• প্রথম স্তর – আরবি ভাষা শেখার হাতেখড়ি (الجزء الأول)
আরবি ভাষা কোর্সের ৬টি স্তর থাকবে, প্রথম স্তর কুরআন শিক্ষার জন্য, দ্বিতীয় স্তর প্রাথমিক আরবি ভাষা শিক্ষার জন্য, তৃতীয় স্তর মাধ্যমিক আরবি ভাষা শিখার জন্য, ৪র্থ স্তর উচ্চ মাধ্যমিক আরবি ভাষা শিখার জন্য, ৫ম স্তর আরবি ব্যাকারণ বা নাহু-সরফ শিখার জন্য, আর ৬ষ্ঠ স্তর এডভান্স আরবি ভাষা শিখার জন্য, প্রথম স্তর এখন শুরু হবে ইনশাআল্লাহ প্রথম স্তর – আরবি ভাষা শেখার হাতেখড়ি (الجزء الأول): শিক্ষার্থীরা আরবি হরফের সঠিক উচ্চারণ, মৌলিক হরকত, গুন্নাহ, কলকলা, মাদ্দ ও ওয়াকফের নিয়ম শিখবে। এটি কুরআন শুদ্ধ উচ্চারণে তিলাওয়াতের আত্মবিশ্বাস তৈরি করবে এবং সুন্দর আরবি হাতের লেখা আয়ত্ত করতে সাহায্য করবে। এই স্তর শেষে শিক্ষার্থীরা আরবি হরফের শুদ্ধ উচ্চারণে পারদর্শী হবে এবং তাজবীদের মৌলিক নিয়মে কুরআন পড়ার আত্মবিশ্বাস অর্জন করবে।

আরবি হাতের লেখা শিক্ষা
আরবি হস্তলিপির শৈলী আরবি হস্তলিপির বিভিন্ন সুন্দর শৈলী বা 'খত' রয়েছে, যেমন: খত্তে নাসখ (خط النسخ), খত্তে রুকাআ (خط الرقعة), খত্তে সুলস (خط الثلث), খত্তে দিওয়ানি (خط الديواني), খত্তে ফার্সি (خط فارسي) ইত্যাদি। প্রতিটি খতের নিজস্ব নিয়ম ও সৌন্দর্য বিদ্যমান। কিভাবে শিখবেন এই অনুশীলন বইটি আপনাকে ধাপে ধাপে আরবি হাতের লেখা শিখতে সাহায্য করবে: 1. হরফ পরিচিতি: প্রতিটি আরবি হরফের রূপ ও লেখার নিয়ম মনোযোগ দিয়ে দেখুন। 2. অনুশীলন: প্রতিটি হরফ আলাদাভাবে এবং শব্দে যুক্ত অবস্থায় লেখার অনুশীলন করুন। বইটিতে সঠিক আকার ও লেখার দিকনির্দেশনা দেওয়া আছে। 3. শব্দ ও বাক্য: ধীরে ধীরে ছোট শব্দ ও বাক্য লেখার অনুশীলন শুরু করুন। আমাদের মূল বইয়ের শব্দ ও বাক্যগুলো এখানে সহায়ক হবে। 4. নিয়মিত চর্চা: প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় অনুশীলন করে হাতের লেখা সুন্দর করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। 5. ধৈর্য ধরুন: তাড়াহুড়ো না করে ধীরে ধীরে ও মনোযোগের সাথে অনুশীলন করুন। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে আপনার হাতের লেখায় অবশ্যই উন্নতি আসবে।

দ্বিতীয় স্তর – আরবি ভাষা শিক্ষার প্রাথমিক ধাপ (الجزء الثاني)
এই অংশে শিক্ষার্থীরা আরবি ব্যাকরণের মৌলিক বিষয়াবলী যেমন—ইশারা, পুংলিঙ্গ-স্ত্রীলিঙ্গ, নির্দিষ্ট-অনির্দিষ্ট শব্দ, সর্বনাম, ইযাফা, ক্রিয়াবিশেষণ, অব্যয়, সম্বোধন এবং সংখ্যা শিখবে। এটি শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি করবে এবং আরবি-বাংলায় বাক্য নির্মাণ ও কথোপকথনের প্রাথমিক দক্ষতা তৈরি করবে। এই স্তর শেষে শিক্ষার্থীরা আরবি ভাষার মূল কাঠামো এবং ব্যবহারিক দক্ষতায় পারদর্শী হয়ে প্রাথমিক পর্যায়ের আরবিতে কথা বলতে পারবে।

তৃতীয় স্তর – আরবি ভাষা শেখার মাধ্যমিক ধাপ (الجزء الثالث)
এই স্তরে ক্রিয়ার বিভিন্ন প্রকার, ক্রিয়ার রূপান্তর এবং জটিল ক্রিয়ার গঠন শেখানো হবে। নফি, ইস্তেসনা, তা'লিল, জজম, নাসব ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকরণিক উপাদান এবং বাক্য বিশ্লেষণের কৌশল আয়ত্ত করা যাবে। এই স্তর শেষে শিক্ষার্থীরা আরবি ক্রিয়ার গঠন ও পরিবর্তন বুঝে বাক্যে প্রয়োগ করতে এবং হাদীস ও আয়াত বোঝার ক্ষেত্রে ব্যাকরণ প্রয়োগে পারদর্শী হতে সক্ষম হবে এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের আরবিতে কথা বলতে পারবে।

চতুর্থ স্তর – আরবি ভাষা শিক্ষার উচ্চ মাধ্যমিক ধাপ (الجزء الرابع)
এই অংশে ভাষার সৌন্দর্য ও সাহিত্যিক রীতি শেখানো হবে। শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ব্যবহার শিখবে। কুরআনের ২০০+ আয়াত এবং ১০০+ এর বেশি হাদীসের অর্থ ও বিশ্লেষণ, প্রচলিত বাক্যরীতি (التعبيرات), প্রবাদ-প্রবচন, এবং প্রশংসা ও নিন্দার বাক্যগঠনশৈলী আয়ত্ত করবে। এর মাধ্যমে তারা আরবিতে নিজস্ব ভাব প্রকাশে প্রাঞ্জলতা অর্জন করবে এবং সাহিত্যিক রচনারীতি বুঝতে সক্ষম হবে।

পঞ্চম স্তর – পূর্ণাঙ্গ ব্যাকরণ বিশ্লেষণ (নাহু ও সরফ) (الجزء الخامس)
এটি আরবি ব্যাকরণের মূল ভিত্তি। এখানে নাহু (বাক্য বিশ্লেষণ ও গঠন) এবং সরফ (শব্দরূপ ও ধাতু বিশ্লেষণ) এর বিস্তারিত আলোচনা ও অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই অংশ ভালোভাবে অনুশীলন করলে শিক্ষার্থীরা ইনশাআল্লাহ নাহু ও সরফের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারবে এবং যেকোনো আরবি বাক্য নির্ভুলভাবে বিশ্লেষণ ও গঠন করা, কুরআন, হাদীস ও আরবি সাহিত্য বুঝতে পারা, এবং শুদ্ধ ও প্রাঞ্জল আরবি লিখতে পারার সক্ষমতা অর্জন করবে।

ষষ্ঠ স্তর – ব্যবহারিক ভাষাদক্ষতা (الجزء السادس)
এটি বইয়ের সবচেয়ে বাস্তবমুখী অংশ। এখানে ভাষার চারটি মৌলিক দক্ষতা — কথোপকথন (محادثة), লিখন (كتابة), পঠন (قراءة) এবং শ্রবণ (استماع) — এর উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এই অংশে অ্যাডভান্স আরবিতে কথা বলার জন্য প্রয়োজনীয় সকল শব্দ, বিষয়ভিত্তিক কথোপকথন, প্রশ্ন করা, উত্তর দেওয়া, দৈনন্দিন জীবনে কথা বলা, বক্তৃতা দেওয়া, উপস্থাপনা করা, জুমার খুতবা দেওয়া ইত্যাদি শেখানো হয়েছে। লেখালেখির বিষয়ে দরখাস্ত, প্রবন্ধ, চিঠি, সিভি, সংবাদ লেখার বিস্তারিত নিয়ম ও উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। পঠন ও শ্রবণ দক্ষতার জন্য কুরআন, হাদীস, আধুনিক আরবি প্রবন্ধ, খবর ও গল্প এবং দৈনন্দিন ব্যবহৃত আরবি পত্রিকা ও সংবাদপত্রের চর্চা অন্তর্ভুক্ত।

উচ্চ মাধ্যমিক আরবি ভাষা কোর্সের ১৮নং ক্লাস
About Lesson

📖 নির্দেশনা:
প্রথম পাঠের হোমওয়ার্কের আগ পর্যন্ত সকল আরবি বাক্যের সাথে বাংলা অর্থ এবং বাংলা বাক্যের সাথে তার আরবি অনুবাদ এখানে দেওয়া হলো।
তুমি আগে নিজে পুরো পাঠটি মনোযোগ দিয়ে পড়বে, তারপর মিলিয়ে দেখবে —
তোমার বাংলা অর্থ করা এবং আরবি অনুবাদ করা শুদ্ধ হয়েছে কিনা।
⚠ সতর্কতা:
ভুলেও আগে এই অংশটি পড়বে না — আগে নিজে চেষ্টা করো, পরে মিলিয়ে দেখো।

গল্প এবং তার অর্থ

 

أَحْمَدُ طِفْلٌ صَغِيرٌ يُحِبُّ الْقِرَاءَةَ كَثِيرًا (আহমাদ একজন ছোট শিশু যে পড়া অনেক ভালোবাসে)। كَانَ عِنْدَهُ كُتُبٌ كَثِيرَةٌ فِي الْبَيْتِ (তার বাড়িতে অনেক বই ছিল)। كُلَّ يَوْمٍ، كَانَ يَجْلِسُ فِي غُرْفَتِهِ وَيَقْرَأُ (প্রতিদিন, সে তার ঘরে বসে পড়ত)। قَرَأَ قِصَصًا جَمِيلَةً وَمُفِيدَةً (সে সুন্দর ও উপকারী গল্প পড়ত)। كَانَ يَسْأَلُ أُمَّهُ عَنِ الْكَلِمَاتِ الْجَدِيدَةِ، فَتُفَسِّرُهَا لَهُ (সে তার মাকে নতুন শব্দগুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করত, আর মা তাকে সেগুলোর ব্যাখ্যা দিত)। فِي يَوْمٍ، ذَهَبَ أَحْمَدُ إِلَى الْمَكْتَبَةِ مَعَ أُمِّهِ (একদিন, আহমাদ তার মায়ের সাথে লাইব্রেরিতে গেল)। عِنْدَمَا دَخَلَ الْمَكْتَبَةَ، رَأَى كُتُبًا كَثِيرَةً جِدًّا (যখন সে লাইব্রেরিতে প্রবেশ করল, তখন সে অনেক অনেক বই দেখতে পেল)। فَرِحَ جِدًّا وَبَدَأَ يُشَاهِدُ الْكُتُبَ الْمُلَوَّنَةَ (সে খুব খুশি হলো এবং রঙিন বইগুলো দেখতে শুরু করল)। وَقَفَ أَمَامَ رَفٍّ فِيهِ كُتُبُ الْقِصَصِ وَأَخَذَ كِتَابًا جَدِيدًا (সে গল্পে ভরা একটি তাকের সামনে দাঁড়াল এবং একটি নতুন বই নিল)। قَرَأَ بَعْضَ الصَّفَحَاتِ وَأُعْجِبَ بِالْقِصَّةِ (সে কিছু পৃষ্ঠা পড়ল এবং গল্পটি তার পছন্দ হলো)। قَالَ لِأُمِّهِ: “أُرِيدُ أَنْ آخُذَ هَذَا الْكِتَابَ” (সে তার মাকে বলল: “আমি এই বইটি নিতে চাই”)। فَاشْتَرَتْ لَهُ أُمُّهُ الْكِتَابَ وَعَادَا إِلَى الْبَيْتِ (তখন তার মা তার জন্য বইটি কিনে দিল এবং তারা বাড়িতে ফিরে এল)। عِنْدَمَا وَصَلَ أَحْمَدُ إِلَى الْبَيْتِ، جَلَسَ فِي غُرْفَتِهِ وَقَرَأَ الْقِصَّةَ كَامِلَةً (যখন আহমাদ বাড়িতে পৌঁছাল, সে তার ঘরে বসে পুরো গল্পটি পড়ল)। تَعَلَّمَ كَلِمَاتٍ جَدِيدَةً وَمَعْلُومَاتٍ مُفِيدَةً (সে নতুন শব্দ ও উপকারী তথ্য শিখল)। بَعْدَ ذَلِكَ، ذَهَبَ إِلَى أَخِيهِ الصَّغِيرِ وَحَكَى لَهُ الْقِصَّةَ (এরপর, সে তার ছোট ভাইয়ের কাছে গেল এবং তাকে গল্পটি শোনাল)। فَرِحَ أَخُوهُ وَأَحَبَّ الْقِرَاءَةَ أَيْضًا (তার ভাই খুশি হলো এবং সেও পড়া ভালোবাসতে লাগল)। فِي كُلِّ مَسَاءٍ، كَانَ أَحْمَدُ يَجْلِسُ مَعَ أُمِّهِ وَيَقْرَأُ قِصَّةً جَدِيدَةً (প্রতি সন্ধ্যায়, আহমাদ তার মায়ের সাথে বসত এবং একটি নতুন গল্প পড়ত)। كَانَتْ أُمُّهُ تُسَاعِدُهُ فِي فَهْمِ الْكَلِمَاتِ الصَّعْبَةِ (তার মা তাকে কঠিন শব্দগুলো বুঝতে সাহায্য করত)। يَوْمًا بَعْدَ يَوْمٍ، أَصْبَحَ أَحْمَدُ يُحِبُّ الْكُتُبَ أَكْثَرَ (দিন দিন, আহমাদ বইকে আরও বেশি ভালোবাসতে লাগল)। كَانَ يَشْتَرِي كِتَابًا جَدِيدًا كُلَّ أُسْبُوعٍ (সে প্রতি সপ্তাহে একটি নতুন বই কিনত)। فَهِمَ أَحْمَدُ أَنَّ الْقِرَاءَةَ تُفِيدُ الْعَقْلَ وَتَجْعَلُ الْإِنْسَانَ ذَكِيًّا وَمُتَعَلِّمًا (আহমাদ বুঝল যে পড়া মনকে উপকৃত করে এবং মানুষকে বুদ্ধিমান ও শিক্ষিত করে তোলে)।


 

প্রশ্নের উত্তর দাও

 

  • مَاذَا كَانَ عِنْدَ أَحْمَدَ فِي الْبَيْتِ؟ (আহমাদের বাড়িতে কী ছিল?)

    • كَانَ عِنْدَهُ كُتُبٌ كَثِيرَةٌ فِي الْبَيْتِ (তার বাড়িতে অনেক বই ছিল)।

  • مَاذَا كَانَ يَفْعَلُ أَحْمَدُ كُلَّ يَوْمٍ فِي غُرْفَتِهِ؟ (আহমাদ প্রতিদিন তার ঘরে কী করত?)

    • كَانَ يَجْلِسُ فِي غُرْفَتِهِ وَيَقْرَأُ (সে তার ঘরে বসে পড়ত)।

  • مَاذَا كَانَ يَقْرَأُ أَحْمَدُ؟ (আহমাদ কী পড়ত?)

    • قِصَصًا جَمِيلَةً وَمُفِيدَةً (সে সুন্দর ও উপকারী গল্প পড়ত)।

  • مَاذَا كَانَ يَسْأَلُ أَحْمَدُ أُمَّهُ؟ (আহমাদ তার মাকে কী জিজ্ঞাসা করত?)

    • كَانَ يَسْأَلُ أُمَّهُ عَنِ الْكَلِمَاتِ الْجَدِيدَةِ (সে তার মাকে নতুন শব্দগুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করত)।

  • أَيْنَ ذَهَبَ أَحْمَدُ فِي أَحَدِ الْأَيَّامِ؟ (আহমাদ একদিন কোথায় গিয়েছিল?)

    • ذَهَبَ إِلَى الْمَكْتَبَةِ مَعَ أُمِّهِ (সে তার মায়ের সাথে লাইব্রেরিতে গিয়েছিল)।

  • مَاذَا رَأَى أَحْمَدُ عِنْدَمَا دَخَلَ الْمَكْتَبَةَ؟ (যখন আহমাদ লাইব্রেরিতে প্রবেশ করল, তখন সে কী দেখল?)

    • رَأَى كُتُبًا كَثِيرَةً جِدًّا (সে অনেক অনেক বই দেখতে পেল)।

  • كَيْفَ شَعَرَ أَحْمَدُ عِنْدَمَا رَأَى الْكُتُبَ الْكَثِيرَةَ؟ (অনেক বই দেখে আহমাদ কেমন অনুভব করল?)

    • فَرِحَ جِدًّا (সে খুব খুশি হলো)।

  • مَاذَا فَعَلَ أَحْمَدُ عِنْدَمَا وَقَفَ أَمَامَ رَفِّ الْكُتُبِ؟ (আহমাদ যখন বইয়ের তাকের সামনে দাঁড়াল, তখন কী করল?)

    • أَخَذَ كِتَابًا جَدِيدًا (সে একটি নতুন বই নিল)।

  • مَاذَا فَعَلَ أَحْمَدُ بَعْدَ أَنْ أَخَذَ الْكِتَابَ؟ (বইটি নেওয়ার পর আহমাদ কী করল?)

    • قَرَأَ بَعْضَ الصَّفَحَاتِ وَأُعْجِبَ بِالْقِصَّةِ (সে কিছু পৃষ্ঠা পড়ল এবং গল্পটি তার পছন্দ হলো)।

  • مَاذَا قَالَ أَحْمَدُ لِأُمِّهِ؟ (আহমাদ তার মাকে কী বলল?)

    • “أُرِيدُ أَنْ آخُذَ هَذَا الْكِتَابَ” (“আমি এই বইটি নিতে চাই”)।

  • مَاذَا فَعَلَتْ أُمُّ أَحْمَدَ؟ (আহমাদের মা কী করলেন?)

    • اشْتَرَتْ لَهُ الْكِتَابَ (তার জন্য বইটি কিনে দিলেন)।

  • مَاذَا فَعَلَ أَحْمَدُ عِنْدَمَا عَادَ إِلَى الْبَيْتِ؟ (আহমাদ যখন বাড়িতে ফিরল, তখন কী করল?)

    • جَلَسَ فِي غُرْفَتِهِ وَقَرَأَ الْقِصَّةَ كَامِلَةً (সে তার ঘরে বসে পুরো গল্পটি পড়ল)।

  • مَاذَا تَعَلَّمَ أَحْمَدُ مِنَ الْكِتَابِ؟ (বই থেকে আহমাদ কী শিখল?)

    • تَعَلَّمَ كَلِمَاتٍ جَدِيدَةً وَمَعْلُومَاتٍ مُفِيدَةً (সে নতুন শব্দ ও উপকারী তথ্য শিখল)।

  • مَاذَا كَانَ أَحْمَدُ يَفْعَلُ كُلَّ مَسَاءٍ؟ (আহমাদ প্রতি সন্ধ্যায় কী করত?)

    • كَانَ أَحْمَدُ يَجْلِسُ مَعَ أُمِّهِ وَيَقْرَأُ قِصَّةً جَدِيدَةً (আহমাদ তার মায়ের সাথে বসে একটি নতুন গল্প পড়ত)।

  • كَيْفَ كَانَتْ أُمُّ أَحْمَدَ تُسَاعِدُهُ؟ (আহমাদের মা তাকে কীভাবে সাহায্য করতেন?)

    • كَانَتْ تُسَاعِدُهُ فِي فَهْمِ الْكَلِمَاتِ الصَّعْبَةِ (তিনি তাকে কঠিন শব্দগুলো বুঝতে সাহায্য করতেন)।


 

حجرة أبي بكر في اليوم التالي لِلْيَوْمِ الأولِ (প্রথম দিনের পরের দিন আবু বকরের কক্ষ)

 

أَبو بَكْرٍ مُضْطَجِعْ عَلَى فِرَاشِهِ (আবু বকর তার বিছানায় শুয়ে আছেন), وَعِنْدَهُ عُثْمَانُ بْنُ عَفَانَ، وَعَلِيَّ بْنُ أَبي طَالِبٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ، وَسَعِيدٌ بن زَيْدٍ، وَأُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ، وَطَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللّٰهِ (আর তার কাছে আছেন উসমান ইবনে আফফান, আলী ইবনে আবি তালিব, আবদুর রহমান ইবনে আউফ, সাঈদ ইবনে যায়িদ, উসাইদ ইবনে হুদাইর এবং তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ)।

ابْنُ عَوْفِ: هَلْ بَعَثْتَ إِلَيْنَا يَا خَلِيفَة رَسُولِ اللّٰهِ؟ (ইবনে আউফ: হে আল্লাহর রাসূলের খলিফা, আপনি কি আমাদের ডেকে পাঠিয়েছেন?)

أبو بكر: نَعَمْ، كَمَا بَعَثْتُ إِلَى غَيْرِكُمْ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ (আবু বকর: হ্যাঁ, যেমন আমি তোমাদের ছাড়া অন্য মুহাজির ও আনসারদের কাছেও পাঠিয়েছি); لِأَسْتَرْشِدَ بِآرَائِكُمْ (তোমাদের মতামত জানার জন্য)। إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَسْتَخْلِفَ عَلَيْكُمْ رَجُلًا قَوِيًّا أَمِينًا (আমি তোমাদের উপর একজন শক্তিশালী ও আমানতদার ব্যক্তিকে স্থলাভিষিক্ত করতে চাই), وَقَدْ أُلْقِيَ فِي رَوْعِي أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ هُوَ ذَلِكَ الرَّجُلُ (আর আমার হৃদয়ে এমন ধারণা এসেছে যে ওমর ইবনুল খাত্তাবই সেই ব্যক্তি), فَمَاذَا تَرَوْنَ؟ (তোমাদের কী মত?) مَاذَا تَرَى يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ فِي عُمَرَ؟ (হে আবদুর রহমান, ওমরের ব্যাপারে তোমার কী মত?)

ابْنُ عَوْف: هُوَ وَاللّٰهِ أَفْضَلُ فِيهِ (ইবনে আউফ: আল্লাহর কসম, এই বিষয়ে তিনিই সর্বোত্তম)।

أبو بكر: وَأَنْتَ يَا عُثْمَانُ، أَخْبِرْنِي عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ (আবু বকর: আর আপনি, হে উসমান, আমাকে ওমর ইবনুল খাত্তাব সম্পর্কে জানান)।

عُثْمَانُ: أَنْتَ أَخْبَرُنَا بِهِ يَا أَبَا بَكْرٍ (উসমান: হে আবু বকর, আপনি আমাদের চেয়ে তাঁর সম্পর্কে বেশি জানেন)।

أبو بَكْرٍ: عَلَى ذَلِكَ يَا أَبَا عَبْدِ اللّٰهِ إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَسْمَعَ رَأْيَكَ (আবু বকর: তা সত্ত্বেও, হে আবু আবদুল্লাহ, আমি আপনার মতামত শুনতে চাই)।

عُثْمَانُ: اللّٰهُمَّ عِلْمِي أَنَّ سَرِيرَتَهُ خَيْرٌ مِنْ عَلَانِيَّتِهِ، وَأَنَّهُ لَيْسَ فِينَا مِثْلُهُ (উসমান: হে আল্লাহ, আমার জানা মতে, তার ভেতরের অবস্থা তার বাইরের অবস্থার চেয়ে উত্তম, আর আমাদের মধ্যে তার মতো কেউ নেই)।

أَبو بَكْرٍ: جَزَاكَ اللّٰهُ خَيْرًا (আবু বকর: আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন)। وَأَنْتَ يَا عَلِيُّ بْنُ أَبي طَالِبٍ، يَا ابْنَ عَمِّ رَسُولِ اللّٰهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مَا تَقُولُ فِي عُمَرَ؟ (আর আপনি, হে আলী ইবনে আবি তালিব, হে আল্লাহর রাসূলের চাচাতো ভাই, আপনি ওমর সম্পর্কে কী বলেন?)

عَلِي: يَا خَلِيفَةَ رَسُولِ اللّٰهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مَاذَا أَقُولُ فِي رَجُلٍ اعْتَزَّ الْإِسْلَامُ بِإِسْلَامِهِ، مَالَمْ يَعْتَز بِإِسْلَامِ أَحَدٍ سِوَاهُ (আলী: হে আল্লাহর রাসূলের খলিফা, আমি এমন একজন ব্যক্তি সম্পর্কে কী বলব, যার ইসলাম গ্রহণের দ্বারা ইসলাম সম্মানিত হয়েছে, যেমন অন্য কারো ইসলাম গ্রহণের দ্বারা হয়নি), وَقَدْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللّٰهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِيهِ: إِنَّ اللّٰهَ قَدْ جَعَلَ الْحَقَّ عَلَى لِسَانِ عُمَرَ وَقَلْبِهِ (আর আমি আল্লাহর রাসূল (সা.)-কে তাঁর সম্পর্কে বলতে শুনেছি: ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ সত্যকে ওমরের জিহ্বা ও হৃদয়ে স্থাপন করেছেন’)।

أبو بكر: بُورِكْتَ يَا ابْنَ عَمِّ رَسُولِ اللّٰهِ (আবু বকর: আপনি বরকতময়, হে আল্লাহর রাসূলের চাচাতো ভাই)।

طَلْحَةُ: إِذَنْ فَتَوَكَّلْ عَلَى اللّٰهِ وَاسْتَخْلِفْهُ، فَوَاللّٰهِ لَيْسَ فِينَا مَنْ هُوَ أَقْوَى مِنْهُ (তালহা: তাহলে আল্লাহর উপর ভরসা করুন এবং তাকে স্থলাভিষিক্ত করুন, আল্লাহর কসম, আমাদের মধ্যে তার চেয়ে শক্তিশালী কেউ নেই)।

أبو بكر: الْحَمْدُ لِلّٰهِ إِذًا اطْمَأَنَّ قَلْبِي بِمَشُورَتِكُمْ (আবু বকর: আলহামদুলিল্লাহ, তাহলে তোমাদের পরামর্শে আমার অন্তর শান্ত হলো), جَزَاكُمُ اللّٰهُ خَيْرًا، انْصَرِفُوا مَشْكُورِينَ، إِذَا شِئْتُمْ، وَلْيَبْقَ عِنْدِي عُثْمَانُ بْنُ عَفَانَ (আল্লাহ তোমাদের উত্তম প্রতিদান দিন। তোমরা চাইলে চলে যেতে পারো, তবে উসমান ইবনে আফফান আমার কাছে থাকুক)।

(يَخْرُجُ الْقَوْمُ وَاحِدًا بَعْدَ وَاحِدٍ وَهُمْ يُسَلِّمُونَ عَلَى أَبِي بَكْرٍ، وَيَدْعُونَ لَهُ) ( (লোকেরা একে একে আবু বকরকে সালাম দিয়ে ও তার জন্য দোয়া করে বেরিয়ে গেল) )

عُثْمَانُ: يَا أَبَا بَكْرٍ، فَهَلْ أَدْعُو لَكَ أَهْلَكَ؟ (উসমান: হে আবু বকর, আমি কি আপনার পরিবারের লোকদেরকে ডেকে দেব?)

أبو بكر: لَا يَا عُثْمَانُ لَا تَفْعَلُ، وَلَكِنْ هَاتِ قِرْطَاسَكَ وَقَلَمَكَ (আবু বকর: না, হে উসমান, এমন করবেন না, বরং আপনার কাগজ ও কলম নিয়ে আসুন)।

عُثْمَانُ: أَمْلِلْ يَا خَلِيفَةَ رَسُولِ اللّٰهِ (উসমান: হে আল্লাহর রাসূলের খলিফা, বলুন আমি লিখব)।

أبو بَكْرٍ: اكْتُبْ يَا عُثْمَانُ (আবু বকর: হে উসমান, লিখুন)। بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ (পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে)। هَذَا مَا عَهِدَ أَبو بَكْرِ بْنُ أَبِي قُحَافَةَ فِي آخِرِ عَهْدِهِ بِالدُّنْيَا خَارِجًا مِنْهَا، وَعِنْدَ أَوَّلِ عَهْدِهِ بِالْآخِرَةِ دَاخِلًا فِيهَا (এটি সেই চুক্তি যা আবু বকর ইবনে আবি কুহাফা দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার শেষ মুহূর্তে এবং আখিরাতে প্রবেশ করার প্রথম মুহূর্তে করছেন), حَيْثُ يُؤْمِنُ الْكَافِرُ، وَيُوقِنُ الْفَاجِرُ، وَيَصْدُقُ الْكَاذِبُ (যখন কাফির ঈমান আনবে, ফাসিক বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং মিথ্যাবাদী সত্য বলবে), إِنِّي اسْتَخْلَفْتُ عَلَيْكُمْ بَعْدِي (নিশ্চয়ই আমি আমার পরে তোমাদের উপর স্থলাভিষিক্ত করছি)।

(بَعْدَ أَنْ أَفَاقَ أَبُو بَكْرٍ مِنَ الْغَشْيَةِ) ( (আবু বকর মূর্ছা থেকে জেগে ওঠার পর) )

أبو بكر: فَاقْرَأْ لِي مَا كَتَبْتَ (আবু বকর: তাহলে আমি যা লিখেছি, তা আমাকে পড়ে শোনান)।

عُثْمَانُ: إِنِّي اسْتَخْلَفْتُ عَلَيْكُمْ بَعْدِي عُمر بن الخطاب، فَاسْمَعُوا لَهُ وَأَطِيعُوا (উসমান: নিশ্চয়ই আমি আমার পরে তোমাদের উপর ওমর ইবনুল খাত্তাবকে স্থলাভিষিক্ত করেছি, সুতরাং তোমরা তার কথা শোনো এবং তার আনুগত্য করো)। فَإِنْ عَدَلَ، فَذَلِكَ ظَنِّي بِهِ، وَإِنْ بَدَّلَ، فَلِكُلِّ امْرِئٍ مَا اكْتَسَبَ مِنَ الْإِثْمِ، وَالْخَيْرَ أَرَدْتُ وَلَا أَعْلَمُ الْغَيْبَ (যদি তিনি ন্যায় করেন, তবে এটাই তার সম্পর্কে আমার ধারণা ছিল; আর যদি তিনি পরিবর্তন করেন, তবে প্রত্যেকের জন্য তার উপার্জিত গুনাহ রয়েছে। আমি কল্যাণই চেয়েছি এবং অদৃশ্যের জ্ঞান আমার নেই), وَسَيَعْلَمُ الَّذِينَ ظَلَمُوا أَيَّ مُنْقَلَبٍ يَنْقَلِبُونَ (এবং যারা জুলুম করেছে, তারা শীঘ্রই জানতে পারবে কোন দিকে তাদের প্রত্যাবর্তন হবে), وَالسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللّٰهِ وَبَرَكَاتُهُ (এবং তোমাদের উপর শান্তি, আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক)।

أبو بكر: جَزَاكَ اللّٰهُ خَيْرًا (আবু বকর: আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন), اخْرُجُ يَا عُثْمَانُ فَنَادِ: الصَّلَاةَ جَامِعَةَ، فَإِنِّي أُرِيدُ أَنْ أُكَلِّمَهُمْ (হে উসমান, বেরিয়ে গিয়ে ঘোষণা দিন: ‘সালাতের জন্য সবাই একত্রিত হও’, কারণ আমি তাদের সাথে কথা বলতে চাই)।

أبو بكر: أَيُّهَا النَّاسُ، يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ، أَصْغُوا إِلَيَّ فَلَعَلَّكُمْ لَا تَسْمَعُونَ صَوْتِي بَعْدَ الْيَوْمِ (আবু বকর: হে লোক সকল, হে মুসলিম সমাজ, আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনো, কারণ সম্ভবত এরপর তোমরা আর আমার কণ্ঠস্বর শুনবে না)।


 

সাদৃশ্যপূর্ণ কথোপকথন (উপরের গল্পের সাথে মিল রেখে)

 

(ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি ব্যস্ত লাইব্রেরি। একজন বয়স্ক মহিলা তার ছোট ছেলেকে নিয়ে বইয়ের তাকের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। ছেলেটি একটি বই হাতে নিয়ে আগ্রহ নিয়ে দেখছে।)

ছেলে: মা, এই বইটি দেখো, কত সুন্দর! (مَاذَا تَرَيْنَهُ يَا أُمِّي؟ هَذَا الْكِتَابُ جَمِيلٌ جِدًّا!)

মা: হ্যাঁ বাবা, খুবই সুন্দর। এটা কি তোমার পছন্দ হয়েছে? (نَعَمْ يَا بُنَيَّ، هُوَ جَمِيلٌ جِدًّا. هَلْ أَعْجَبَكَ؟)

ছেলে: হ্যাঁ, মা। আমি এই গল্পটা পড়তে চাই। (نَعَمْ يَا أُمِّي. أُرِيدُ أَنْ أَقْرَأَ هَذِهِ الْقِصَّةَ)।

মা: ঠিক আছে, তবে প্রথমে আমরা এটি লাইব্রেরির সদস্য কার্ড দিয়ে নিতে পারব। (حَسَنًا، وَلَكِنْ يُمْكِنُنَا أَنْ نَسْتَعِيرَهُ أَوَّلًا بِبِطَاقَةِ الْمَكْتَبَةِ)।

ছেলে: এটা কি কেনা যায় না? (أَلَا يُمْكِنُ شِرَاؤُهُ؟)

মা: হ্যাঁ, কেনা যায়। কিন্তু আমরা আগে নিয়ে পড়ি। যদি তোমার খুব ভালো লাগে, তখন আমরা এটি কিনে নেব। (نَعَمْ، يُمْكِنُ شِرَاؤُهُ. وَلَكِنْ لِنَقْرَأْهُ أَوَّلًا، وَإِنْ أَعْجَبَكَ جِدًّا، فَسَنَشْتَرِيهِ)

ছেলে: ঠিক আছে, মা। (حَسَنًا يَا أُمِّي)।

মা: এখন এসো, আমরা তোমার জন্য আরও কিছু শিক্ষামূলক বই খুঁজে দেখি। (تَعَالَ الْآنَ، لِنَبْحَثْ لَكَ عَنْ بَعْضِ الْكُتُبِ التَّعْلِيمِيَّةِ الْأُخْرَى)।


 

سورة البقرة (সূরা আল-বাকারা)

 

الٓمٓ (১) (আলিফ-লাম-মীম)। ذَٰلِكَ الْكِتَابُ لَا رَيْبَ ۛ فِيهِ ۛ هُدًى لِّلْمُتَّقِينَ (২) (এটি সেই কিতাব, যাতে কোনো সন্দেহ নেই। এটি মুত্তাকীদের জন্য পথপ্রদর্শক)। الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنفِقُونَ (৩) (যারা অদৃশ্যে বিশ্বাস করে, সালাত কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তা থেকে খরচ করে)। وَالَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنزِلَ مِن قَبْلِكَ وَبِالْآخِرَةِ هُمْ يُوقِنُونَ (৪) (আর যারা আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে এবং আপনার পূর্বে যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে বিশ্বাস করে, এবং তারা আখিরাতে দৃঢ় বিশ্বাস রাখে)। أُولَٰئِكَ عَلَىٰ هُدًى مِّن رَّبِّهِمْ ۖ وَأُولَٰئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ (৫) (তারাই তাদের রবের পক্ষ থেকে হেদায়েতের উপর আছে এবং তারাই সফলকাম)। إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا سَوَاءٌ عَلَيْهِمْ أَأَنذَرْتَهُمْ أَمْ لَمْ تُنذِرْهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ (৬) (নিশ্চয়ই যারা কুফরি করেছে, আপনি তাদেরকে সতর্ক করুন বা না করুন, তাদের জন্য সমান; তারা ঈমান আনবে না)। خَتَمَ اللَّهُ عَلَىٰ قُلُوبِهِمْ وَعَلَىٰ سَمْعِهِمْ ۖ وَعَلَىٰ أَبْصَارِهِمْ غِشَاوَةٌ ۖ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ (৭) (আল্লাহ তাদের অন্তর ও তাদের কানের উপর মোহর মেরে দিয়েছেন এবং তাদের চোখের উপর আবরণ রয়েছে। আর তাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি)। وَمِنَ النَّاسِ مَن يَقُولُ آمَنَّا بِاللَّهِ وَبِالْيَوْمِ الْآخِرِ وَمَا هُم بِمُؤْمِنِينَ (৮) (আর মানুষের মধ্যে এমনও আছে যারা বলে, ‘আমরা আল্লাহ এবং শেষ দিনের প্রতি ঈমান এনেছি’, অথচ তারা মুমিন নয়)। يُخَادِعُونَ اللَّهَ وَالَّذِينَ آمَنُوا وَمَا يَخْدَعُونَ إِلَّا أَنفُسَهُمْ وَمَا يَشْعُرُونَ (৯) (তারা আল্লাহ ও মুমিনদেরকে প্রতারিত করতে চায়, অথচ তারা নিজেদের ছাড়া আর কাউকে প্রতারিত করে না, কিন্তু তারা তা উপলব্ধি করতে পারে না)। فِي قُلُوبِهِم مَّرَضٌ فَزَادَهُمُ اللَّهُ مَرَضًا ۖ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ بِمَا كَانُوا يَكْذِبُونَ (১০) (তাদের অন্তরে ব্যাধি আছে, সুতরাং আল্লাহ তাদের ব্যাধি বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি, কারণ তারা মিথ্যা বলত)। وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ لَا تُفْسِدُوا فِي الْأَرْضِ قَالُوا إِنَّمَا نَحْنُ مُصْلِحُونَ (১১) (আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘পৃথিবীতে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করো না’, তখন তারা বলে, ‘আমরা তো কেবল সংশোধনকারী’)। أَلَا إِنَّهُمْ هُمُ الْمُفْسِدُونَ وَلَٰكِن لَّا يَشْعُرُونَ (১২) (সাবধান! তারাই তো ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারী, কিন্তু তারা তা উপলব্ধি করতে পারে না)। وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ آمِنُوا كَمَا آمَنَ النَّاسُ قَالُوا أَنُؤْمِنُ كَمَا آمَنَ السُّفَهَاءُ ۗ أَلَا إِنَّهُمْ هُمُ السُّفَهَاءُ وَلَٰكِن لَّا يَعْلَمُونَ (১৩) (আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘মানুষ যেভাবে ঈমান এনেছে তোমরাও সেভাবে ঈমান আনো’, তখন তারা বলে, ‘আমরা কি নির্বোধদের মতো ঈমান আনব?’ সাবধান! নিশ্চয়ই তারাই নির্বোধ, কিন্তু তারা তা জানে না)। وَإِذَا لَقُوا الَّذِينَ آمَنُوا قَالُوا آمَنَّا وَإِذَا خَلَوْا إِلَىٰ شَيَاطِينِهِمْ قَالُوا إِنَّا مَعَكُمْ إِنَّمَا نَحْنُ مُسْتَهْزِئُونَ (১৪) (আর যখন তারা মুমিনদের সাথে মিলিত হয়, তখন বলে, ‘আমরা ঈমান এনেছি’। আর যখন তারা তাদের শয়তানদের কাছে একাকী হয়, তখন তারা বলে, ‘আমরা তোমাদের সাথেই আছি, আমরা তো কেবল উপহাসকারী)।


 

হাদিস এবং তার অর্থ

 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللّٰهِ ﷺ: كَلِمَتَانِ خَفِيفَتَانِ عَلَى اللِّسَانِ، ثَقِيلَتَانِ فِي الْمِيزَانِ، حَبِيبَتَانِ إِلَى الرَّحْمَٰنِ: سُبْحَانَ اللّٰهِ وَبِحَمْدِهِ، سُبْحَانَ اللّٰهِ الْعَظِيمِ (আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: ‘দুটি বাক্য, যা জিহ্বায় হালকা, পাল্লায় ভারী এবং রহমানের নিকট প্রিয়: সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি (আল্লাহর প্রশংসাসহ তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করছি) এবং সুবহানাল্লাহিল আযীম (মহান আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি)।


تم بتوفيق اللّٰهِ تَعَالَى وَرَحْمَتِهِ (আল্লাহ তা’আলার অনুগ্রহ ও করুণায় সমাপ্ত হলো)।