• প্রথম স্তর – আরবি ভাষা শেখার হাতেখড়ি (الجزء الأول)
আরবি ভাষা কোর্সের ৬টি স্তর থাকবে, প্রথম স্তর কুরআন শিক্ষার জন্য, দ্বিতীয় স্তর প্রাথমিক আরবি ভাষা শিক্ষার জন্য, তৃতীয় স্তর মাধ্যমিক আরবি ভাষা শিখার জন্য, ৪র্থ স্তর উচ্চ মাধ্যমিক আরবি ভাষা শিখার জন্য, ৫ম স্তর আরবি ব্যাকারণ বা নাহু-সরফ শিখার জন্য, আর ৬ষ্ঠ স্তর এডভান্স আরবি ভাষা শিখার জন্য, প্রথম স্তর এখন শুরু হবে ইনশাআল্লাহ প্রথম স্তর – আরবি ভাষা শেখার হাতেখড়ি (الجزء الأول): শিক্ষার্থীরা আরবি হরফের সঠিক উচ্চারণ, মৌলিক হরকত, গুন্নাহ, কলকলা, মাদ্দ ও ওয়াকফের নিয়ম শিখবে। এটি কুরআন শুদ্ধ উচ্চারণে তিলাওয়াতের আত্মবিশ্বাস তৈরি করবে এবং সুন্দর আরবি হাতের লেখা আয়ত্ত করতে সাহায্য করবে। এই স্তর শেষে শিক্ষার্থীরা আরবি হরফের শুদ্ধ উচ্চারণে পারদর্শী হবে এবং তাজবীদের মৌলিক নিয়মে কুরআন পড়ার আত্মবিশ্বাস অর্জন করবে।

দ্বিতীয় স্তর – আরবি ভাষা শিক্ষার প্রাথমিক ধাপ (الجزء الثاني)
এই অংশে শিক্ষার্থীরা আরবি ব্যাকরণের মৌলিক বিষয়াবলী যেমন—ইশারা, পুংলিঙ্গ-স্ত্রীলিঙ্গ, নির্দিষ্ট-অনির্দিষ্ট শব্দ, সর্বনাম, ইযাফা, ক্রিয়াবিশেষণ, অব্যয়, সম্বোধন এবং সংখ্যা শিখবে। এটি শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি করবে এবং আরবি-বাংলায় বাক্য নির্মাণ ও কথোপকথনের প্রাথমিক দক্ষতা তৈরি করবে। এই স্তর শেষে শিক্ষার্থীরা আরবি ভাষার মূল কাঠামো এবং ব্যবহারিক দক্ষতায় পারদর্শী হয়ে প্রাথমিক পর্যায়ের আরবিতে কথা বলতে পারবে।

তৃতীয় স্তর – আরবি ভাষা শেখার মাধ্যমিক ধাপ (الجزء الثالث)
এই স্তরে ক্রিয়ার বিভিন্ন প্রকার, ক্রিয়ার রূপান্তর এবং জটিল ক্রিয়ার গঠন শেখানো হবে। নফি, ইস্তেসনা, তা'লিল, জজম, নাসব ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকরণিক উপাদান এবং বাক্য বিশ্লেষণের কৌশল আয়ত্ত করা যাবে। এই স্তর শেষে শিক্ষার্থীরা আরবি ক্রিয়ার গঠন ও পরিবর্তন বুঝে বাক্যে প্রয়োগ করতে এবং হাদীস ও আয়াত বোঝার ক্ষেত্রে ব্যাকরণ প্রয়োগে পারদর্শী হতে সক্ষম হবে এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের আরবিতে কথা বলতে পারবে।

চতুর্থ স্তর – আরবি ভাষা শিক্ষার উচ্চ মাধ্যমিক ধাপ (الجزء الرابع)
এই অংশে ভাষার সৌন্দর্য ও সাহিত্যিক রীতি শেখানো হবে। শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ব্যবহার শিখবে। কুরআনের ২০০+ আয়াত এবং ১০০+ এর বেশি হাদীসের অর্থ ও বিশ্লেষণ, প্রচলিত বাক্যরীতি (التعبيرات), প্রবাদ-প্রবচন, এবং প্রশংসা ও নিন্দার বাক্যগঠনশৈলী আয়ত্ত করবে। এর মাধ্যমে তারা আরবিতে নিজস্ব ভাব প্রকাশে প্রাঞ্জলতা অর্জন করবে এবং সাহিত্যিক রচনারীতি বুঝতে সক্ষম হবে।

পঞ্চম স্তর – পূর্ণাঙ্গ ব্যাকরণ বিশ্লেষণ (নাহু ও সরফ) (الجزء الخامس)
এটি আরবি ব্যাকরণের মূল ভিত্তি। এখানে নাহু (বাক্য বিশ্লেষণ ও গঠন) এবং সরফ (শব্দরূপ ও ধাতু বিশ্লেষণ) এর বিস্তারিত আলোচনা ও অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই অংশ ভালোভাবে অনুশীলন করলে শিক্ষার্থীরা ইনশাআল্লাহ নাহু ও সরফের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারবে এবং যেকোনো আরবি বাক্য নির্ভুলভাবে বিশ্লেষণ ও গঠন করা, কুরআন, হাদীস ও আরবি সাহিত্য বুঝতে পারা, এবং শুদ্ধ ও প্রাঞ্জল আরবি লিখতে পারার সক্ষমতা অর্জন করবে।

ষষ্ঠ স্তর – ব্যবহারিক ভাষাদক্ষতা (الجزء السادس)
এটি বইয়ের সবচেয়ে বাস্তবমুখী অংশ। এখানে ভাষার চারটি মৌলিক দক্ষতা — কথোপকথন (محادثة), লিখন (كتابة), পঠন (قراءة) এবং শ্রবণ (استماع) — এর উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এই অংশে অ্যাডভান্স আরবিতে কথা বলার জন্য প্রয়োজনীয় সকল শব্দ, বিষয়ভিত্তিক কথোপকথন, প্রশ্ন করা, উত্তর দেওয়া, দৈনন্দিন জীবনে কথা বলা, বক্তৃতা দেওয়া, উপস্থাপনা করা, জুমার খুতবা দেওয়া ইত্যাদি শেখানো হয়েছে। লেখালেখির বিষয়ে দরখাস্ত, প্রবন্ধ, চিঠি, সিভি, সংবাদ লেখার বিস্তারিত নিয়ম ও উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। পঠন ও শ্রবণ দক্ষতার জন্য কুরআন, হাদীস, আধুনিক আরবি প্রবন্ধ, খবর ও গল্প এবং দৈনন্দিন ব্যবহৃত আরবি পত্রিকা ও সংবাদপত্রের চর্চা অন্তর্ভুক্ত।

মাধ্যমিক আরবি ভাষা কোর্সের ১১নং ক্লাস
About Lesson

 

📖 নির্দেশনা:
প্রথম পাঠের হোমওয়ার্কের আগ পর্যন্ত সকল আরবি বাক্যের সাথে বাংলা অর্থ এবং বাংলা বাক্যের সাথে তার আরবি অনুবাদ এখানে দেওয়া হলো।
তুমি আগে নিজে পুরো পাঠটি মনোযোগ দিয়ে পড়বে, তারপর মিলিয়ে দেখবে —
তোমার বাংলা অর্থ করা এবং আরবি অনুবাদ করা শুদ্ধ হয়েছে কিনা।
⚠ সতর্কতা:
ভুলেও আগে এই অংশটি পড়বে না — আগে নিজে চেষ্টা করো, পরে মিলিয়ে দেখো।

বাক্যগুলোর অর্থ

 

  • فَاطِمَةُ صَاحِبَةُ هذَا الْبَيْتِ (ফাতেমা এই বাড়ির মালিক)।

  • اسْتَطْعَمَنِي فَقِيرٌ فَأَحْضَرْتُ لَهُ طَعَامًا وَأَطْعَمْتُهُ (এক গরিব আমার কাছে খাবার চাইল, ফলে আমি তার জন্য খাবার নিয়ে আসলাম এবং তাকে খাওয়ালাম)।

  • اسْتَغْفِرْ رَبَّكَ (তোমার রবের কাছে ক্ষমা চাও)।

  • أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ رَبِّي مِن كُلِّ ذَنْبٍ (আমি আমার রব আল্লাহর কাছে সব গুনাহ থেকে ক্ষমা চাই)।

  • لَنْ أَسْتَعْمِلَ هَذَا الْمِنْدِيلَ لِأَنَّهُ صَارَ وَسِخًا (আমি এই রুমালটি ব্যবহার করব না, কারণ এটি ময়লা হয়ে গেছে)।

  • أَخَذْتُ هَذَا الْمِنْدِيلَ لِأَسْتَعْمِلَهُ فِي سَفَرِي (আমি এই রুমালটি নিয়েছি যাতে আমার সফরে এটি ব্যবহার করতে পারি)।

  • اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي (হে আল্লাহ, আমার গুনাহ ক্ষমা করুন)।

  • يَغْفِرُ اللَّهُ لَنَا ذُنُوبَنَا (আল্লাহ আমাদের গুনাহগুলো ক্ষমা করেন)।

  • لَنْ يَغْفِرَ اللهُ لِلْمُشْرِكِ (আল্লাহ মুশরিককে কখনো ক্ষমা করবেন না)।

  • أَشْكُرُ مُعَلِّمِي وَأَخْدمُهُ مِنْ قَلْبِي (আমি আমার শিক্ষককে ধন্যবাদ জানাই এবং অন্তর থেকে তার সেবা করি)।

  • لَا يَنْفَعُكَ عِلْمُكَ بِدُونِ عَمَلٍ (আমল ছাড়া তোমার জ্ঞান তোমার কোনো উপকারে আসবে না)।

  • أَيُّهَا الْمُسْلِمُ! اذْكُرِ اللّهَ دَائِمًا وَلَا تَتْرُكْ ذِكْرَ اللَّهِ لَحْظَةً فَإِنَّ قَلْبَ الْغَافِلِ مَيِّتٌ وَإِنَّ قَلْبَ الذَّاكِرِ حَيٌّ (হে মুসলিম! সব সময় আল্লাহকে স্মরণ করো এবং এক মুহূর্তের জন্যও আল্লাহর স্মরণ ত্যাগ করো না, কারণ উদাসীন ব্যক্তির অন্তর মৃত এবং জিকিরকারীর অন্তর জীবিত)।

  • قَدْ نَفَعَنِي هذَا الْكِتَابُ الْقَيِّمُ كَثِيرًا كَمَا نَفَعَنِي نَصِيحَةُ مُعَلِّمِي الْغَالِيَةِ (এই মূল্যবান বইটি আমার অনেক উপকারে এসেছে, যেমনটি আমার প্রিয় শিক্ষকের উপদেশ আমার উপকারে এসেছে)।

  • أَيُّهَا الْإِنسَانُ! اعْبُدْ رَبَّكَ لِتَدْخُلَ الْجَنَّةَ (হে মানুষ! তোমার রবের ইবাদত করো যাতে তুমি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারো)।

  • كان والد إبراهيم يصنع الأصنام ويعبد الأصنام وكان يسجد لها ويسألها حاجته (ইব্রাহিমের পিতা মূর্তি তৈরি করত এবং মূর্তি পূজা করত। আর সে তাদের সামনে সেজদা করত এবং তাদের কাছে তার প্রয়োজন চাইত)।

  • صنع الله العالم بقدرته (আল্লাহ তাঁর ক্ষমতা দ্বারা বিশ্বজগত সৃষ্টি করেছেন)।

  • صنعت لك طعاما (আমি তোমার জন্য খাবার তৈরি করেছি)।

  • في قلب المنافق حَسَد (মুনাফিকের অন্তরে হিংসা আছে)।

  • إن في قلب المنافق حَسَدا (নিশ্চয় মুনাফিকের অন্তরে হিংসা আছে)।

  • لراشد قلم جميل (রাশেদের একটি সুন্দর কলম আছে)।

  • لعل لراشد قلماً جميلا (হয়তো রাশেদের একটি সুন্দর কলম আছে)।

  • لي أقلام جميلة (আমার সুন্দর কলম আছে)।

  • إنَّ لي أقلاماً جميلة (নিশ্চয় আমার সুন্দর কলম আছে)।

  • للجنة أبواب (জান্নাতের অনেকগুলো দরজা আছে)।

  • إن للجنة أبوابا (নিশ্চয় জান্নাতের অনেকগুলো দরজা আছে)।

  • أبواب الجنة واسعة (জান্নাতের দরজাগুলো প্রশস্ত)।

  • إن الله يفتح في شهر رمضان أبواب الجنة الواسعة (নিশ্চয় আল্লাহ রমজান মাসে জান্নাতের প্রশস্ত দরজাগুলো খুলে দেন)।

  • عم راشد تاجر كبير (রাশেদের চাচা একজন বড় ব্যবসায়ী)।

  • إن عم راشد تاجر كبير (নিশ্চয় রাশেদের চাচা একজন বড় ব্যবসায়ী)।

  • كان عم راشد تاجرا كبيرا (রাশেদের চাচা একজন বড় ব্যবসায়ী ছিলেন)।

  • ليس عم راشد فقيرا (রাশেদের চাচা গরিব নন)।


 

প্রশ্ন উত্তর পড়

 

  • مَنْ صَنَعَ الْعَالَمَ؟ (কে বিশ্বজগত সৃষ্টি করেছেন?) – উত্তর: صَنَعَ اللَّهُ الْعَالَمَ بِقُدْرَتِهِ (আল্লাহ তাঁর ক্ষমতা দ্বারা বিশ্বজগত সৃষ্টি করেছেন)।

  • مَاذَا صَنَعْتَ لِي؟ (তুমি আমার জন্য কী তৈরি করেছ?) – উত্তর: صَنَعْتُ لَكَ طَعَامًا (আমি তোমার জন্য খাবার তৈরি করেছি)।

  • مَاذَا فِي قَلْبِ الْمُنَافِقِ؟ (মুনাফিকের অন্তরে কী আছে?) – উত্তর: فِي قَلْبِ الْمُنَافِقِ حَسَدٌ (মুনাফিকের অন্তরে হিংসা আছে)।

  • مَاذَا لِرَاشِدٍ؟ (রাশেদের কী আছে?) – উত্তর: لِرَاشِدٍ قَلَمٌ جَمِيلٌ (রাশেদের একটি সুন্দর কলম আছে)।

  • مَاذَا لَكَ؟ (তোমার কী আছে?) – উত্তর: لِي أَقْلَامٌ جَمِيلَةٌ (আমার সুন্দর কলম আছে)।

  • مَاذَا لِلْجَنَّةِ؟ (জান্নাতের কী আছে?) – উত্তর: لِلْجَنَّةِ أَبْوَابٌ (জান্নাতের অনেকগুলো দরজা আছে)।

  • كَيْفَ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ؟ (জান্নাতের দরজাগুলো কেমন?) – উত্তর: أَبْوَابُ الْجَنَّةِ وَاسِعَةٌ (জান্নাতের দরজাগুলো প্রশস্ত)।

  • مَاذَا يَفْتَحُ اللَّهُ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ؟ (আল্লাহ রমজান মাসে কী খুলে দেন?) – উত্তর: يَفْتَحُ اللَّهُ أَبْوَابَ الْجَنَّةِ الْوَاسِعَةِ (আল্লাহ জান্নাতের প্রশস্ত দরজাগুলো খুলে দেন)।

  • مَنْ عَمُّ رَاشِدٍ؟ (রাশেদের চাচা কে?) – উত্তর: عَمُّ رَاشِدٍ تَاجِرٌ كَبِيرٌ (রাশেদের চাচা একজন বড় ব্যবসায়ী)।

  • كَيْفَ كَانَ عَمُّ رَاشِدٍ؟ (রাশেদের চাচা কেমন ছিলেন?) – উত্তর: كَانَ تَاجِرًا كَبِيرًا (তিনি একজন বড় ব্যবসায়ী ছিলেন)।

  • مَاذَا كَانَ يَفْعَلُ وَالِدُ إِبْرَاهِيمَ مَعَ الْأَصْنَامِ؟ (ইব্রাহিমের পিতা মূর্তিগুলোর সাথে কী করত?) – উত্তর: كَانَ يَسْجُدُ لَهَا وَيَسْأَلُهَا حَاجَتَهُ (তিনি তাদের সামনে সেজদা করত এবং তাদের কাছে তার প্রয়োজন চাইত)।

  • مَنْ صَاحِبَةُ هَذَا الْبَيْتِ؟ (এই বাড়ির মালিক কে?) – উত্তর: فَاطِمَةُ صَاحِبَةُ هذَا الْبَيْتِ (ফাতেমা এই বাড়ির মালিক)।

  • مَاذَا فَعَلْتَ لِلْفَقِيرِ الَّذِي اسْتَطْعَمَكَ؟ (যে গরিব তোমার কাছে খাবার চেয়েছিল, তাকে তুমি কী দিয়েছ?) – উত্তর: أَحْضَرْتُ لَهُ طَعَامًا وَأَطْعَمْتُهُ (আমি তার জন্য খাবার নিয়ে আসলাম এবং তাকে খাওয়ালাম)।

  • لِمَاذَا لَنْ تَسْتَعْمِلَ هَذَا الْمِنْدِيلَ؟ (তুমি কেন এই রুমালটি ব্যবহার করবে না?) – উত্তর: لِأَنَّهُ صَارَ وَسِخًا (কারণ এটি ময়লা হয়ে গেছে)।

  • مَاذَا فَعَلْتَ بِالْمِنْدِيلِ؟ (তুমি রুমালটি দিয়ে কী করেছ?) – উত্তর: أَخَذْتُ هَذَا الْمِنْدِيلَ لِأَسْتَعْمِلَهُ فِي سَفَرِي (আমি এই রুমালটি নিয়েছি যাতে আমার সফরে এটি ব্যবহার করতে পারি)।

  • لِمَنْ يَغْفِرُ اللَّهُ؟ (আল্লাহ কাকে ক্ষমা করেন?) – উত্তর: يَغْفِرُ اللَّهُ لَنَا ذُنُوبَنَا (আল্লাহ আমাদের গুনাহগুলো ক্ষমা করেন)।

  • لِمَنْ لَنْ يَغْفِرَ اللَّهُ؟ (আল্লাহ কাকে কখনো ক্ষমা করবেন না?) – উত্তর: لَنْ يَغْفِرَ اللهُ لِلْمُشْرِكِ (আল্লাহ মুশরিককে কখনো ক্ষমা করবেন না)।

  • مَاذَا تَفْعَلُ لِمُعَلِّمِكَ؟ (তুমি তোমার শিক্ষকের জন্য কী করো?) – উত্তর: أَشْكُرُ مُعَلِّمِي وَأَخْدِمُهُ مِنْ قَلْبِي (আমি আমার শিক্ষককে ধন্যবাদ জানাই এবং অন্তর থেকে তার সেবা করি)।

  • مَاذَا يَحْدُثُ لِقَلْبِ الْغَافِلِ؟ (উদাসীন ব্যক্তির অন্তরের কী হয়?) – উত্তর: قَلْبُ الْغَافِلِ مَيِّتٌ (উদাসীন ব্যক্তির অন্তর মৃত)।

  • مَاذَا يَحْدُثُ لِقَلْبِ الذَّاكِرِ؟ (জিকিরকারীর অন্তরের কী হয়?) – উত্তর: قَلْبُ الذَّاكِرِ حَيٌّ (জিকিরকারীর অন্তর জীবিত)।

  • مَاذَا نَفَعَكَ؟ (কী তোমার উপকারে এসেছে?) – উত্তর: نَفَعَنِي هذَا الْكِتَابُ وَنَصِيحَةُ مُعَلِّمِي (এই বইটি এবং আমার শিক্ষকের উপদেশ আমার উপকারে এসেছে)।

  • مَاذَا كَانَ يَصْنَعُ وَالِدُ إِبْرَاهِيمَ؟ (ইব্রাহিমের পিতা কী তৈরি করত?) – উত্তর: كَانَ يَصْنَعُ وَيَعْبُدُ الْأَصْنَامَ (তিনি মূর্তি তৈরি করত এবং পূজা করত)।


 

প্রশ্নের উত্তর দাও

 

  • مَنْ صَاحِبَةُ هَذَا الْبَيْتِ؟ (এই বাড়ির মালিক কে?) – উত্তর: فَاطِمَةُ (ফাতেমা)।

  • مَاذَا فَعَلْت لِفَقِيرٍ جَائِعٍ؟ (তুমি একজন ক্ষুধার্ত গরিবকে কী করেছ?) – উত্তর: أَحْضَرْتُ لَهُ طَعَامًا وَأَطْعَمْتُهُ (আমি তার জন্য খাবার নিয়ে আসলাম এবং তাকে খাওয়ালাম)।

  • مَاذَا يَجِبُ عَلَيْكَ؟ (তোমার ওপর কী আবশ্যক?) – উত্তর: أَنْ تَسْتَغْفِرَ رَبَّكَ (তোমার রবের কাছে ক্ষমা চাওয়া)।

  • لِمَنْ لَنْ يَغْفِرَ اللَّهُ؟ (আল্লাহ কাকে কখনো ক্ষমা করবেন না?) – উত্তর: لِلْمُشْرِكِ (মুশরিককে)।

  • مَاذَا لَا يَنْفَعُكَ؟ (কী তোমার উপকারে আসবে না?) – উত্তর: عِلْمُكَ بِدُونِ عَمَلٍ (আমল ছাড়া তোমার জ্ঞান)।

  • مَاذَا الَّذِي يَحْدُثُ لِقَلْبِ الْغَافِلِ؟ (উদাসীন ব্যক্তির অন্তরের কী হয়?) – উত্তর: قَلْبُ الْغَافِلِ مَيِّتٌ (উদাসীন ব্যক্তির অন্তর মৃত)।

  • مَاذَا يَحْدُثُ لِقَلْبِ الذَّاكِرِ؟ (জিকিরকারীর অন্তরের কী হয়?) – উত্তর: قَلْبُ الذَّاكِرِ حَيٌّ (জিকিরকারীর অন্তর জীবিত)।

  • مَاذَا نَفَعَكَ؟ (কী তোমার উপকারে এসেছে?) – উত্তর: نَفَعَنِي هذَا الْكِتَابُ الْقَيِّمُ وَنَصِيحَةُ مُعَلِّمِي الْغَالِيَةِ (এই মূল্যবান বইটি এবং আমার প্রিয় শিক্ষকের উপদেশ আমার উপকারে এসেছে)।

  • مَاذَا أَمَرَكَ اللَّهُ؟ (আল্লাহ তোমাকে কী নির্দেশ দিয়েছেন?) – উত্তর: أَنْ تَعْبُدَ رَبَّكَ لِتَدْخُلَ الْجَنَّةَ (তোমার রবের ইবাদত করতে, যাতে তুমি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারো)।

  • مَاذَا كَانَ يَصْنَعُ وَالِدُ إِبْرَاهِيمَ؟ (ইব্রাহিমের পিতা কী তৈরি করত?) – উত্তর: كَانَ يَصْنَعُ الْأَصْنَامَ (তিনি মূর্তি তৈরি করত)।

  • مَاذَا فَعَلَ وَالِدُ إِبْرَاهِيمَ؟ (ইব্রাহিমের পিতা কী করেছিল?) – উত্তর: كَانَ يَعْبُدُ الْأَصْنَامَ وَيَسْجُدُ لَهَا (তিনি মূর্তি পূজা করত এবং তাদের সামনে সেজদা করত)।

  • مَا فِي قَلْبِ الْمُنَافِقِ؟ (মুনাফিকের অন্তরে কী আছে?) – উত্তর: فِي قَلْبِهِ حَسَدٌ (তার অন্তরে হিংসা আছে)।

  • مَاذَا لِرَاشِدٍ؟ (রাশেদের কী আছে?) – উত্তর: لِرَاشِدٍ قَلَمٌ جَمِيلٌ (রাশেদের একটি সুন্দর কলম আছে)।

  • مَاذَا يَفْتَحُ اللَّهُ فِي رَمَضَانِ؟ (আল্লাহ রমজান মাসে কী খুলে দেন?) – উত্তর: أَبْوَابَ الْجَنَّةِ الْوَاسِعَةَ (জান্নাতের প্রশস্ত দরজাগুলো)।


 

লَا بُدَّ – “অবশ্য করতে হবে” সম্পর্কে আলোচনা

 

এটি একটি শক্তিশালী বাক্যাংশ যা কোনো বাধ্যবাধকতা বা জরুরি কাজের কথা বলার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই বাক্যাংশটি সাধারণত এমন এক ধরনের বাধ্যবাধকতা প্রকাশ করে যা অস্বীকার করা যায় না।

لَابُدَّ এর পর সাধারণত مِنْ আসবে, যে কাজটি অবশ্য করতে হবে তার শুরুতে। তবে, যদি فعل (ক্রিয়া) আসে, তাহলে ক্রিয়ার আগে একটি أَنْ যোগ করতে হবে। আর যাকে করতে হবে, তার শুরুতে ل আসবে।

উদাহরণ ১:

  • لَا بُدَّ لَكَ مِنَ الْعَمَلِ (তোমাকে কাজ করতেই হবে)।

  • لَا بُدَّ لَنَا مِنَ الْقِرَاءَةِ (আমাদের পড়তেই হবে)।

যখন فعل (ক্রিয়া) বাক্যে ব্যবহৃত হয়, তখন أَنْ যোগ করতে হয়। এটি বাধ্যবাধকতা বা অবশ্যতা প্রকাশ করে।

  • لَا بُدَّ لَكَ مِنْ أَنْ تَعْمَلَ (তোমাকে কাজ করতেই হবে)।

  • لَا بُدَّ لَكَ أَنْ تَحْضُرَ (তোমাকে উপস্থিত হতেই হবে)।

আরও কিছু বাক্য ও তাদের অর্থ:

  • لَابُدَّ لِي مِنَ الْحُضُورِ فِي الْمَدْرَسَةِ الْيَوْمَ وَلَكِنِ الْمَطَرُ لَا يَتَوَقَّفُ (আজ আমার মাদরাসায় উপস্থিত হতেই হবে, কিন্তু বৃষ্টি থামছে না)।

  • لَابُدَّ لَكَ مِنَ الْاجْتِهَادِ لِأَنَّ الْامْتِحَانَ قَرِيبٌ فَلَنْ تَغْفُلَ عَنِ الْقِرَاءَةِ (তোমাকে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে কারণ পরীক্ষা কাছে, তাই তুমি পড়া থেকে উদাসীন হবে না)।

  • لَابُدَّ لَنَا مِنْ زِيَارَةِ مَاجِدٍ لِأَنَّهُ مَرِيضٌ مُنْذُ شُهُورٍ كَثِيرَةٍ (আমাদের মাজিদকে দেখতে যেতেই হবে কারণ সে অনেক মাস ধরে অসুস্থ)।

  • إِنْ لَمْ تَتَّبِعْ طَرِيقِي تَخْسَرْ (যদি তুমি আমার পথ অনুসরণ না করো, তাহলে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে)।


 

رُبَّ ও رُبَّمَا সম্পর্কে আলোচনা

 

رُبَّ

  • رُبَّ একটি হরফ যা مضاف إليه এর আগে ব্যবহৃত হয় এবং এর মাধ্যমে অনেক কম বা অনেক বেশি বোঝানো হয়।

  • যে শব্দটি رُبَّ এর পরে আসবে, সেটি জের হবে।

  • উদাহরণ:

    • رُبَّ طَالِبٍ اجْتَهَدَ (অনেক কম/বেশি ছাত্র পরিশ্রম করেছে)।

    • رُبَّ عَامِلٍ يَعْمَلُ مَعَ النَّشَاطِ (খুব কম/বেশি শ্রমিক উদ্যমের সাথে কাজ করছে)।

رُبَّمَا (হতে পারে, হয়তো)

  • رُبَّمَا একটি বিশেষ হরফ যা فعل এর শুরুতে আসে এবং এর মাধ্যমে অনিশ্চিত বা সম্ভাব্য কিছু বোঝায়।

  • এটি সাধারণত ভবিষ্যতের বা কোনো ঘটনার সম্ভাবনা প্রকাশ করতে ব্যবহৃত হয়।

  • উদাহরণ:

    • رُبَّمَا فَعَلْتَ (হয়তো তুমি করেছ)।

    • رُبَّمَا تَنْجَحُ (হয়তো তুমি সফল হবে)।

  • এটি ماضي (অতীত) বা مضارع (বর্তমান/ভবিষ্যৎ) উভয় ক্রিয়াতেই ব্যবহৃত হতে পারে।

আরও কিছু বাক্য ও তাদের অর্থ:

  • فِي الْمَدْرَسَةِ طُلَّابٌ كَثِيرُونَ، رُبَّ طَالِبٍ مِنْهُمْ يَجْتَهِدُ وَكَثِيرٌ مِنْهُمْ لَا يَجْتَهِدُ (মাদরাসায় অনেক ছাত্র আছে, তাদের মধ্যে খুব কম/বেশি ছাত্র পরিশ্রম করে এবং তাদের মধ্যে অনেকেই পরিশ্রম করে না)।

  • وَلَكِنْ لَابُدَّ لَكَ مِنَ الْاجْتِهَادِ لِتَنْجَحَ فِي الْاِمْتِحَانِ وَإِلَّا فَإِنَّكَ تَفْشَلُ (কিন্তু তোমাকে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে যাতে তুমি পরীক্ষায় সফল হও, অন্যথায় তুমি ব্যর্থ হবে)।

  • رُبَّمَا تَذْهَبُ مَعِي إِلَى السُّوقِ غَدًا (হয়তো তুমি কাল আমার সাথে বাজারে যাবে)।

  • لَا يَا أَخِي! رُبَّ وَقْتٍ أَكُونُ فَارِغًا فِي هَذِهِ الْأَيَّامِ (না হে আমার ভাই! হয়তো আমি এই দিনগুলোতে খালি থাকব)।

  • اجتهد فِي دِرَاسَتِكَ (তোমার পড়াশোনায় পরিশ্রম করো)।

  • أَنْفِقْ مَالَكَ فِي سَبِيلِ اللّهِ لِيَفْتَحَ اللّهُ لَكَ بَابَ السَّعَادَةِ (আল্লাহর পথে তোমার সম্পদ ব্যয় করো যাতে আল্লাহ তোমার জন্য সুখের দরজা খুলে দেন)।

  • ظَهَرَ الْفَسَادُ فِي الْأَرْضِ فَيَنْزِل عَلَى النَّاسِ عَذَابُ اللّهِ (পৃথিবীতে ফ্যাসাদ ছড়িয়ে পড়েছে, ফলে মানুষের ওপর আল্লাহর আজাব নেমে আসছে)।

  • أُزَيِّنُ نَفْسِي بِالْعِلْمِ وَلَا أُزَيِّنُهَا بِاللِّبَاسِ، لِأَنَّ زِينَةَ الْعِلْمِ خَيْرٌ مِنْ زِينَةِ اللِّبَاسِ (আমি নিজেকে জ্ঞান দিয়ে সাজাই, পোশাক দিয়ে নয়, কারণ জ্ঞানের সাজ পোশাকের সাজের চেয়ে উত্তম)।

  • طَلَبْتُ رَاشِدًا، فَحَضَرَ (আমি রাশেদকে ডাকলাম, ফলে সে হাজির হলো)।

  • يَا طَالِبَ الْعِلْمِ: اطْلُبِ الْعِلْمَ مِنْ صَاحِبِ الْعِلْمِ وَالْعِلْمُ يَطْلُبُ مِنْكَ الِاجْتِهَادَ (হে জ্ঞান অন্বেষণকারী! জ্ঞানের অধিকারীর কাছ থেকে জ্ঞান অর্জন করো, আর জ্ঞান তোমার কাছে পরিশ্রম চায়)।

  • يَا مَاجِدُ مَاذَا تَطْلُبُ فِي الْغُرْفَةِ؟ أطلب كتابي وقلمي (হে মাজিদ, তুমি ঘরে কী খুঁজছ? আমি আমার বই ও কলম খুঁজছি)।


 

প্রশ্নের উত্তর দাও

 

  • أَيْنَ الطُّلَّابُ؟ (ছাত্ররা কোথায়?) – উত্তর: فِي الْمَدْرَسَةِ (মাদরাসায়)।

  • هَلْ كُلُّ الطُّلَّابِ يَجْتَهِد؟ (সব ছাত্র কি পরিশ্রম করে?) – উত্তর: لَا، بَعْضُهُمْ يَجْتَهِدُ وَبَعْضُهُمْ لَا يَجْتَهِدُ (না, তাদের কেউ কেউ পরিশ্রম করে এবং কেউ কেউ করে না)।

  • مَاذَا يَجِبُ عَلَيْكَ لِتَنْجَحَ فِي الْاِمْتِحَانِ؟ (পরীক্ষায় সফল হওয়ার জন্য তোমার ওপর কী আবশ্যক?) – উত্তর: الِاجْتِهَادُ (পরিশ্রম)।

  • هَلْ سَيَذْهَبُ الْمُتَكَلِّمُ إِلَى السُّوقِ؟ (বক্তা কি বাজারে যাবে?) – উত্তর: رُبَّمَا يَذْهَبُ مَعِي (হয়তো সে আমার সাথে যাবে)।

  • مَاذَا يَطْلُبُ الْمُتَكَلِّمُ مِنْ صَاحِبِهِ؟ (বক্তা তার বন্ধুর কাছে কী চায়?) – উত্তর: أَنْ يُنفِقَ مَالَهُ فِي سَبِيلِ اللّهِ (যেন সে আল্লাহর পথে তার সম্পদ ব্যয় করে)।

  • بِمَاذَا يُزَيِّنُ الْمُتَكَلِّمُ نَفْسَهُ؟ (বক্তা নিজেকে কী দিয়ে সাজায়?) – উত্তর: بِالْعِلْمِ (জ্ঞান দিয়ে)।

  • مَاذَا طَلَبَ الْمُتَكَلِّمُ مِنْ رَاشِدٍ؟ (বক্তা রাশেদের কাছে কী চেয়েছিল?) – উত্তর: طَلَبَهُ أَنْ يَحْضُرَ (তাকে উপস্থিত হতে চেয়েছিল)।

  • مَاذَا يَطْلُبُ طَالِبُ الْعِلْمِ؟ (জ্ঞান অন্বেষণকারী কী চায়?) – উত্তর: يَطْلُبُ الْعِلْمَ مِن صَاحِبِ الْعِلْمِ (সে জ্ঞানের অধিকারীর কাছ থেকে জ্ঞান চায়)।

  • مَاذَا يَطْلُبُ مَاجِدٌ فِي الْغُرْفَةِ؟ (মাজিদ ঘরে কী খুঁজছে?) – উত্তর: كِتَابَهُ وَقَلَمَهُ (তার বই ও কলম)।

  • مَا الْفَسَادُ الَّذِي ظَهَرَ فِي الْأَرْضِ؟ (পৃথিবীতে কী ফ্যাসাদ ছড়িয়ে পড়েছে?) – এই প্রশ্নের উত্তর আপনার প্রদত্ত লেখায় নেই।

  • مَنْ يُعَلِّمُ اللُّغَةَ الْعَرَبِيَّةَ؟ (কে আরবি ভাষা শেখায়?) – এই প্রশ্নের উত্তর আপনার প্রদত্ত লেখায় নেই।


 

কথোপকথন

 

খালেদ ও আবিদ নদী সম্পর্কে কথা বলছে (خَالِدٌ وَعَابِدٌ يَتَحَدَّثَانِ عَنْ النَّهْرِ)

  • خالد: مَرْحَبًا يَا عَابِدُ! كَيْفَ حَالُكَ؟ (খালেদ: স্বাগতম হে আবিদ! কেমন আছো?)

  • عابد: أَهْلًا يَا خَالِدُ! أَنَا بِخَيْرٍ، وَأَنْتَ؟ (আবিদ: স্বাগতম হে খালেদ! আমি ভালো আছি, আর তুমি?)

  • خالد: أَنَا بِخَيْرٍ أَيْضًا. هَلْ تُحِبُّ النَّهْرَ؟ (খালেদ: আমিও ভালো আছি। তুমি কি নদী ভালোবাসো?)

  • عابد: نَعَمْ، أحِبُّ النَّظَرَ إِلى مَاءِ النَّهْر (আবিদ: হ্যাঁ, আমি নদীর পানি দেখতে ভালোবাসি)।

  • عابد: هَلْ تَسْبَحُ فِي النَّهْرِ؟ (আবিদ: তুমি কি নদীতে সাঁতার কাটো?)

  • خالد: نَعَمْ، وَأحِبُّ اللَّعبَ بِالْمَاءِ وَهَلْ تَذْهَبُ إِلَى النَّهْرِ كَثِيرًا؟ (খালেদ: হ্যাঁ, আর আমি পানি নিয়ে খেলতে ভালোবাসি। আর তুমি কি প্রায়ই নদীতে যাও?)

  • عابد: نَعَمْ، أَذْهَبُ فِي الْمَسَاءِ (আবিদ: হ্যাঁ, আমি সন্ধ্যায় যাই)।

  • خالد: هَلْ النَّهْرُ نِعْمَةٌ مِنَ اللَّهِ؟ (খালেদ: নদী কি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি নেয়ামত?)

  • عابد: نَعَمْ، النَّهْرُ نِعْمَةٌ مِنَ اللَّهِ (আবিদ: হ্যাঁ, নদী আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি নেয়ামত)।

  • خالد: النَّهْرُ مَكَانٌ جَمِيلٌ (খালেদ: নদী একটি সুন্দর জায়গা)।

  • عابد: هَيَّا نَذْهَبُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ (আবিদ: চলো, শুক্রবার যাই)।

  • خالد: إِلَى اللِّقَاءِ يَا عَابِدُ (খালেদ: বিদায় হে আবিদ)।

  • عابد: مَعَ السَّلَامَةِ يَا خَالِدُ (আবিদ: খোদা হাফেজ হে খালেদ)।

খালেদ ও আবিদ বছরের মাসগুলো সম্পর্কে কথা বলছে (خَالِدٌ وَعَابِدٌ يَتَحَدَّثَانِ عَنْ أَشْهُرِ السَّنَةِ)

  • خالد: مَرْحَبًا يَا عَابِدُ! كَيْفَ حَالُكَ؟ (খালেদ: স্বাগতম হে আবিদ! কেমন আছো?)

  • عابد: أَهْلًا يَا خَالِدُ! أَنَا بِخَيْرٍ، وَأَنْتَ؟ (আবিদ: স্বাগতম হে খালেদ! আমি ভালো আছি, আর তুমি?)

  • خالد: أَنَا بِخَيْرٍ أَيْضًا. هَلْ تَعْرِفُ أَشْهُرَ السَّنَةِ؟ (খালেদ: আমিও ভালো আছি। তুমি কি বছরের মাসগুলো জানো?)

  • عابد: نَعَمْ، فِي السَّنَةِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا (আবিদ: হ্যাঁ, বছরে বারো মাস আছে)।

  • خالد: وَهِيَ: مُحَرَّمٌ، صَفَرٌ، رَبِيعُ الْأَوَّلِ، رَبِيعُ الْآخِرِ، جُمَادَى الْأُولَى، جُمَادَى الْآخِرَةُ، رَجَبٌ، شَعْبَانُ، رَمَضَانُ، شَوَّالٌ، ذُو الْقَعْدَةِ، ذُو الْحِجَّةِ (খালেদ: আর সেগুলো হলো: মুহাররম, সফর, রবিউল আউয়াল, রবিউস সানি, জুমাদাল উলা, জুমাদাল আখিরাহ, রজব, শাবান, রমজান, শাওয়াল, যুল কাদা, যুল হিজ্জা)।

  • عابد: وهَلْ تَعْرِفُ أَشْهُرا مِيلَادِيَّة (আবিদ: আর তুমি কি ইংরেজি মাসগুলো জানো?)

  • خالد: نَعَمْ، وَهِيَ يَنايِرُ – فِبْرايِرُ – مارِسُ – أَبْريلُ – مايو – يُونْيُو – يُولْيُو – أَغُسْطُس – سِبْتَمْبَرُ – أُكْتُوبَرُ – نُوفَمْبَرُ – دِيسَمْبَرُ (খালেদ: হ্যাঁ, আর সেগুলো হলো: জানুয়ারি – ফেব্রুয়ারি – মার্চ – এপ্রিল – মে – জুন – জুলাই – আগস্ট – সেপ্টেম্বর – অক্টোবর – নভেম্বর – ডিসেম্বর)।

  • عابد: مَا هُوَ أَفْضَلُ شَهْرٍ عِنْدَكَ؟ (আবিদ: তোমার কাছে সেরা মাস কোনটি?)

  • خالد: أحِبُّ شَهْرَ رَمَضَانَ، لِأَنَّهُ شَهْرُ الصِّيَامِ وَالْقُرْآنِ (খালেদ: আমি রমজান মাস ভালোবাসি, কারণ এটি সিয়াম ও কুরআনের মাস)।

  • عابد: وَأَنَا أحِبُّ ذُو الْحِجَّةِ، لِأَنَّهُ فِيهِ الْحَجُّ وَيَوْمُ عَرَفَةَ (আবিদ: আর আমি যুল হিজ্জা মাস ভালোবাসি, কারণ এতে হজ এবং আরাফার দিন আছে)।

  • خالد: وَمَاذَا عَنْ رَجَبٍ؟ (খালেদ: আর রজব মাস সম্পর্কে কী?)

  • عابد: هُوَ مِنَ الْأَشْهُرِ الْحُرُمِ، وَفِيهِ كَانَ النَّبِيُّ ﷺ يُكْثِرُ مِنَ الدُّعَاءِ (আবিদ: এটি সম্মানিত মাসগুলোর একটি, আর এতে নবী ﷺ বেশি বেশি দোয়া করতেন)।

  • خالد: وَمَا هِيَ الْأَشْهُرُ الْحُرُمُ؟ (খালেদ: আর সম্মানিত মাসগুলো কী কী?)

  • عابد: هِيَ: مُحَرَّمٌ، رَجَبٌ، ذُو الْقَعْدَةِ، وَذُو الْحِجَّةِ (আবিদ: সেগুলো হলো: মুহাররম, রজব, যুল কাদা এবং যুল হিজ্জা)।

  • خالد: إِلَى اللِّقَاءِ يَا عَابِدُ (খালেদ: বিদায় হে আবিদ)।

  • عابد: مَعَ السَّلَامَةِ يَا خَالِدُ (আবিদ: খোদা হাফেজ হে খালেদ)।


 

আরবি বাক্য বিশ্লেষণ (তারকিব)

 

১. يَغْفِرُ اللَّهُ لَنَا ذُنُوبَنَا (আল্লাহ আমাদের গুনাহগুলো ক্ষমা করেন)

  • يَغْفِرُ: فعل مضارع (বর্তমান/ভবিষ্যৎ কালবাচক ক্রিয়া)।

  • اللَّهُ: ফاعل (কর্তা)।

  • لَنَا: জার ও মাজরুর (অব্যয় ও তার দ্বারা জেরকৃত শব্দ)। এটি يَغْفِرُ-এর সাথে সম্পর্কিত।

  • ذُنُوبَنَا: মفعুল বিহি (কর্ম)। এটি মضاف (সম্বন্ধযুক্ত শব্দ) এবং نَا হলো মضاف ইলাহ (যার সাথে সম্বন্ধ করা হয়েছে)।

  • পুরো বাক্যটি একটি جملة فعلية (ক্রিয়াবাচক বাক্য)।

২. لَنْ يَغْفِرَ اللهُ لِلْمُشْرِكِ (আল্লাহ মুশরিককে কখনো ক্ষমা করবেন না)

  • لَنْ: حرف نصب (নসবকারী হরফ)।

  • يَغْفِرَ: فعل مضارع منصوب (নসবকৃত বর্তমান/ভবিষ্যৎ কালবাচক ক্রিয়া)।

  • اللهُ: ফاعل (কর্তা)।

  • لِلْمُشْرِكِ: জার ও মাজরুর (অব্যয় ও তার দ্বারা জেরকৃত শব্দ)। এটি يَغْفِرَ-এর সাথে সম্পর্কিত।

  • পুরো বাক্যটি একটি جملة فعلية (ক্রিয়াবাচক বাক্য)।

৩. أَشْكُرُ مُعَلِّمِي (আমি আমার শিক্ষককে ধন্যবাদ জানাই)

  • أَشْكُرُ: فعل مضارع (বর্তমান/ভবিষ্যৎ কালবাচক ক্রিয়া)।

  • فَاعِلٌ: উহ্য ضمير (সর্বনাম) أَنَا (আমি)।

  • مُعَلِّمِي: مفعول বিহি (কর্ম)। এটি মضاف (সম্বন্ধযুক্ত শব্দ) এবং ي হলো মضاف ইলাহ (যার সাথে সম্বন্ধ করা হয়েছে)।

  • পুরো বাক্যটি একটি جملة فعلية (ক্রিয়াবাচক বাক্য)।