• প্রথম স্তর – আরবি ভাষা শেখার হাতেখড়ি (الجزء الأول)
আরবি ভাষা কোর্সের ৬টি স্তর থাকবে, প্রথম স্তর কুরআন শিক্ষার জন্য, দ্বিতীয় স্তর প্রাথমিক আরবি ভাষা শিক্ষার জন্য, তৃতীয় স্তর মাধ্যমিক আরবি ভাষা শিখার জন্য, ৪র্থ স্তর উচ্চ মাধ্যমিক আরবি ভাষা শিখার জন্য, ৫ম স্তর আরবি ব্যাকারণ বা নাহু-সরফ শিখার জন্য, আর ৬ষ্ঠ স্তর এডভান্স আরবি ভাষা শিখার জন্য, প্রথম স্তর এখন শুরু হবে ইনশাআল্লাহ প্রথম স্তর – আরবি ভাষা শেখার হাতেখড়ি (الجزء الأول): শিক্ষার্থীরা আরবি হরফের সঠিক উচ্চারণ, মৌলিক হরকত, গুন্নাহ, কলকলা, মাদ্দ ও ওয়াকফের নিয়ম শিখবে। এটি কুরআন শুদ্ধ উচ্চারণে তিলাওয়াতের আত্মবিশ্বাস তৈরি করবে এবং সুন্দর আরবি হাতের লেখা আয়ত্ত করতে সাহায্য করবে। এই স্তর শেষে শিক্ষার্থীরা আরবি হরফের শুদ্ধ উচ্চারণে পারদর্শী হবে এবং তাজবীদের মৌলিক নিয়মে কুরআন পড়ার আত্মবিশ্বাস অর্জন করবে।

আরবি হাতের লেখা শিক্ষা
আরবি হস্তলিপির শৈলী আরবি হস্তলিপির বিভিন্ন সুন্দর শৈলী বা 'খত' রয়েছে, যেমন: খত্তে নাসখ (خط النسخ), খত্তে রুকাআ (خط الرقعة), খত্তে সুলস (خط الثلث), খত্তে দিওয়ানি (خط الديواني), খত্তে ফার্সি (خط فارسي) ইত্যাদি। প্রতিটি খতের নিজস্ব নিয়ম ও সৌন্দর্য বিদ্যমান। কিভাবে শিখবেন এই অনুশীলন বইটি আপনাকে ধাপে ধাপে আরবি হাতের লেখা শিখতে সাহায্য করবে: 1. হরফ পরিচিতি: প্রতিটি আরবি হরফের রূপ ও লেখার নিয়ম মনোযোগ দিয়ে দেখুন। 2. অনুশীলন: প্রতিটি হরফ আলাদাভাবে এবং শব্দে যুক্ত অবস্থায় লেখার অনুশীলন করুন। বইটিতে সঠিক আকার ও লেখার দিকনির্দেশনা দেওয়া আছে। 3. শব্দ ও বাক্য: ধীরে ধীরে ছোট শব্দ ও বাক্য লেখার অনুশীলন শুরু করুন। আমাদের মূল বইয়ের শব্দ ও বাক্যগুলো এখানে সহায়ক হবে। 4. নিয়মিত চর্চা: প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় অনুশীলন করে হাতের লেখা সুন্দর করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। 5. ধৈর্য ধরুন: তাড়াহুড়ো না করে ধীরে ধীরে ও মনোযোগের সাথে অনুশীলন করুন। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে আপনার হাতের লেখায় অবশ্যই উন্নতি আসবে।

দ্বিতীয় স্তর – আরবি ভাষা শিক্ষার প্রাথমিক ধাপ (الجزء الثاني)
এই অংশে শিক্ষার্থীরা আরবি ব্যাকরণের মৌলিক বিষয়াবলী যেমন—ইশারা, পুংলিঙ্গ-স্ত্রীলিঙ্গ, নির্দিষ্ট-অনির্দিষ্ট শব্দ, সর্বনাম, ইযাফা, ক্রিয়াবিশেষণ, অব্যয়, সম্বোধন এবং সংখ্যা শিখবে। এটি শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি করবে এবং আরবি-বাংলায় বাক্য নির্মাণ ও কথোপকথনের প্রাথমিক দক্ষতা তৈরি করবে। এই স্তর শেষে শিক্ষার্থীরা আরবি ভাষার মূল কাঠামো এবং ব্যবহারিক দক্ষতায় পারদর্শী হয়ে প্রাথমিক পর্যায়ের আরবিতে কথা বলতে পারবে।

তৃতীয় স্তর – আরবি ভাষা শেখার মাধ্যমিক ধাপ (الجزء الثالث)
এই স্তরে ক্রিয়ার বিভিন্ন প্রকার, ক্রিয়ার রূপান্তর এবং জটিল ক্রিয়ার গঠন শেখানো হবে। নফি, ইস্তেসনা, তা'লিল, জজম, নাসব ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকরণিক উপাদান এবং বাক্য বিশ্লেষণের কৌশল আয়ত্ত করা যাবে। এই স্তর শেষে শিক্ষার্থীরা আরবি ক্রিয়ার গঠন ও পরিবর্তন বুঝে বাক্যে প্রয়োগ করতে এবং হাদীস ও আয়াত বোঝার ক্ষেত্রে ব্যাকরণ প্রয়োগে পারদর্শী হতে সক্ষম হবে এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের আরবিতে কথা বলতে পারবে।

চতুর্থ স্তর – আরবি ভাষা শিক্ষার উচ্চ মাধ্যমিক ধাপ (الجزء الرابع)
এই অংশে ভাষার সৌন্দর্য ও সাহিত্যিক রীতি শেখানো হবে। শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ব্যবহার শিখবে। কুরআনের ২০০+ আয়াত এবং ১০০+ এর বেশি হাদীসের অর্থ ও বিশ্লেষণ, প্রচলিত বাক্যরীতি (التعبيرات), প্রবাদ-প্রবচন, এবং প্রশংসা ও নিন্দার বাক্যগঠনশৈলী আয়ত্ত করবে। এর মাধ্যমে তারা আরবিতে নিজস্ব ভাব প্রকাশে প্রাঞ্জলতা অর্জন করবে এবং সাহিত্যিক রচনারীতি বুঝতে সক্ষম হবে।

পঞ্চম স্তর – পূর্ণাঙ্গ ব্যাকরণ বিশ্লেষণ (নাহু ও সরফ) (الجزء الخامس)
এটি আরবি ব্যাকরণের মূল ভিত্তি। এখানে নাহু (বাক্য বিশ্লেষণ ও গঠন) এবং সরফ (শব্দরূপ ও ধাতু বিশ্লেষণ) এর বিস্তারিত আলোচনা ও অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই অংশ ভালোভাবে অনুশীলন করলে শিক্ষার্থীরা ইনশাআল্লাহ নাহু ও সরফের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারবে এবং যেকোনো আরবি বাক্য নির্ভুলভাবে বিশ্লেষণ ও গঠন করা, কুরআন, হাদীস ও আরবি সাহিত্য বুঝতে পারা, এবং শুদ্ধ ও প্রাঞ্জল আরবি লিখতে পারার সক্ষমতা অর্জন করবে।

ষষ্ঠ স্তর – ব্যবহারিক ভাষাদক্ষতা (الجزء السادس)
এটি বইয়ের সবচেয়ে বাস্তবমুখী অংশ। এখানে ভাষার চারটি মৌলিক দক্ষতা — কথোপকথন (محادثة), লিখন (كتابة), পঠন (قراءة) এবং শ্রবণ (استماع) — এর উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এই অংশে অ্যাডভান্স আরবিতে কথা বলার জন্য প্রয়োজনীয় সকল শব্দ, বিষয়ভিত্তিক কথোপকথন, প্রশ্ন করা, উত্তর দেওয়া, দৈনন্দিন জীবনে কথা বলা, বক্তৃতা দেওয়া, উপস্থাপনা করা, জুমার খুতবা দেওয়া ইত্যাদি শেখানো হয়েছে। লেখালেখির বিষয়ে দরখাস্ত, প্রবন্ধ, চিঠি, সিভি, সংবাদ লেখার বিস্তারিত নিয়ম ও উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। পঠন ও শ্রবণ দক্ষতার জন্য কুরআন, হাদীস, আধুনিক আরবি প্রবন্ধ, খবর ও গল্প এবং দৈনন্দিন ব্যবহৃত আরবি পত্রিকা ও সংবাদপত্রের চর্চা অন্তর্ভুক্ত।

উচ্চ মাধ্যমিক আরবি ভাষা কোর্সের ১৭নং ক্লাস
About Lesson

📖 নির্দেশনা:
প্রথম পাঠের হোমওয়ার্কের আগ পর্যন্ত সকল আরবি বাক্যের সাথে বাংলা অর্থ এবং বাংলা বাক্যের সাথে তার আরবি অনুবাদ এখানে দেওয়া হলো।
তুমি আগে নিজে পুরো পাঠটি মনোযোগ দিয়ে পড়বে, তারপর মিলিয়ে দেখবে —
তোমার বাংলা অর্থ করা এবং আরবি অনুবাদ করা শুদ্ধ হয়েছে কিনা।
⚠ সতর্কতা:
ভুলেও আগে এই অংশটি পড়বে না — আগে নিজে চেষ্টা করো, পরে মিলিয়ে দেখো।

গল্প এবং তার অর্থ

 

فِي يَوْمٍ مِنَ الْأَيَّامِ، خَرَجَ سَلِيمٌ إِلَى الْحَدِيقَةِ (একদিন, সালিম বাগানে গেল)। رَأَى قِطًّا صَغِيرًا تَحْتَ الشَّجَرَةِ (সে গাছের নিচে একটি ছোট বিড়াল দেখতে পেল)। الْقِطُّ كَانَ ضَعِيفًا وَيَبْكِي (বিড়ালটি দুর্বল ছিল এবং কাঁদছিল)। سَلِيمٌ شَعَرَ بِالْحُزْنِ (সালিম দুঃখ অনুভব করল)। حَمَلَ الْقِطَّ إِلَى بَيْتِهِ (সে বিড়ালটিকে তার বাড়িতে নিয়ে গেল)। فِي الْبَيْتِ، أَعْطَى سَلِيمٌ الْقِطَّ لَبَنًا (বাড়িতে, সালিম বিড়ালটিকে দুধ দিল)। الْقِطُّ شَرِبَ اللَّبَنَ وَفَرِحَ (বিড়ালটি দুধ পান করল এবং খুশি হল)। ثُمَّ أَعْطَاهُ طَعَامًا (তারপর সে তাকে খাবার দিল)। الْقِطُّ أَكَلَ الطَّعَامَ (বিড়ালটি খাবার খেল)। بَعْدَ يَوْمٍ، صَارَ الْقِطُّ قَوِيًّا (এক দিন পর, বিড়ালটি শক্তিশালী হয়ে উঠল)। الْقِطُّ لَعِبَ فِي الْبَيْتِ (বিড়ালটি বাড়িতে খেল)। سَلِيمٌ لَعِبَ مَعَ الْقِطِّ (সালিম বিড়ালটির সাথে খেল)। كُلَّ يَوْمٍ، سَلِيمٌ أَعْطَى الْقِطَّ الطَّعَامَ (প্রতিদিন, সালিম বিড়ালটিকে খাবার দিত)। الْقِطُّ صَارَ صَدِيقَ سَلِيمٍ (বিড়ালটি সালিমের বন্ধু হয়ে গেল)। كَانَا يَلْعَبَانِ مَعًا كُلَّ يَوْمٍ (তারা প্রতিদিন একসাথে খেলত)। بَعْدَ أَيَّامٍ، كَبُرَ الْقِطُّ (কয়েক দিন পর, বিড়ালটি বড় হয়ে গেল)। الْقِطُّ أَحَبَّ سَلِيمًا (বিড়ালটি সালিমকে ভালোবাসত)। سَلِيمٌ أَحَبَّ الْقِطَّ (সালিম বিড়ালটিকে ভালোবাসত)। سَلِيمٌ فَهِمَ أَنَّ مُسَاعَدَةَ الْحَيَوَانَاتِ شَيْءٌ جَمِيلٌ (সালিম বুঝতে পারল যে প্রাণীদের সাহায্য করা একটি সুন্দর জিনিস)।


 

প্রশ্নের উত্তর দাও

 

  • مَاذَا فَعَلَ سَالِمٌ فِي يَوْمٍ مِنَ الْأَيَّامِ؟ (একদিন সালিম কী করল?)

    • خَرَجَ إِلَى الْحَدِيقَةِ (সে বাগানে গেল)।

  • أَيْنَ كَانَ الْقِطُّ الصَّغِيرُ؟ (ছোট বিড়ালটি কোথায় ছিল?)

    • كَانَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ (সে গাছের নিচে ছিল)।

  • مَاذَا كَانَ حَالُ الْقِطِّ؟ (বিড়ালটির অবস্থা কেমন ছিল?)

    • كَانَ ضَعِيفًا وَيَبْكِي (সে দুর্বল ছিল এবং কাঁদছিল)।

  • كَيْفَ شَعَرَ سَالِمٌ عِنْدَمَا رَأَى الْقِطَّ؟ (বিড়ালটিকে দেখে সালিম কেমন অনুভব করল?)

    • شَعَرَ بِالْحُزْنِ (সে দুঃখ অনুভব করল)।

  • مَاذَا حَدَثَ لِلْقِطِّ بَعْدَ يَوْمٍ؟ (এক দিন পর বিড়ালটির কী হল?)

    • صَارَ الْقِطُّ قَوِيًّا (বিড়ালটি শক্তিশালী হয়ে উঠল)।

  • مَاذَا كَانَ يَفْعَلُ سَالِمٌ مَعَ الْقِطِّ؟ (সালিম বিড়ালটির সাথে কী করত?)

    • كَانَ يَلْعَبُ مَعَ الْقِطِّ (সে বিড়ালটির সাথে খেলত)।

  • مَاذَا كَانَ يَفْعَلُ سَالِمٌ وَالْقِطُّ كُلَّ يَوْمٍ؟ (সালিম এবং বিড়ালটি প্রতিদিন কী করত?)

    • كَانَا يَلْعَبَانِ مَعًا كُلَّ يَوْمٍ (তারা প্রতিদিন একসাথে খেলত)।

  • مَاذَا حَدَثَ لِلْقِطِّ بَعْدَ أَيَّامٍ؟ (কয়েক দিন পর বিড়ালটির কী হল?)

    • كَبُرَ الْقِطُّ (বিড়ালটি বড় হয়ে গেল)।

  • مَاذَا تَعَلَّمَ سَالِمٌ مِنْ مُسَاعَدَةِ الْحَيَوَانَاتِ؟ (প্রাণীদের সাহায্য করা থেকে সালিম কী শিখল?)

    • تَعَلَّمَ أَنَّ مُسَاعَدَةَ الْحَيَوَانَاتِ شَيْءٌ جَمِيلٌ (সে শিখল যে প্রাণীদের সাহায্য করা একটি সুন্দর জিনিস)।


 

الحِوَارُ بَيْنَ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُمَا (আবু বকর ও ওমর (রা.)-এর মধ্যকার কথোপকথন)

 

الصَّبِيُّ: يَا أُمِّي، أَيْنَ لُعْبَتِي؟ (ছেলে: মা, আমার খেলনাটি কোথায়?)

أَسْمَاءُ: (بِصَوْتٍ خَافِتٍ) اسْكُتْ يَا غُلَامُ، لَا تُزْعِجْ أَبَاكَ (আসমা (নিচু স্বরে): চুপ করো, ছেলে, তোমার বাবাকে বিরক্ত করো না)।

الصَّبِيُّ: أَيْنَ وَضَعْتِ لُعْبَتِي؟ لَنْ أَلْعَبَ فِي الْبَيْتِ، سَأَلْعَبُ فِي الْخَارِجِ (ছেলে: তুমি আমার খেলনাটি কোথায় রেখেছ? আমি বাড়িতে খেলব না, বাইরে খেলব)।

أَسْمَاءُ: اسْكُتْ، لَا فِي الْبَيْتِ وَلَا فِي الْخَارِجِ (আসমা: চুপ করো, না বাড়িতে, না বাইরে)।

أَبُو بَكْرٍ: هَلْ حَضَرَ عُمَرُ؟ (আবু বকর: ওমর কি এসেছেন?)

أَسْمَاءُ: لَا يَا خَلِيفَةَ رَسُولِ اللّٰهِ، لَمْ يَحْضُرْ (আসমা: না, হে রাসূলের খলিফা, তিনি আসেননি)।

أَبُو بَكْرٍ: مُحَمَّدٌ، تَعَالَ، ادْنُ مِنِّي يَا بُنَيَّ (আবু বকর: মুহাম্মদ, এসো, আমার কাছে এসো, প্রিয় পুত্র)।

** (فَدَنَا الصَّبِيُّ مِنْهُ) ( (ছেলেটি তাঁর কাছে এল) )**

أَبُو بَكْرٍ: مَا لِي أَرَاكَ تَبْكِي؟ (আবু বকর: কী ব্যাপার, আমি তোমাকে কাঁদতে দেখছি কেন?)

الصَّبِيُّ: أُمِّي يَا أَبِي أَخَذَتْ لُعْبَتِي (ছেলে: বাবা, আমার মা আমার খেলনাটি নিয়ে নিয়েছে)।

أَبُو بَكْرٍ: أَتُرِيدُ أَنْ تَلْعَبَ الْآنَ؟ (আবু বকর: তুমি কি এখন খেলতে চাও?)

الصَّبِيُّ: نَعَمْ يَا أَبِي فِي الْخَارِجِ (ছেলে: হ্যাঁ, বাবা, বাইরে)।

أَبُو بَكْرٍ: أَعْطِيهِ يَا أَسْمَاءُ لُعْبَتَهُ (আবু বকর: আসমা, তাকে তার খেলনাটি দাও)।

أَسْمَاءُ: سَمْعًا وَطَاعَةً يَا خَلِيفَةَ رَسُولِ اللّٰهِ (আসমা: শুনলাম এবং মানলাম, হে আল্লাহর রাসূলের খলিফা)।

أَسْمَاءُ: هَذَا صَوْتُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ (আসমা: এটা তো ওমর ইবনুল খাত্তাব-এর কণ্ঠ)।

أَبُو بَكْرٍ: أَجْلِسِينِي، وَلَا يَدْخُلَنَّ أَحَدٌ عَلَيْنَا، حَتَّى يَنْصَرِفَ عُمَرُ (আবু বকর: আমাকে বসাও, এবং আমাদের কাছে কেউ যেন প্রবেশ না করে, যতক্ষণ না ওমর চলে যান)।

عُمَرُ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا خَلِيفَةَ رَسُولِ اللّٰهِ (ওমর: আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক, হে আল্লাহর রাসূলের খলিফা)।

أَبُو بَكْرٍ: وَعَلَيْكَ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللّٰهِ. أَيْنَ كُنْتَ يَا ابْنَ الْخَطَّابِ؟ فَقَدِ افْتَقَدْتُكَ مُنْذُ أَمْسِ (আবু বকর: আপনার উপরও শান্তি ও আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক। হে ইবনুল খাত্তাব, আপনি কোথায় ছিলেন? গতকাল থেকে আমি আপনাকে খুঁজছিলাম)।

عُمَرُ: جَاءَتْنِي تِجَارَةٌ مِنَ الْيَمَنِ فَشَغَلَتْنِي عَنْكَ (ওমর: আমার কাছে ইয়েমেন থেকে কিছু পণ্য এসেছিল, যা আমাকে আপনার থেকে ব্যস্ত করে রেখেছিল)।

أَبُو بَكْرٍ: فَهَلِ انْتَهَيْتَ مِنْهَا الْيَوْمَ؟ (আবু বকর: তাহলে কি আপনি আজ তা শেষ করেছেন?)

عُمَرُ: نَعَمْ، بِعْتُهَا وَرَبِحْتُ. كَيْفَ أَنْتَ الْيَوْمَ يَا أَبَا بَكْرٍ؟ (ওমর: হ্যাঁ, আমি তা বিক্রি করেছি এবং লাভ করেছি। হে আবু বকর, আজ আপনি কেমন আছেন?)

أَبُو بَكْرٍ: أَنَا فِي حَاجَةٍ إِلَيْكَ فِي كُلِّ حِينٍ. لَقَدْ فَكَّرْتُ فِي أَمْرِي هَذَا الصَّبَاحَ؟ (আবু বকর: আমি সব সময়ই আপনাকে প্রয়োজন করি। আমি আজ সকালে আমার একটি বিষয় নিয়ে ভেবেছি)।

عُمَرُ: وَمَا أَرَدْتَ بِذٰلِكَ يَا أَبَا بَكْرٍ؟ (ওমর: হে আবু বকর, আপনি এর দ্বারা কী বোঝাতে চাইলেন?)

أَبُو بَكْرٍ: أَرَدْتُ بِذٰلِكَ اسْتِخْلَافَكَ يَا عُمَرُ (আবু বকর: আমি এর দ্বারা আপনাকে আমার স্থলাভিষিক্ত করতে চেয়েছি, হে ওমর)।

عُمَرُ: لَا تَفْعَلْ يَا أَبَا بَكْرٍ، لَا حَاجَةَ لِي فِيهَا (ওমর: হে আবু বকর, এমন করবেন না, আমার এর কোনো প্রয়োজন নেই)।

أَبُو بَكْرٍ: لَكِنَّ لَهَا بِكَ حَاجَةً يَا عُمَرُ (আবু বকর: কিন্তু এর আপনাকে প্রয়োজন, হে ওমর)।

عُمَرُ: فَاسْتَخْلِفْ أَحَدًا غَيْرِي يَا أَبَا بَكْرٍ (ওমর: তাহলে অন্য কাউকে স্থলাভিষিক্ত করুন, হে আবু বকর)।

أَبُو بَكْرٍ: مَنْ أَسْتَخْلِفُ؟ (আবু বকর: কাকে স্থলাভিষিক্ত করব?)

عُمَرُ: اسْتَخْلِفْ أَبَا عُبَيْدَةَ، فَهُوَ أَمِينُ هَذِهِ الْأُمَّةِ (ওমর: আবু উবাইদাকে স্থলাভিষিক্ত করুন, কারণ তিনি এই উম্মতের আমানতদার)।

أَبُو بَكْرٍ: قَدْ فَكَّرْتُ فِيهِ يَا ابْنَ الْخَطَّابِ، وَلَكِنِّي لَمْ أَجِدْ فِيهِ الْقُوَّةَ الَّتِي عِنْدَكَ، إِنَّهُ أَمِينٌ، وَلَكِنِّي أُرِيدُ الْقَوِيَّ الْأَمِينَ (আবু বকর: হে ইবনুল খাত্তাব, আমি তার ব্যাপারে ভেবেছি, কিন্তু আমি তার মধ্যে আপনার মতো শক্তি পাইনি। তিনি আমানতদার, কিন্তু আমি এমন একজনকে চাই যিনি শক্তিশালী এবং আমানতদার)।

عُمَرُ: رُوَيْدَكَ يَا أَبَا بَكْرٍ، إِنِّي أَخْشَى عَلَى نَفْسِي وَعَلَى دِينِي وَآخِرَتِي (ওমর: হে আবু বকর, ধীরে বলুন, আমি আমার নিজের, আমার দীন এবং আমার আখিরাতের ব্যাপারে ভয় করি)।

أَبُو بَكْرٍ: وَيْحَكَ يَا عُمَرُ، إِنَّ الْإِمَامَ الْعَادِلَ مِنَ السَّبْعَةِ الَّذِينَ يُظِلُّهُمُ اللّٰهُ فِي ظِلِّهِ (আবু বকর: হায়! হে ওমর, নিশ্চয়ই ন্যায়পরায়ণ শাসক সেই সাতজনের মধ্যে একজন, যাদেরকে আল্লাহ তাঁর ছায়ায় ছায়া দেবেন)।

عُمَرُ: (يَبْكِي) مَنْ لِي بِذٰلِكَ؟ (ওমর: (কাঁদতে কাঁদতে) এর জন্য আমার কে আছে?)

أَبُو بَكْرٍ: اللّٰهُ لَكَ بِذٰلِكَ يَا عُمَرُ، اللّٰهُ لَكَ بِذٰلِكَ … اللّٰهُ لَكَ بِذٰلِكَ (আবু বকর: আল্লাহ আপনার জন্য তা যথেষ্ট, হে ওমর, আল্লাহ আপনার জন্য তা যথেষ্ট… আল্লাহ আপনার জন্য তা যথেষ্ট)।

عُمَرُ: أَلَا تَسْتَشِيرُ الْمُسْلِمِينَ فِي ذَلِكَ أَوَّلًا يَا أَبَا بَكْرٍ؟ (ওমর: হে আবু বকর, আপনি কি এ ব্যাপারে প্রথমে মুসলমানদের সাথে পরামর্শ করবেন না?)

أَبُو بَكْرٍ: سَأَفْعَلُ يَا أَبَا حَفْصٍ. فَكُلُّ شَيْءٍ بَعْدَهَا سَهْلٌ بِإِذْنِ اللّٰهِ (আবু বকর: আমি তা করব, হে আবু হাফস। তারপর সবকিছু আল্লাহর ইচ্ছায় সহজ হয়ে যাবে)।


 

আয়াতের অর্থ কর

 

  • وَإِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلَائِكَةِ إِنِّي جَاعِلٌ فِي الْأَرْضِ خَلِيفَةً ۖ قَالُوا أَتَجْعَلُ فِيهَا مَنْ يُفْسِدُ فِيهَا وَيَسْفِكُ الدِّمَاءَ وَنَحْنُ نُسَبِّحُ بِحَمْدِكَ وَنُقَدِّسُ لَكَ ۖ قَالَ إِنِّي أَعْلَمُ مَا لَا تَعْلَمُونَ1 (আর যখন আপনার রব ফেরেশতাদের বললেন, ‘আমি পৃথিবীতে একজন খলিফা সৃষ্টি করব’, তখন তারা বলল, ‘আপনি কি তাতে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন যে তাতে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করবে এবং রক্তপাত ঘটাবে? অথচ আমরা আপনার প্রশংসা ও পবিত্রতা বর্ণনা করি।’ তিনি বললেন, ‘আমি যা জানি, তোমরা তা জানো না’)।

     

     

  • يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ ۚ إِنَّ اللَّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ (হে মুমিনগণ! তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন)।

  • الَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمْوَالَهُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ كَمَثَلِ حَبَّةٍ أَنبَتَتْ سَبْعَ سَنَابِلَ فِي كُلِّ سُنبُلَةٍ مِّاْئَةُ حَبَّةٍ ۗ وَاللَّهُ يُضَاعِفُ لِمَن يَشَاءُ ۗ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ (যারা আল্লাহর পথে নিজেদের সম্পদ ব্যয় করে, তাদের দৃষ্টান্ত একটি শস্যবীজের মতো, যা সাতটি শীষ উৎপাদন করে, প্রতিটি শীষে একশ দানা থাকে। আর আল্লাহ যাকে চান, তার জন্য বাড়িয়ে দেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, মহাজ্ঞানী)।

  • وَلَا تَقْتُلُوا أَنفُسَكُمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا (আর তোমরা নিজেদের হত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু)।

  • وَمَن يَعْمَلْ سُوءًا أَوْ يَظْلِمْ نَفْسَهُ ثُمَّ يَسْتَغْفِرِ اللَّهَ يَجِدِ اللَّهَ غَفُورًا رَّحِيمًا (আর যে কেউ কোনো খারাপ কাজ করে কিংবা নিজের উপর জুলুম করে, তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু পাবে)।

  • إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَالَّذِينَ هَاجَرُوا وَجَاهَدُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أُولَئِكَ يَرْجُونَ رَحْمَتَ اللَّهِ ۚ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ (নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনেছে এবং যারা হিজরত করেছে ও আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে, তারাই আল্লাহর রহমতের আশা করে। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু)।

  • وَلَنَبْلُوَنَّكُم بِشَيْءٍ مِّنَ الْخَوْفِ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِّنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَنفُسِ وَالثَّمَرَاتِ ۗ وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ (আর আমি তোমাদেরকে অবশ্যই কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান-মাল ও ফল-ফসলের ক্ষতি দ্বারা পরীক্ষা করব। আর আপনি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দিন)।

  • يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ (হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সাথে থাকো)।

  • فَمَن يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ ۖ وَمَن يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ (সুতরাং যে অণু পরিমাণ ভালো কাজ করবে, সে তা দেখতে পাবে। আর যে অণু পরিমাণ খারাপ কাজ করবে, সে তাও দেখতে পাবে)।

  • الَّذِينَ آمَنُوا وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُم بِذِكْرِ اللَّهِ ۗ أَلَا بِذِكْرِ اللَّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ (যারা ঈমান এনেছে, তাদের অন্তর আল্লাহর স্মরণে প্রশান্তি লাভ করে। জেনে রাখো, আল্লাহর স্মরণেই অন্তরসমূহ প্রশান্ত হয়)।

  • وَلَا تَقُولُوا لِمَن يُقْتَلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتٌ ۖ بَلْ أَحْيَاءٌ وَلَٰكِن لَّا تَشْعُرُونَ (আর যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়, তাদেরকে মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা উপলব্ধি করতে পারো না)।

  • الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ (যারা বলে, ‘হে আমাদের রব! নিশ্চয়ই আমরা ঈমান এনেছি, সুতরাং আমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দিন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন)।

  • وَإِن تَعُدُّوا نِعْمَتَ اللَّهِ لَا تُحْصُوهَا ۗ إِنَّ اللَّهَ لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ (আর যদি তোমরা আল্লাহর নিয়ামত গণনা করো, তাহলে তার সংখ্যা নির্ণয় করতে পারবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু)।

  • وَأَقِمِ الصَّلَاةَ طَرَفَيِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِّنَ اللَّيْلِ ۚ إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ ۚ ذَٰلِكَ ذِكْرَىٰ لِلذَّاكِرِينَ (এবং দিনের দুই প্রান্তে ও রাতের কিছু অংশে সালাত প্রতিষ্ঠা করুন। নিশ্চয়ই ভালো কাজগুলো খারাপ কাজগুলোকে দূর করে দেয়। এটি উপদেশ গ্রহণকারীদের জন্য একটি উপদেশ)।

  • وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِّلْعَالَمِينَ (আর আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বের জন্য কেবল রহমত হিসেবেই প্রেরণ করেছি)।

  • وَاعْبُدُوا اللَّهَ وَلَا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا (আর তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো এবং তাঁর সাথে কোনো কিছুকে শরিক করো না। এবং বাবা-মায়ের সাথে সদ্ব্যবহার করো)।

  • وَلَقَدْ كَتَبْنَا فِي الزَّبُورِ مِنْ بَعْدِ الذِّكْرِ أَنَّ الْأَرْضَ يَرِثُهَا عِبَادِيَ الصَّالِحُونَ (আর আমি যবুরে উপদেশ দেওয়ার পর লিখে দিয়েছি যে, নিশ্চয়ই আমার সৎকর্মশীল বান্দারা পৃথিবীর উত্তরাধিকারী হবে)।

  • هُوَ الَّذِي أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَىٰ وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُونَ (তিনিই সেই সত্তা যিনি তাঁর রাসূলকে হিদায়াত ও সত্য দীনসহ পাঠিয়েছেন, যাতে তিনি এটিকে সকল দীনের উপর বিজয়ী করেন, যদিও মুশরিকরা তা অপছন্দ করে)।

  • يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا قُوا أَنفُسَكُمْ وَأَهْلِيكُمْ نَارًا وَقُودُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ (হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে সেই আগুন থেকে রক্ষা করো, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর)।

  • وَقُل رَّبِّ زِدْنِي عِلْمًا (এবং বলুন, ‘হে আমার রব! আমাকে জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিন)।


 

হোমওয়ার্ক করো

 

📝 ০1. আয়াতের অর্থ লেখো

  • إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ إِخْوَةٌ فَأَصْلِحُوا بَيْنَ أَخَوَيْكُمْ وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ (নিশ্চয়ই মুমিনরা পরস্পর ভাই ভাই। সুতরাং তোমরা তোমাদের ভাইদের মধ্যে মীমাংসা করে দাও এবং আল্লাহকে ভয় করো, যাতে তোমরা রহমত প্রাপ্ত হও)।

  • قُلْ لَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ أَجْرًا ۖ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَى اللَّهِ (বলুন, ‘আমি এর জন্য তোমাদের কাছে কোনো প্রতিদান চাই না; আমার প্রতিদান তো কেবল আল্লাহর কাছে)।

  • وَقُولُوا لِلنَّاسِ حُسْنًا وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ (এবং মানুষের সাথে সুন্দরভাবে কথা বলো; আর সালাত প্রতিষ্ঠা করো ও যাকাত প্রদান করো)।

  • وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيبٌ ۖ أُجِيبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذَا دَعَانِ (আর যখন আমার বান্দারা আমার সম্পর্কে আপনাকে জিজ্ঞাসা করে, তখন বলুন, আমি তো কাছেই আছি। যে আমাকে ডাকে, আমি তার ডাকে সাড়া দিই)।

  • وَلَا تُفْسِدُوا فِي الْأَرْضِ بَعْدَ إِصْلَاحِهَا (আর পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তাতে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করো না)।

  • إِنَّ اللَّهَ مَعَ الَّذِينَ اتَّقَوا وَالَّذِينَ هُم مُّحْسِنُونَ (নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের সাথে আছেন যারা তাকওয়া অবলম্বন করে এবং যারা সৎকর্মশীল)।

  • وَقَضَىٰ رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا (আর আপনার রব আদেশ দিয়েছেন যে, তোমরা কেবল তাঁরই ইবাদত করবে এবং বাবা-মায়ের সাথে সদ্ব্যবহার করবে)।

  • وَاصْبِرْ فَإِنَّ اللَّهَ لَا يُضِيعُ أَجْرَ الْمُحْسِنِينَ (এবং ধৈর্য ধারণ করুন, নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎকর্মশীলদের প্রতিদান বিনষ্ট করেন না)।

  • وَلَا تُبَذِّرْ تَبْذِيرًا إِنَّ الْمُبَذِّرِينَ كَانُوا إِخْوَانَ الشَّيَاطِينِ (আর অপচয় করো না, নিশ্চয়ই অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই)।

📝 ০2. আরবি করো ও লেখো

فِي يَوْمٍ مِنَ الْأَيَّامِ، اِلْتَقَى أَرْنَبٌ وَسُلَحْفَاةٌ (একদিন এক খরগোশ আর কচ্ছপের দেখা হলো)। قَالَ الْأَرْنَبُ: “لِمَاذَا أَنْتَ بَطِيءٌ هَكَذَا؟” (খরগোশ বলল, “তুমি এত ধীরগতি কেন?”) ضَحِكَتِ السُّلَحْفَاةُ وَقَالَتْ: “أَنَا أَمْشِي بِبُطْءٍ وَلَكِنْ لَا أَتَوَقَّفُ أَبَدًا” (কচ্ছপ হেসে বলল, “আমি আস্তে চলি কিন্তু কখনো থামি না)। ضَحِكَ الْأَرْنَبُ وَقَالَ: “هَيَّا، لِنَتَسَابَقْ” (খরগোশ হেসে বলল, “আসো, দৌড় প্রতিযোগিতা করি)। وَافَقَتِ السُّلَحْفَاةُ (কচ্ছপ রাজি হলো)। عِنْدَمَا بَدَأَ السِّبَاقُ، رَكَضَ الْأَرْنَبُ بِسُرْعَةٍ (দৌড় শুরু হলে খরগোশ দ্রুত এগিয়ে গেল)। وَمَشَتِ السُّلَحْفَاةُ بِبُطْءٍ (কচ্ছপ ধীরে ধীরে হাঁটতে লাগল)। فَكَّرَ الْأَرْنَبُ: “سَأَفُوزُ بِسُهُولَةٍ!” (খরগোশ ভাবল, “এটা তো সে সহজে জিতব!”) فَجَلَسَ لِيَسْتَرِيحَ تَحْتَ شَجَرَةٍ فِي مُنْتَصَفِ الطَّرِيقِ (সে মাঝপথে গাছের নিচে বিশ্রাম নিতে বসল)। وَشَيْئًا فَشَيْئًا، نَامَ (ধীরে ধীরে সে ঘুমিয়ে পড়ল)। وَاسْتَمَرَّتِ السُّلَحْفَاةُ فِي الْمَشْيِ دُونَ تَوَقُّفٍ (কচ্ছপ থেমে না থেকে এগিয়ে যেতে লাগল)। بَعْدَ قَلِيلٍ، وَصَلَتْ إِلَى الْخَطِّ النِّهَائِيِّ (কিছুক্ষণ পরে সে গন্তব্যে পৌঁছে গেল)। اسْتَيْقَظَ الْأَرْنَبُ وَرَأَى أَنَّ السُّلَحْفَاةَ قَدْ فَازَتْ! (খরগোশ ঘুম থেকে উঠে দেখল, কচ্ছপ জিতে গেছে!)