• প্রথম স্তর – আরবি ভাষা শেখার হাতেখড়ি (الجزء الأول)
আরবি ভাষা কোর্সের ৬টি স্তর থাকবে, প্রথম স্তর কুরআন শিক্ষার জন্য, দ্বিতীয় স্তর প্রাথমিক আরবি ভাষা শিক্ষার জন্য, তৃতীয় স্তর মাধ্যমিক আরবি ভাষা শিখার জন্য, ৪র্থ স্তর উচ্চ মাধ্যমিক আরবি ভাষা শিখার জন্য, ৫ম স্তর আরবি ব্যাকারণ বা নাহু-সরফ শিখার জন্য, আর ৬ষ্ঠ স্তর এডভান্স আরবি ভাষা শিখার জন্য, প্রথম স্তর এখন শুরু হবে ইনশাআল্লাহ প্রথম স্তর – আরবি ভাষা শেখার হাতেখড়ি (الجزء الأول): শিক্ষার্থীরা আরবি হরফের সঠিক উচ্চারণ, মৌলিক হরকত, গুন্নাহ, কলকলা, মাদ্দ ও ওয়াকফের নিয়ম শিখবে। এটি কুরআন শুদ্ধ উচ্চারণে তিলাওয়াতের আত্মবিশ্বাস তৈরি করবে এবং সুন্দর আরবি হাতের লেখা আয়ত্ত করতে সাহায্য করবে। এই স্তর শেষে শিক্ষার্থীরা আরবি হরফের শুদ্ধ উচ্চারণে পারদর্শী হবে এবং তাজবীদের মৌলিক নিয়মে কুরআন পড়ার আত্মবিশ্বাস অর্জন করবে।

আরবি হাতের লেখা শিক্ষা
আরবি হস্তলিপির শৈলী আরবি হস্তলিপির বিভিন্ন সুন্দর শৈলী বা 'খত' রয়েছে, যেমন: খত্তে নাসখ (خط النسخ), খত্তে রুকাআ (خط الرقعة), খত্তে সুলস (خط الثلث), খত্তে দিওয়ানি (خط الديواني), খত্তে ফার্সি (خط فارسي) ইত্যাদি। প্রতিটি খতের নিজস্ব নিয়ম ও সৌন্দর্য বিদ্যমান। কিভাবে শিখবেন এই অনুশীলন বইটি আপনাকে ধাপে ধাপে আরবি হাতের লেখা শিখতে সাহায্য করবে: 1. হরফ পরিচিতি: প্রতিটি আরবি হরফের রূপ ও লেখার নিয়ম মনোযোগ দিয়ে দেখুন। 2. অনুশীলন: প্রতিটি হরফ আলাদাভাবে এবং শব্দে যুক্ত অবস্থায় লেখার অনুশীলন করুন। বইটিতে সঠিক আকার ও লেখার দিকনির্দেশনা দেওয়া আছে। 3. শব্দ ও বাক্য: ধীরে ধীরে ছোট শব্দ ও বাক্য লেখার অনুশীলন শুরু করুন। আমাদের মূল বইয়ের শব্দ ও বাক্যগুলো এখানে সহায়ক হবে। 4. নিয়মিত চর্চা: প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় অনুশীলন করে হাতের লেখা সুন্দর করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। 5. ধৈর্য ধরুন: তাড়াহুড়ো না করে ধীরে ধীরে ও মনোযোগের সাথে অনুশীলন করুন। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে আপনার হাতের লেখায় অবশ্যই উন্নতি আসবে।

দ্বিতীয় স্তর – আরবি ভাষা শিক্ষার প্রাথমিক ধাপ (الجزء الثاني)
এই অংশে শিক্ষার্থীরা আরবি ব্যাকরণের মৌলিক বিষয়াবলী যেমন—ইশারা, পুংলিঙ্গ-স্ত্রীলিঙ্গ, নির্দিষ্ট-অনির্দিষ্ট শব্দ, সর্বনাম, ইযাফা, ক্রিয়াবিশেষণ, অব্যয়, সম্বোধন এবং সংখ্যা শিখবে। এটি শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি করবে এবং আরবি-বাংলায় বাক্য নির্মাণ ও কথোপকথনের প্রাথমিক দক্ষতা তৈরি করবে। এই স্তর শেষে শিক্ষার্থীরা আরবি ভাষার মূল কাঠামো এবং ব্যবহারিক দক্ষতায় পারদর্শী হয়ে প্রাথমিক পর্যায়ের আরবিতে কথা বলতে পারবে।

তৃতীয় স্তর – আরবি ভাষা শেখার মাধ্যমিক ধাপ (الجزء الثالث)
এই স্তরে ক্রিয়ার বিভিন্ন প্রকার, ক্রিয়ার রূপান্তর এবং জটিল ক্রিয়ার গঠন শেখানো হবে। নফি, ইস্তেসনা, তা'লিল, জজম, নাসব ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকরণিক উপাদান এবং বাক্য বিশ্লেষণের কৌশল আয়ত্ত করা যাবে। এই স্তর শেষে শিক্ষার্থীরা আরবি ক্রিয়ার গঠন ও পরিবর্তন বুঝে বাক্যে প্রয়োগ করতে এবং হাদীস ও আয়াত বোঝার ক্ষেত্রে ব্যাকরণ প্রয়োগে পারদর্শী হতে সক্ষম হবে এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের আরবিতে কথা বলতে পারবে।

চতুর্থ স্তর – আরবি ভাষা শিক্ষার উচ্চ মাধ্যমিক ধাপ (الجزء الرابع)
এই অংশে ভাষার সৌন্দর্য ও সাহিত্যিক রীতি শেখানো হবে। শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ব্যবহার শিখবে। কুরআনের ২০০+ আয়াত এবং ১০০+ এর বেশি হাদীসের অর্থ ও বিশ্লেষণ, প্রচলিত বাক্যরীতি (التعبيرات), প্রবাদ-প্রবচন, এবং প্রশংসা ও নিন্দার বাক্যগঠনশৈলী আয়ত্ত করবে। এর মাধ্যমে তারা আরবিতে নিজস্ব ভাব প্রকাশে প্রাঞ্জলতা অর্জন করবে এবং সাহিত্যিক রচনারীতি বুঝতে সক্ষম হবে।

পঞ্চম স্তর – পূর্ণাঙ্গ ব্যাকরণ বিশ্লেষণ (নাহু ও সরফ) (الجزء الخامس)
এটি আরবি ব্যাকরণের মূল ভিত্তি। এখানে নাহু (বাক্য বিশ্লেষণ ও গঠন) এবং সরফ (শব্দরূপ ও ধাতু বিশ্লেষণ) এর বিস্তারিত আলোচনা ও অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই অংশ ভালোভাবে অনুশীলন করলে শিক্ষার্থীরা ইনশাআল্লাহ নাহু ও সরফের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারবে এবং যেকোনো আরবি বাক্য নির্ভুলভাবে বিশ্লেষণ ও গঠন করা, কুরআন, হাদীস ও আরবি সাহিত্য বুঝতে পারা, এবং শুদ্ধ ও প্রাঞ্জল আরবি লিখতে পারার সক্ষমতা অর্জন করবে।

ষষ্ঠ স্তর – ব্যবহারিক ভাষাদক্ষতা (الجزء السادس)
এটি বইয়ের সবচেয়ে বাস্তবমুখী অংশ। এখানে ভাষার চারটি মৌলিক দক্ষতা — কথোপকথন (محادثة), লিখন (كتابة), পঠন (قراءة) এবং শ্রবণ (استماع) — এর উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এই অংশে অ্যাডভান্স আরবিতে কথা বলার জন্য প্রয়োজনীয় সকল শব্দ, বিষয়ভিত্তিক কথোপকথন, প্রশ্ন করা, উত্তর দেওয়া, দৈনন্দিন জীবনে কথা বলা, বক্তৃতা দেওয়া, উপস্থাপনা করা, জুমার খুতবা দেওয়া ইত্যাদি শেখানো হয়েছে। লেখালেখির বিষয়ে দরখাস্ত, প্রবন্ধ, চিঠি, সিভি, সংবাদ লেখার বিস্তারিত নিয়ম ও উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। পঠন ও শ্রবণ দক্ষতার জন্য কুরআন, হাদীস, আধুনিক আরবি প্রবন্ধ, খবর ও গল্প এবং দৈনন্দিন ব্যবহৃত আরবি পত্রিকা ও সংবাদপত্রের চর্চা অন্তর্ভুক্ত।

উচ্চ মাধ্যমিক আরবি ভাষা কোর্সের ৭ নং ক্লাস
About Lesson

📖 নির্দেশনা:
প্রথম পাঠের হোমওয়ার্কের আগ পর্যন্ত সকল আরবি বাক্যের সাথে বাংলা অর্থ এবং বাংলা বাক্যের সাথে তার আরবি অনুবাদ এখানে দেওয়া হলো।
তুমি আগে নিজে পুরো পাঠটি মনোযোগ দিয়ে পড়বে, তারপর মিলিয়ে দেখবে —
তোমার বাংলা অর্থ করা এবং আরবি অনুবাদ করা শুদ্ধ হয়েছে কিনা।
⚠ সতর্কতা:
ভুলেও আগে এই অংশটি পড়বে না — আগে নিজে চেষ্টা করো, পরে মিলিয়ে দেখো।

 

حُرُوفُ القَسَمِ (শপথের অব্যয়) হলো এমন কিছু অব্যয়, যা দিয়ে কোনো বিষয়ে জোর দিয়ে বলা হয় বা শপথ গ্রহণ করা হয়। সাধারণত শপথের মাধ্যমে বক্তা তার বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণ করতে চায়।


1. وَاوُ القَسَمِ (واও অব্যয়)

এটি অধিক ব্যবহৃত হয় এবং সাধারণত কোনো মহান ব্যক্তিত্ব বা জিনিসের শপথ নিতে ব্যবহৃত হয়।

উদাহরণ:

  • وَاللَّهِ لَأَنْجَح (আল্লাহর শপথ, আমি অবশ্যই সফল হব)।

  • وَالْكَعْبَةِ لَنَصُومُ غَدًا (কাবার শপথ, আমরা কাল অবশ্যই রোজা রাখব)।

2. بَاءُ الْقَسَمِ (বা অব্যয়)

এটি সাধারণত بِاللَّهِ (আল্লাহর শপথ) বাক্যে ব্যবহৃত হয়।

উদাহরণ:

  • بِاللَّهِ لَأَقُولُ الْحَقَّ (আল্লাহর কসম, আমি অবশ্যই সত্য বলব)।

  • بِرَبِّي لَأُسَاعِدَكَ (আমার রবের কসম, আমি অবশ্যই তোমাকে সাহায্য করব)।

3. تَاءُ الْقَسَمِ (তা অব্যয়)

এটি সাধারণত تَاللَّهِ (আল্লাহর শপথ) বাক্যে ব্যবহৃত হয় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিস্ময় প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হয়।

উদাহরণ:

  • تَاللَّهِ لَقَدْ عَجِبْتُ مِنْهُ (আল্লাহর কসম, আমি তার আচরণ দেখে বিস্মিত হয়েছি)।

  • تَاللَّهِ لَأَتِيَنَّكَ بِخَبَرٍ (আল্লাহর শপথ, আমি অবশ্যই তোমাকে একটি খবর এনে দেব)।


শপথ বাক্যের গঠন

শপথ বাক্য সাধারণত তিনটি অংশে গঠিত হয়:

  1. حَرْفُ الْقَسَمِ (শপথের অব্যয়) – যেমনঃ وَ, بِ, تَ ইত্যাদি। আর এর পরের শব্দ জের (কাসরা) হয়।

  2. الْمُقْسَمُ بِهِ (যার শপথ নেওয়া হচ্ছে) – যেমন: আল্লাহ।

  3. الْمُقْسَمُ عَلَيْهِ (যে বিষয়ে শপথ নেওয়া হচ্ছে) – শপথ গ্রহণের মূল বক্তব্য।


শপথের ব্যবহার

  • যখন حروف القسم (শপথের অব্যয়) এর পর الْفِعْلُ الْمُضَارِعُ (বর্তমান/ভবিষ্যৎ কালবাচক ক্রিয়া) ব্যবহার হয়, তখন لَ (লাম) ব্যবহার করা হয় الْفِعْلُ الْمُضَارِعُ এর পূর্বে।

    • উদাহরণ: وَاللَّهِ لَأَفْعَلُ ذَلِكَ (আল্লাহর শপথ, আমি অবশ্যই এটি করব)।

    • উদাহরণ: بِاللَّهِ لَأَجْتَهِدُ (আল্লাহর শপথ, আমি অবশ্যই পরিশ্রম করব)।

  • যখন حروف القسم (শপথের অব্যয়) এর পর الْفِعْلُ الْمَاضِي (অতীত কালবাচক ক্রিয়া) ব্যবহৃত হয়, তখন لَقَدْ ব্যবহার করা হয় الْفِعْلُ الْمَاضِي এর পূর্বে, যা অতীতকালের কোনো ঘটনাকে নিশ্চিত করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

    • উদাহরণ: لَقَدْ ذَهَبْتُ إِلَى الْمَدْرَسَةِ وَاللَّهِ (আল্লাহর শপথ, আমি অবশ্যই স্কুলে গিয়েছিলাম)।

    • উদাহরণ: لَقَدْ رَجَعْتُ مِنَ السَّفَرِ وَاللَّهِ (আল্লাহর শপথ, আমি অবশ্যই সফর থেকে ফিরে এসেছি)।


অতিরিক্ত উদাহরণের অর্থ:

  • وَاللَّهِ أُحِبُّ أُمِّي (আল্লাহর শপথ, আমি আমার মাকে ভালোবাসি)।

  • وَاللَّهِ أُحِبُّ أَبِي (আল্লাহর শপথ, আমি আমার বাবাকে ভালোবাসি)।

  • وَاللَّهِ لَأَكْتُبَنَّ دَرْسِي (আল্লাহর শপথ, আমি অবশ্যই আমার পাঠ লিখব)।

  • وَاللَّهِ لَأَذْهَبَنَّ إِلَى الْمَدْرَسَةِ (আল্লাহর শপথ, আমি অবশ্যই মাদ্রাসায় যাব)।

  • وَاللَّهِ لَأَسْتَيْقِظَنَّ مُبَكِّرًا (আল্লাহর শপথ, আমি অবশ্যই ভোরে উঠব)।

  • وَاللَّهِ لَأُصَلِّيَنَّ الْفَجْرَ (আল্লাহর শপথ, আমি অবশ্যই ফজরের সালাত আদায় করব)।

  • وَاللَّهِ لَأَذْهَبَنَّ إِلَى الْجَامِعَةِ (আল্লাহর শপথ, আমি অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ে যাব)।

  • وَاللَّهِ لَأَزُورَنَّ جَدِّي (আল্লাহর শপথ, আমি অবশ্যই আমার দাদার কাছে যাব)।

  • وَاللَّهِ لَأُسَاعِدَنَّ أُمِّي فِي الْمَنْزِلِ (আল্লাহর শপথ, আমি অবশ্যই আমার মাকে ঘরের কাজে সাহায্য করব)।

  • وَاللَّهِ لَأَحْفَظَنَّ الْقُرْآنَ (আল্লাহর শপথ, আমি অবশ্যই কুরআন মুখস্ত করব)।

  • بِاللَّهِ أَكْتُبُ (আল্লাহর শপথ, আমি লিখি)।

  • بِاللَّهِ أَذْهَبُ إِلَى السُّوقِ (আল্লাহর শপথ, আমি বাজারে যাই)।

  • بِاللَّهِ أُحِبُّ الْمُعَلِّمَ (আল্লাহর শপথ, আমি শিক্ষককে ভালোবাসি)।

  • بِاللَّهِ أَكْتُبُ الدَّرْسَ (আল্লাহর শপথ, আমি পাঠ লিখি)।

  • بِاللَّهِ أَسْمَعُ الْأَذَانَ (আল্লাহর শপথ, আমি আযান শুনি)।

  • تَاللَّهِ لَأَقُومَنَّ بِوَاجِبِي (আল্লাহর শপথ, আমি অবশ্যই আমার দায়িত্ব পালন করব)।

  • تَاللَّهِ لَأُصَلِّيَنَّ الْعِشَاءَ (আল্লাহর শপথ, আমি অবশ্যই এশার সালাত আদায় করব)।

  • تَاللَّهِ لَأُشَاهِدَنَّ الْقَمَرَ (আল্লাহর শপথ, আমি অবশ্যই চাঁদ দেখব)।

  • تَاللَّهِ لَأَذْهَبَنَّ إِلَى الْجَبَلِ (আল্লাহর শপথ, আমি অবশ্যই পাহাড়ে যাব)।

  • تَاللَّهِ لَأَزُورَنَّ صَدِيقِي (আল্লাহর শপথ, আমি অবশ্যই আমার বন্ধুর কাছে যাব)।


 

মূল পাঠের অর্থ

 

كَانَ رَجُلٌ لَهُ أَبَوَانِ كَبِيرَانِ وَأَوْلَادٌ صِغَارٌ وَكَانَ يَذْهَبُ بِالْمَاشِيَةِ كُلَّ يَوْمٍ فِي الصَّبَاحِ إِلَى الْمَرْعَى وَيَرْجِعُ فِي الْعِشَاءِ، فَيَحْلِبُهَا وَيَسْقِي وَالِدَيْهِ وَأَوْلَادَهُ. وَكَانَ أَبَوَاهُ وَأَوْلَادُهُ الصِّغَارُ يَنْتَظِرُونَهُ، وَلَا يَنَامُونَ حَتَّى يَحْضُرَ الرَّجُلُ. مَرَّةً ذَهَبَ الرَّجُلُ بِالْمَاشِيَةِ إِلَى الْمَرْعَى فَتَأَخَّرَ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ فَرَجَعَ إِلَى الْبَيْتِ وَقَدْ ذَهَبَ كَثِيرٌ مِنَ اللَّيْلِ. وَانْتَظَرَ أَبُوهُ وَأُمُّهُ طَوِيلًا. وَرَجَعَ الرَّجُلُ وَدَخَلَ الْبَيْتَ. فَتَأَسَّفَ الرَّجُلُ وَحَزِنَ كَثِيرًا، وَقَالَ: أَسَفًا إِنِّي تَأَخَّرْتُ الْيَوْمَ. وَفَكَّرَ الرَّجُلُ هَلْ يُوقِظُ الشَّيْخَ وَالْعَجُوزَ؟ وَكَرِهَ الرَّجُلُ أَنْ يُوقِظَ الشَّيْخَ وَالْعَجُوزَ. وَكَانَ أَهْلُهُ وَأَوْلَادُهُ يَنْتَظِرُونَهُ، فَطَلَبُوا مِنْهُ اللَّبَنَ. وَلَكِنَّ الرَّجُلَ كَرِهَ أَنْ يَسْقِيَ أَهْلَهُ وَأَوْلَادَهُ قَبْلَ وَالِدَيْهِ، وَخَافَ اللَّهَ. وَحَلَبَ الرَّجُلُ الْمَاشِيَةَ وَوَقَفَ يَنْتَظِرُ أَنْ يَسْتَيْقِظَ أَبَوَاهُ حَتَّى طَلَعَ الْفَجْرُ وَاسْتَيْقَظَ وَالِدَاهُ، فَقَدَّمَ الرَّجُلُ لَهُمَا قَدَحَ اللَّبَنِ فَشَرِبَا ثُمَّ سَقَى أَوْلَادَهُ

(এক লোকের দুইজন বৃদ্ধ পিতা-মাতা এবং ছোট ছোট সন্তান ছিল। সে প্রতিদিন সকালে তার পশুদের নিয়ে চারণভূমিতে যেত এবং সন্ধ্যায় ফিরে আসত। অতঃপর সে দুধ দোহন করত এবং তার পিতা-মাতা ও সন্তানদের পান করাত। তার পিতা-মাতা এবং ছোট ছোট সন্তানরা তার জন্য অপেক্ষা করত এবং লোকটি আসা পর্যন্ত তারা ঘুমাত না। একবার লোকটি তার পশুদের নিয়ে চারণভূমিতে গেল এবং সেদিন তার দেরি হয়ে গেল। সে রাতে যখন বাড়িতে ফিরল, তখন রাতের অনেকটা অংশ চলে গিয়েছিল। তার বাবা-মা অনেকক্ষণ ধরে তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। লোকটি ফিরে এসে ঘরে প্রবেশ করল। তখন লোকটি আফসোস করল এবং খুব দুঃখ পেল, আর বলল: হায়! আজ আমার দেরি হয়ে গেছে। লোকটি ভাবল, সে কি বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে জাগাবে? কিন্তু লোকটি বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে জাগানো অপছন্দ করল। এদিকে তার স্ত্রী ও সন্তানরা তার জন্য অপেক্ষা করছিল, তাই তারা তার কাছে দুধ চাইল। কিন্তু লোকটি তার বাবা-মায়ের আগে তার স্ত্রী ও সন্তানদের পান করানো অপছন্দ করল এবং সে আল্লাহকে ভয় করল। লোকটি পশুদের দুধ দোহন করল এবং তার বাবা-মা জাগ্রত হওয়া পর্যন্ত দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে লাগল। এভাবে ফজর হয়ে গেল এবং তার বাবা-মা জেগে উঠলেন। অতঃপর লোকটি তাদের দু’জনকে এক গ্লাস দুধ দিল, তারা পান করলেন। এরপর সে তার সন্তানদের পান করাল।)


 

প্রশ্নের উত্তর পড়

 

  • রাশেদ: তার স্ত্রী ও সন্তানেরা কী চেয়েছিল?

    খালিদ: তারা তার কাছে দুধ চেয়েছিল। (طَلَبُوا مِنْهُ اللَّبَنَ)।

  • রাশেদ: সে কি তার বাবা-মায়ের আগে তাদের পান করিয়েছিল?

    খালিদ: না, কারণ সে আল্লাহকে ভয় করত। (لَا، لِأَنَّهُ خَافَ اللَّهَ)।

  • রাশেদ: পশুদের দুধ দোহন করার পর সে কী করেছিল?

    খালিদ: সে তার বাবা-মা জেগে উঠা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেছিল। (وَقَفَ يَنْتَظِرُ أَنْ يَسْتَيْقِظَ أَبَوَاهُ)।

  • রাশেদ: বাবা-মা কখন জেগে উঠেছিলেন?

    খালিদ: ফজরের সময়। (عِنْدَ طُلُوعِ الْفَجْرِ)।

  • রাশেদ: প্রথমে কে দুধ পান করল?

    খালিদ: তার বাবা-মা প্রথমে পান করলেন। (وَالِدَاهُ شَرِبَا أَوَّلًا)।

  • রাশেদ: এরপর লোকটি কী করেছিল?

    খালিদ: তার বাবা-মায়ের পর সে তার সন্তানদের পান করাল। (سَقَى أَوْلَادَهُ بَعْدَ وَالِدَيْهِ)।

  • রাশেদ: লোকটি কি আল্লাহকে ভয় করত?

    খালিদ: হ্যাঁ, সে আল্লাহকে ভয় করত। (نَعَمْ، كَانَ يَخَافُ اللَّهَ)।

  • রাশেদ: সে কি তার সন্তানদের তার বাবা-মায়ের উপর প্রাধান্য দিয়েছিল?

    খালিদ: না, সে তার বাবা-মাকে প্রাধান্য দিয়েছিল। (لَا، فَضَّلَ وَالِدَيْهِ)।

  • রাশেদ: আমরা এই গল্প থেকে কী শিখি?

    খালিদ: আমরা বাবা-মায়ের প্রতি সদ্ব্যবহার, ধৈর্য এবং আল্লাহকে ভয় করা শিখি। (نَتَعَلَّمُ بِرَّ الْوَالِدَيْنِ وَالصَّبْرَ وَالْخَوْفَ مِنَ اللَّهِ)।


 

প্রশ্নের উত্তর দাও

 

  • ماذا كان الرجل يفعل كل يوم في الصباح؟ (প্রতিদিন সকালে লোকটি কী করত?)

    • كان يذهب بالماشية إلى المرعى (সে পশুদের নিয়ে চারণভূমিতে যেত)।

  • ماذا كان يفعل الرجل في المساء؟ (সন্ধ্যায় লোকটি কী করত?)

    • كان يرجع في العشاء، فيحلبها ويسقي والديه وأولاده (সে সন্ধ্যায় ফিরে আসত, অতঃপর দুধ দোহন করত এবং তার পিতা-মাতা ও সন্তানদের পান করাত)।

  • ماذا شعر الرجل عندما تأخر في ذلك اليوم؟ (সেদিন যখন তার দেরি হলো, তখন লোকটি কী অনুভব করল?)

    • تأسف الرجل وحزن كثيرا (লোকটি আফসোস করল এবং খুব দুঃখ পেল)।

  • ماذا فكر الرجل قبل أن يوقظ والديه؟ (তার বাবা-মাকে জাগানোর আগে লোকটি কী ভেবেছিল?)

    • فكر الرجل هل يوقظ الشيخ والعجوز؟ (লোকটি ভেবেছিল, সে কি বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে জাগাবে?)

  • لماذا كره الرجل أن يوقظ الشيخ والعجوز؟ (কেন লোকটি বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে জাগানো অপছন্দ করল?)

    • كره الرجل أن يوقظهما لأجل راحتهما (লোকটি তাদের আরামের জন্য তাদের জাগানো অপছন্দ করল)।

  • ماذا طلب أهله وأولاده من الرجل؟ (তার স্ত্রী ও সন্তানেরা লোকটির কাছে কী চেয়েছিল?)

    • طلبوا منه اللبن (তারা তার কাছে দুধ চেয়েছিল)।

  • متى استيقظ والدي الرجل؟ (লোকটির বাবা-মা কখন জেগে উঠলেন?)

    • استيقظ والداه عند طلوع الفجر (তার বাবা-মা ফজরের সময় জেগে উঠলেন)।

  • ماذا فعل الرجل بعد أن سقى والديه؟ (তার বাবা-মাকে পান করানোর পর লোকটি কী করল?)

    • سقى أولاده (সে তার সন্তানদের পান করাল)।

  • ماذا كان الرجل يفعل قبل أن يسقي أولاده؟ (তার সন্তানদের পান করানোর আগে লোকটি কী করছিল?)

    • كان ينتظر أن يستيقظ أبواه (সে তার বাবা-মা জেগে উঠার জন্য অপেক্ষা করছিল)।


 

হাওয়ার (কথোপকথন)

 

📞 المتصل: السَّلامُ عَلَيْكُمْ، آلُو (কলার: আসসালামু আলাইকুম, হ্যালো)।

📞 المستلم: وَعَلَيْكُمْ السَّلامُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، مَرْحَبًا. مَن مَعِي؟ (রিসিভার: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু, স্বাগতম। কে বলছেন?)

📞 المتصل: مَعَكَ محمود حَسَن مِن سِلْهِت، أُرِيدُ أَنْ أَلْتَحِقَ بِدَوْرَةِ تَعْلِيمِ اللُّغَةِ الْعَرَبِيَّةِ تَحْتَ إِشْرَافِ أَكَادِيمِيَّة نَافِعَةٍ (কলার: আপনার সাথে কথা বলছি সিলেট থেকে মাহমুদ হাসান, আমি ‘নাফিয়া একাডেমি’র তত্ত্বাবধানে আরবি ভাষা শিক্ষার কোর্সে ভর্তি হতে চাই)।

📞 المستلم: أَهْلًا وَسَهْلًا، أَرْسِلْ إِلَيْنَا اسْمَكَ وَعُنْوَانَكَ وَرَقَمَ جوَّالِكَ (রিসিভার: স্বাগতম, আপনি আপনার নাম, ঠিকানা এবং মোবাইল নম্বর আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন)।

📞 المتصل: كَيْفَ أرْسِلُ هَذِهِ الْأُمُورَ يَا أسْتَاذ؟ (কলার: হে ওস্তাদ, আমি এই তথ্যগুলো কিভাবে পাঠাব?)

📞 المستلم: أرْسِلْ إِلَى هَذَا الرَّقَمِ عَنْ طَرِيقِ الرِّسَالَةِ الْقَصِيرَةِ (রিসিভার: এই নম্বরে একটি শর্ট মেসেজের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিন)।

📞 المتصل: شُكْرًا يَا أسْتَاذ، سَأرْسِلُ بِإِذْنِ اللّهِ (কলার: ধন্যবাদ ওস্তাদ, ইনশাআল্লাহ আমি পাঠিয়ে দেব)।

📞 المستلم: وَفَّقَكَ اللّهُ (রিসিভার: আল্লাহ আপনাকে সফলতা দান করুন)।


 

হাওয়ার (কথোপকথন) সজিদ ও আবিদ

 

سَاجِدٌ: أَخِي الْكَرِيمُ، أُرِيدُ أَنْ أُرْسِلَ الْأَوْرَاقَ إِلَى الْجَامِعَةِ الْإِسْلَامِيَّةِ بِالْمَدِينَةِ الْمُنَوَّرَةِ (সাজিদ: হে আমার সম্মানিত ভাই, আমি পবিত্র মদিনার ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু কাগজপত্র পাঠাতে চাই)।

عَابِدٌ: طَيِّبٌ، هَلْ عِنْدَكَ حِسَابٌ فِي الْبَرِيدِ الْإِلِكْتِرُونِيِّ؟ (আবিদ: ঠিক আছে, তোমার কি ইমেইল অ্যাকাউন্ট আছে?)

سَاجِدٌ: لَا، لَيْسَ عِنْدِي حِسَابٌ فِي الْبَرِيدِ الْإِلِكْتِرُونِيِّ (সাজিদ: না, আমার কোনো ইমেইল অ্যাকাউন্ট নেই)।

عَابِدٌ: اِفْتَحْ حِسَابًا فِي الْبَرِيدِ وَأَرْسِلِ الْأَوْرَاقَ عَنْ طَرِيقِهِ إِلَى عُنْوَانِ بَرِيدِ الْأَكَادِيمِيَّةِ (আবিদ: একটি ইমেইল অ্যাকাউন্ট খোল এবং তার মাধ্যমে একাডেমির ইমেইল অ্যাড্রেসে কাগজপত্রগুলো পাঠিয়ে দাও)।

سَاجِدٌ: هَلْ عِنْدَكَ عُنْوَانُ بَرِيدِ الْأَكَادِيمِيَّةِ؟ (সাজিদ: একাডেমির ইমেইল অ্যাড্রেস কি তোমার কাছে আছে?)

عَابِدٌ: نَعَمْ، هَذَا هُوَ عُنْوَانُ بَرِيدِ الْأَكَادِيمِيَّةِ: academynafia@gmail.com (আবিদ: হ্যাঁ, এটি হলো একাডেমির ইমেইল অ্যাড্রেস)।

سَاجِدٌ: شُكْرًا أَخِي الْكَرِيمِ (সাজিদ: ধন্যবাদ, হে আমার সম্মানিত ভাই)।

عَابِدٌ: عَفْوًا. وَفَّقَكَ اللَّهُ وَسَهَّلَ أُمُورَكَ (আবিদ: স্বাগতম। আল্লাহ আপনাকে সফলতা দান করুন এবং আপনার কাজ সহজ করুন)।


 

হাওয়ার (কথোপকথন) ফরিদ ও রশীদ

 

فَرِيدٌ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ (ফরিদ: আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু)।

رَشِيدٌ: وَعَلَيْكُمُ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ (রশীদ: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু)।

فَرِيدٌ: أَخِي الْكَرِيمُ! مَتَى تَبْدَأُ الْإِجَازَةُ؟ (ফরিদ: হে আমার সম্মানিত ভাই! ছুটি কখন শুরু হবে?)

رَشِيدٌ: مِن يَوْمِ الْخَمِيسِ تَبْدَأُ الْإِجَازَةُ (রশীদ: বৃহস্পতিবার থেকে ছুটি শুরু হবে)।

فَرِيدٌ: إِذَنْ اقْتَرَبَتِ الْإِجَازَةُ، هَلْ تُسَافِرُ إِلَى الْبَيْتِ فِي الْإِجَازَةِ؟ (ফরিদ: তাহলে ছুটি কাছাকাছি এসে গেছে। ছুটিতে কি তুমি বাড়ি যাবে?)

رَشِيدٌ: نَعَمْ أَسَافِرُ إِلَى الْبَيْتِ (রশীদ: হ্যাঁ, আমি বাড়ি যাব)।

فَرِيدٌ: هَلْ حَجَزْتَ التَّذْكِرَةَ؟ (ফরিদ: তুমি কি টিকিট বুক করেছো?)

رَشِيدٌ: نَعَمْ، حَجَزْتُ التَّذْكِرَةَ وَغَدًا أَتَأَكَّدُ مِنْهَا (রশীদ: হ্যাঁ, আমি টিকিট বুক করেছি এবং আগামীকাল তা নিশ্চিত করব)।

فَرِيدٌ: كَيْفَ تُسَافِرُ أَوْ بِمَاذَا تُسَافِرُ؟ (ফরিদ: তুমি কিভাবে বা কিসে করে যাবে?)

رَشِيدٌ: أَسَافِرُ بِالْقِطَارِ وَأَنْتَ كَيْفَ تُسَافِرُ؟ (রশীদ: আমি ট্রেনে করে যাব। আর তুমি কিভাবে যাবে?)

فَرِيدٌ: أَنَا أُفَضِّلُ الْحَافِلَةَ أَوِ الطَّائِرَةَ فِي السَّفَرِ (ফরিদ: আমি সফরে বাস অথবা বিমান পছন্দ করি)।

رَشِيدٌ: إِجَازَةٌ سَعِيدَةٌ يَا فَرِيدُ (রশীদ: শুভ ছুটি, হে ফরিদ)।

فَرِيدٌ: إِجَازَةٌ سَعِيدَةٌ يَا رَشِيدُ (ফরিদ: শুভ ছুটি, হে রশীদ)।


 

হাওয়ার (কথোপকথন) মুতামির ও উকিল

 

الْمُعْتَمِرُ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ (ওমরাহকারী: আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ)।

الْوَكِيلُ: وَعَلَيْكُمُ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ. أَيُّ خِدْمَةٍ يَا أُسْتَاذُ؟ كَيْفَ يُمْكِنُنِي أَنْ أُسَاعِدَكَ؟ (এজেন্ট: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। কী সেবা দিতে পারি, হে ওস্তাদ? আমি কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?)

الْمُعْتَمِرُ: أَنَا أُرِيدُ أَنْ أُسَافِرَ إِلَى بَيْتِ اللَّهِ الْحَرَامِ لِأَدَاءِ الْعُمْرَةِ (ওমরাহকারী: আমি ওমরাহ আদায়ের জন্য আল্লাহর সম্মানিত ঘরে সফর করতে চাই)।

الْوَكِيلُ: مَا شَاءَ اللَّهُ، هَذَا جَيِّدٌ. هَلْ تُسَافِرُ وَحْدَكَ أَمْ مَعَ الْأُسْرَةِ؟ (এজেন্ট: মাশাআল্লাহ, এটি খুবই ভালো। আপনি কি একা সফর করবেন নাকি পরিবারের সাথে?)

الْمُعْتَمِرُ: مَعَ الْأُسْرَةِ (ওমরাহকারী: পরিবারের সাথে)।

الْوَكِيلُ: مَتَى تُرِيدُ أَنْ تُسَافِرَ لِأَدَاءِ الْعُمْرَةِ؟ (এজেন্ট: আপনি কখন ওমরাহ আদায়ের জন্য সফর করতে চান?)

الْمُعْتَمِرُ: فِي نِهَايَةِ الشَّهْرِ (ওমরাহকারী: মাসের শেষে)।

الْوَكِيلُ: كَمْ أَدْفَعُ الثَّمَنَ لِسِتِّ تَذَاكِرَ؟ (এজেন্ট: ছয়টি টিকিটের জন্য আমাকে কত টাকা দিতে হবে?)

الْمُعْتَمِرُ: سِتَّةُ آلَافِ دُولَارٍ فَقَطْ. هَلْ يُمْكِنُ أَنْ تُعْطِيَنِي اسْمَكَ وَعُنْوَانَكَ؟ (এজেন্ট: শুধুমাত্র ছয় হাজার ডলার। আপনি কি আমাকে আপনার নাম এবং ঠিকানা দিতে পারবেন?)

الْمُعْتَمِرُ: بِالتَّأْكِيدِ (ওমরাহকারী: অবশ্যই)।

الْوَكِيلُ: مِنْ فَضْلِكَ أَعْطِنِي رَقْمَ جوَّالِكَ (এজেন্ট: দয়া করে আপনার মোবাইল নম্বর দিন)।

الْمُعْتَمِرُ: صِفْرٌ، وَاحِدٌ، سَبْعَةٌ، تِسْعَةٌ، أَرْبَعَةٌ، اثْنَانِ، سَبْعَةٌ، أَرْبَعَةٌ، صِفْرٌ، ثَلَاثَةٌ (ওমরাহকারী: ০১৭৯৪২৭৪০৩)।

الْوَكِيلُ: سَوْفَ تُسَافِرُ إِلَى بَيْتِ اللَّهِ الْحَرَامِ فِي الْمِيَعَادِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ (এজেন্ট: ইনশাআল্লাহ, আপনি নির্ধারিত সময়ে আল্লাহর সম্মানিত ঘরে সফর করবেন)।

الْمُعْتَمِرُ: أَرْجُو أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ (ওমরাহকারী: আমি আশা করি তাই হবে)।

الْوَكِيلُ: طَيِّبٌ، إِلَى اللِّقَاءِ (এজেন্ট: ঠিক আছে, বিদায়)।


 

উপরের ছবির আলোকে কথোপকথন

 

طَالِبٌ 1: أُنْظُرْ يَا صَدِيقِي، مَا هَذَا؟ (ছাত্র ১: দেখো বন্ধু, এটা কী?)

طَالِبٌ 2: هَذَا قِطٌّ جَمِيلٌ! (ছাত্র ২: এটি একটি সুন্দর বিড়াল!)

طَالِبٌ 1: نَعَمْ، إِنَّهُ يَلْعَبُ. (ছাত্র ১: হ্যাঁ, এটি খেলছে)।

طَالِبٌ 2: هَلْ نَأْخُذُهُ مَعَنَا؟ (ছাত্র ২: আমরা কি এটিকে আমাদের সাথে নিয়ে যাব?)

طَالِبٌ 1: لَا، دَعْهُ يَلْعَبُ. (ছাত্র ১: না, ওকে খেলতে দাও)।


 

শব্দের অর্থ

 

বাংলা আরবি
চিৎকার করা الهَتْفُ
সমান করা التَّسْوِيَةُ
কাতার, লাইন صَفٌّ (বহুবচন: صُفُوفُ)
ধারণা করা الزَّعْمُ
অগ্রবর্তী হওয়া السَّبْقُ
বিলম্ব করানো التَّأْخِيْرُ
বক্রতা عِوَجٌ
ভোগ مَتَاعٌ
উপদেশ الْمَوْعِظَة
দুশ্চিন্তা الْغَمُّ
ধনভাণ্ডার كَنْزٌ
সজ্জা زِينَةٌ

 

আয়াতের অর্থ করো

 

(১১১) مَا عِنْدَكُمْ يَنْفَدُ وَمَا عِنْدَ اللَّهِ بَاقٍ (তোমাদের কাছে যা আছে তা নিঃশেষ হয়ে যাবে এবং আল্লাহর কাছে যা আছে তা স্থায়ী)।

(১১২) إِنَّ الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِآيَاتِ اللَّهِ لَا يَهْدِيهِمُ اللَّهُ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ (নিশ্চয় যারা আল্লাহর আয়াতসমূহের উপর ঈমান আনে না, আল্লাহ তাদের হেদায়াত দেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি)।

(১১৩) إِنَّمَا يَفْتَرِي الْكَذِبَ الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِآيَاتِ اللَّهِ وَأُولَئِكَ هُمُ الْكَاذِبُونَ (যারা আল্লাহর আয়াতসমূহের উপর ঈমান আনে না, তারাই কেবল মিথ্যা উদ্ভাবন করে; আর তারাই মিথ্যাবাদী)।

(১১৪) وَلَقَدْ جَاءَهُمْ رَسُولٌ مِنْهُمْ فَكَذَّبُوهُ فَأَخَذَهُمُ الْعَذَابُ وَهُمْ ظَالِمُونَ (আর অবশ্যই তাদের কাছে তাদের মধ্য থেকে একজন রাসূল এসেছিল, কিন্তু তারা তাকে মিথ্যাবাদী বলেছিল। ফলে তাদেরকে শাস্তি গ্রাস করল, আর তারা ছিল জালিম)।

(১১৫) إِنَّ الَّذِينَ يَفْتَرُونَ عَلَى اللَّهِ الْكَذِبَ لَا يُفْلِحُونَ (নিশ্চয় যারা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে, তারা সফল হবে না)।

(১১৬) مَتَاعٌ قَلِيلٌ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ (অল্প সময়ের ভোগ, আর তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি)।

(১১৭) ادْعُ إِلَىٰ سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ (তুমি মানুষকে তোমার রবের পথে আহ্বান করো হিকমত ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে)।

(১২০) إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ إِنَّا لَا نُضِيعُ أَجْرَ مَنْ أَحْسَنَ عَمَلًا (নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে, আমি অবশ্যই তাদের প্রতিদান নষ্ট করি না, যারা উত্তম কাজ করে)।

(১২১) الْمَالُ وَالْبَنُونَ زِينَةُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا (ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের শোভা)।

(১২২) وَلَا يَظْلِمُ رَبُّكَ أَحَدًا (আর তোমার রব কারও প্রতি সামান্যতমও জুলুম করেন না)।

(১২৩) وَأَمَّا الْجِدَارُ فَكَانَ لِغُلَامَيْنِ يَتِيمَيْنِ فِي الْمَدِينَةِ وَكَانَ تَحْتَهُ كَنْزٌ لَّهُمَا وَكَانَ أَبُوهُمَا صَالِحًا (আর দেয়ালটি ছিল শহরের দুইজন এতিম বালকের জন্য, এবং এর নিচে তাদের জন্য একটি ধনভাণ্ডার ছিল, আর তাদের পিতা ছিলেন একজন সৎকর্মশীল ব্যক্তি)।

(১২৪) قَالَ هَذَا رَحْمَةٌ مِّن رَّبِّي (সে বলল: এটি আমার রবের পক্ষ থেকে একটি রহমত)।

(১২৬) وَاذْكُرْ فِي الْكِتَابِ إِبْرَاهِيمَ ۖ إِنَّهُ كَانَ صِدِّيقًا نَّبِيًّا (আর এই কিতাবে ইব্রাহীমের কথা উল্লেখ করো; নিশ্চয় তিনি ছিলেন একজন সত্যবাদী নবী)।

(১২৭) وَاذْكُرْ فِي الْكِتَابِ إِسْمَاعِيلَ ۚ إِنَّهُ كَانَ صَادِقَ الْوَعْدِ وَكَانَ رَسُولًا نَّبِيًّا ۝ وَكَانَ يَأْمُرُ أَهْلَهُ بِالصَّلَاةِ وَالزَّكَاةِ (আর এই কিতাবে ইসমাঈলের কথা উল্লেখ করো; নিশ্চয় তিনি ছিলেন প্রতিশ্রুতিতে সত্যবাদী এবং একজন রাসূল ও নবী। আর তিনি তার পরিবারবর্গকে সালাত ও যাকাতের নির্দেশ দিতেন)।

(১৩০) قَالَ لَا تَخَافَا إِنَّنِي مَعَكُمَا أَسْمَعُ وَأَرَىٰ (তিনি বললেন: তোমরা ভয় করো না, আমি তোমাদের সাথে আছি, আমি শুনি এবং দেখি)।

(১৩১) قَالَ فَمَن رَّبُّكُمَا يَا مُوسَىٰ ۝ قَالَ رَبُّنَا الَّذِي أَعْطَىٰ كُلَّ شَيْءٍ خَلْقَهُ ثُمَّ هَدَىٰ (সে বলল: হে মুসা! তোমাদের রব কে? সে বলল: আমাদের রব তিনিই, যিনি প্রত্যেক বস্তুকে তার আকৃতি দান করেছেন, অতঃপর পথনির্দেশ করেছেন)।

(১৩২) مِنْهَا خَلَقْنَاكُمْ وَفِيهَا نُعِيدُكُمْ وَمِنْهَا نُخْرِجُكُمْ تَارَةً أُخْرَىٰ (এ মাটি থেকে আমি তোমাদের সৃষ্টি করেছি এবং এতেই তোমাদের ফিরিয়ে নেব এবং আরেকবার এ থেকেই তোমাদের বের করে আনব)।

(১৩৩) وَإِنِّي لَغَفَّارٌ لِّمَن تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا ثُمَّ اهْتَدَىٰ (আর আমি অবশ্যই সেই ব্যক্তির জন্য ক্ষমাশীল, যে তওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে, অতঃপর সৎপথে চলে)।


 

হোমওয়ার্ক

 

📝 ০1. আয়াতের অর্থ লেখো

(১৩৮) وَهُوَ الَّذِي خَلَقَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ (আর তিনিই সেই সত্তা যিনি রাত, দিন, সূর্য ও চাঁদ সৃষ্টি করেছেন)।

(১৩৯) قَالُوا مَن فَعَلَ هَذَا بِآلِهَتِنَا ۖ إِنَّهُ لَمِنَ الظَّالِمِينَ ۝ قَالُوا أَأَنتَ فَعَلْتَ هَذَا بِآلِهَتِنَا يَا إِبْرَاهِيمُ (তারা বলল: আমাদের উপাস্যদের সাথে এটা কে করেছে? নিশ্চয় সে জালিমদের অন্তর্ভুক্ত। তারা বলল: হে ইব্রাহীম! তুমিই কি আমাদের উপাস্যদের সাথে এটা করেছ?)

(১৪০) قَالُوا حَرِّقُوهُ وَانصُرُوا آلِهَتَكُمْ إِن كُنتُمْ فَاعِلِينَ (তারা বলল: তাকে জ্বালিয়ে দাও এবং তোমাদের উপাস্যদের সাহায্য করো, যদি তোমরা কিছু করতে চাও)।

(১৪১) وَأَدْخَلْنَاهُ فِي رَحْمَتِنَا ۖ إِنَّهُ مِنَ الصَّالِحِينَ (আর আমি তাকে আমার রহমতের মধ্যে প্রবেশ করালাম; নিশ্চয় তিনি ছিলেন সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত)।

(১৪২) وَنَصَرْنَاهُ مِنَ الْقَوْمِ الَّذِينَ كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا (আর আমি তাকে সেই জাতির বিরুদ্ধে সাহায্য করলাম, যারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলেছিল)।

(১৪৪) إِنَّ اللَّهَ يُدْخِلُ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ ۖ إِنَّ اللَّهَ يَفْعَلُ مَا يُرِيدُ (নিশ্চয় আল্লাহ তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে, যার নিচ দিয়ে নহর প্রবাহিত হয়। নিশ্চয় আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করেন)।

(১৪৫) قُلْ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّمَا أَنَا لَكُمْ نَذِيرٌ مُّبِينٌ ۝ فَالَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَهُم مَّغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيمٌ (বলো: হে মানুষ! আমি তো তোমাদের জন্য একজন স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র। সুতরাং যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানজনক রিযিক)।

(১৪৬) وَهُوَ الَّذِي أَحْيَاكُمْ ثُمَّ يُمِيتُكُمْ ثُمَّ يُحْيِيكُمْ ۗ إِنَّ الْإِنْسَانَ لَكَفُورٌ (আর তিনিই তোমাদেরকে জীবিত করেছেন, অতঃপর তোমাদেরকে মৃত্যু দেবেন, অতঃপর আবার তোমাদেরকে জীবিত করবেন। নিশ্চয় মানুষ বড় অকৃতজ্ঞ)।

(১৪৭) يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا ارْكَعُوا وَاسْجُدُوا وَاعْبُدُوا رَبَّكُمْ وَافْعَلُوا الْخَيْرَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ (হে মুমিনগণ! তোমরা রুকূ করো, সিজদা করো, তোমাদের রবের ইবাদত করো এবং কল্যাণকর কাজ করো, যাতে তোমরা সফল হতে পারো)।

(১৪৮) وَقُل رَّبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ (আর বলো: হে আমার রব! ক্ষমা করো এবং দয়া করো, আর আপনি তো দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু)।


📝 ০2. আরবি করো ও লেখো

كَانَ تَنْفِيرٌ وَرَفِيقٌ صَدِيقَيْنِ مُنْذُ الصِّغَرِ. كَانَا يَفْعَلَانِ كُلَّ شَيْءٍ مَعًا. فِي يَوْمٍ مَا، كَانَا يَلْعَبَانِ كُرَةَ الْقَدَمِ فِي الْمَلْعَبِ. سَقَطَ رَفِيقٌ وَتَأَلَّمَ. وَبَعْدَ أَيَّامٍ قَلِيلَةٍ، شُفِيَ رَفِيقٌ. فَأَعْطَى رَفِيقٌ تَنْفِيرًا هَدِيَّةً. فَرِحَ تَنْفِيرٌ وَقَالَ: “سَنَبْقَى صَدِيقَيْنِ دَائِمًا!” فِي الْيَوْمِ التَّالِي، ذَهَبَا لِلَّعْبِ مَعًا مَرَّةً أُخْرَى. سَقَطَتْ كُرَةُ تَنْفِيرٍ فِي النَّهْرِ. فَحَاوَلَ رَفِيقٌ كَثِيرًا وَأَحْضَرَ الْكُرَةَ. حِينَئِذٍ فَرِحَا كَثِيرًا. وَمُنْذُ ذَلِكَ الْوَقْتِ، بَقِيَا مَعًا دَائِمًا.