আসত?)
-
لِلِاسْتِمْتَاعِ بِجَمَالِهِ (তার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হওয়ার জন্য)।
-
-
مَاذَا كَانَ يَحْدُثُ فِي الْبُسْتَانِ بِسَبَبِ رَائِحَةِ الزُّهُورِ؟ (ফুলের সুবাসের কারণে বাগানে কী ঘটত?)
-
كَانَتِ الرَّائِحَةُ الْجَمِيلَةُ تَنْتَشِرُ فِي كُلِّ مَكَانٍ (সুন্দর সুবাস চারপাশে ছড়িয়ে পড়ত)।
-
-
كَيْفَ كَانَ سَعِيدٌ يَعْتَنِي بِالْأَشْجَارِ وَالزُّهُورِ؟ (সাঈদ কিভাবে গাছ ও ফুলের যত্ন নিতেন?)
-
كَانَ يَسْقِيهَا كُلَّ صَبَاحٍ (তিনি প্রতিদিন সকালে সেগুলিতে পানি দিতেন)।
-
হাদিসের অর্থ করো
(৬৩) عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: صَلَاةُ الْجَمَاعَةِ أَفْضَلُ مِنْ صَلَاةِ الْفَذِّ (الْوَاحِدِ) بِسَبْعٍ وَعِشْرِينَ دَرَجَةً (ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: জামাতে সালাত আদায় করা একাকী সালাত আদায় করার চেয়ে সাতাশ গুণ উত্তম)।
(৬৪) عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: مَنْ صَلَّى الْعِشَاءَ فِي جَمَاعَةٍ فَكَأَنَّمَا قَامَ نِصْفَ اللَّيْلِ، وَمَنْ صَلَّى الصُّبْحَ فِي جَمَاعَةٍ فَكَأَنَّمَا صَلَّى اللَّيْلَ كُلَّهُ (উসমান ইবনে আফফান (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি: যে ব্যক্তি জামাতের সাথে ইশার সালাত আদায় করল, সে যেন অর্ধেক রাত সালাত আদায় করল। আর যে ব্যক্তি জামাতের সাথে ফজরের সালাত আদায় করল, সে যেন পুরো রাত সালাত আদায় করল)।
(৬৫) عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: صَلُّوا أَيُّهَا النَّاسُ فِي بُيُوتِكُمْ، فَإِنَّ أَفْضَلَ الصَّلَاةِ صَلَاةُ الْمَرْءِ فِي بَيْتِهِ إِلَّا الْمَكْتُوبَةَ (إِلَّا الصَّلَاةَ الْمَفْرُوضَةَ) (যায়েদ ইবনে সাবিত (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন: হে লোকেরা! তোমরা তোমাদের ঘরে সালাত আদায় করো। কারণ ফরয সালাত ছাড়া ব্যক্তির সর্বোত্তম সালাত হলো তার ঘরে আদায় করা সালাত)।
(৬৬) عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ! أَفْشُوا السَّلَامَ وَأَطْعِمُوا الطَّعَامَ وَصَلُّوا بِاللَّيْلِ وَالنَّاسُ نِيَامٌ تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ بِسَلَامٍ (আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন: হে লোকেরা! তোমরা সালামের প্রচলন করো, খাবার খাওয়াও এবং রাতের বেলা সালাত আদায় করো যখন মানুষ ঘুমিয়ে থাকে, তাহলে তোমরা নিরাপদে জান্নাতে প্রবেশ করবে)।
(৬৭) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ شَهْرُ اللَّهِ الْمُحَرَّمُ (আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: রমযানের পর সর্বোত্তম সিয়াম হলো আল্লাহর মাস মুহাররমের সিয়াম)।
(৬৮) عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: أَحَبُّ الصَّلَاةِ إِلَى اللَّهِ صَلَاةُ دَاوُدَ، وَأَحَبُّ الصِّيَامِ إِلَى اللَّهِ صِيَامُ دَاوُدَ، كَانَ يَنَامُ نِصْفَ اللَّيْلِ وَيَقُومُ ثُلُثَهُ وَيَنَامُ سُدُسَهُ، وَيَصُومُ يَوْمًا وَيُفْطِرُ يَوْمًا (আবু আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় সালাত হলো দাউদ (আ.)-এর সালাত, আর আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় সিয়াম হলো দাউদ (আ.)-এর সিয়াম। তিনি অর্ধেক রাত ঘুমাতেন, রাতের এক-তৃতীয়াংশ সালাত আদায় করতেন এবং শেষ এক-ষষ্ঠাংশ ঘুমাতেন। আর তিনি একদিন রোযা রাখতেন এবং একদিন রোযা ভাঙতেন)।
(৬৯) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: رَحِمَ اللَّهُ رَجُلًا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ فَصَلَّى وَأَيْقَظَ امْرَأَتَهُ، فَإِنْ أَبَتْ نَضَحَ فِي وَجْهِهَا الْمَاءَ، رَحِمَ اللَّهُ امْرَأَةً قَامَتْ مِنَ اللَّيْلِ فَصَلَّتْ وَأَيْقَظَتْ زَوْجَهَا، فَإِنْ أَبَى نَضَحَتْ فِي وَجْهِهِ الْمَاءَ (আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আল্লাহ সেই ব্যক্তির প্রতি রহম করুন, যে রাতে উঠে সালাত আদায় করে এবং তার স্ত্রীকে জাগিয়ে তোলে। যদি সে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে তার মুখে পানি ছিটিয়ে দেয়। আল্লাহ সেই নারীর প্রতি রহম করুন, যে রাতে উঠে সালাত আদায় করে এবং তার স্বামীকে জাগিয়ে তোলে। যদি সে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে তার মুখে পানি ছিটিয়ে দেয়)।
(৭০) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ لَهُ إِلَّا الصَّوْمَ، فَإِنَّهُ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ (আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আদম সন্তানের প্রতিটি কাজ তার জন্য, কিন্তু সিয়াম আমার জন্য, আর আমি এর প্রতিদান দেব)।
(৭১) عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: تَسَحَّرُوا فَإِنَّ فِي السَّحُورِ بَرَكَةً (আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: তোমরা সাহরি খাও। কারণ সাহরিতে বরকত রয়েছে)।
(৭২) عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ! نَرَى الْجِهَادَ أَفْضَلَ الْعَمَلِ، أَفَلَا نُجَاهِدُ؟ فَقَالَ: لَكِنْ أَفْضَلُ الْجِهَادِ حَجٌّ مَبْرُورٌ (আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: হে আল্লাহর রাসূল! আমরা জিহাদকে সর্বোত্তম আমল মনে করি, আমরা কি জিহাদ করব না? তিনি বললেন: কিন্তু সর্বোত্তম জিহাদ হলো মাবরূর হজ)।
(৭৩) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ فِي الْجَنَّةِ مِائَةَ دَرَجَةٍ أَعَدَّهَا اللَّهُ لِلْمُجَاهِدِينَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، مَا بَيْنَ الدَّرَجَتَيْنِ كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ (আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: নিশ্চয়ই জান্নাতে একশোটি স্তর রয়েছে, যা আল্লাহ তার পথে জিহাদকারীদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন। দুটি স্তরের মাঝে দূরত্ব আসমান ও যমীনের দূরত্বের মতো)।
(৭৪) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يَلِجُ النَّارَ رَجُلٌ بَكَى مِنْ خَشْيَةِ اللَّهِ حَتَّى يَعُودَ اللَّبَنُ فِي الضَّرْعِ وَلَا يَجْتَمِعُ عَلَى عَابِدٍ غُبَارٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَدُخَانُ جَهَنَّمَ (আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আল্লাহর ভয়ে যে ব্যক্তি কাঁদে, সে ততক্ষণ পর্যন্ত জাহান্নামে প্রবেশ করবে না, যতক্ষণ না দুধ পশুর ওলানে ফিরে যায়। এবং আল্লাহর পথে ধুলো লাগা ও জাহান্নামের ধোঁয়া কোনো বান্দার উপর একত্রিত হবে না)।
(৭৫) عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: يَغْفِرُ اللَّهُ لِلشَّهِيدِ كُلَّ ذَنْبٍ إِلَّا الدَّيْنَ (আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আল্লাহ শহীদদের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেন, কিন্তু ঋণ ব্যতীত)।
হোমওয়ার্ক করো
📝 ০1. হাদিসের অর্থ লেখো
(৭৬) عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: جَاهِدُوا الْمُشْرِكِينَ بِأَمْوَالِكُمْ وَأَنْفُسِكُمْ وَأَلْسِنَتِكُمْ (আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন: তোমরা মুশরিকদের বিরুদ্ধে তোমাদের সম্পদ, তোমাদের জীবন এবং তোমাদের জিহ্বা দিয়ে জিহাদ করো)।
(৭৭) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ! أَرَأَيْتَ إِنْ جَاءَ رَجُلٌ يُرِيدُ أَخْذَ مَالِي، قَالَ: فَلَا تُعْطِهِ مَالَكَ قَالَ: أَرَأَيْتَ إِنْ قَاتَلَنِي؟ قَالَ: قَاتِلْهُ. قَالَ: أَرَأَيْتَ إِنْ قَتَلَنِي؟ قَالَ: فَأَنْتَ شَهِيدٌ. قَالَ: أَرَأَيْتَ إِنْ قَتَلْتُهُ؟ قَالَ: هُوَ فِي النَّارِ (আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: একজন লোক রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে বলল: হে আল্লাহর রাসূল! যদি কোনো ব্যক্তি আমার সম্পদ নিতে আসে, তাহলে আপনি কী বলেন? তিনি বললেন: তুমি তাকে তোমার সম্পদ দেবে না। সে বলল: যদি সে আমাকে হত্যা করতে চায়? তিনি বললেন: তুমি তার সাথে যুদ্ধ করো। সে বলল: যদি সে আমাকে হত্যা করে? তিনি বললেন: তাহলে তুমি শহীদ। সে বলল: যদি আমি তাকে হত্যা করি? তিনি বললেন: তাহলে সে জাহান্নামে যাবে)।
(৭৮) عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ خَرَجَ فِي طَلَبِ الْعِلْمِ فَهُوَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ حَتَّى يَرْجِعَ (আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যে ব্যক্তি ইলম অন্বেষণের জন্য বের হয়, সে ফিরে আসা পর্যন্ত আল্লাহর পথে থাকে)।
(৭৯) عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِذَا مَاتَ وَلَدُ الْعَبْدِ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى لِمَلَائِكَتِهِ: قَبَضْتُمْ وَلَدَ عَبْدِي؟ فَيَقُولُونَ: نَعَمْ، فَيَقُولُ: قَبَضْتُمْ ثَمَرَةَ فُؤَادِهِ؟ فَيَقُولُونَ: نَعَمْ، فَيَقُولُ: فَمَاذَا قَالَ عَبْدِي؟ فَيَقُولُونَ: حَمِدَكَ وَاسْتَرْجَعَ، فَيَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى: ابْنُوا لِعَبْدِي بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ وَسَمُّوهُ بَيْتَ الْحَمْدِ (আবু মূসা আল-আশ’আরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যখন কোনো বান্দার সন্তান মারা যায়, তখন আল্লাহ তা’আলা তাঁর ফেরেশতাদেরকে বলেন: তোমরা কি আমার বান্দার সন্তানকে তুলে নিয়েছ? তারা বলে: হ্যাঁ। তিনি বলেন: তোমরা কি তার হৃদয়ের ফল (সন্তান) তুলে নিয়েছ? তারা বলে: হ্যাঁ। তিনি বলেন: তাহলে আমার বান্দা কী বলেছে? তারা বলে: সে আপনার প্রশংসা করেছে এবং ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন পড়েছে। তখন আল্লাহ তা’আলা বলেন: আমার বান্দার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরি করো এবং তার নাম রাখো “বাইতুল হামদ” (প্রশংসার ঘর)।
📝 ০2. আরবি লেখো
أَعْطَى وَالِدُ رَاشِدٍ دَرَّاجَةً جَدِيدَةً. (রাশেদের বাবা তাকে নতুন সাইকেল দিলেন।) كَانَ سَعِيدًا جِدًّا. (সে খুব খুশি হলো।) خَرَجَ لِيَرْكَبَ الدَّرَّاجَةَ فِي الصَّبَاحِ. (সে সকালে সাইকেল চালাতে বের হলো।) بَدَأَ يُحَاوِلُ مِرَارًا وَتَكْرَارًا. (সে বারবার চেষ্টা করতে লাগল।) فِي النِّهَايَةِ، تَمَكَّنَ مِنَ الْقِيَادَةِ بِشَكْلٍ صَحِيحٍ. (অবশেষে সে ঠিকভাবে চালাতে পারল।) فَرِحَ كَثِيرًا. (সে খুশি হল।) ثُمَّ قَالَ وَالِدُهُ: “فِي الْحَيَاةِ أَيْضًا يَجِبُ عَلَيْنَا أَنْ نُحَاوِلَ بِهَذِهِ الطَّرِيقَةِ”. (বাবা তখন বললেন, “জীবনেও এভাবে চেষ্টা করতে হয়।”) تَعَلَّمَ رَاشِدٌ أَنَّ النَّجَاحَ يَأْتِي مَعَ الصَّبْرِ. (রাশেদ শিখল, ধৈর্য ধরলেই সফলতা আসে।) فِي الْيَوْمِ التَّالِي، عَلَّمَ صَدِيقَهُ كَيْفَ يَرْكَبُ الدَّرَّاجَةَ. (পরদিন সে তার বন্ধুকে সাইকেল শেখাল।) لَكِنْ لَمْ يَكُنْ لِصَدِيقِهِ دَرَّاجَةٌ، فَقَالَ لِوَالِدِ صَدِيقِهِ لَكِنَّهُ لَمْ يَسْتَطِعْ شِرَاءَهَا لَهُ، فَشَعَرَ بِحُزْنٍ شَدِيدٍ. (কিন্তু তার বন্ধুর সাইকেল ছিল না, সে তার বন্ধুর বাবাকে বলল কিন্তু তার বাবা তাকে কিনে দিতে পারল না তাই সে খুব দুঃখ পেলো।)