• প্রথম স্তর – আরবি ভাষা শেখার হাতেখড়ি (الجزء الأول)
আরবি ভাষা কোর্সের ৬টি স্তর থাকবে, প্রথম স্তর কুরআন শিক্ষার জন্য, দ্বিতীয় স্তর প্রাথমিক আরবি ভাষা শিক্ষার জন্য, তৃতীয় স্তর মাধ্যমিক আরবি ভাষা শিখার জন্য, ৪র্থ স্তর উচ্চ মাধ্যমিক আরবি ভাষা শিখার জন্য, ৫ম স্তর আরবি ব্যাকারণ বা নাহু-সরফ শিখার জন্য, আর ৬ষ্ঠ স্তর এডভান্স আরবি ভাষা শিখার জন্য, প্রথম স্তর এখন শুরু হবে ইনশাআল্লাহ প্রথম স্তর – আরবি ভাষা শেখার হাতেখড়ি (الجزء الأول): শিক্ষার্থীরা আরবি হরফের সঠিক উচ্চারণ, মৌলিক হরকত, গুন্নাহ, কলকলা, মাদ্দ ও ওয়াকফের নিয়ম শিখবে। এটি কুরআন শুদ্ধ উচ্চারণে তিলাওয়াতের আত্মবিশ্বাস তৈরি করবে এবং সুন্দর আরবি হাতের লেখা আয়ত্ত করতে সাহায্য করবে। এই স্তর শেষে শিক্ষার্থীরা আরবি হরফের শুদ্ধ উচ্চারণে পারদর্শী হবে এবং তাজবীদের মৌলিক নিয়মে কুরআন পড়ার আত্মবিশ্বাস অর্জন করবে।

আরবি হাতের লেখা শিক্ষা
আরবি হস্তলিপির শৈলী আরবি হস্তলিপির বিভিন্ন সুন্দর শৈলী বা 'খত' রয়েছে, যেমন: খত্তে নাসখ (خط النسخ), খত্তে রুকাআ (خط الرقعة), খত্তে সুলস (خط الثلث), খত্তে দিওয়ানি (خط الديواني), খত্তে ফার্সি (خط فارسي) ইত্যাদি। প্রতিটি খতের নিজস্ব নিয়ম ও সৌন্দর্য বিদ্যমান। কিভাবে শিখবেন এই অনুশীলন বইটি আপনাকে ধাপে ধাপে আরবি হাতের লেখা শিখতে সাহায্য করবে: 1. হরফ পরিচিতি: প্রতিটি আরবি হরফের রূপ ও লেখার নিয়ম মনোযোগ দিয়ে দেখুন। 2. অনুশীলন: প্রতিটি হরফ আলাদাভাবে এবং শব্দে যুক্ত অবস্থায় লেখার অনুশীলন করুন। বইটিতে সঠিক আকার ও লেখার দিকনির্দেশনা দেওয়া আছে। 3. শব্দ ও বাক্য: ধীরে ধীরে ছোট শব্দ ও বাক্য লেখার অনুশীলন শুরু করুন। আমাদের মূল বইয়ের শব্দ ও বাক্যগুলো এখানে সহায়ক হবে। 4. নিয়মিত চর্চা: প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় অনুশীলন করে হাতের লেখা সুন্দর করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। 5. ধৈর্য ধরুন: তাড়াহুড়ো না করে ধীরে ধীরে ও মনোযোগের সাথে অনুশীলন করুন। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে আপনার হাতের লেখায় অবশ্যই উন্নতি আসবে।

দ্বিতীয় স্তর – আরবি ভাষা শিক্ষার প্রাথমিক ধাপ (الجزء الثاني)
এই অংশে শিক্ষার্থীরা আরবি ব্যাকরণের মৌলিক বিষয়াবলী যেমন—ইশারা, পুংলিঙ্গ-স্ত্রীলিঙ্গ, নির্দিষ্ট-অনির্দিষ্ট শব্দ, সর্বনাম, ইযাফা, ক্রিয়াবিশেষণ, অব্যয়, সম্বোধন এবং সংখ্যা শিখবে। এটি শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি করবে এবং আরবি-বাংলায় বাক্য নির্মাণ ও কথোপকথনের প্রাথমিক দক্ষতা তৈরি করবে। এই স্তর শেষে শিক্ষার্থীরা আরবি ভাষার মূল কাঠামো এবং ব্যবহারিক দক্ষতায় পারদর্শী হয়ে প্রাথমিক পর্যায়ের আরবিতে কথা বলতে পারবে।

তৃতীয় স্তর – আরবি ভাষা শেখার মাধ্যমিক ধাপ (الجزء الثالث)
এই স্তরে ক্রিয়ার বিভিন্ন প্রকার, ক্রিয়ার রূপান্তর এবং জটিল ক্রিয়ার গঠন শেখানো হবে। নফি, ইস্তেসনা, তা'লিল, জজম, নাসব ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকরণিক উপাদান এবং বাক্য বিশ্লেষণের কৌশল আয়ত্ত করা যাবে। এই স্তর শেষে শিক্ষার্থীরা আরবি ক্রিয়ার গঠন ও পরিবর্তন বুঝে বাক্যে প্রয়োগ করতে এবং হাদীস ও আয়াত বোঝার ক্ষেত্রে ব্যাকরণ প্রয়োগে পারদর্শী হতে সক্ষম হবে এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের আরবিতে কথা বলতে পারবে।

চতুর্থ স্তর – আরবি ভাষা শিক্ষার উচ্চ মাধ্যমিক ধাপ (الجزء الرابع)
এই অংশে ভাষার সৌন্দর্য ও সাহিত্যিক রীতি শেখানো হবে। শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ব্যবহার শিখবে। কুরআনের ২০০+ আয়াত এবং ১০০+ এর বেশি হাদীসের অর্থ ও বিশ্লেষণ, প্রচলিত বাক্যরীতি (التعبيرات), প্রবাদ-প্রবচন, এবং প্রশংসা ও নিন্দার বাক্যগঠনশৈলী আয়ত্ত করবে। এর মাধ্যমে তারা আরবিতে নিজস্ব ভাব প্রকাশে প্রাঞ্জলতা অর্জন করবে এবং সাহিত্যিক রচনারীতি বুঝতে সক্ষম হবে।

পঞ্চম স্তর – পূর্ণাঙ্গ ব্যাকরণ বিশ্লেষণ (নাহু ও সরফ) (الجزء الخامس)
এটি আরবি ব্যাকরণের মূল ভিত্তি। এখানে নাহু (বাক্য বিশ্লেষণ ও গঠন) এবং সরফ (শব্দরূপ ও ধাতু বিশ্লেষণ) এর বিস্তারিত আলোচনা ও অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই অংশ ভালোভাবে অনুশীলন করলে শিক্ষার্থীরা ইনশাআল্লাহ নাহু ও সরফের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারবে এবং যেকোনো আরবি বাক্য নির্ভুলভাবে বিশ্লেষণ ও গঠন করা, কুরআন, হাদীস ও আরবি সাহিত্য বুঝতে পারা, এবং শুদ্ধ ও প্রাঞ্জল আরবি লিখতে পারার সক্ষমতা অর্জন করবে।

ষষ্ঠ স্তর – ব্যবহারিক ভাষাদক্ষতা (الجزء السادس)
এটি বইয়ের সবচেয়ে বাস্তবমুখী অংশ। এখানে ভাষার চারটি মৌলিক দক্ষতা — কথোপকথন (محادثة), লিখন (كتابة), পঠন (قراءة) এবং শ্রবণ (استماع) — এর উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এই অংশে অ্যাডভান্স আরবিতে কথা বলার জন্য প্রয়োজনীয় সকল শব্দ, বিষয়ভিত্তিক কথোপকথন, প্রশ্ন করা, উত্তর দেওয়া, দৈনন্দিন জীবনে কথা বলা, বক্তৃতা দেওয়া, উপস্থাপনা করা, জুমার খুতবা দেওয়া ইত্যাদি শেখানো হয়েছে। লেখালেখির বিষয়ে দরখাস্ত, প্রবন্ধ, চিঠি, সিভি, সংবাদ লেখার বিস্তারিত নিয়ম ও উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। পঠন ও শ্রবণ দক্ষতার জন্য কুরআন, হাদীস, আধুনিক আরবি প্রবন্ধ, খবর ও গল্প এবং দৈনন্দিন ব্যবহৃত আরবি পত্রিকা ও সংবাদপত্রের চর্চা অন্তর্ভুক্ত।

উচ্চ মাধ্যমিক আরবি ভাষা কোর্সের ১৪নং ক্লাস
About Lesson

📖 নির্দেশনা:
প্রথম পাঠের হোমওয়ার্কের আগ পর্যন্ত সকল আরবি বাক্যের সাথে বাংলা অর্থ এবং বাংলা বাক্যের সাথে তার আরবি অনুবাদ এখানে দেওয়া হলো।
তুমি আগে নিজে পুরো পাঠটি মনোযোগ দিয়ে পড়বে, তারপর মিলিয়ে দেখবে —
তোমার বাংলা অর্থ করা এবং আরবি অনুবাদ করা শুদ্ধ হয়েছে কিনা।
⚠ সতর্কতা:
ভুলেও আগে এই অংশটি পড়বে না — আগে নিজে চেষ্টা করো, পরে মিলিয়ে দেখো।

গল্প এবং তার অর্থ

 

فِي قَرْيَةٍ صَغِيرَةٍ كَانَ آدَمُ (একটি ছোট গ্রামে আদম নামের একজন ছেলে ছিল)। كَانَ آدَمُ يُحِبُّ السَّيَّارَاتِ كَثِيرًا (আদম গাড়ি খুব ভালোবাসত)। كُلَّمَا رَأَى سَيَّارَةً فِي الطَّرِيقِ، كَانَ يَنْظُرُ إِلَيْهَا حَتَّى تَخْتَفِي (যখনই সে রাস্তায় কোনো গাড়ি দেখত, সে সেটির দিকে তাকিয়ে থাকত যতক্ষণ না সেটি অদৃশ্য হয়ে যেত)। كَانَ يَحْلُمُ دَائِمًا بِأَنْ يَكُونَ لَهُ سَيَّارَةٌ جَمِيلَةٌ عِنْدَمَا يَكْبُرُ (সে সবসময় স্বপ্ন দেখত যে বড় হলে তার একটি সুন্দর গাড়ি হবে)।

كَانَ وَالِدُ آدَمَ يَمْتَلِكُ سَيَّارَةً قَدِيمَةً (আদমের বাবার একটি পুরোনো গাড়ি ছিল)। كَانَتْ تَعْمَلُ بِبُطْءٍ (সেটি ধীরে ধীরে চলত)। لَكِنْ آدَمُ كَانَ يُحِبُّهَا كَثِيرًا، وَكَانَ يَجْلِسُ بِجَانِبِ وَالِدِهِ كُلَّمَا خَرَجُوا فِي رِحْلَةٍ (কিন্তু আদম সেটিকে খুব ভালোবাসত, এবং যখনই তারা কোনো ভ্রমণে যেত, সে তার বাবার পাশে বসত)। كَانَ يَسْأَلُ وَالِدَهُ كَثِيرًا عَنِ السَّيَّارَاتِ، كَيْفَ تَسِيرُ؟ (সে তার বাবাকে গাড়ি সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন করত, ‘গাড়ি কিভাবে চলে?’)

فِي أَحَدِ الْأَيَّامِ، اشْتَرَى وَالِدُ آدَمَ سَيَّارَةً جَدِيدَةً، وَكَانَتْ تَتَحَرَّكُ بِسُرْعَةٍ (একদিন, আদমের বাবা একটি নতুন গাড়ি কিনলেন, যেটি দ্রুত চলত)। عِنْدَمَا رَأَى آدَمُ السَّيَّارَةَ الْجَدِيدَةَ، قَالَ: “يَا أَبِي! هَذِهِ السَّيَّارَةُ جَمِيلَةٌ جِدًّا!” (যখন আদম নতুন গাড়িটি দেখল, সে বলল: “আব্বু! এই গাড়িটা খুব সুন্দর!”) ابْتَسَمَ وَالِدُهُ وَقَالَ: “نَعَمْ” (তার বাবা হাসলেন এবং বললেন: “হ্যাঁ”)।

فِي الْيَوْمِ التَّالِي، أَخَذَ وَالِدُهُ آدَمَ بِالسَّيَّارَةِ الْجَدِيدَةِ (পরদিন, তার বাবা আদমকে নতুন গাড়িতে করে নিয়ে গেলেন)। جَلَسَ آدَمُ فِي الْمَقْعَدِ الْأَمَامِيِّ، وَشَعَرَ بِالسَّعَادَةِ عِنْدَمَا بَدَأَتِ السَّيَّارَةُ تَتَحَرَّكُ (আদম সামনের সিটে বসল, এবং গাড়ি চলতে শুরু করলে সে খুশি অনুভব করল)। كَانَ يَنْظُرُ مِنَ النَّافِذَةِ وَيَرَى الْأَشْجَارَ وَالْبُيُوتَ تَمُرُّ بِسُرْعَةٍ (সে জানালা দিয়ে দেখছিল এবং গাছ ও ঘর দ্রুত পেছনে চলে যাচ্ছিল)।

بَعْدَ الْعَوْدَةِ إِلَى الْمَنْزِلِ، قَالَ وَالِدُهُ: “السَّيَّارَةُ مِثْلُ صَدِيقٍ جَيِّدٍ” (বাড়ি ফেরার পর তার বাবা বললেন: “গাড়ি একটি ভালো বন্ধুর মতো”)। ابْتَسَمَ آدَمُ (আদম হাসল)।

وَمُنْذُ ذَلِكَ الْيَوْمِ، كَانَ آدَمُ يَمْسَحُ السَّيَّارَةَ، وَيُسَاعِدُ وَالِدَهُ فِي غَسْلِهَا بِالْمَاءِ (এবং সেই দিন থেকে, আদম গাড়িটি মুছত, এবং তার বাবাকে পানি দিয়ে সেটি ধুতে সাহায্য করত)।


كَانَتْ هُنَاكَ قَرْيَةٌ صَغِيرَةٌ، وَكَانَتْ جَمِيلَةً وَهَادِئَةً، وَفِيهَا بُيُوتٌ قَدِيمَةٌ، وَكَانَ أَهْلُهَا طَيِّبِينَ، وَكَانَ فِي وَسَطِ ٱلْقَرْيَةِ مَسْجِدٌ جَمِيلٌ، وَيَأْتِي ٱلنَّاسُ إِلَيْهِ لِلصَّلَاةِ، وَيُؤَذِّنُ فِيهِ ٱلْمُؤَذِّنُ كُلَّ يَوْمٍ، وَيُصَلُّونَ جَمَاعَةً، وَيَقْرَءُونَ ٱلْقُرْآنَ، وَيَتَعَلَّمُ ٱلْأَطْفَالُ فِيهِ، وَيُحِبُّونَ ٱلْمَسْجِدَ كَثِيرًا، وَيَجْلِسُ ٱلشَّيْخُ يُعَلِّمُهُمُ ٱلدِّينَ، وَيَقُولُ لَهُمُ: كُونُوا صَالِحِينَ، وَيَقُولُ ٱلْأَطْفَالُ: نَعَمْ، وَيَتَوَضَّؤُونَ قَبْلَ ٱلصَّلَاةِ وَيَسْجُدُونَ لِلَّهِ، وَيَدْعُونَ بَعْدَ ٱلصَّلَاةِ، وَيَخْرُجُونَ، وَيُسَلِّمُونَ عَلَى بَعْضِهِمْ، وَيَعُودُونَ إِلَى بُيُوتِهِمْ، وَفِي ٱلْمَسَاءِ يُؤَذِّنُ ٱلْمُؤَذِّنُ، وَيُصَلُّونَ ٱلْمَغْرِبَ، وَيَجْلِسُونَ لِسَمَاعِ قِصَصٍ جَمِيلَةٍ، وَيَتَعَلَّمُونَ ٱلْخَيْرَ، وَتَضِيءُ ٱلْقَرْيَةُ بِنُورِ ٱلْمَسْجِدِ، وَيَقُولُ ٱلْجَمِيعُ: ٱلْحَمْدُ لِلَّهِ، وَيُحِبُّ ٱلنَّاسُ ٱلْمَسْجِدَ، وَيُزَيِّنُونَهُ فِي ٱلْعِيدِ، وَيَقْرَءُونَ فِيهِ ٱلْقُرْآنَ فِي رَمَضَانَ، وَيَبْكُونَ فِي ٱلدُّعَاءِ، وَيَشْعُرُونَ بِٱلطُّمَأْنِينَةِ، وَيَطْلُبُونَ ٱلْعِلْمَ، وَيَعِيشُونَ فِي ٱلْخَيْرِ، وَتَبْقَى ٱلْقَرْيَةُ سَعِيدَةً بِنُورِ ٱلْإِيمَانِ

(একটি ছোট গ্রাম ছিল, যা সুন্দর ও শান্ত ছিল। তাতে পুরোনো ঘর ছিল এবং তার লোকেরা ভালো ছিল। গ্রামের মাঝখানে একটি সুন্দর মসজিদ ছিল, এবং লোকেরা সেখানে সালাত আদায় করতে আসত। প্রতিদিন মুয়াজ্জিন তাতে আযান দিত এবং তারা জামাতে সালাত আদায় করত, কুরআন পড়ত, এবং শিশুরা তাতে শিখত। তারা মসজিদকে খুব ভালোবাসত। একজন শাইখ বসতেন এবং তাদের ধর্ম শেখাতেন। তিনি তাদের বলতেন: “তোমরা সৎ হও।” শিশুরা বলত: “হ্যাঁ।” তারা সালাতের আগে ওযু করত এবং আল্লাহর সামনে সিজদা করত। সালাতের পর তারা দুআ করত, বের হয়ে একে অপরকে সালাম দিত এবং নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যেত। সন্ধ্যায় মুয়াজ্জিন আযান দিত, এবং তারা মাগরিবের সালাত আদায় করত। তারা সুন্দর গল্প শোনার জন্য বসত এবং ভালো কাজ শিখত। মসজিদটির আলোয় গ্রামটি আলোকিত থাকত, এবং সবাই বলত: “আলহামদুলিল্লাহ।” লোকেরা মসজিদকে ভালোবাসত, ঈদে সেটিকে সাজাত, রমযানে তাতে কুরআন পড়ত এবং দুআয় কাঁদত। তারা প্রশান্তি অনুভব করত, জ্ঞান অন্বেষণ করত, এবং ভালো কাজে জীবনযাপন করত। আর গ্রামটি ঈমানের আলোয় সুখী থাকত)।


 

প্রশ্ন উত্তর পড়

 

  • خالد: أَيْنَ كَانَتِ ٱلْقَرْيَةُ؟ (গ্রামটি কোথায় ছিল?)

    • راشد: كَانَتْ فِي مَكَانٍ جَمِيلٍ (এটি একটি সুন্দর জায়গায় ছিল)।

  • خالد: كَيْفَ كَانَتِ ٱلْقَرْيَةُ؟ (গ্রামটি কেমন ছিল?)

    • راشد: كَانَتْ صَغِيرَةً وَجَمِيلَةً (এটি ছোট এবং সুন্দর ছিল)।

  • خالد: مَاذَا كَانَ فِي ٱلْقَرْيَةِ؟ (গ্রামে কী ছিল?)

    • راشد: كَانَ فِيهَا بُيُوتٌ قَدِيمَةٌ وَمَسْجِدٌ جَمِيلٌ (তাতে পুরোনো বাড়ি এবং একটি সুন্দর মসজিদ ছিল)।

  • خالد: كَيْفَ كَانَ أَهْلُ ٱلْقَرْيَةِ؟ (গ্রামের লোকেরা কেমন ছিল?)

    • راشد: كَانُوا طَيِّبِينَ (তারা ভালো ছিল)।

  • خالد: أَيْنَ كَانَ ٱلْمَسْجِدُ؟ (মসজিদটি কোথায় ছিল?)

    • راشد: كَانَ فِي وَسَطِ ٱلْقَرْيَةِ (এটি গ্রামের মাঝখানে ছিল)।

  • خالد: مَاذَا يَفْعَلُ ٱلنَّاسُ فِي ٱلْمَسْجِدِ؟ (লোকেরা মসজিদে কী করে?)

    • راشد: يُصَلُّونَ وَيَقْرَءُونَ ٱلْقُرْآنَ (তারা সালাত আদায় করে এবং কুরআন পড়ে)।

  • خالد: مَنْ يُعَلِّمُ ٱلْأَطْفَالَ؟ (কে শিশুদের শেখায়?)

    • راشد: ٱلشَّيْخُ يُعَلِّمُهُمُ ٱلدِّينَ (শাইখ তাদের দ্বীন শেখান)।

  • خالد: مَاذَا يَقُولُ ٱلشَّيْخُ لِلْأَطْفَالِ؟ (শাইখ শিশুদের কী বলেন?)

    • راشد: يَقُولُ لَهُم: كُونُوا صَالِحِينَ (তিনি তাদের বলেন: তোমরা সৎ হও)।

  • خالد: مَاذَا يَفْعَلُونَ قَبْلَ ٱلصَّلَاةِ؟ (সালাতের আগে তারা কী করে?)

    • راشد: يَتَوَضَّؤُونَ (তারা ওযু করে)।

  • خالد: مَاذَا يَفْعَلُونَ بَعْدَ ٱلصَّلَاةِ؟ (সালাতের পর তারা কী করে?)

    • راشد: يَدْعُونَ وَيُسَلِّمُونَ عَلَى بَعْضِهِمْ (তারা দুআ করে এবং একে অপরকে সালাম দেয়)।

  • خالد: مَاذَا يَفْعَلُونَ فِي ٱلْمَسَاءِ؟ (সন্ধ্যায় তারা কী করে?)

    • راشد: يُصَلُّونَ ٱلْمَغْرِبَ وَيَجْلِسُونَ لِسَمَاعِ قِصَصٍ (তারা মাগরিবের সালাত আদায় করে এবং গল্প শোনার জন্য বসে)।

  • خالد: مَاذَا يَتَعَلَّمُونَ؟ (তারা কী শেখে?)

    • راشد: يَتَعَلَّمُونَ ٱلْخَيْرَ وَيَطْلُبُونَ ٱلْعِلْمَ (তারা ভালো কাজ শেখে এবং জ্ঞান অন্বেষণ করে)।

  • خالد: مَاذَا يَقْرَءُونَ فِي رَمَضَانَ؟ (রমযানে তারা কী পড়ে?)

    • راشد: يَقْرَءُونَ ٱلْقُرْآنَ (তারা কুরআন পড়ে)।


 

প্রশ্নের উত্তর দাও

 

  • أَيْنَ كَانَ يَعِيشُ آدَمُ؟ (আদম কোথায় থাকত?)

    • كَانَ يَعِيشُ فِي قَرْيَةٍ صَغِيرَةٍ (সে একটি ছোট গ্রামে থাকত)।

  • مَاذَا كَانَ يُحِبُّ آدَمُ كَثِيرًا؟ (আদম কী খুব ভালোবাসত?)

    • كَانَ يُحِبُّ السَّيَّارَاتِ كَثِيرًا (সে গাড়ি খুব ভালোবাসত)।

  • مَاذَا كَانَ يَفْعَلُ آدَمُ عِنْدَمَا يَرَى سَيَّارَةً فِي الطَّرِيقِ؟ (আদম যখন রাস্তায় কোনো গাড়ি দেখত তখন কী করত?)

    • كَانَ يَنْظُرُ إِلَيْهَا حَتَّى تَخْتَفِي (সে সেটির দিকে তাকিয়ে থাকত যতক্ষণ না সেটি অদৃশ্য হয়ে যেত)।

  • مَاذَا كَانَ يَمْتَلِكُ وَالِدُ آدَمَ؟ (আদমের বাবার কী ছিল?)

    • كَانَ يَمْتَلِكُ سَيَّارَةً قَدِيمَةً (তার একটি পুরোনো গাড়ি ছিল)।

  • كَيْفَ كَانَتِ السَّيَّارَةُ الَّتِي يَمْتَلِكُهَا وَالِدُ آدَمَ؟ (আদমের বাবার গাড়িটি কেমন ছিল?)

    • كَانَتْ تَعْمَلُ بِبُطْءٍ (সেটি ধীরে ধীরে চলত)।

  • مَاذَا كَانَ يَسْأَلُ آدَمُ وَالِدَهُ عَنِ السَّيَّارَاتِ؟ (আদম তার বাবাকে গাড়ি সম্পর্কে কী জিজ্ঞেস করত?)

    • كَانَ يَسْأَلُهُ كَيْفَ تَسِيرُ السَّيَّارَاتُ (সে তাকে জিজ্ঞেস করত কিভাবে গাড়ি চলে)।

  • كَيْفَ كَانَتِ السَّيَّارَةُ الْجَدِيدَةُ الَّتِي اشْتَرَى وَالِدُ آدَمَ؟ (আদমের বাবা যে নতুন গাড়িটি কিনেছিলেন সেটি কেমন ছিল?)

    • كَانَتْ تَتَحَرَّكُ بِسُرْعَةٍ (সেটি দ্রুত চলত)।

  • مَاذَا قَالَ آدَمُ عِنْدَمَا رَأَى السَّيَّارَةَ الْجَدِيدَةَ؟ (আদম নতুন গাড়িটি দেখে কী বলল?)

    • قَالَ: “يَا أَبِي! هَذِهِ السَّيَّارَةُ جَمِيلَةٌ جِدًّا!” (সে বলল: “আব্বু! এই গাড়িটা খুব সুন্দর!”)।

  • مَاذَا فَعَلَ وَالِدُ آدَمَ فِي الْيَوْمِ التَّالِي؟ (পরদিন আদমের বাবা কী করলেন?)

    • أَخَذَهُ فِي السَّيَّارَةِ الْجَدِيدَةِ (তিনি তাকে নতুন গাড়িতে করে নিয়ে গেলেন)।

  • أَيْنَ جَلَسَ آدَمُ فِي السَّيَّارَةِ الْجَدِيدَةِ؟ (আদম নতুন গাড়িতে কোথায় বসল?)

    • جَلَسَ فِي الْمَقْعَدِ الْأَمَامِيِّ (সে সামনের সিটে বসল)।

  • مَاذَا كَانَ آدَمُ يَرَى مِنَ النَّافِذَةِ أَثْنَاءَ الرِّحْلَةِ؟ (ভ্রমণের সময় আদম জানালা দিয়ে কী দেখছিল?)

    • كَانَ يَرَى الْأَشْجَارَ وَالْبُيُوتَ تَمُرُّ بِسُرْعَةٍ (সে গাছ এবং ঘর দ্রুত পেছনে চলে যেতে দেখছিল)।

  • مَاذَا قَالَ وَالِدُ آدَمَ عَنِ السَّيَّارَةِ بَعْدَ الْعَوْدَةِ إِلَى الْمَنْزِلِ؟ (বাড়ি ফেরার পর আদমের বাবা গাড়ি সম্পর্কে কী বললেন?)

    • قَالَ: “السَّيَّارَةُ مِثْلُ صَدِيقٍ جَيِّدٍ” (তিনি বললেন: “গাড়ি একটি ভালো বন্ধুর মতো”)।

  • مَاذَا بَدَأَ آدَمُ يَفْعَلُ مُنْذُ ذَلِكَ الْيَوْمِ؟ (সেই দিন থেকে আদম কী করতে শুরু করল?)

    • بَدَأَ يَمْسَحُ السَّيَّارَةَ وَيُسَاعِدُ وَالِدَهُ فِي غَسْلِهَا (সে গাড়ি মুছতে এবং তার বাবাকে সেটি ধুতে সাহায্য করতে শুরু করল)।


 

হাদিসের অর্থ করো

 

  • عَنْ عَبْدِاللّٰهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ ٱلْعَاصِ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُمَا أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللّٰهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: مَنْ صلى عَلَيَّ صَلَاةً صَلَّىٰ اللّٰهُ عَلَيْهِ بِهَا عَشْرًا (আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছেন: যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরুদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার উপর দশবার রহমত বর্ষণ করবেন)।

  • عَنْ أَبِي مُحَمَّدٍ كَعْبٍ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُ قَالَ: خَرَجَ عَلَيْنَا ٱلنَّبِيُّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللّٰهِ! قَدْ عَلِمْنَا كَيْفَ نُسَلِّمُ عَلَيْكَ، فَكَيْفَ نُصَلِّي عَلَيْكَ؟ قَالَ: قُولُوا: ٱللّٰهُمَّ صَلِّ عَلَىٰ مُحَمَّدٍ وَعَلَىٰ آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَىٰ إِبْرَاهِيمَ وَعَلَىٰ آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ، ٱللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلَىٰ مُحَمَّدٍ وَعَلَىٰ آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَىٰ إِبْرَاهِيمَ وَعَلَىٰ آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ (আবু মুহাম্মাদ কা’ব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: নবী (সা.) আমাদের মাঝে এলেন। আমরা বললাম: হে আল্লাহর রাসূল! আপনাকে কিভাবে সালাম দিতে হয় তা আমরা জানি, কিন্তু কিভাবে আপনার উপর দরুদ পড়ব? তিনি বললেন: তোমরা বলো: আল্লাহুম্মা সাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিন ওয়া ‘আলা আলি মুহাম্মাদ, কামা সাল্লাইতা ‘আলা ইব্রাহীমা ওয়া ‘আলা আলি ইব্রাহীম, ইন্নাকা হামীদুন মাজীদ। আল্লাহুম্মা বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিন ওয়া ‘আলা আলি মুহাম্মাদ, কামা বারাকতা ‘আলা ইব্রাহীমা ওয়া ‘আলা আলি ইব্রাহীম, ইন্নাকা হামীদুন মাজীদ)। (অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মদ এবং তাঁর বংশধরের উপর রহমত বর্ষণ করুন, যেমন আপনি ইব্রাহিম এবং তাঁর বংশধরের উপর রহমত বর্ষণ করেছেন। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত, সম্মানিত। হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মদ এবং তাঁর বংশধরের উপর বরকত দিন, যেমন আপনি ইব্রাহিম এবং তাঁর বংশধরের উপর বরকত দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত, সম্মানিত)।

  • عَنْ أَبِي ذَرٍّ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللّٰهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَلَا أُخْبِرُكَ بِأَحَبِّ ٱلْكَلَامِ إِلَىٰ ٱللّٰهِ؟ إِنَّ أَحَبَّ ٱلْكَلَامِ إِلَىٰ ٱللّٰهِ: سُبْحَانَ ٱللّٰهِ وَبِحَمْدِهِ (আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাকে বললেন: আমি কি তোমাকে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় কথা সম্পর্কে জানাব না? নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় কথা হলো: সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি)। (অর্থ: আল্লাহ পবিত্র এবং সকল প্রশংসা তাঁর জন্য)।

  • عَنْ أَبِي مُوسَى ٱلْأَشْعَرِيِّ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُ عَنِ ٱلنَّبِيِّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَثَلُ ٱلَّذِي يَذْكُرُ رَبَّهُ وَٱلَّذِي لَا يَذْكُرُهُ مَثَلُ ٱلْحَيِّ وَٱلْمَيِّتِ (আবু মূসা আল-আশ’আরী (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন: যে ব্যক্তি তার রবকে স্মরণ করে এবং যে করে না, তাদের উদাহরণ হলো জীবিত ও মৃতের মতো)।

  • عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللّٰهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: يَقُولُ ٱللّٰهُ تَعَالَىٰ: أَنَا عِندَ ظَنِّ عَبْدِي بِي، وَأَنَا مَعَهُ إِذَا ذَكَرَنِي، فَإِنْ ذَكَرَنِي فِي نَفْسِهِ ذَكَرْتُهُ فِي نَفْسِي، وَإِنْ ذَكَرَنِي فِي مَلَإٍ ذَكَرْتُهُ فِي مَلَإٍ خَيْرٍ مِنْهُمْ (আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আল্লাহ তা’আলা বলেন: আমি আমার বান্দার ধারণা অনুযায়ী তার কাছে থাকি। এবং যখন সে আমাকে স্মরণ করে, আমি তার সঙ্গে থাকি। যদি সে আমাকে একাকী স্মরণ করে, আমি তাকে আমার মাঝে স্মরণ করি। আর যদি সে আমাকে কোনো সমাবেশে স্মরণ করে, আমি তাকে তাদের চেয়ে উত্তম সমাবেশে স্মরণ করি)।

  • عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللّٰهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: أَفْضَلُ ٱلذِّكْرِ لَا إِلٰهَ إِلَّا ٱللّٰهُ (জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি: সর্বোত্তম যিকির হলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ)।

  • عَنْ أَبِي مُوسَى رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللّٰهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَلَا أَدُلُّكَ عَلَىٰ كَنْزٍ مِنْ كُنُوزِ ٱلْجَنَّةِ؟ فَقُلْتُ: بَلَىٰ يَا رَسُولَ اللّٰهِ! قَالَ: لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِٱللّٰهِ (আবু মূসা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাকে বললেন: আমি কি তোমাকে জান্নাতের ভান্ডারগুলোর একটি ভান্ডার সম্পর্কে জানাব না? আমি বললাম: হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন: লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ)। (অর্থ: আল্লাহর সাহায্য ও ক্ষমতা ছাড়া কোনো উপায় বা শক্তি নেই)।

  • عَنِ ٱلنُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُمَا، عَنِ ٱلنَّبِيِّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ٱلدُّعَاءُ هُوَ ٱلْعِبَادَةُ (নুমান ইবনে বশির (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন: দুআ হলো ইবাদত)।

  • عَنْ أَبِي بَكْرٍ ٱلصِّدِّيقِ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ لِرَسُولِ اللّٰهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: عَلِّمْنِي دُعَاءً أَدْعُو بِهِ فِي صَلَاتِي، قَالَ: قُلِ ٱللّٰهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا، وَلَا يَغْفِرُ ٱلذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ، فَٱغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ وَٱرْحَمْنِي إِنَّكَ أَنْتَ ٱلْغَفُورُ ٱلرَّحِيمُ (আবু বকর আস-সিদ্দীক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বললেন: আমাকে এমন একটি দুআ শিখিয়ে দিন যা আমি আমার সালাতে পড়ব। তিনি বললেন: তুমি বলো: আল্লাহুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী যুলমান কাছীরা, ওয়ালা ইয়াগফিরুয যুনুবা ইল্লা আনতা, ফাগফির লী মাগফিরাতাম মিন ইনদিকা ওয়ারহামনী ইন্নাকা আনতাল গাফূরুর রাহীম)। (অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আমার নিজের উপর অনেক বেশি যুলুম করেছি, আর আপনি ছাড়া কেউ গুনাহ মাফ করতে পারে না। সুতরাং আপনি আপনার পক্ষ থেকে আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার উপর রহম করুন। নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল, দয়ালু)।


 

হোমওয়ার্ক করো

 

📝 ০1. হাদিসের অর্থ লেখো

  • (৯৫) عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللّٰهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا تَأْكُلُوا بِالشِّمَالِ، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَأْكُلُ وَيَشْرَبُ بِشِمَالِهِ (জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: তোমরা বাম হাতে খেও না, কারণ শয়তান বাম হাতে খায় এবং পান করে)।

  • (৯৬) عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا تَتْرُكُوا النَّارَ فِي بُيُوتِكُمْ حِينَ تَنَامُونَ (ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন: তোমরা যখন ঘুমাও, তখন তোমাদের ঘরে আগুন জ্বালিয়ে রেখো না)।

  • (৯৭) عَنْ أَبِي طَلْحَةَ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللّٰهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا تَدْخُلُ الْمَلَائِكَةُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ وَلَا صُورَةٌ (আবু তালহা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যে ঘরে কুকুর অথবা ছবি থাকে, তাতে ফেরেশতা প্রবেশ করে না)।

  • (৯৮) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللّٰهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: الرِّيحُ مِنْ رُوحِ اللّٰهِ تَأْتِي بِالرَّحْمَةِ وَتَأْتِي بِالْعَذَابِ، فَإِذَا رَأَيْتُمُوهَا فَلَا تَسُبُّوهَا وَسَلُوا اللّٰهَ خَيْرَهَا وَاسْتَعِيذُوا بِاللّٰهِ مِنْ شَرِّهَا (আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি: বাতাস আল্লাহর রহমতস্বরূপ। তা রহমত নিয়ে আসে এবং আযাবও নিয়ে আসে। সুতরাং যখন তোমরা বাতাস দেখবে, তখন তাকে গালি দেবে না। তোমরা আল্লাহর কাছে তার কল্যাণ চাইবে এবং তার অনিষ্ট থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করবে)।

  • (৯৯) عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللّٰهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا تَسُبُّوا الدِّيكَ، فَإِنَّهُ يُوقِظُ لِلصَّلَاةِ (যায়েদ ইবনে খালিদ আল-জুহানি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: তোমরা মোরগকে গালি দিও না, কারণ সে সালাতের জন্য ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলে)।

📝 ০2. আরবি লেখো

كَانَ رَافِيٌ يَسْتَعِدُّ لِلِٱمْتِحَانِ (রাফি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল)। لَكِنَّهُ لَمْ يَكُنْ يُحِبُّ ٱلْقِرَاءَةَ دَائِمًا (কিন্তু সে সবসময় পড়তে চাইত না)। فِي يَوْمٍ مِنَ ٱلْأَيَّامِ، لَعِبَ كَثِيرًا (একদিন সে বেশি খেলাধুলা করল)। وَفِي ٱلْيَوْمِ ٱلتَّالِي، قَبْلَ ٱلِٱمْتِحَانِ، فَتَحَ ٱلْكِتَابَ (পরদিন পরীক্ষার আগে বই খুলল)। لَمْ يَبْقَ فِي ذَاكِرَتِهِ شَيْءٌ (তার মনে কিছুই থাকছিল না)। فَشَعَرَ بِٱلْخَوْفِ (সে ভয় পেয়ে গেল)। قَالَتْ لَهُ أُمُّهُ: “عَلَيْكَ أَنْ تَقْرَأَ كُلَّ يَوْمٍ” (মা বললেন, “প্রতিদিন পড়তে হবে।”) سَيَقْرَأُ بٱنْتِظَامٍ مِنَ ٱلْآنِ فَصَاعِدًا (সে এখন থেকে নিয়মিত পড়বে)।

كَتَبَ فِي ٱلِٱمْتِحَانِ جَيِّدًا (সে ভালোভাবে পরীক্ষায় লেখল)। عِنْدَمَا جَاءَتِ ٱلنَّتِيجَةُ، حَصَلَ عَلَىٰ نَتِيجَةٍ جَيِّدَةٍ (যখন রেজাল্ট এল, তখন সে ভালো ফলাফল পেল)। قَالَتْ أُمُّهُ سَعِيدَةً: “هَذِهِ هِيَ ثَمَرَةُ ٱلْجُهْدِ” (মা খুশি হয়ে বললেন, “এটাই পরিশ্রমের ফল।”) لِذٰلِكَ لَا نَفْقِدُ ٱلْأَمَلَ أَبَدًا، وَنُحَاوِلُ دَائِمًا إِنْ شَاءَ ٱللّٰهُ فَنَنْجَحُ (তাই আমরা কখনো হতাশ হব না, সব সময় চেষ্টা করব ইনশা আল্লাহ তাহলে আমরা সফল হব)।