• প্রথম স্তর – আরবি ভাষা শেখার হাতেখড়ি (الجزء الأول)
আরবি ভাষা কোর্সের ৬টি স্তর থাকবে, প্রথম স্তর কুরআন শিক্ষার জন্য, দ্বিতীয় স্তর প্রাথমিক আরবি ভাষা শিক্ষার জন্য, তৃতীয় স্তর মাধ্যমিক আরবি ভাষা শিখার জন্য, ৪র্থ স্তর উচ্চ মাধ্যমিক আরবি ভাষা শিখার জন্য, ৫ম স্তর আরবি ব্যাকারণ বা নাহু-সরফ শিখার জন্য, আর ৬ষ্ঠ স্তর এডভান্স আরবি ভাষা শিখার জন্য, প্রথম স্তর এখন শুরু হবে ইনশাআল্লাহ প্রথম স্তর – আরবি ভাষা শেখার হাতেখড়ি (الجزء الأول): শিক্ষার্থীরা আরবি হরফের সঠিক উচ্চারণ, মৌলিক হরকত, গুন্নাহ, কলকলা, মাদ্দ ও ওয়াকফের নিয়ম শিখবে। এটি কুরআন শুদ্ধ উচ্চারণে তিলাওয়াতের আত্মবিশ্বাস তৈরি করবে এবং সুন্দর আরবি হাতের লেখা আয়ত্ত করতে সাহায্য করবে। এই স্তর শেষে শিক্ষার্থীরা আরবি হরফের শুদ্ধ উচ্চারণে পারদর্শী হবে এবং তাজবীদের মৌলিক নিয়মে কুরআন পড়ার আত্মবিশ্বাস অর্জন করবে।

আরবি হাতের লেখা শিক্ষা
আরবি হস্তলিপির শৈলী আরবি হস্তলিপির বিভিন্ন সুন্দর শৈলী বা 'খত' রয়েছে, যেমন: খত্তে নাসখ (خط النسخ), খত্তে রুকাআ (خط الرقعة), খত্তে সুলস (خط الثلث), খত্তে দিওয়ানি (خط الديواني), খত্তে ফার্সি (خط فارسي) ইত্যাদি। প্রতিটি খতের নিজস্ব নিয়ম ও সৌন্দর্য বিদ্যমান। কিভাবে শিখবেন এই অনুশীলন বইটি আপনাকে ধাপে ধাপে আরবি হাতের লেখা শিখতে সাহায্য করবে: 1. হরফ পরিচিতি: প্রতিটি আরবি হরফের রূপ ও লেখার নিয়ম মনোযোগ দিয়ে দেখুন। 2. অনুশীলন: প্রতিটি হরফ আলাদাভাবে এবং শব্দে যুক্ত অবস্থায় লেখার অনুশীলন করুন। বইটিতে সঠিক আকার ও লেখার দিকনির্দেশনা দেওয়া আছে। 3. শব্দ ও বাক্য: ধীরে ধীরে ছোট শব্দ ও বাক্য লেখার অনুশীলন শুরু করুন। আমাদের মূল বইয়ের শব্দ ও বাক্যগুলো এখানে সহায়ক হবে। 4. নিয়মিত চর্চা: প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় অনুশীলন করে হাতের লেখা সুন্দর করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। 5. ধৈর্য ধরুন: তাড়াহুড়ো না করে ধীরে ধীরে ও মনোযোগের সাথে অনুশীলন করুন। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে আপনার হাতের লেখায় অবশ্যই উন্নতি আসবে।

দ্বিতীয় স্তর – আরবি ভাষা শিক্ষার প্রাথমিক ধাপ (الجزء الثاني)
এই অংশে শিক্ষার্থীরা আরবি ব্যাকরণের মৌলিক বিষয়াবলী যেমন—ইশারা, পুংলিঙ্গ-স্ত্রীলিঙ্গ, নির্দিষ্ট-অনির্দিষ্ট শব্দ, সর্বনাম, ইযাফা, ক্রিয়াবিশেষণ, অব্যয়, সম্বোধন এবং সংখ্যা শিখবে। এটি শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি করবে এবং আরবি-বাংলায় বাক্য নির্মাণ ও কথোপকথনের প্রাথমিক দক্ষতা তৈরি করবে। এই স্তর শেষে শিক্ষার্থীরা আরবি ভাষার মূল কাঠামো এবং ব্যবহারিক দক্ষতায় পারদর্শী হয়ে প্রাথমিক পর্যায়ের আরবিতে কথা বলতে পারবে।

তৃতীয় স্তর – আরবি ভাষা শেখার মাধ্যমিক ধাপ (الجزء الثالث)
এই স্তরে ক্রিয়ার বিভিন্ন প্রকার, ক্রিয়ার রূপান্তর এবং জটিল ক্রিয়ার গঠন শেখানো হবে। নফি, ইস্তেসনা, তা'লিল, জজম, নাসব ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকরণিক উপাদান এবং বাক্য বিশ্লেষণের কৌশল আয়ত্ত করা যাবে। এই স্তর শেষে শিক্ষার্থীরা আরবি ক্রিয়ার গঠন ও পরিবর্তন বুঝে বাক্যে প্রয়োগ করতে এবং হাদীস ও আয়াত বোঝার ক্ষেত্রে ব্যাকরণ প্রয়োগে পারদর্শী হতে সক্ষম হবে এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের আরবিতে কথা বলতে পারবে।

চতুর্থ স্তর – আরবি ভাষা শিক্ষার উচ্চ মাধ্যমিক ধাপ (الجزء الرابع)
এই অংশে ভাষার সৌন্দর্য ও সাহিত্যিক রীতি শেখানো হবে। শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ব্যবহার শিখবে। কুরআনের ২০০+ আয়াত এবং ১০০+ এর বেশি হাদীসের অর্থ ও বিশ্লেষণ, প্রচলিত বাক্যরীতি (التعبيرات), প্রবাদ-প্রবচন, এবং প্রশংসা ও নিন্দার বাক্যগঠনশৈলী আয়ত্ত করবে। এর মাধ্যমে তারা আরবিতে নিজস্ব ভাব প্রকাশে প্রাঞ্জলতা অর্জন করবে এবং সাহিত্যিক রচনারীতি বুঝতে সক্ষম হবে।

পঞ্চম স্তর – পূর্ণাঙ্গ ব্যাকরণ বিশ্লেষণ (নাহু ও সরফ) (الجزء الخامس)
এটি আরবি ব্যাকরণের মূল ভিত্তি। এখানে নাহু (বাক্য বিশ্লেষণ ও গঠন) এবং সরফ (শব্দরূপ ও ধাতু বিশ্লেষণ) এর বিস্তারিত আলোচনা ও অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই অংশ ভালোভাবে অনুশীলন করলে শিক্ষার্থীরা ইনশাআল্লাহ নাহু ও সরফের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারবে এবং যেকোনো আরবি বাক্য নির্ভুলভাবে বিশ্লেষণ ও গঠন করা, কুরআন, হাদীস ও আরবি সাহিত্য বুঝতে পারা, এবং শুদ্ধ ও প্রাঞ্জল আরবি লিখতে পারার সক্ষমতা অর্জন করবে।

ষষ্ঠ স্তর – ব্যবহারিক ভাষাদক্ষতা (الجزء السادس)
এটি বইয়ের সবচেয়ে বাস্তবমুখী অংশ। এখানে ভাষার চারটি মৌলিক দক্ষতা — কথোপকথন (محادثة), লিখন (كتابة), পঠন (قراءة) এবং শ্রবণ (استماع) — এর উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এই অংশে অ্যাডভান্স আরবিতে কথা বলার জন্য প্রয়োজনীয় সকল শব্দ, বিষয়ভিত্তিক কথোপকথন, প্রশ্ন করা, উত্তর দেওয়া, দৈনন্দিন জীবনে কথা বলা, বক্তৃতা দেওয়া, উপস্থাপনা করা, জুমার খুতবা দেওয়া ইত্যাদি শেখানো হয়েছে। লেখালেখির বিষয়ে দরখাস্ত, প্রবন্ধ, চিঠি, সিভি, সংবাদ লেখার বিস্তারিত নিয়ম ও উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। পঠন ও শ্রবণ দক্ষতার জন্য কুরআন, হাদীস, আধুনিক আরবি প্রবন্ধ, খবর ও গল্প এবং দৈনন্দিন ব্যবহৃত আরবি পত্রিকা ও সংবাদপত্রের চর্চা অন্তর্ভুক্ত।

উচ্চ মাধ্যমিক আরবি ভাষা কোর্সের ৬নং ক্লাস //////
About Lesson

📖 নির্দেশনা:
প্রথম পাঠের হোমওয়ার্কের আগ পর্যন্ত সকল আরবি বাক্যের সাথে বাংলা অর্থ এবং বাংলা বাক্যের সাথে তার আরবি অনুবাদ এখানে দেওয়া হলো।
তুমি আগে নিজে পুরো পাঠটি মনোযোগ দিয়ে পড়বে, তারপর মিলিয়ে দেখবে —
তোমার বাংলা অর্থ করা এবং আরবি অনুবাদ করা শুদ্ধ হয়েছে কিনা।
⚠ সতর্কতা:
ভুলেও আগে এই অংশটি পড়বে না — আগে নিজে চেষ্টা করো, পরে মিলিয়ে দেখো।

১. مَا এর ব্যবহার ও ব্যাখ্যা

 

مَا (মা) একটি বহুরূপী শব্দ, যা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন অর্থ প্রকাশ করতে পারে। যখন এটি কোনো নাকেরাহ (অনির্দিষ্ট) শব্দের পরে আসে, তখন এটি আরও বেশি অনির্দিষ্টতা প্রকাশ করে।

উদাহরণ:

  1. كِتَابٌ مَا (যে কোনো বই)।

  2. ادْعُ وَلَدًا مَا (যে কোনো ছেলেকে ডাকো)।

  3. رَأَيْتُ رَجُلًا مَا فِي الطَّرِيقِ (আমি রাস্তায় কোনো এক লোককে দেখেছি)।

  4. سَمِعْتُ صَوْتًا مَا وَرَاءَ البَابِ (আমি দরজার পিছন থেকে কোনো একটি আওয়াজ শুনলাম)।


 

২. إِذَا (ইযা) “হঠাৎ” অর্থে ব্যবহারের ব্যাখ্যা

 

إِذَا সাধারণত “যখন” অর্থে ব্যবহৃত হয়, তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি “হঠাৎ” বা “অপ্রত্যাশিতভাবে” অর্থেও ব্যবহৃত হতে পারে।

নিয়ম:

  1. সাধারণত إِذَا এর আগে فَ (ফা) আসে, যা ঘটনার আকস্মিকতা বোঝাতে সাহায্য করে।

উদাহরণ:

  1. كُنْتُ فِي السَّفَرِ فَإِذَا رَاشِدٌ أَمَامِي (আমি সফরে ছিলাম, হঠাৎ দেখি রাশেদ আমার সামনে!)

  2. أَقْرَأُ فَإِذَا الكَهْرَبَاءُ مُنْقَطِعَة (আমি পড়ছি, হঠাৎ দেখি বিদ্যুৎ চলে গেছে!)

  3. سِرْنَا فِي الطَّرِيقِ فَإِذَا الْمَطَرُ يَهْطِلُ (আমরা পথে চলছিলাম, হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল!)

  4. كَانَ يَتَحَدَّثُ فَإِذَا بِأَخِيهِ يَدْخُلُ (সে কথা বলছিল, হঠাৎ তার ভাই প্রবেশ করল!)

অতিরিক্ত উদাহরণগুলোর অনুবাদ:

  • وَجَدْتُ وَلَدًا مَا فِي الطَّرِيقِ! (আমি রাস্তায় কোনো এক ছেলেকে পেয়েছি!)

  • اشْتَرَيْتُ قَلَمًا مَا مِنَ الدُّكَّانِ! (আমি দোকান থেকে কোনো এক কলম কিনেছি!)

  • قَرَأْتُ كِتَابًا مَا فِي الْمَكْتَبَةِ! (আমি লাইব্রেরিতে কোনো এক বই পড়েছি!)

  • رَكِبْتُ سَيَّارَةً مَا إِلَى الْمَدِينَةِ! (আমি কোনো এক গাড়িতে করে শহরে গিয়েছি!)

  • أَكَلْتُ طَعَامًا مَا فِي الْمَطْعَمِ! (আমি কোনো এক রেস্টুরেন্টে কোনো এক খাবার খেয়েছি!)

  • قَابَلْتُ رَجُلًا مَا فِي السُّوقِ! (আমি বাজারে কোনো এক লোকের সাথে সাক্ষাৎ করেছি!)

  • لَبِسْتُ ثَوْبًا مَا فِي الْعِيدِ! (আমি ঈদে কোনো এক কাপড় পরেছি!)

  • دَخَلْتُ مَسْجِدًا مَا لِلصَّلَاةِ! (আমি সালাতের জন্য কোনো এক মসজিদে প্রবেশ করেছি!)

  • سَاعَدْتُ طَالِبًا مَا فِي الدَّرْسِ! (আমি কোনো এক ছাত্রকে ক্লাসে সাহায্য করেছি!)

  • رَأَيْتُ طَائِرًا مَا فِي السَّمَاءِ! (আমি আকাশে কোনো এক পাখি দেখেছি!)

  • كُنْتُ فِي السُّوقِ فَإِذَا صَدِيقِي أَمَامِي! (আমি বাজারে ছিলাম, হঠাৎ দেখি আমার বন্ধু আমার সামনে!)

  • جَلَسْتُ فِي الْحَدِيقَةِ فَإِذَا الْأَطْفَالُ يَلْعَبُونَ! (আমি বাগানে বসে ছিলাম, হঠাৎ দেখি শিশুরা খেলছে!)

  • قَرَأْتُ الْكِتَابَ فَإِذَا بِهِ مَعْلُومَاتٌ مُفِيدَةٌ! (আমি বইটি পড়ছিলাম, হঠাৎ দেখি এতে উপকারী তথ্য আছে!)

  • سِرْتُ فِي الطَّرِيقِ فَإِذَا الْمَطَرُ يَنْزِلُ! (আমি পথে চলছিলাম, হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল!)

  • خَرَجْتُ مِنَ الْبَيْتِ فَإِذَا السَّيَّارَةُ أَمَامِي! (আমি বাড়ি থেকে বের হলাম, হঠাৎ দেখি গাড়িটি আমার সামনে!)

  • دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ فَإِذَا الْإِمَامُ يُصَلِّي! (আমি মসজিদে প্রবেশ করলাম, হঠাৎ দেখি ইমাম সালাত পড়ছেন!)

  • رَكِبْتُ الْحَافِلَةَ فَإِذَا الْمُدَرِّسُ بِجَانِبِي! (আমি বাসে চড়লাম, হঠাৎ দেখি শিক্ষক আমার পাশে!)

  • ذَهَبْتُ إِلَى الْمَكْتَبَةِ فَإِذَا الْكُتُبُ كَثِيرَةٌ! (আমি লাইব্রেরিতে গেলাম, হঠাৎ দেখি বই অনেক বেশি!)

  • نَظَرْتُ إِلَى الْبَحْرِ فَإِذَا الْمَوْجُ مُرْتَفِعٌ! (আমি সাগরের দিকে তাকালাম, হঠাৎ দেখি ঢেউ উঁচু!)

  • دَخَلْتُ الْفَصْلَ فَإِذَا الطُّلَّابُ فِي الْفَصْلِ (আমি ক্লাসে প্রবেশ করলাম, হঠাৎ দেখি ছাত্ররা ক্লাসে!)


 

শব্দের অর্থ

 

বাংলা আরবি
মুদি দোকান بَقَّالَةٌ
বিক্রেতা بَائِعٌ
মোট কতো? كَمْ الْحِسَابُ
খুচরা قَطَّاعِيٌّ
ক্রেতা مُشْتَرٍ
ব্রাশ فُرْشَاةٌ
বাণিজ্য মেলা مَعْرِضٌ تِجَارِيٌّ
নার্স مُمَرِّضٌ
নাও تَفَضَّلُ
টুথপেস্ট مَعْجُون أَسْنَانٍ
শ্যাম্পু الشَّامْبُو
আল্লাহর কসম تَاللَّهِ

 

মূল পাঠের অর্থ

 

طَلَبْتُ مِنْ أَبِي وَأُمِّي أَنْ أَصُومَ يَوْمًا مِنْ رَمَضَانَ، فَقَالَ أَبِي: إِنَّكَ صَغِيرٌ ضَعِيفٌ لَا تَصْبِرُ عَلَى الْجُوعِ وَالْعَطَشِ وَقَالَتْ أُمِّي: هَذِهِ أَيَّامُ صَيْفٍ وَالصَّوْمُ فِيهَا شَدِيد، اصْبِرْ حَتَّى تَكُونَ أَيَّامُ شِتَاءِ. وَلَكِنِّي بَكَيْتُ وَقُلْتُ: قَدْ صَامَ مَحْمُودٌ وَقَدْ صَامَ إِسْمَاعِيلُ، وَلِمَاذَا أَنْتَظِرُ أَنَا؟ وَقَدْ سَمِعْتُ أَنَّ الْوَلَدَ الصَّغِيرَ إِذَا صَامَ كَانَ لِوَالِدَيْهِ الْأَجْرُ وَالثَّوَابُ، وَأُحِبُّ أَنْ يَنَالَ أَبِي وَأُمِّي الْأَجْرَ وَالثَّوَابَ. وَقَبِلَ أَبِي وَرَضِيَتْ أُمِّي، وَفِي السَّاعَةِ الرَّابِعَةِ فِي اللَّيْلِ اسْتَيْقَظْنَا وَقَدَّمَتْ أُمِّي طَعَامًا لَذِيذًا، فَأَكَلْنَا وَنِمْنَا قَلِيلًا وَاسْتَيْقَظْنَا لِصَلَاةِ الصُّبْحِ. وَفِي الْعَصْرِ شَعَرْتُ بِالْجُوعِ وَرَأَيْتُ أَطْعِمَةً وَثِمَارًا وَفَوَاكِهَ، وَقَالَ لِي أَحَدُ الْأَصْدِقَاءِ: لَا بَأْسَ أَنْ تَأْكُلَ شَيْئًا وَلَا يَرَاكَ الْآنَ أَحَدٌ، وَقَدْ أَكَلْتُ أَيْضًا لَمَّا كُنْتُ صَائِمًا، قُلْتُ: نَعَمْ لَا يَرَانِي هُنَا أَحَدٌ وَلَكِنَّ اللَّهَ يَرَانِي وَسَكَتَ صَدِيقِي وَصَبَرْتُ عَلَى الْجُوعِ وَقَبْلَ الْغُرُوبِ حَضَرَ أَصْدِقَاءُ أَبِي

(আমি আমার বাবা ও মায়ের কাছে রমজানের একটি রোজা রাখার অনুমতি চাইলাম। আমার বাবা বললেন: তুমি ছোট ও দুর্বল, তুমি ক্ষুধা ও পিপাসা সহ্য করতে পারবে না। আর আমার মা বললেন: এগুলো গরমের দিন, রোজা রাখা এতে কঠিন। ধৈর্য ধরো, শীতের দিন আসলে তখন রোজা রেখো। কিন্তু আমি কেঁদে ফেললাম এবং বললাম: মাহমুদও রোজা রেখেছে এবং ইসমাঈলও রোজা রেখেছে, তাহলে আমি কেন অপেক্ষা করব? আর আমি শুনেছি যে, যদি কোনো ছোট ছেলে রোজা রাখে, তবে তার বাবা-মায়ের জন্য প্রতিদান ও সওয়াব থাকে, আর আমি চাই আমার বাবা ও মা যেন প্রতিদান ও সওয়াব লাভ করেন। আমার বাবা রাজি হলেন এবং আমার মা খুশি হলেন। রাতে চারটার সময় আমরা উঠলাম এবং আমার মা সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করলেন, অতঃপর আমরা খেলাম এবং অল্প একটু ঘুমিয়ে পড়লাম। এরপর আমরা ফজরের সালাতের জন্য উঠলাম। আসরের সময় আমি ক্ষুধা অনুভব করলাম এবং খাবার, ফল ও ফলমূল দেখতে পেলাম। তখন আমার এক বন্ধু আমাকে বলল: এখন কেউ তোমাকে দেখছে না, সুতরাং কিছু খেলে কোনো সমস্যা নেই। আমিও রোজা রেখেছিলাম, তখন আমিও খেয়েছিলাম। আমি বললাম: হ্যাঁ, এখানে কেউ আমাকে দেখছে না, কিন্তু আল্লাহ আমাকে দেখছেন। তখন আমার বন্ধু চুপ হয়ে গেল এবং আমি ক্ষুধার উপর ধৈর্য ধরলাম। আর সূর্যাস্তের আগে আমার বাবার বন্ধুরা উপস্থিত হলেন।)


 

প্রশ্নের উত্তর পড়

 

খালিদ: তুমি কার কাছে রোজা রাখার অনুমতি চেয়েছিলে?

রাশেদ: আমি আমার বাবা-মায়ের কাছে রোজা রাখার অনুমতি চেয়েছিলাম। (أَنَا طَلَبْتُ الصَّوْمَ مِنْ أَبِي وَأُمِّي)।

খালিদ: তোমার বাবা তোমার রোজা রাখা সম্পর্কে কী বললেন?

রাশেদ: আমার বাবা বললেন: তুমি ছোট ও দুর্বল, তুমি ক্ষুধা ও পিপাসা সহ্য করতে পারবে না। (قَالَ أَبِي: إِنَّكَ صَغِيرٌ ضَعِيفٌ، لَا تَصْبِرُ عَلَى الْجُوعِ وَالْعَطَشِ)।

খালিদ: তোমার মা তোমার রোজা রাখা সম্পর্কে কী বললেন?

রাশেদ: আমার মা বললেন: এগুলো গরমের দিন, আর এতে রোজা রাখা কঠিন। (قَالَتْ أُمِّي: هَذِهِ أَيَّامُ صَيْفٍ، وَالصَّوْمُ فِيهَا شَدِيدٌ)।

খালিদ: ছোট ছেলে রোজা রাখলে তার প্রতিদান সম্পর্কে তুমি কী শুনেছো?

রাশেদ: আমি শুনেছি যে, ছোট ছেলে যদি রোজা রাখে, তবে তার বাবা-মায়ের জন্য প্রতিদান থাকে। (سَمِعْتُ أَنَّ الْوَلَدَ إِذَا صَامَ، كَانَ لِوَالِدَيْهِ أَجْرٌ)।

খালিদ: রাতে তুমি রোজার জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলে?

রাশেদ: আমরা রাতে চারটার সময় উঠলাম এবং আমার মা সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করলেন। (اسْتَيْقَظْنَا فِي السَّاعَةِ الرَّابِعَةِ لَيْلًا وَقَدَّمَتْ أُمِّي طَعَامًا لَذِيذًا)।

খালিদ: রাতে খাবার গ্রহণের পর তুমি কী করেছিলে?

রাশেদ: আমরা খেলাম এবং অল্প একটু ঘুমিয়ে পড়লাম, এরপর ফজরের সালাতের জন্য উঠলাম। (أَكَلْنَا وَنِمْنَا قَلِيلًا، ثُمَّ اسْتَيْقَظْنَا لِصَلَاةِ الصُّبْحِ)।

খালিদ: আসরের সময় তুমি কী অনুভব করেছিলে?

রাশেদ: আমি ক্ষুধা অনুভব করলাম এবং খাবার ও ফল দেখতে পেলাম। (شَعَرْتُ بِالْجُوعِ وَرَأَيْتُ أَطْعِمَةً وَفَوَاكِهَ)।

খালিদ: যখন তুমি ক্ষুধা অনুভব করছিলে, তখন তোমার এক বন্ধু তোমাকে কী বলেছিল?

রাশেদ: সে বলল: এখন কেউ তোমাকে দেখছে না, সুতরাং কিছু খেলে কোনো সমস্যা নেই। (قَالَ لِي أَحَدُ الْأَصْدِقَاءِ: لَا بَأْسَ أَنْ تَأْكُلَ شَيْئًا وَلَا يَرَاكَ الْآنَ أَحَدٌ)।

খালিদ: সূর্যাস্তের আগে তুমি কী করেছিলে?

রাশেদ: আমি ক্ষুধার উপর ধৈর্য ধরলাম এবং ইফতারের জন্য অপেক্ষা করলাম। (صَبَرْتُ عَلَى الْجُوعِ وَانْتَظَرْتُ الْإِفْطَارَ)।

খালিদ: সূর্যাস্তের আগে কারা উপস্থিত হয়েছিল?

রাশেদ: আমার বাবার বন্ধুরা উপস্থিত হলেন। (حَضَرَ أَصْدِقَاءُ أَبِي)।


 

কথোপকথন: বিক্রেতা ও ছাত্র

 

البَائِعُ: أَهْلًا وَسَهْلًا (বিক্রেতা: স্বাগতম)।

الطَّالِبُ: أُرِيدُ قَلَمًا مِنْ فَضْلِكَ (ছাত্র: একটি কলম দিন, দয়া করে)।

البَائِعُ: تَفَضَّلْ الْقَلَمَ، وَمَاذَا تُرِيدُ أَيْضًا؟ (বিক্রেতা: এই নাও কলম, আর কী চাও?)

الطَّالِبُ: أُرِيدُ مَعْجُونَ أَسْنَانٍ (ছাত্র: আমি টুথপেস্ট চাই)।

البَائِعُ: تَفَضَّلْ مَعْجُونَ أَسْنَانٍ (বিক্রেতা: এই নাও টুথপেস্ট)।

الطَّالِبُ: أَعْطِنِي الشَّامْبُو وَالصَّابُونَ (ছাত্র: শ্যাম্পু আর সাবান দিন)।

البَائِعُ: تَفَضَّلْ، وَهَلْ تُرِيدُ شَيْئًا آخَرَ؟ (বিক্রেতা: নাও, আর কিছু চাও?)

الطَّالِبُ: لَا، لَا أُرِيدُ شَيْئًا آخَرَ، وَشُكْرًا لَكَ، كَمِ الْحِسَابُ؟ (ছাত্র: না, আর কিছু চাই না, আপনাকে ধন্যবাদ, মোট কত?)

البَائِعُ: خَمْسُونَ تَاكَا (বিক্রেতা: পঞ্চাশ টাকা)।

الطَّالِبُ: تَفَضَّلْ هَذِهِ خَمْسُونَ تَاكَا (ছাত্র: এই নাও পঞ্চাশ টাকা)।

البَائِعُ: شُكْرًا لِزِيَارَتِكَ، زُرْنَا مَرَّةً أُخْرَى (বিক্রেতা: আসার জন্য ধন্যবাদ, আবার এসো)।

الطَّالِبُ: طَيِّبٌ، جَزَاكُمُ اللَّهُ خَيْرًا (ছাত্র: ঠিক আছে, আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন)।


 

সাক্ষাৎ: নঈম ও মাহমুদ হাসপাতালে

 

نَعِيمٌ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ (নঈম: আপনাদের উপর শান্তি, আল্লাহর রহমত এবং তাঁর বরকত বর্ষিত হোক)।

مَحْمُودٌ: وَعَلَيْكُمُ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ (মাহমুদ: আপনার উপরও শান্তি, আল্লাহর রহমত এবং তাঁর বরকত বর্ষিত হোক)।

نَعِيمٌ: سَلَّمَكَ اللَّهُ أَخِي الْكَرِيمُ، مَا بِكَ؟ لِمَاذَا حَضَرْتَ الْيَوْمَ فِي الْمُسْتَشْفَى؟ (নঈম: আল্লাহ আপনাকে নিরাপদ রাখুন, হে আমার সম্মানিত ভাই, আপনার কী হয়েছে? আজ কেন হাসপাতালে এসেছেন?)

مَحْمُودٌ: حَضَرْتُ لِزِيَارَةِ طَبِيبِ الْأَسْنَانِ (মাহমুদ: আমি দাঁতের ডাক্তারের সাথে দেখা করতে এসেছি)।

نَعِيمٌ: بِمَا تَشْعُرُ؟ (নঈম: আপনি কী অনুভব করছেন?)

مَحْمُودٌ: أَشْعُرُ بِأَلَمٍ شَدِيدٍ فِي أَسْنَانِي. وَلِمَاذَا حَضَرْتَ الْمُسْتَشْفَى؟ (মাহমুদ: আমি আমার দাঁতে তীব্র ব্যথা অনুভব করছি। আর আপনি কেন হাসপাতালে এসেছেন?)

نَعِيمٌ: حَضَرْتُ لِزِيَارَةِ طَبِيبِ الْأَنْفِ وَالْأُذُنِ (নঈম: আমি নাক ও কানের ডাক্তারের সাথে দেখা করতে এসেছি)।

مَحْمُودٌ: بِمَا تَشْعُرُ؟ (মাহমুদ: আপনি কী অনুভব করছেন?)

نَعِيمٌ: أَشْعُرُ بِأَلَمٍ شَدِيدٍ فِي أُذُنِي (নঈম: আমি আমার কানে তীব্র ব্যথা অনুভব করছি)।

مَحْمُودٌ: هَلْ لَكَ مَوْعِدٌ مَعَ الطَّبِيبِ؟ (মাহমুদ: আপনার কি ডাক্তারের সাথে কোনো অ্যাপয়েন্টমেন্ট আছে?)

نَعِيمٌ: نَعَمْ، مَوْعِدِي السَّاعَةُ الْعَاشِرَةُ (নঈম: হ্যাঁ, আমার অ্যাপয়েন্টমেন্ট দশটায়)।

نَعِيمٌ: طَيِّبٌ، سَهَّلَ اللَّهُ أُمُورَكَ (নঈম: ঠিক আছে, আল্লাহ আপনার কাজ সহজ করুন)।

مَحْمُودٌ: شَفَاكَ اللَّهُ، وَإِلَى اللِّقَاءِ (মাহমুদ: আল্লাহ আপনাকে সুস্থ করুন, এবং বিদায়)।


 

কথোপকথন: আবিদ ও খালিদ

 

عَابِدٌ: اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا خَالِدُ! (আবিদ: আসসালামু আলাইকুম, হে খালিদ!)

خَالِدٌ: وَعَلَيْكُمُ السَّلَامُ يَا عَابِدُ! كَيْفَ حَالُكَ الْيَوْمَ؟ (খালিদ: ওয়ালাইকুমুস সালাম, হে আবিদ! আজ তোমার কেমন অবস্থা?)

عَابِدٌ: بِخَيْرٍ، الْحَمْدُ لِلَّهِ. مَاذَا طَلَبْتَ مِنْ وَالِدَيْكَ؟ (আবিদ: ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। তুমি তোমার বাবা-মায়ের কাছে কী চেয়েছিলে?)

خَالِدٌ: طَلَبْتُ مِنْهُمَا أَنْ أَصُومَ يَوْمًا مِنْ رَمَضَانَ. (খালিদ: আমি তাদের কাছে রমজানের একটি রোজা রাখার অনুমতি চেয়েছিলাম)।

عَابِدٌ: وَمَاذَا قَالَتْ وَالِدَتُكَ؟ (আবিদ: আর তোমার মা কী বলেছিলেন?)

خَالِدٌ: قَالَتْ إِنَّ الْأَيَّامَ صَيْفٌ وَالصَّوْمُ فِيهَا شَدِيدٌ. (খালিদ: তিনি বলেছিলেন যে দিনগুলো গরমের এবং রোজা রাখা এতে কঠিন)।

عَابِدٌ: وَمَاذَا سَمِعْتَ عَنْ أَجْرِ الْوَلَدِ الصَّغِيرِ إِذَا صَامَ؟ (আবিদ: আর ছোট ছেলে রোজা রাখলে তার প্রতিদান সম্পর্কে তুমি কী শুনেছো?)

خَالِدٌ: سَمِعْتُ أَنَّ لِوَالِدَيْهِ الْأَجْرَ وَالثَّوَابَ. (খালিদ: আমি শুনেছি যে তার বাবা-মায়ের জন্য প্রতিদান ও সওয়াব থাকে)।

عَابِدٌ: كَيْفَ اسْتَعْدَدْتَ لِلصِّيَامِ فِي اللَّيْلِ؟ (আবিদ: রাতে তুমি রোজার জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলে?)

خَالِدٌ: اسْتَيْقَظْنَا فِي السَّاعَةِ الرَّابِعَةِ لَيْلًا وَقَدَّمَتْ أُمِّي طَعَامًا لَذِيذًا. (খালিদ: আমরা রাতে চারটার সময় উঠেছিলাম এবং আমার মা সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করেছিলেন)।

عَابِدٌ: وَمَاذَا فَعَلْتَ بَعْدَ تَنَاوُلِ الطَّعَامِ فِي اللَّيْلِ؟ (আবিদ: রাতে খাবার গ্রহণের পর তুমি কী করেছিলে?)

خَالِدٌ: أَكَلْنَا وَنِمْنَا قَلِيلًا، ثُمَّ اسْتَيْقَظْنَا لِصَلَاةِ الصُّبْحِ. (খালিদ: আমরা খেলাম এবং অল্প একটু ঘুমিয়ে পড়লাম, এরপর ফজরের সালাতের জন্য উঠলাম)।

عَابِدٌ: وَمَاذَا شَعَرْتَ فِي الْعَصْرِ؟ (আবিদ: আসরের সময় তুমি কী অনুভব করেছিলে?)

خَالِدٌ: شَعَرْتُ بِالْجُوعِ وَرَأَيْتُ أَطْعِمَةً وَفَوَاكِهَ. (খালিদ: আমি ক্ষুধা অনুভব করলাম এবং খাবার ও ফল দেখতে পেলাম)।

عَابِدٌ: وَمَاذَا قَالَ لَكَ أَحَدُ أَصْدِقَائِكَ عِنْدَمَا كُنْتَ تَشْعُرُ بِالْجُوعِ؟ (আবিদ: যখন তুমি ক্ষুধা অনুভব করছিলে, তখন তোমার এক বন্ধু তোমাকে কী বলেছিল?)

خَالِدٌ: قَالَ: “لَا بَأْسَ أَنْ تَأْكُلَ، فَلَا يَرَاكَ أَحَدٌ.” (খালিদ: সে বলেছিল: “কিছু খেলে কোনো সমস্যা নেই, কারণ কেউ তোমাকে দেখছে না”।)

عَابِدٌ: وَهَلْ أَكَلْتَ؟ (আবিদ: আর তুমি কি খেয়েছিলে?)

خَالِدٌ: لَا، لَمْ آكُلْ، قُلْتُ: “اللَّهُ يَرَانِي.” (খালিদ: না, আমি খাইনি, আমি বলেছিলাম: “আল্লাহ আমাকে দেখছেন”।)

عَابِدٌ: وَمَاذَا فَعَلْتَ قَبْلَ الْغُرُوبِ؟ (আবিদ: আর সূর্যাস্তের আগে তুমি কী করেছিলে?)

خَالِدٌ: صَبَرْتُ عَلَى الْجُوعِ وَانْتَظَرْتُ الْإِفْطَارَ. (খালিদ: আমি ক্ষুধার উপর ধৈর্য ধরলাম এবং ইফতারের জন্য অপেক্ষা করলাম)।

عَابِدٌ: وَمَنْ حَضَرَ قَبْلَ الْغُرُوبِ؟ (আবিদ: আর সূর্যাস্তের আগে কারা উপস্থিত হয়েছিল?)

خَالِدٌ: حَضَرَ أَصْدِقَاءُ أَبِي. (খালিদ: আমার বাবার বন্ধুরা উপস্থিত হলেন)।

عَابِدٌ: حَسَنًا يَا خَالِدُ. شُكْرًا لَكَ عَلَى هَذِهِ الْمَعْلُومَاتِ. (আবিদ: ভালো, হে খালিদ! এই তথ্যের জন্য তোমাকে ধন্যবাদ)।

خَالِدٌ: عَفْوًا يَا عَابِدُ! إِلَى اللِّقَاءِ! (খালিদ: স্বাগতম, হে আবিদ! বিদায়!)

عَابِدٌ: إِلَى اللِّقَاءِ! (আবিদ: বিদায়!)


 

উপরের ছবির আলোকে কথোপকথন

 

ছাত্র ১: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا صَدِيقِي! (আসসালামু আলাইকুম, হে আমার বন্ধু!)

ছাত্র ২: وَعَلَيْكُمُ السَّلَامُ! (ওয়ালাইকুমুস সালাম!)

ছাত্র ১: مَاذَا تَقْرَأُ؟ (তুমি কী পড়ছো?)

ছাত্র ২: أَنَا أَقْرَأُ الْكِتَابَ الْكَبِيرَ. (আমি একটি বড় বই পড়ছি)।

ছাত্র ১: هَذَا كِتَابٌ جَمِيلٌ. (এটি একটি সুন্দর বই)।

ছাত্র ২: نَعَمْ، إِنَّهُ مَلِيءٌ بِالْمَعْلُومَاتِ الْمُفِيدَةِ. (হ্যাঁ, এটি উপকারী তথ্যে ভরপুর)।

ছাত্র ১: وَأَيْنَ بَاقِي الْأَصْدِقَاءِ؟ (আর বাকি বন্ধুরা কোথায়?)

ছাত্র ২: هُمْ فِي الْحَدِيقَةِ يَلْعَبُونَ. (তারা বাগানে খেলছে)।

ছাত্র ১: هَلْ تَذْهَبُ مَعَهُمْ؟ (তুমি কি তাদের সাথে যাবে?)

ছাত্র ২: نَعَمْ، سَأَنْهِي قِرَاءَةَ هَذَا الْكِتَابِ ثُمَّ أَذْهَبُ. (হ্যাঁ, আমি এই বই পড়া শেষ করে যাবো)।

ছাত্র ১: طَيِّبٌ، لَا تَتَأَخَّرْ. (ঠিক আছে, দেরি করো না)।

ছাত্র ২: بِإِذْنِ اللَّهِ. (ইনশাআল্লাহ)।


 

আয়াতের অর্থ করো

 

(৭৪) وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا نُوحًا إِلَىٰ قَوْمِهِ أَنِّي لَكُمْ نَذِيرٌ مُّبِينٌ أَنْ لَا تَعْبُدُوا إِلَّا اللَّهَ ۖ إِنِّي أَخَافُ عَلَيْكُمْ عَذَابَ يَوْمٍ أَلِيمٍ (আর আমি নিশ্চয় নূহকে তার জাতির নিকট প্রেরণ করেছিলাম এই বলে: আমি তোমাদের জন্য একজন স্পষ্ট সতর্ককারী, যেন তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত না করো। নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য এক যন্ত্রণাদায়ক দিনের শাস্তির ভয় করি।)

(৭৫) قَالَ إِن تَسْخَرُوا مِنَّا فَإِنَّا نَسْخَرُ مِنكُمْ كَمَا تَسْخَرُونَ (সে বলল: যদি তোমরা আমাদের নিয়ে উপহাস করো, তবে আমরাও তোমাদের নিয়ে উপহাস করব, যেমন তোমরা উপহাস করছো।)

(৭৬) اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ ثُمَّ تُوبُوا إِلَيْهِ (তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও, এরপর তাঁর দিকে ফিরে এসো।)

(৭৭) إِنِّي تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ رَبِّي وَرَبِّكُمْ (নিশ্চয় আমি আমার ও তোমাদের রব আল্লাহর উপর ভরসা করেছি।)

(৭৯) وَمَا ظَلَمْنَاهُمْ وَلَكِن ظَلَمُوا أَنفُسَهُمْ (আর আমি তাদের প্রতি জুলুম করিনি, কিন্তু তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি জুলুম করেছে।)

(৮০) وَجَاءُوا أَبَاهُمْ عِشَاءً يَبْكُونَ (আর তারা তাদের পিতার কাছে রাতের বেলায় কাঁদতে কাঁদতে এলো।)

(৮১) قَالَ رَبِّ السِّجْنُ أَحَبُّ إِلَيَّ مِمَّا يَدْعُونَنِي إِلَيْهِ (সে বলল: হে আমার রব! যেদিকে তারা আমাকে ডাকে, তার চেয়ে আমার কাছে কারাগারই অধিক প্রিয়।)

(৮২) وَلَا نُضِيعُ أَجْرَ الْمُحْسِنِينَ ۖ وَلَأَجْرُ الْآخِرَةِ خَيْرٌ لِّلَّذِينَ آمَنُوا (আর আমি সৎকর্মশীলদের প্রতিদান নষ্ট করি না। আর যারা ঈমান এনেছে, তাদের জন্য আখিরাতের প্রতিদান আরও উত্তম।)

(৮৩) وَجَاءَ إِخْوَةُ يُوسُفَ فَدَخَلُوا عَلَيْهِ فَعَرَفَهُمْ (এবং ইউসুফের ভাইয়েরা এলো, অতঃপর তারা তার কাছে প্রবেশ করল। তখন সে তাদের চিনতে পারল।)

(৮৪) قَالُوا تَاللَّهِ لَقَدْ عَلِمْتُم مَّا جِئْنَا لِنُفْسِدَ فِي الْأَرْضِ وَمَا كُنَّا سَارِقِينَ (তারা বলল: আল্লাহর কসম, তোমরা তো জানো যে আমরা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে আসিনি এবং আমরা চোর ছিলাম না।)

(৮৫) قَالُوا فَمَا جَزَاؤُهُ إِن كُنتُمْ كَاذِبِينَ (তারা বলল: যদি তোমরা মিথ্যাবাদী হও, তবে তার কী শাস্তি হবে?)

(৮৬) ارْجِعُوا إِلَىٰ أَبِيكُمْ فَقُولُوا يَا أَبَانَا إِنَّ ابْنَكَ سَرَقَ (তোমরা তোমাদের পিতার কাছে ফিরে যাও এবং বলো: হে আমাদের পিতা! নিশ্চয় আপনার পুত্র চুরি করেছে।)

(৮৭) وَأَعْلَمُ مِنَ اللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ (আর আমি আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন কিছু জানি, যা তোমরা জানো না।)

(৮৮) قَالَ أَنَا يُوسُفُ وَهَذَا أَخِي (সে বলল: আমি ইউসুফ আর এ আমার ভাই।)

(৮৯) اذْهَبُوا بِقَمِيصِي هَذَا فَأَلْقُوهُ عَلَىٰ وَجْهِ أَبِي (তোমরা আমার এই জামাটি নিয়ে যাও এবং আমার পিতার মুখের উপর নিক্ষেপ করো।)

(৯০) قَالَ أَلَمْ أَقُلْ لَكُمْ إِنِّي أَعْلَمُ مِنَ اللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ (সে বলল: আমি কি তোমাদের বলিনি যে আমি আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন কিছু জানি, যা তোমরা জানো না?)

(৯১) قَالُوا يَا أَبَانَا اسْتَغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا إِنَّا كُنَّا خَاطِئِينَ (তারা বলল: হে আমাদের পিতা! আমাদের গুনাহের জন্য ক্ষমা চান। নিশ্চয় আমরা ভুলকারী ছিলাম।)

(৯২) قَالَ سَوْفَ أَسْتَغْفِرُ لَكُمْ رَبِّي ۖ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ (সে বলল: আমি অচিরেই তোমাদের জন্য আমার রবের কাছে ক্ষমা চাইব। নিশ্চয় তিনিই ক্ষমাশীল, দয়ালু।)

(৯৩) قُلْ مَن رَّبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۖ قُلِ اللَّهُ (বলো: কে আসমান ও জমিনের রব? বলো: আল্লাহ।)

(৯৪) لَهُمْ عَذَابٌ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَلَعَذَابُ الْآخِرَةِ أَشَقُّ (তাদের জন্য দুনিয়ার জীবনে রয়েছে শাস্তি এবং আখিরাতের শাস্তি আরও কঠিন।)

(৯৫) كِتَابٌ أَنزَلْنَاهُ إِلَيْكَ لِتُخْرِجَ النَّاسَ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ (এটি একটি কিতাব, যা আমি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, যাতে তুমি মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করে আনতে পারো।)

(৯৬) وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا مُوسَىٰ بِآيَاتِنَا أَنْ أَخْرِجْ قَوْمَكَ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ (আর আমি নিশ্চয় মুসাকে আমার আয়াতসমূহ দিয়ে প্রেরণ করেছিলাম যে, তুমি তোমার জাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করে আনো।)


 

হোমওয়ার্ক

 

📝 ০1. আয়াতের অর্থ লেখ

(৯৯) وَاعْبُدْ رَبَّكَ حَتَّىٰ يَأْتِيَكَ الْيَقِينُ (আর তুমি তোমার রবের ইবাদত করো, যতক্ষণ না তোমার কাছে নিশ্চিত (মৃত্যু) আসে।)

(১০০) إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ (নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য একটি নিদর্শন রয়েছে।)

(১০১) وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَّسُولًا أَنِ اعْبُدُوا اللَّهَ وَاجْتَنِبُوا الطَّاغُوتَ (আর আমি নিশ্চয় প্রত্যেক উম্মতের মধ্যে একজন রাসূল প্রেরণ করেছিলাম এই বলে যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো এবং তাগুত থেকে দূরে থাকো।)

(১০২) فَسِيرُوا فِي الْأَرْضِ فَانظُرُوا كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُكَذِّبِينَ (সুতরাং তোমরা জমিনে ভ্রমণ করো এবং দেখো যে মিথ্যাবাদীদের পরিণতি কেমন হয়েছিল।)

(১০৩) وَلَأَجْرُ الْآخِرَةِ أَكْبَرُ ۖ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ (আর আখিরাতের প্রতিদান আরও বড়, যদি তারা জানত।)

(১০৫) وَلِلَّهِ يَسْجُدُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ (আর আসমানসমূহে যা কিছু আছে এবং জমিনে যা কিছু আছে, সবই আল্লাহর জন্য সিজদা করে।)

(১০৬) وَاللَّهُ أَنزَلَ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَأَحْيَا بِهِ الْأَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا ۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً لِّقَوْمٍ يَسْمَعُونَ (আর আল্লাহ আসমান থেকে পানি অবতীর্ণ করেছেন, অতঃপর তা দ্বারা জমিনকে তার মৃত্যুর পর জীবিত করেছেন। নিশ্চয় এতে এমন সম্প্রদায়ের জন্য একটি নিদর্শন রয়েছে, যারা শোনে।)

(১০৭) وَاللَّهُ فَضَّلَ بَعْضَكُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ فِي الرِّزْقِ (আর আল্লাহ তোমাদের কাউকে কারও উপর রিযিকের ক্ষেত্রে মর্যাদা দিয়েছেন।)

(১০৮) إِنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ وَأَنْتُمْ لَا تَعْلَمُونَ (নিশ্চয় আল্লাহ জানেন, আর তোমরা জানো না।)

(১০৯) وَاللَّهُ أَخْرَجَكُمْ مِنْ بُطُونِ أُمَّهَاتِكُمْ لَا تَعْلَمُونَ شَيْئًا وَجَعَلَ لَكُمُ السَّمْعَ وَالْأَبْصَارَ وَالْأَفْئِدَةَ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ (আর আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের মায়েদের পেট থেকে বের করেছেন এমন অবস্থায় যে তোমরা কিছুই জানতে না এবং তিনি তোমাদের জন্য কান, চোখ ও অন্তর সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা শুকরিয়া আদায় করো।)

(১১০) إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ (নিশ্চয় এতে ঈমানদার সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শনসমূহ রয়েছে।)

(১১১) يَعْرِفُونَ نِعْمَتَ اللَّهِ ثُمَّ يُنْكِرُونَهَا وَأَكْثَرُهُمُ الْكَافِرُونَ (তারা আল্লাহর নেয়ামত চেনে, এরপরও তা অস্বীকার করে, আর তাদের অধিকাংশই কাফির।)


📝 ০2. আরবি কর ও লেখো

سَارَ رَفِيقٌ فِي يَوْمٍ مَا فِي حَدِيقَةِ جَدِّهِ. فَإِذَا بِهِ يَرَى بَابًا قَدِيمًا. كَانَ الْبَابُ مَفْتُوحًا. دَخَلَ رَفِيقٌ الْحَدِيقَةَ. فَرَأَى فِي الدَّاخِلِ حَدِيقَةَ أَزْهَارٍ جَمِيلَةً. رَأَى أَشْجَارًا كَثِيرَةً، وَفِيهَا أَزْهَارٌ وَثِمَارٌ. كَانَ يَسْقِي الْأَشْجَارَ بِمَاءٍ كُلَّ يَوْمٍ. فَأَصْبَحَتْ أَزْهَارُ الْحَدِيقَةِ أَكْثَرَ جَمَالًا. وَبَعْدَ أَيَّامٍ قَلِيلَةٍ، أَكَلَ رَفِيقٌ مِنْ ثِمَارِ تِلْكَ الْأَشْجَارِ، وَوَجَدَ فِيهَا لَذَّةً كَثِيرَةً، فَشَكَرَ اللَّهَ. وَفَكَّرَ فِي نَفْسِهِ أَنَّهُ سَيَسْقِي الْحَدِيقَةَ بِمَاءٍ بانتظام مِنْ الْآنَ فَصَاعِدًا، وَسَيَبْقَى فِي الْقَرْيَةِ.